Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all articles
Browse latest Browse all 302

হাই ব্লাড প্রেশার, হাই বিপি উচ্চ রক্ত চাপ চিরদিনের মতো ভালো করুন মাত্র এক দিনে

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের হাই ব্লাড প্রেশার বা  উচ্চ রক্ত চাপ এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু আলোচনা করবো। কিভাবে আপনারা এটাকে কন্ট্রোল করবেন। আর কিববে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এটা নিয়েই কথা।

দ্রুত জীবন ৷ অতিরিক্ত কাজের চাপ ৷ সব মিলিয়ে দিন শেষ স্ট্রেস ! আর তার ফলে শরীরে দেখা মিলছে নানা সমস্যার ৷ ঠিক যেমন হাই ব্লাড প্রেসার ৷ আজকাল এই সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন ৷ এমনকী, এই সমস্যা এখন আর বয়স মানে না ৷ আট থেকে আশির মধ্যেই দেখা দিতে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ৷ চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত কিছু জিনিস মেনে চললেই এই সমস্যা দূর হতে পারে ৷

হাই ব্লাড প্রেশার হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নামেও পরিচিত। এই কন্ডিশন তখনি সৃষ্টি হয় যখন আর্টারিতে রক্তের অনেক প্রেশার থাকে। একজন ব্যক্তির ব্লাড প্রেশার রিডিং যখন ১৪০/৯০ mm Hg বা এর চেয়েও বেশি হয় তখন বলা হয় হাইপারটেনশন। একে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়ে থাকে। কেননা যদি সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকি কিডনি ফেইলিওর-ও হতে পারে কিন্তু লক্ষণীয় কোন সিম্পটম্প দেখা যাবে না।

হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণসমূহ

বর্তমানে এমন কোন একটি বাসা পাওয়া যাবে না যেখানে কোন একজন হাইপারটেনশনের রোগী নেই। প্রেশার হুটহাট বেড়ে যেতে পারে। সবার সিম্পটম এক না তবুও কমন কিছু সিম্পটম হলঃ

1. প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা

2. ঘাড় ব্যথা করা

3. বমি বমি ভাব হওয়া; এমনকি বমিও হয়ে যাওয়া।

4. নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের কিছু কারণ

1. প্রতিদিন ৬ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া।

2. অ্যালকোহল গ্রহণ করা।

3. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অনেক বেশি ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্য /পানীয় থাকা।

4. নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে না তোলা।

5. স্ট্রেস

6. অবেসিটি, যেহেতু হার্টকে অতিরিক্ত টিস্যুর জন্য বেশি বেশি ব্লাড পাম্প করা লাগে।

7. বংশগতভাবে অনেকেয় হাই ব্লাড প্রেশারের শিকার হয়ে থাকে।

হাই ব্লাড প্রেশার মকাবেলার উপায়

1. কলা

কলা এমন একটি ফল যা ব্লাড প্রেশারের রোগীরা প্রেশার কন্ট্রোল করার জন্য প্রতিদিন খেতে পারেন। কলাতে থাকা পটাসিয়াম প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সাথে কলাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম উপরন্তু কোলেস্টেরল ফ্রি। হাইপারটেনশনের পাঠকেরা আপনারা প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন।

2. রসুন

২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়াতে এক স্টাডিতে পাওয়া গিয়েছে যে রসুন প্রেশারের রোগীদের জন্য ওষুধ স্বরূপ কাজ করে, কারণ এটি প্রাকৃতিক ভাবেই কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় তাই প্রেশারও কমে যায়। চিবানো রসুন হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরি করে, যা ব্লাড ফ্লো সঠিক রাখে, গ্যাস দূর করে এবং হার্টের উপর থেকে প্রেশার কমিয়ে আনে। প্রতিদিন রান্না অথবা কাঁচা এক কোয়া রসুন আপনার জন্য যথেষ্ট।

3. কাঁচা বাদাম

কাঁচা বাদাম মানে যে বাদামটি বালুতে ভাঁজা হয়নি। প্রতিদিন ৪-৫ টি কাঁচা বাদাম আপনাকে রাখবে প্রেশার থেকে কয়েকশ হাত দূরে। কাঁচা বাদামে আছে mono-saturated ফ্যাট। প্রমাণিত হয়েছে এই ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে সেই সঙ্গে arterial inflammation ও কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে আপনি থাকেন লোয়ার ব্লাড প্রেসার লেভেলের আওতায়।

4. ডাবের জল 

ডাবের জলে আছে পটাশিয়াম, ইলেক্ট্রোলাইট এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েণ্ট। কিছুদিন আগে West Indian Medical Journal এ পাবলিশ হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে স্টাডিতে অংশ নেয়া ৭১% সিসষ্টলিক প্রেশার কমে গিয়েছিল আর ২৯ জনের ডায়াষ্টলিক প্রেশার কমে গিয়েছিলো নিয়মিত ডাবের জল পান করার কারণে।

