Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all 302 articles
Browse latest View live

বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা, ও মা লক্ষীর পাঁচালি

$
0
0

বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা

শরৎ পূর্ণিমার নিশি নির্মল গগন।

মন্দ মন্দ বহিতেছে মলয় পবন।। 

লক্ষ্মীদেবী বামে করি বসি নারায়ণ।

বৈকুন্ঠধামেতে বসি করে আলাপন।।

হেনকালে বীণা হাতে আসি মুনিবর।

হরিগুণগানে মত্ত হইয়া বিভোর।।

গান সম্বরিয়া উভে বন্দনা করিল।

বসিতে আসন তারে নারায়ণ দিল।।

মধুর বচনে লক্ষ্মী জিজ্ঞাসিল তায়।

কিবা মনে করি মুনি আসিলে হেথায়।।

কহে মুনি তুমি চিন্ত জগতের হিত।

সবার অবস্থা আছে তোমার বিদিত।।

সুখেতে আছয়ে যত মর্ত্যবাসীগণ।

বিস্তারিয়া মোর কাছে করহ বর্ণন।।

লক্ষ্মীমার হেন কথা শুনি মুনিবর।

কহিতে লাগিলা তারে জুড়ি দুই কর।।

অপার করুণা তোমার আমি ভাগ্যবান।

মর্ত্যলোকে নাহি দেখি কাহার কল্যাণ।।

সেথায় নাই মা আর সুখ শান্তি লেশ।

দুর্ভিক্ষ অনলে মাগো পুড়িতেছে দেশ।।

রোগ-শোক নানা ব্যাধি কলিতে সবায়।

ভুগিতেছে সকলেতে করে হায় হায়।।

অন্ন-বস্ত্র অভাবেতে আত্মহত্যা করে।

স্ত্রী-পুত্র ত্যাজি সবাই যায় দেশান্তরে।।

স্ত্রী-পুরুষ সবে করে ধর্ম পরিহার।

সদা চুরি প্রবঞ্চনা মিথ্যা অনাচার।।

তুমি মাগো জগতের সর্বহিতকারী।

সুখ-শান্তি সম্পত্তির তুমি অধিকারী।।

স্থির হয়ে রহ যদি প্রতি ঘরে ঘরে।

তবে কি জীবের এত দুঃখ হতে পারে?

