
শিবরাত্রির ৫ অজানা তথ্য – Unknown Fact of Lord Shiva
দেশ জুড়ে পালন হয় মহা শিবরাত্রি। শিবের মতো বর পেতে প্রায় সব হিন্দু অবিবাহিত মেয়েরাই সারাদিন উপোস করে রাত্রিবেলায় শিবের মাথায় জল ঢালবে। কিন্তু যার জন্য এত কিছু সেই দেবতা বা সেই উৎসব সম্পর্কে সব তথ্য কি জানেন? যদি না জানেন তবে জেনে নিন শিবরাত্রির ৫টি অজানা তথ্য।
1. বছরের প্রতি মাসেই আসে শিবরাত্রি। প্রতি কৃষ্ণ পক্ষের ১৪তম রাত্রি হল শিবরাত্রি। কিন্তু মাঘ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের ১৪তম রাতে মহাশিবরাত্রি পালন করা হয় কারণ এই রাতটা মহাদেবের সবথেকে পছন্দের।
2. পুরাণ মতে মহাশিবরাত্রির রাত হল বছরের সবথেকে অন্ধকার রাত।
3. অনেকের মতে, শিবরাত্রির দিনেই পার্বতীকে বিয়ে করেছিলেন মহাদেব। এই রাতেই মিলন হয়েছিল শিব আর শক্তির।
4. অনেকে বলেন, এই দিনে শিব লিঙ্গ রূপ ধারণ করেছিলেন।
5. শিব রাত্রির তিথি শুরু হওয়ার পর থেকে যে যার সময় মতো সময় করে শিবের মাথায় জল ঢালে। কিন্তু সবথেকে পবিত্র সময় হল ‘নিশিথ কলা’। এই সময়েই শিব লিঙ্গ রূপে পৃথিবীতে আসেন।
শাস্ত্রীয়মতে শিবলিঙ্গ কি? (নিজে জানুন ও সকলকে জানান)
আগামা ধর্মসূত্রের তৃতীয় অধ্যয়ের ১৬-১৭ নং শ্লোকে বলা হয়েছে-খরহ অর্থ বিলীন হওয়া এবং মধ অর্থ উত্তরন্ন হওয়া।
অর্থাৎ যে মঙ্গলময় সৃষ্টিকর্তা(শিব) থেকে সবকিছু উৎপন্ন হয় এবং প্রলয়কালে সবকিছু যাতে বিলীন হয় তারই প্রতীক এই শিবলিঙ্গ।
লিঙ্গ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো সূক্ষ দেহ। এই দেহটিতে যুক্ত আছে পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়,৫টি কর্মেন্দ্রিয় এবং ৫ টি প্রাণ অপান বায়ু ,মন ও বুদ্ধি-মোট ১৭ টি অবয়ব যুক্ত দেহ। সকল সৃষ্টিরই সূক্ষ শরীর আছে। আমাদের যখন মৃত্যু হয় তখন জীবাত্মা সূক্ষ শরীরে বিচরণ করেন এবং পুনরায় দেহ ধারণ করেন। শিব রুদ্র ও মহাদেব এই তিনটি নামই আমাদের মধ্যে বেশি পরিচিত। যে সূক্ষ শরীরকে আমরা লিঙ্গ বলে পূজা করি তা সৃষ্টির সূক্ষ শরীর প্রকৃতিতে বীজ বপনরূপ সূক্ষ বিষয়টিকে দেখানো হয়েছে। এখানে স্ত্রী-পুরুষের মিলিত অঙ্গ নয়। বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে তা অনুধাবন করা যায়।
শিব কে কেন পঞ্চানন বলা হয় ?
শিবের পবিত্র সংখ্যা হল পাঁচ। পরম বৈষ্ণব শিবের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রগুলির একটি (নমঃ শিবায়) পাঁচটি অক্ষর দ্বারা গঠিত। শিবের শরীর পাঁচটি মন্ত্র দ্বারা গঠিত।
এগুলিকে বলা হয় পঞ্চব্রহ্মণ। দেবতা রূপে এই পাঁচটি মন্ত্রের নিজস্ব নাম ও মূর্তিতত্ত¡ বর্তমান: ১। সদ্যোজাত ২। বামদেব ৩। অঘোর ৪। তৎপুরুষ ৫। ঈশান, শিবের মূর্তি এই পাঁচটি রূপ পঞ্চাননের আকারে কল্পিত হয়। বিভিন্ন শাস্ত্রে এই পাঁচটি রূপ পঞ্চভূত, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
জানবে, পার্থিব জগতের সকল বস্তুর পঞ্চমুখী চরিত্র বিদ্যমান। এর কারণ পঞ্চমুখী ব্রহ্মের চরিত্রবৈশিষ্ট্যরূপে শিবের চিরন্তন বৈচিত্র। (পঞ্চব্রহ্মণ উপনিষদ ৩১)[১৬২] মহাভারতে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন এবং দ্রৌপদিকে এই পঞ্ছতত্তে¡র সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন।
The post শিবরাত্রির ৫ অজানা তথ্য – 5 Unknown Information of Shivratri appeared first on Chalo Kolkata.