5. হলুদ

অনেকেই হয়ত জানি না এর আরেক নাম কারকিউমিন। এর অনেক গুলো গুণের মধ্যে একটি হল এটি সারা শরীরের ইনফ্লামেসন দূর করে। ইনফ্লামাসনের প্রাথমিক কারণ হিসেবে হাই কোলেস্টেরল এমনকি হাই ব্লাড প্রেশারকে দায়ি করা হয়। হলুদ ব্লাড ভেসেল শিথিল করে। এটি ব্লাড থিনার-ও, যা হাইপারটেনশনের সাথে ফাইট করার আরেকটি শক্তিশালী হার্ব।

6. ডার্ক চকলেট

প্রতিদিন অল্প অল্প ডার্ক চকলেট খান আর হাই ব্লাড প্রেশার থেকে দূরে থাকুন। আরেকটি সুখবর হল ডার্ক চকলেট খেলে মোটা হওয়ার কোন ভয় নেই। এই চকলেটে আছে কোকো আর কোকোতে থাকা পলিফেনলস প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখবেন পরিমাণ যেন খুবই কম হয়।

7. কালোজিরা

কাল জিরার তেলে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো কোলেস্টেরল আর ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন এক চা চামচ করে কালো জিরার তেল খান। যদি এই তেল খেতে আপনার খারাপ লাগে তাহলে জুস অথবা চায়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।

8. লেবুর রস

হাইপারটেনশনের কন্ট্রোলের জন্য নিয়মিত লেবুর রস পানের অভ্যাস করুন। লেবু ব্লাড ভেসেল নরম করে এবং তাদের রিজিডিটি দূর করে। ফলে হাই ব্লাড প্রেশার কমে যায়। উপরন্তু লেবুতে থাকা ভিটামিন বি এর জন্য হার্ট ফেলুয়ার এর চান্স কমে যায়। যাদের হাই ব্লাড প্রেশার আছে তারা দিনে কয়েক বার লেবুর জল পান করবেন।

9. পেঁয়াজের রস

প্রতিদিন একটি মাঝারি সাইজের কাঁচা পেঁয়াজ খান। এটি নার্ভাস সিস্টেমের জন্য টনিকের মত কাজ করে। এটি রক্ত পরিষ্কার করে, হার্টের কার্যকারিতা রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং কোলেস্টেরল কমানোর মাধ্যমে প্রেশার কমিয়ে দেয় যদিও ডাক্তার বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন তবুও খুব সিম্পল কিছু ন্যাচারাল উপাদান দ্বারা হাই ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোল করতে পারেন। এইসব উপাদান গুলো কিচেন ইনগ্রেডিয়েন্স নামে পরিচিত, কেননা এসব উপাদান আমরা আমাদের কিচেন কেবিনেটই পেয়ে থাকি।

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ

হাই প্রেসার কমানোর যোগ ব্যায়াম

হাই প্রেসার কমানোর ব্যায়াম হাই প্রেসার কত

হাই প্রেসারের ঔষধের নাম

প্রেসার হাই হওয়ার লক্ষণ

হাই প্রেসার কমানোর খাবার

 

1. প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ চিনি ছাড়া বা অল্প চিনি যুক্ত দই উচ্চ রক্তচাপ প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেয়। দইয়ের ক্যালসিয়াম ধমনীকে নমনীয় ও প্রসারিত করে। এতে করে রক্ত কোন প্রকার বাঁধা ও চাপ ছাড়াই পুরো দেহে সঞ্চালিত হতে পারে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে যায়।

2. নুন আপনার ধমনীতে বিদ্যমান তরলের সাথে মিশে গিয়ে তরলের আয়তন বৃদ্ধি করে। এতে করে রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার সময় ধমনীতে চাপ পরে। ফলশ্রুতিতে রক্ত চাপ বাড়ে। তাই যতটা সম্ভব নুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

3. সপ্তাহে অন্তত ১ দিন ১ ঘণ্টা জগিং ৬ বছর পর্যন্ত আয়ু বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জগিং-এর সময় অক্সিজেন গ্রহনের পরিমাণ বাড়ে যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়। আর অক্সিজেন শরীরের রক্তের সঙ্গে মিশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে হৃদপিণ্ড সহজেই রক্ত পাম্প করে পুরো দেহকে সতেজ রাখে। সুতরাং রক্তচাপ কমাতে জগিং করুন। যারা জগিং করতে পারেন না তারা দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন। দ্রুত হাঁটা অনেকাংশে জগিং এর মতই কার্যকরী।

4. কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা দেহের নুনের পরিমাণ ঠিক রাখে। এতে করে রক্তচাপ কমে। গবেষণা অনুযায়ী, কলার পটাসিয়াম শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অন্তত ৫টি কলা উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।

5. ধূমপান উচ্চ রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সিগারেটের নিকোটিন দেহে প্রবেশ করে রক্তে মিশে গিয়ে অ্যাড্রেনালাইন উৎপন্ন করে। এই রসটি হার্টবিটকে দ্রুততর করে ফেলে। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ধুমপান পরিহার করুন।

6. খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজন পৌঁছলে সীমিত আহার করা উচিত এবং ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপজ্জনক। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।

The post হাই ব্লাড প্রেশার, হাই বিপি উচ্চ রক্ত চাপ চিরদিনের মতো ভালো করুন মাত্র এক দিনে appeared first on Chalo Kolkata.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 302

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>