নারদের বাক্য শুনি লক্ষ্মী বিষাদিতা।

কহিলেন মুনি প্রতি দোষ দাও বৃথা।।

নিজ কর্মফলে সবে করে দুঃখভোগ।

অকারণে মোর প্রতি কর অনুযোগ।।

শুন হে নারদ বলি যথার্থ তোমায়।

মম অংশে জন্ম লয় নারী সমুদয়।।

তারা যদি নিজ ধর্ম রক্ষা নাহি করে।

তবে কি অশান্তি হয় প্রতি ঘরে ঘরে।।

লক্ষ্মীর বচন শুনি মুনি কহে ক্ষুণ্ন মনে।

কেমনে প্রসন্ন মাতা হবে নারীগণে।।

কিভাবেতে পাবে তারা তব পদছায়া।

দয়াময়ী তুমি মাগো না করিলে দয়া।।

মুনির বাক্যে লক্ষ্মীর দয়া উপজিল।

মধুর বচনে তারে বিদায় করিল।।

নারীদের সর্বদুঃখ যে প্রকারে যায়।

কহ তুমি নারায়ণ তাহার উপায়।।

শুনিয়া লক্ষ্মীর বচন কহে লক্ষ্মীপতি।

কি হেতু উতলা প্রিয়ে স্থির কর মতি।।

প্রতি গুরুবারে মিলি যত বামাগণে।

করিবে তোমার ব্রত ভক্তিযুক্ত মনে।।

নারায়ণের বাক্যে লক্ষ্মী অতি হৃষ্টমন।

ব্রত প্রচারিতে মর্ত্যে করিল গমন।।

মর্ত্যে আসি ছদ্মবেশে ভ্রমে নারায়ণী।

দেখিলেন বনমধ্যে বৃদ্ধা এক বসিয়া আপনি।।

সদয় হইয়া লক্ষ্মী জিজ্ঞাসিল তারে।

কহ মাগো কি হেতু এ ঘোর কান্তারে।।

বৃদ্ধা কহে শোন মাতা আমি অভাগিনী।

কহিল সে লক্ষ্মী প্রতি আপন কাহিনী।।

পতি-পুত্র ছিল মোর লক্ষ্মীযুক্ত ঘর।

এখন সব ছিন্নভিন্ন যাতনাই সার।।

যাতনা সহিতে নারি এসেছি কানন।

ত্যাজিব জীবন আজি করেছি মনন।।

নারায়ণী বলে শুন আমার বচন।

আত্মহত্যা মহাপাপ নরকে গমন।।

যাও মা গৃহেতে ফিরি কর লক্ষ্মী ব্রত।

আবার আসিবে সুখ তব পূর্ব মত।।

গুরুবারে সন্ধ্যাকালে মিলি এয়োগণ।

করিবে লক্ষ্মীর ব্রত করি এক মন।।

কহি বাছা পূজা হেতু যাহা প্রয়োজন।

মন দিয়া শুনি লও আমার বচন।।

জলপূর্ণ ঘটে দিবে সিঁদুরের ফোঁটা।

আম্রের পল্লব দিবে তাহে এক গোটা।।

আসন সাজায়ে দিবে তাতে গুয়া-পান।

সিঁদুর গুলিয়া দিবে ব্রতের বিধান।।

ধূপ-দীপ জ্বালাইয়া রাখিবে ধারেতে।

শুনিবে পাঁচালী কথা দূর্বা লয়ে হাতে।।

একমনে ব্রত কথা করিবে শ্রবণ।

সতত লক্ষ্মীর মূর্তি করিবে চিন্তন।।

ব্রত শেষে হুলুধ্বনি দিয়ে প্রণাম করিবে।

এয়োগণে সবে মিলি সিঁদুর পরিবে।।

দৈবযোগে একদিন ব্রতের সময়।

দীন দুঃখী নারী একজন আসি উপনীত হয়।।

পতি তার চির রুগ্ন অক্ষম অর্জনে।

ভিক্ষা করি অতি কষ্টে খায় দুই জনে।।

অন্তরে দেবীরে বলে আমি অতি দীনা।

স্বামীরে কর মা সুস্থ আমি ভক্তি হীনা।।

লক্ষ্মীর প্রসাদে দুঃখ দূর হৈল তার।

নীরোগ হইল স্বামী ঐশ্বর্য অপার।।

কালক্রমে শুভক্ষণে জন্মিল তনয়।

হইল সংসার তার সুখের আলয়।।

এইরূপে লক্ষ্মীব্রত করি ঘরে ঘরে

ক্রমে প্রচারিত হল দেশ দেশান্তরে।।

এই ব্রত করিতে যেবা দেয় উপদেশ।

লক্ষ্মীদেবী তার প্রতি তুষ্ট সবিশেষ।।

এই ব্রত দেখি যে বা করে উপহাস।

লক্ষ্মীর কোপেতে তার হয় সর্বনাশ।।

পরিশেষে হল এক অপুর্ব ব্যাপার।

যে ভাবে ব্রতের হয় মাহাত্ম্য প্রচার।।

বিদর্ভ নগরে এক গৃহস্থ ভবনে।

নিয়োজিত বামাগণ ব্রতের সাধনে।।

ভিন দেশবাসী এক বণিক তনয়।

সি উপস্থিত হল ব্রতের সময়।।

বহুল সম্পত্তি তার ভাই পাঁচজন।

পরস্পর অনুগত ছিল সর্বক্ষণ।।

ব্রত দেখি হেলা করি সাধুর তনয়।

বলে এ কিসের ব্রত এতে কিবা ফলোদয়।।

বামাগণ বলে শুনি সাধুর বচন।

লক্ষ্মীব্রত করি সবে সৌভাগ্য কারণ।।

সদাগর শুনি ইহা বলে অহঙ্কারে।

অভাবে থাকিলে তবে পূজিব উহারে।।

ধনজন সুখভোগ যা কিছু সম্ভব।

সকল আমার আছে আর কিবা অভাব।।

কপালে না থাকে যদি লক্ষ্মী দিবে ধন।

হেন বাক্য কভু আমি না করি শ্রবণ।।

ধনমদে মত্ত হয়ে লক্ষ্মী করি হেলা।

নানা দ্রব্যে পূর্ণ তরি বানিজ্যেতে গেলা।।

গর্বিত জনেরে লক্ষ্মী সইতে না পারে।

সর্ব দুঃখে দুঃখী মাগো করেন তাহারে।।

বাড়ি গেল, ঘর গেল, ডুবিল পূর্ণ তরি,

চলে গেল ভ্রাতৃভাব হল যে ভিখারী।।

কি দোষ পাইয়া বিধি করিলে এমন।

অধম সন্তান আমি অতি অভাজন।।

সাধুর অবস্থা দেখি দয়াময়ী ভাবে।

বুঝাইব কেমনে ইহা মনে মনে ভাবে।।

নানা স্থানে নানা ছলে ঘুরাইয়া ঘানি।

অবশেষে লক্ষ্মীর ব্রতের স্থানে দিলেন আনি।।

মনেতে উদয় হল কেন সে ভিখারী।

অপরাধ ক্ষম মাগো কুপুত্র ভাবিয়া।।

অহঙ্কার দোষে দেবী শিক্ষা দিলা মোরে।

অপার করুণা তাই বুঝালে দীনেরে।।

বুঝালে যদি বা মাগো রাখগো চরণে।

