Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all articles
Browse latest Browse all 302

জেনে নিন আপনার ডার্ক সার্কেলের সাধারন কারণগুলো ও প্রতিকার বিস্তারিত

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। দৈনন্দিন জিবে অনেক কিছুর কারণে আমাদের চোখের তলায় কালো বা কালী হয়ে যায় যাকে আমরা  ইংরেজি তে বলি Dark Circles।

আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল অথবা চোখের নিচের কালো দাগ কথাটার সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত তাই না? এই ডার্ক সার্কেল ঢাকতে আমাদের কত প্রোডাক্টই না ব্যবহার করতে হয়। খুব সহজেই কনসিলার বা ইয়েলো কারেক্টর দিয়ে সেটা ঢেকে ফেলা যায়। কিন্তু কেন হয় এই ডার্ক সার্কেল তা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি? চলুন আজকে না হয় এই সমস্যা নিয়ে একটু গভীরে আলোচনা করি!

ডার্ক সার্কেল আসলে কী?

আমাদের চোখের আশপাশে রক্তের ছোট ছোট কৌশিকনালী বা ক্যাপিলারিস আছে, যা আমাদের চোখের চারপাশের কোষগুলোকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই ক্যাপিলারিগুলো ফেটে যেতে পারে। আর এই ক্যাপিলারি ব্লিডিং এর জন্যই চোখের চারপাশে ডার্ক দেখায়।

ডার্ক সার্কেল হবার কারণ

1. আয়রন ডিফিশিয়েন্সি

যাদের রক্তে আয়রনের পরিমাণ কম, তাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন একটুতেই ভেঙ্গে যায়। যেহেতু হিমোগ্লোবিনের কাজ ক্যাপিলারির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়া, তাই হিমোগ্লোবিন ভেঙ্গে গেলে চোখের চারদিকে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলাফল স্বরূপ চোখের আশপাশের চামড়া কালচে দেখায়।

2. স্ট্রেস

ছোটবেলায় এমন কতবার হয়েছে, খেলতে গিয়ে ব্যথা পেয়ে কালশিটে পড়ে যায় নি! ধরে নেন স্ট্রেস আমাদের মনের ব্যথার মতই। যখনি আপনি স্ট্রেসে থাকেন তখন আপনার শরীরের ভাইটাল অর্থাৎ মেইন অর্গানগুলোতে রক্ত প্রবাহ বেশি থাকে। আপনার ফেইস থেকে রক্ত প্রবাহ কিছুটা হলেও কমে যায়। স্ট্রেসের কারণেও চোখের ক্যাপিলারি ফেটে গিয়ে স্কিনের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর তখনি বেগুনি বা নীলাভ রঙ দেখা যায়, যেটাকে প্রচলিত ভাষায় আমরা ডার্ক সার্কেল বলি। তাই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটু কম নিয়ে চেষ্টা করুন সময়টাকে উপভোগ করার।

3. জোরে চোখ ঘষা

মেকআপ তুলতে গিয়ে হোক আর যেকোন কারণেই হোক অসাবধানতাবশত চোখে খুব বেশি প্রেশার দিয়ে ফেললে চোখের কৌশিকনালিকাগুলো ভেঙ্গে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আর সেই রক্ত অক্সিডাইজ হয়ে কালচে হয়ে গেলেই দেখা যায় ডার্ক সার্কেল।

4. চশমার ফ্রেম

অনেক ক্ষেত্রে অনেক লম্বা সময় ধরে চশমা পরে থাকলে ফ্রেমের ভারের জন্য ক্যাপিলারি ভেঙ্গে যায়। ফলাফল ডার্ক সার্কেল। তাই চেষ্টা করুন হালকা চশমার ফ্রেম ব্যবহার করতে। আর সারাদিন টানা চশমা না ব্যবহার করে মাঝে মাঝে একটু খুলে রাখুন।

5. ক্লান্তি

যারা ডার্ক সার্কেল এর জন্য ঘুম হারাম করে ফেললেন, তারা এবার একটু ঘুমের দিকে নজর দিন। রাত জেগে আর টিভি শো না হয় না-ই দেখলেন, গেমিং-টাও না হয় ৮টার মধ্যে শেষ করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা না ঘুমালে চোখের কালি নিয়ে চিন্তা করে লাভ হবে না।

6. সান ড্যামেজ

সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে নিয়ে তো কম আর্টিকেল পড়েন নি! এই সূর্য রশ্মি স্কিনের জন্য যেমন ভয়াবহ ঠিক তেমনি চোখের জন্যও। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি আপনার চোখের আশপাশের পাতলা স্কিনের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন সানগ্লাস ব্যাবহার করতে।

তো এই ছিল ডার্ক সার্কেল হবার পেছনের গল্প! আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখলে কিছুটা হলেও হেল্প হবে।

প্রতিকার পাবেন অনেক উপকার

কাঁচা আলু

কাঁচা আলু ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ডারে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট দাগের উপর মেখে ১০-১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলু পেস্ট করতে ঝামেলা মনে হলে শসার মত স্লাইস করেও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহ জুড়ে দিনে ১-২ বার ব্যবহার করলেই চলবে।

গোলাপ জল

প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপ জল স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। ছোট্ট পরিস্কার কাপড়ের টুকরা বা আই প্যাড গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। পুরো ভিজলে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতার উপর রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। দিনে একবার করে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে চোখের স্বাভাবিক রং ফেরত আসবে।

টমেটো

টমেটো চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর সাথে সাথে আপনার ত্বককে করবে কোমল লাবন্যময়। ১ চা চামচ টমেটোর রস, ১ চাচামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে ২ বার করা চেষ্টা করুন। টমেটোর রস , লেবুর রস আর সাথে পুদিনা পাতা যোগ করে তৈরি করে নিতে পারেন দারুন একটি হেলথ ড্রিংক। এটি আপনার চোখের নীচের কালি ভিতর থেকে দূর করতে সাহায্য করবে।

ঠাণ্ডা চায়ের ব্যাগ

চায়ের ব্যাগ দিয়ে ও চোখের নিচে কালি দূর করা সম্ভব। সবুজ বা কালো চায়ের ব্যাগ ঠান্ডা করে নিন। আপনার চোখের ওপর ঠান্ডা চায়ের ব্যাগটি রাখুন। ১০/ ১৫ মিনিট পর চায়ের ব্যাগ সরিয়ে ফেলুন। দিনে ২/৩ বার করার চেষ্টা করুন।

ঠান্ডা দুধ

প্রতিদিন ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহারে আপানার চোখের নীচের কালো দাগ দূর করে থাকে। তুলার বল ঠাণ্ডা দুধে ভিজিয়ে নিন। ভেজা তুলার বল আপানার চোখে ওপর রাখুন। ১০/১৫ মিনিট পর তুলা সরিয়ে নিন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন করাতে আপানার চোখের নীচের কালির দাগ করবে। 

শেষ কথা 

বিনদাস থাকুন ভালো থাকুন আর একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা। বাস তাহলেই ১ মাসের মধ্যেই আপনার সব সমস্যা দূর হবে। আর কোন ও ডার্ক সার্কেল থাকবে না। আজকের এই ছিল ডার্ক সার্কেল হবার পেছনের গল্প! আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখলে কিছুটা হলেও হেল্প হবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

The post জেনে নিন আপনার ডার্ক সার্কেলের সাধারন কারণগুলো ও প্রতিকার বিস্তারিত appeared first on Chalo Kolkata.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 302

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>