ক্ষমা কর ক্ষমাময়ী আশ্রিত জনেরে।।

সত্যরূপিনী তুমি কমলা তুমি যে মা।

ক্ষমাময়ী নাম তব দীনে করি ক্ষমা।।

তুমি বিনা গতি নাই এ তিন ভুবনে।

স্বর্গেতে স্বর্গের লক্ষ্মী ত্রিবিধ মঙ্গলে।

তুমি মা মঙ্গলা দেবী সকল ঘরেতে।

বিরাজিছ মা তুমি লক্ষ্মী রূপে ভূতলে।।

দেব-নর সকলের সম্পদরূপিনী।

জগৎ সর্বস্ব তুমি ঐশ্বর্যদায়িনী।।

সর্বত্র পূজিতা তুমি ত্রিলোক পালিনী।

সাবিত্রী বিরিঞ্চিপুরে বেদের জননী।।

ক্ষমা কর এ দাসের অপরাধ যত।

তোমা পদে মতি যেন থাকে অবিরত।।

শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ট তারা পরমা প্রকৃতি।

কোপাদি বর্জিতা তুমি মূর্তিমতি ধৃতি।

সতী সাধ্বী রমণীর তুমি মা উপমা।।

দেবগণ ভক্তি মনে পূজে সবে তোমা।।

রাস অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুমি রাসেশ্বরী।

সকলেই তব অংশ যত আছে নারী।।

কৃষ্ণ প্রেমময়ী তুমি কৃষ্ণ প্রাণাধিকা।

তুমি যে ছিলে মাগো দ্বাপরে রাধিকা।।

প্রস্ফুটিত পদ্মবনে তুমি পদ্মাবতী।

মালতি কুসুমগুচ্ছে তুমি মা মালতি।।

বনের মাঝারে তুমি মাগো বনরাণী।

শত শৃঙ্গ শৈলোপরি শোভিত সুন্দরী।

রাজলক্ষ্মী তুমি মাগো নরপতি পুরে।

সকলের গৃহে লক্ষ্মী তুমি ঘরে ঘরে।

দয়াময়ী ক্ষেমঙ্করী অধমতারিণী।

অপরাধ ক্ষমা কর দারিদ্র্যবারিণী।।

পতিত উদ্ধার কর পতিতপাবনী।

অজ্ঞান সন্তানে কষ্ট না দিও জননী।।

অন্নদা বরদা মাতা বিপদনাশিনী।

দয়া কর এবে মোরে মাধব ঘরণী।।

এই রূপে স্তব করি ভক্তিপূর্ণ মনে।

একাগ্র মনেতে সাধু ব্রত কথা শোনে।।

ব্রতের শেষে নত শিরে করিয়া প্রণাম।

মনেতে বাসনা করি আসে নিজধাম।।

গৃহেতে আসিয়া বলে লক্ষ্মীব্রত সার।

সবে মিলি ব্রত কর প্রতি গুরুবারে।।

বধুরা অতি তুষ্ট সাধুর বাক্যেতে।

ব্রত আচরণ করে সভক্তি মনেতে।।

নাশিল সাধুর ছিল যত দুষ্ট সহচর।

দেবীর কৃপায় সম্পদ লভিল প্রচুর।।

আনন্দে পূর্ণিত দেখে সাধুর অন্তর।

পূর্ণতরী উঠে ভাসি জলের উপর।।

সাধুর সংসার হল শান্তি ভরপুর।

মিলিল সকলে পুনঃ ঐশ্বর্য প্রচুর।।

এভাবে নরলোকে হয় ব্রতের প্রচার।

মনে রেখ সংসারেতে লক্ষ্মীব্রত সার।।

এ ব্রত যে রমণী করে এক মনে।

দেবীর কৃপায় তার পূর্ণ ধনে জনে।।

অপুত্রার পুত্র হয় নির্ধনের ধন।

ইহলোকে সুখী অন্তে বৈকুন্ঠে গমন।।

লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড়ই মধুর।

অতি যতনেতে রাখ তাহা আসন উপর।

যে জন ব্রতের শেষে স্তব পাঠ করে।

অভাব ঘুচিয়া যায় লক্ষ্মীদেবীর বরে।।

লক্ষ্মীর পাঁচালী কথা হল সমাপন।

ভক্তি করি বর মাগো যার যাহা মন।।

সিঁথিতে সিঁদুর দাও সব এয়োমিলে।

হুলুধ্বনি কর সবে অতি কৌতুহলে।।

দুই হাত জোড় করি ভক্তিযুক্ত মনে।

নমস্কার করহ সবে দেবীর চরণে।।

The post বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা, ও মা লক্ষীর পাঁচালি appeared first on Chalo Kolkata.


লক্ষী পূজার নিয়ম, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ব্রতকথা

$
0
0

লক্ষী পুজো কখন হয় 

নিয়ম করে প্রত্যেক গুরু বার অর্থাৎ প্রত্যেক বৃহস্পতি বার আমাদে র সবার বাড়িতেই এই পুজো হয়ে থাকে। রীতিমতো সব নিয়ম ও নিষ্ঠা মেনেই এই পুজো করা হয়। সাধারণত দুপুর বেলায় এই পুজো করা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই এই নিত্য ঘরোয়া গুরু বারের পুজো তাদের সময় অনুযায়ী করে থাকে, তবে এই পুজো সাধারণত সাশ্র মতে গোধূলি অর্থাৎ সন্ধে বেলায় করলে ভালো হয়। তার কারণ পৌরাণিক মতানুযায়ী সোধে বেলায় মা লক্ষী সবার ঘরে ঘরে পদার্পর্ন করে থাকে। তবে বছরে একবার আমাদের উৎসবের মতো লক্ষী পুজো হয়ে থাকে বা আমরা করে থাকি সেটা হল দূর্গা পুজোর ঠিক চার দিন পর। সেই পুজো আরও অংকে জাগ জমগ করে হয়ে থাকে। সেটাও আমাদের এক অন্যতম উৎসব।

লক্ষী পুজো কোথায় হয় 

গুরুবারের বা বৃহস্পতি বারের লক্ষী পুজো আমাদের সকলের বাড়িতে বাড়িতে বৃহস্পতি বার হয়ে থাকে। এই পুজোয় মা লক্ষীর মঙ্গোল ঘট বসে।

কেন লক্ষী পুজো হয়  

আমরা গুরু বার মানে বৃহস্পতি বার এ আমরা ঘরে ঘরে লক্ষী পুজো করে থাকি।  জ্যোতিষসাশ্র মতে বলা হয় যে মানুষের ভাগ্যে বৃহস্পতির অবস্থান সঠিকভাবে থাকে সে কোনোদিন অর্থ কষ্টে পীড়িত হয়না।

লক্ষী পুজোর পৌরাণিক গল্প

বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর সাপ্তাহিক পূজা করে থাকেন। এই পূজা সাধারণত বাড়ির সধবা স্ত্রীলোকেরাই করে থাকেন। “বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা”-য় এই বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীব্রত ও পূজা প্রচলন সম্পর্কে একটি যে লৌকিক গল্পটি রয়েছে, তা এইরকম: এক দোলপূর্ণিমার রাতে নারদ বৈকুণ্ঠেলক্ষ্মী ও নারায়ণের কাছে গিয়ে মর্ত্যের অধিবাসীদের নানা দুঃখকষ্টের কথা বললেন। লক্ষ্মী মানুষের নিজেদের কুকর্মের ফলকেই এই সব দুঃখের কারণ বলে চিহ্নিত করলেন।. কিন্তু নারদের অনুরোধে মানুষের দুঃখকষ্ট ঘোচাতে তিনি মর্ত্যলোকে লক্ষ্মীব্রত প্রচার করতে এলেন। অবন্তী নগরে ধনেশ্বর নামে এক ধনী বণিক বাস করতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলেদের মধ্যে বিষয়সম্পত্তি ও অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ধনেশ্বরের বিধবা পত্নী সেই ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বনে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন। লক্ষ্মী তাঁকে লক্ষ্মীব্রত করার উপদেশ দিয়ে ফেরত পাঠালেন। ধনেশ্বরের স্ত্রী নিজের পুত্রবধূদের দিয়ে লক্ষ্মীব্রত করাতেই তাঁদের সংসারের সব দুঃখ ঘুচে গেল। ফলে লক্ষ্মীব্রতের কথা অবন্তী নগরে প্রচারিত হয়ে গেল। একদিন অবন্তীর সধবারা লক্ষ্মীপূজা করছেন, এমন সময় শ্রীনগরের এক যুবক বণিক এসে তাদের ব্রতকে ব্যঙ্গ করল। ফলে লক্ষ্মী তার উপর কুপিত হলেন। সেও সমস্ত ধনসম্পত্তি হারিয়ে অবন্তী নগরে ভিক্ষা করতে লাগল। তারপর একদিন সধবাদের লক্ষ্মীপূজা করতে দেখে সে অনুতপ্ত হয়ে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইল। লক্ষ্মী তাকে ক্ষমা করে তার সব ধনসম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে সমাজে লক্ষ্মীব্রত প্রচলিত হল।

লক্ষী পুজোর প্রচলিত  আচার 

  • একটি বাঁশের বাঁশিকে সিল্কের কাপড়ে মুড়ে ঠাকুরের সিংহাসনে রাখলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন কারণ বাঁশি হল বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। তাই মা লক্ষ্মীরও অতি প্রিয়।
  • শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, প্রতিদিনই যদি দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকা ভাল। প্রতিদিন না পারলে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার এবং মা লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই।
  •  যিনি প্রতি শুক্রবার পরমান্ন বা মিষ্ট অন্ন দিয়ে গোসেবা করেন তাঁর প্রতি বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী।
  • বলা হয় সমস্ত দেবতা বাস করেন তুলসি বৃক্ষে আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী দেবী তুলসি হলেন মা লক্ষ্মীরই এক রূপ। তাই বাড়িতে তুলসি বৃক্ষ থাকলে এবং সেখানে প্রতিদিন সেখানে প্রদীপ জ্বাললে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী।
  • প্রতি শুক্রবার পদ্মমূল থেকে তৈরি নয়টি সলতে দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ মা লক্ষ্মীর পট বা প্রতিমার সামনে জ্বাললে তা গৃহে প্রাচুর্যের সমাহার ঘটায়।
  • প্রতিদিন স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। এই মন্ত্র জপ করার সময় পদ্মবীজের মালা ব্যবহার করলে ভাল।
  •  এছাড়া টানা ৩০ দিন ধরে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে নিষ্ঠাভরে শ্রী সুক্ত পাঠ করলে বিশেষ প্রসন্ন হন দেবী। শ্রী সুক্ত হল ১৫টি ভার্সের একটি সম্মেলন। 
  • ঠাকুরঘরে বা ঠাকুরের সিংহাসনে কড়ি এবং শঙ্খ রাখা খুবই শুভ গৃহের কল্যাণের জন্য।
  • দক্ষিণাবর্ত শঙ্খকে বলা হয় মা লক্ষ্মীর শঙ্খ। লাল, সাদা বা হলুদ রংয়ের একটি পরিষ্কার কাপড়, একটি রুপোর পাত্র অথবা মাটির পাত্রের উপর রাখতে হয় এই শঙ্খ। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রবাহিত হয় বাসস্থানে।
  • প্রতিদিন মা লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে তা মঙ্গল। এর সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য দিলে প্রসন্ন হন দেবী।
  • ধারাবাহিকভাবে ১২ দিন ধরে সম্পূর্ণ ভক্তিভরে লক্ষ্মী দ্বাদশ স্তোত্র ১২ বার উচ্চারণ করলে ঋণমুক্তি ঘটে।

লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। এই গল্পগুলি পাঁচালির আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালি বলে। লক্ষ্মীর ব্রতকথাগুলির মধ্যে “বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা” সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও “বারোমাসের পাঁচালি”-তেও লক্ষ্মীকে নিয়ে অনেক লৌকিক গল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়।

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর আবাহন 

এস মা লক্ষ্মী, কমল বরণী, কমলালতিকা দেবী কমলিনী-

কমল আসনে, বিরাজ কমলা, কমলময়ী ফসলবাসিনী।।

কমল বসন, কমল ভূষণ, কমনীয় কান্তি অতি বিমোহন।

কোমল করে, শোভিছে কমল, ধাল সিঁদুরে শোভে দেখি শিরে।

কোমল কন্ঠে কমল হারে, কোমল বদন দেখি যে সুন্দরে।।

কমল চরণে কমল নূপুর, কমল অলক্ত মরি কি সুন্দর।

দীন মধুসূদনের সন্তাপ হর তুমি নারায়ণী শান্তিপ্রদায়িনী।।

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর বরণ 

তুমি মাগো লক্ষ্মীদেবী কমল বরণী।

কমললতিকা কৃপা কর নারায়ণী।।

সাজায়ে রেখেছি মাগো ধান্য-গুয়া-পান।

আসিয়া মাগো কর ঘটেতে অধিষ্ঠান।।

ঘরেতে ধূপ ধূনা আর ঘৃতবাতি।

হৃদয় কমলে ওমা করহ বসতি।।

পদ্মাসনে পদ্মদল রাখি থরে থরে।

শঙ্খ বাদ্যে বরণ করি তোমা ছরে।।

সবে করি লক্ষ্মীপূজা অতি সযতনে।

আশিস করহ মাতঃ আমা সব জনে।।

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর আবাহন 

এস মা লক্ষ্মী, কমল বরণী, কমলালতিকা দেবী কমলিনী-

কমল আসনে, বিরাজ কমলা, কমলময়ী ফসলবাসিনী।।

কমল বসন, কমল ভূষণ, কমনীয় কান্তি অতি বিমোহন।

কোমল করে, শোভিছে কমল, ধান্যরূপা, মাতঃ জগৎপালিনী।।

কমল কিরিটি মণি মনোহরে, কমল সিঁদুরে শোভে দেখি শিরে।

কোমল কন্ঠে কমল হারে, কোমল বদন দেখি যে সুন্দরে।।

কমল চরণে কমল নূপুর, কমল অলক্ত মরি কি সুন্দর।

দীন মধুসূদনের সন্তাপ হর তুমি নারায়ণী শান্তিপ্রদায়িনী।।

শ্রী শ্রী লক্ষীদেবীর বরণ 

তুমি মাগো লক্ষ্মীদেবী কমল বরণী।

কমললতিকা কৃপা কর নারায়ণী।।

সাজায়ে রেখেছি মাগো ধান্য-গুয়া-পান।

আসিয়া মাগো কর ঘটেতে অধিষ্ঠান।।

ঘরেতে ধূপ ধূনা আর ঘৃতবাতি।

হৃদয় কমলে ওমা করহ বসতি।।

পদ্মাসনে পদ্মদল রাখি থরে থরে।

শঙ্খ বাদ্যে বরণ করি তোমা ছরে।।

সবে করি লক্ষ্মীপূজা অতি সযতনে।

আশিস করহ মাতঃ আমা সব জনে।।

The post লক্ষী পূজার নিয়ম, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ব্রতকথা appeared first on Chalo Kolkata.

10 Best Friendship Status in Bengali –সেরা দশটি বন্ধুত্বের স্টেটাস

$
0
0

বন্ধুত্ব আমাদের জীবনে এমন একটা জিনিস যেটা ছাড়া আমাদের জীবন একেবারেই সাদা কালো, এক থাকার মজা অবশ্যই আছে তা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু কোনো ঘটনা, কোনো পরিস্থিতি বা কোনো গল্প যা আপনাকে আপনি হয়ে উঠতে সাহায্য করে সেগুলো বন্ধু ছাড়া একেবারেই সম্ভব না, স্কুলের টিফিন আর কলেজের সিগারেট ভাগ করে নেয়ার মত বন্ধু না থাকলে জীবনের “ষোলয়ানাই ফাঁকি”। জীবনে নাম-যশ, সুখ-ঐশ্বর্য, ইত্যাদি অনেক না থাকলেও যদি সঠিক বন্ধু থাকে তবে তার জীবনের মোর গুলোই হয় আলাদা যার স্মৃতি সুখ ভাগ করে নেয়া যায় অন্য মানুষটির সাথে যে আপনার সাথে সেই জায়গায় সেই পরিস্থিতিতে ছিল ও আপনার সাথে সেই সময়ের নুভূতি টুকুও ভাগ করে নিয়েছে friendship day sms bangla

বন্ধু মানে কী? এক একজন একরকম ব্যাখ্যা করেন। সাহিত্যিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই বন্ধুত্বের কোনও না কোনও সংজ্ঞা খাড়া করতে চান। এই সব সংজ্ঞাকে একত্রিত করে যদি একটা তাল বানিয়ে ফেলা যায় এবং সেই তালটিকে যদি ভেঙে ফেলা যায়, তাহলে ভিতরে যে ‘কোর’ জিনিসটি পড়ে থাকে সেটাই বন্ধুত্ব। তাই বন্ধুত্ব মানে একে অপরের মনকে ছুঁয়ে থাকা কোনও সম্পর্ক। যার তারগুলো জুড়ে থাকে আত্মার বন্ধনের সঙ্গে।

10 Best Friendship Status in Bengali – সেরা দশটি বন্ধুত্বের স্টেটাস

বন্ধুত্ব নিয়ে বহু গান, গল্প, কবিতা, সিনেমা ইত্যাদি সব আছে, তাদের মধ্যে কিছু কিছু আছে যারা মদের রোজকার জীবন বা একটি অসাধারন দিন যেকোনো সময়ে আমাদের আমাদের বন্ধুদের সাথে যে সম্পর্ক তাকে খুব সুন্দর করে তুলে  ধরে। সেই গান গুলো বহু পুরোনো হলেও আমাদের কাছে একেবারে আনকোরা হয়ে আছে আর একদম প্রথম দিনটির মতই অনুভূতি দেয় আমাদের, তেমনই কিছু চিরসবুজ গানএর লাইন এখানে দেওয়া হল যা আপনারা শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধুদের সাথে bangla friendship sms kobita।

1. বন্ধুত্ব-কে সেলিব্রেশন করুন

জীবনে অনেককিছুই থাকবে। কাজের সাফল্য, অর্থ-সবকিছু। কিন্তু তারমাঝেই খুঁজে বের করুন বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে।

2. বন্ধুরা হাসতে শেখায়

আত্মাটা হয়তো আলাদা কিন্তু, দুই আত্মার তারগুলো জুড়ে গিয়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা অত্যন্ত সুমধুর। তাই বন্ধুত্ব এতটা সুন্দর। তাই বন্ধু মানে উচ্ছ্বাস, বন্ধু মানে হাসি।

3. একে অপরকে বন্ধুত্বের চোখে দেখুন

বন্ধু সম্পর্কে কোনও খারাপ ধারনা রাখবে না। কিছু সমস্যা থাকলে মিটিয়ে নিন। আর বলে ফেলুন ‘তুমি আমার সেরা বন্ধু’।

4. সত্যিকারের বন্ধু কারা

কিছু প্যারামিটারের ভিত্তিতে এটাকে মাপা গেলেও যে তা ঠিক হবে- এমন গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। তবে, সত্যিকারের বন্ধু বলে তো একটা কিছু আছে- আসলে সত্যিকারের বন্ধু তারাই যে আপনার সঙ্গে কোনও বিনিময় প্রথা ছাড়াই নিঃস্বার্থভাবে জুড়ে থাকে।

5. বন্ধুত্বের হয় না কোনও পদবি

এই বিশ্বাস রাখুন, দেখবেন জীবনটা হঠাতই খুব সুন্দর হয়ে গিয়েছে। ফোন করে ফেলুন জীবনের সেরা বন্ধুটাকে। যদি সে পাশে থাকে তাহলে তাকে বুকে জড়িয়ে নিন। বেরিয়ে পড়ুন কোথাও। নিখাদ আড্ডা। এটাই তো বন্ধুত্ব।

6. জীবন নামক ভেলায় চড়ে বন্ধুত্বকে বহন করা

কখনও ভেবে দেখেছেন এমন এক কথা- কারণ জীবন মানে একটা সফর-যার সঙ্গে তুলনা চলতে পারে ভেলায় করে অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া- যেখানে ভিড় করে থাকে একগুচ্ছ জীবন- কিন্তু তার মধ্যে কোথাও না কোথাও সঙ্গে থেকে যায় বন্ধুত্ব।

7. ছোট্টবেলায় করে ফেলা প্রোপোজ

বন্ধুত্বের আড়ালে ছোট্টবেলায় করে ফেলা প্রোপোজ বয়স বাড়ে, মনের জমে ওঠে নানা খেয়ালের ভিড়, তারমধ্যে ফিরে আসে এমনই সব স্মৃতি, সত্যি তো বন্ধু মানে তো জীবন, আর সেটা যদি ছোটবেলায় কাউকে বলে দেওয়া যায় সেটাও একটা অনুভূতি, জীবনের চলার পথে সেই ছোটবেলার কথাটা কারোর ক্ষেত্রে সফল হয়, কারোর হয় না, কিন্তু তা বলে তো বন্ধুত্ব হারিয়ে যায় না।

8. ছেলেবেলার বন্ধুরা

“ ছেলেবেলার বন্ধুরা মেয়েদের ভালোবাসার মতই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ভাবতে অবাক লাগে একেক সময়। মনে হয় যে, বুঝি একরকম ভালোই। তাদের নির্মেদ দেহ আর নির্মেঘ মন নিয়ে কৈশোরের নিবিড় মাধুর্যে মিশিয়ে নিটোল মুক্তোর মতই চিরদিনের স্মৃতির মধ্যে অক্ষয় থেকে যায় তারা – পরে যে কখনও আর ফিরে দেখা দেয় না তাতে জীবনের মতই সুমধুর থাকে, পলে পলে দন্ডে দন্ডে অবক্ষয়ে টাল খায় না, ক্ষয় পায় না। ”

9. আড্ডা – চন্দ্রবিন্দু 

“টালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে বন্ধুরা জড়ো হয়ে আছে আজ সারারাত ধরে হবে আড্ডা রাত জাগা সেই আড্ডা শহরের আনাচে কানাচে যে যেখানে জেক ছুঁয়ে আছে আজ সারারাত ধরে হবে আড্ডা রাট জাগা সেই আড্ডা।”

10.  বব ডিলানের গান – অঞ্জন দত্ত

“চাইনা তোমাকে আমি বেঁধে রাখতে চাইনা তোমার মনের ছবি আঁকতে চাইনা তোমাকে খুলতে কিংবা ঢাকতে তোমার পিছু ডাকতে বারবার চাই যে তুমি নিজের পথেই চল নিজের মতটা নিজেই খুলে বল বয়েস তোমার যতই হোক না সত্তর কী ষোল একটা বন্ধু হতে কি পারবে তুমি আমার শুধু বন্ধু হতে পারবে কি তুমি আমার শুধু বন্ধু হবে কি বল তুমি আমার” .

শেষ কথা

আমাদের জীবনে বন্ধুদের গুরত্ব বেশ, বন্ধু ছাড়া আমাদের মত অমানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।  বেঁচে থাকা, বড় হওয়া, বুড়ো হওয়া এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়াতেও সঙ্গে থাকে। জীবনের প্ৰথ ফেল করা হোক বা জীবনের প্রথম প্রেম সবটাই আমরা করি কোনো এক বন্ধুর ঠেলা খেয়ে, একজন কেউ পেছন থেকে আমাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা দেয় না বরং এক সাথে এগিয়ে যায় আমাদের সাথে একসাথে। জীবনে আমাদের সমস্ত সাফল্যের স্বাদস করে তোলে আরো মিষ্টি ও ব্যর্থতার কষ্ট ভুলিয়ে করে তোলে আরও শক্ত করে তোলে নিজের পথে লক্ষ্যে স্থির থেকে এগিয়ে চলার জন্য। আমাদের জীবনে সেই সমস্ত বন্ধুদের জন্য এই লেখা টি friendship quotes in bangla language।

The post 10 Best Friendship Status in Bengali – সেরা দশটি বন্ধুত্বের স্টেটাস appeared first on Chalo Kolkata.

আমাদের শরীরে ৬ ধরনের চর্বি থেকে মুক্তির সহজ উপায় দেখুন

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমরা জানবো যে –  শরীরের চর্বির ৬ টি প্রকার এবং তা থেকে মুক্তি পাবার সহজ উপায়। আমাদের শরীরের মধ্যে অনেক রকম চর্বি আছে যা আমরা অনেক কষ্ট করেও কমাতে পারি না। তাই আজকে আমি আপনাদের এমন ৬ রকমের জিনিস বলবো যার সাহায্যে আপনি আপনার যে কোনো চর্বি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আমরা জন্য যে –  হাতের মেদ কমানোর উপায়, কোমরের মেদ কমানোর উপায়, বগলের মেদ কমানোর উপায়, বুকের মেদ কমানোর উপায়, ব্যায়াম ছাড়া মেদ কমানোর ১০ উপায়, কি খেলে পেটের মেদ কমে, মেদ কমানোর খাদ্য তালিকা, মেদ কমাতে চাই ইত্যাদি ইত্যাদি। 

চর্বির মোকাবেলা করার অনেক উপায় আছে কিন্তু সমস্যা হল নির্দিষ্ট পদ্ধতি সকলের জন্য কাজ করে না। এটি চিকিৎসা করার আগে আমাদের চর্বির মূল কারণ বুঝতে হবে। যদিও বিশেষজ্ঞরা ডায়েটে কিছু পরিবর্তন প্রস্তাব করেছে যেমন টোষ্ট ও আলু নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চর্বির নিয়ন্ত্রণ করা, বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি ব্যায়াম রয়েছে। চর্বি ক্ষয়ের চাবিকাঠি যে অংশ যেখানে বাড়তি মেদ শরীরে উপস্থিতির উপর নিবদ্ধ ব্যবস্থার

সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অংশ । বিভিন্ন মানুষের মধ্যে চর্বির টাইপ সনাক্ত করার জন্য একটি ব্যাপক গবেষণা অনুষ্ঠিত হয়। এই গবেষণার ভিত্তিতে, বিশেষজ্ঞদের মতে ৬ টি শরীরের চর্বি আছে এবং এটি ঠিক করার উপায়গুলি বলেছে। ইয়র্কশায়ার স্বাস্থ্য অধ্যয়ন ৪,000 মোটা ব্যক্তিদের ৬ টি ভিন্ন গ্রুপে শ্রেণীবদ্ধ করেছে।

1. তরুণ সুস্থ নারী – টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।

2. ভারি মদ্যপানকারী পুরুষ – যে পুরুষেরা বেশি পরিমাণে মদ্যপান করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস চর্বির রোগে ভুগছেন ।

3. নিন্দিত এবং উদ্বিগ্ন মধ্যবয়সী – মূলত যে সমস্ত মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস নেই।

4. ধনী এবং সুস্থ বয়স্ক – সাধারণত যারা স্বাস্থ্যকর কিন্তু মাদকাসক্তি এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সম্মুখীন ।

5. শারীরিকভাবে অসুস্থ কিন্তু প্রফুল্ল বুড়ো-বৃদ্ধ মানুষ যারা মানসিক অবস্থার সাথে থাকে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধি যেমন হাড়ের গাঁটে ব্যাথায় আক্রান্ত ।

6. দরিদ্রতম স্বাস্থ্য – অনেকগুলি দীর্ঘস্থায়ী রোগ ভুগছেন এমন ব্যক্তি। প্রধানত শরীরের চর্বি ডিস্ট্রিবিউশনের ২ টি ফর্ম,আছে।, অ্যান্ড্রয়েড এবং জ্যনইড।, অ্যান্ড্রয়েড ফ্যাট বিতরণঃ ইতিবাচক দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছে: “এন্ড্রয়েড” ফ্যাট ডিস্ট্রিবিউশন প্যাটার্ন বলা হয় কারণ মহিলাদের তুলনায় এটি পুরুষদের বেশি হয়। আপনি ‘আপেল’ শরীরের ধরনের কথা শুনেছেন, যখনকোমরের পরিধি হিপগুলির চেয়ে বড় হয় । জ্যনইড ফ্যাট বিতরণঃ পসিটিভমেদ দ্বারা বর্ণিত হিসাবে: “জ্যনইড” ফ্যাট বিতরণসবচেয়ে বেশি দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে।

অনেকে এটি অনেক ‘পিয়ার’ শরীরের আকৃতি বলে বর্ণনা করে। এই প্যাটার্নে,হিপের পরিধি কোমরের পরিধি তুলনায় বড়।” ৬ টি শরীরের চর্বি এবং এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সহজ উপায় পরীক্ষা করুন।

১। উচ্চতর শারীরিক চর্বির (অ্যান্ড্রয়েড)

যদি কেউ ব্যায়াম না করে এবং খুব বেশি খায়, তবে উপরের অংশে চর্বির হতে পারে। দৈনিক অর্ধ ঘন্টার জন্য ব্যায়াম এবং চিনির পরিমাণ হ্রাস করতে হবে। এখনও যদি আপনি প্রত্যাশিত ফলাফল না পান, তাহলে আপনি একটি স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞের সাহায্য চাইতে পারেন।

২। পেট-কেন্দ্রিক চর্বির (অ্যান্ড্রয়েড)

পেটের উপর বাড়তি মেদ, চাপা উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা বা বিষণ্নতার কারণে সঞ্চিত হয়। আপনি এই চর্বি থেক পরিত্রাণ পেতে নিয়মিত ব্যায়াম এবং রিলাক্সেশন কৌশলের উপায় করতে পারেন । সেরা ফলাফলের জন্য, আপনি ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন।

৩। নিম্ন শরীরের চর্বির (জ্যনইড)

বেশীরভাগ মহিলারাই এই ধরনের শরীরের চর্বিতে আক্রান্ত হয়। নিম্নতর শরীরের ব্যায়াম কার্ডিওভাসকুলার ওয়ার্কআউট এই চর্বির বিরুধে লড়াইের একমাত্র সমাধান। এই অংশ থেকে চর্বি হ্রাস করা কঠিন কিন্তু আসা ত্যাগ না করা উচিৎ। একটি দ্রুতগামী সময় ফলাফল পেতে একটি প্রত্যয়িত প্রশিক্ষক থেকে নির্দেশিকা নিন।

৪। চর্বির পেট (অ্যান্ড্রয়েড)

ফোলা পেট উচ্চ পরিমাণে মদ গ্রহণ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যাগুলির কারণেও হতে পারে। শুধু অ্যালকোহলের খরচ কমাতে হবে এবং দৈনন্দিন ব্যায়াম করবেন।

৫। নিম্নতর শারীরিক চর্বির পায়ের মাংসপেশী সহ (জ্যনইড)

এই ধরনের চর্বির যেখানে পুরো পা ফুলে যায় তা গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে প্রধানত হয়। জল এরোবিক্স একমাত্র উপায় যা নিম্ন পা থেকে চর্বি অপসারণ করতে পারে। ৬। বড়,বিপরীতমুখী পেট ফ্যাট (অ্যান্ড্রয়েড)ঃ এই ধরনের চর্বির প্রথম ধরনের অনুরূপ।

এটি নিষ্ক্রিয়তার কারণে সৃষ্ট হয় এবং একমাত্র সমাধান প্রতিদিন কাজ করতে হবে। আপনার খাদ্যতে চিনির পরিমাণ হ্রাস করুন। শুধুমাত্র মেদ কমাতে হলে শরীরের কোন অংশে বাড়তি মেদ রয়েছে তা জানতে হয়। এখনও যদি আপনার ওজন কমানোর কর্মসূচী কোনো ফলাফল দান না করে, তাহলে কিছু হরমোন বা বংশগত সমস্যা হতে পারে। আপনি এমন পরিস্থিতিতে এক স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে এই স্বাস্থ্য তথ্য শেয়ার করুন।

The post আমাদের শরীরে ৬ ধরনের চর্বি থেকে মুক্তির সহজ উপায় দেখুন appeared first on Chalo Kolkata.

জন ধন যোজনা – Pradhan Mantri Jon Dhan Yojana West Bengal

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমরা কিন্তু অনেকেই অনেক ধরণের লেখা লিখে থাকি, কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমরা লিখতে ভালোবাসি আপনাদের মনোরঞ্জন ছাড়াও  আর যেটা সব থেকে বেশি ভালোবাশি  বা লাভজনক হবে এমন কিছু লিখতে। আজ তেমনি একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করবো ও সকলকে জানাবো যে জন ধন যোজনা বা Pradhan Mantri Awas Yojana West Bengal ব্যাপারটা কি। স্বাধীনতার ৬৭ বছর পরও ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশের কাছে ব্যাঙ্কের পরিষেবার সুযোগ অধরা ছিল । তার মানে, সঞ্চয়ের কোনো পথ তাদের কাছে খোলা ছিল না । এমনকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঋণ পাওয়ারও কোনো সুযোগ তাদের সামনে নেই। আর এই বাস্তব ও প্রাথমিক সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত ২৮ শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার সূচনা করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর জীবনের মান ও তাদের ভবিষ্যতে একটা বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই কয়েক মাসেই পনেরো কোটি ব্যাঙ্কের খাতা খোলা হয়েছে, সাড়ে তেরো কোটি ‘রুপে’ কার্ড দেওয়া হয়েছে। টাকার অঙ্কে জমা পড়েছে ১৫,৭৯৮ কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক মিত্র (ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি) নিযুক্ত করা হয়েছে ১,২৫,৬৯৭ জন, যা একটা রেকর্ড। এর মধ্যে এক সপ্তাহে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৬ হাজার ১৩০ টি ব্যাঙ্কের খাতা খোলা হয়েছে, যা গিনেস বিশ্ব রেকর্ড। Pradhan Mantri Awas Yojana West Bengal

এই সমস্ত কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রবল আগ্রহে ও জনগণের হৃদয় ও সরকারী ব্যবস্থায় তাঁর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতার জন্য | এই বিপুল উদ্যোগকে একটা মিশনের আকারে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় তা সফলতা লাভ করে |ব্যাঙ্কে খাতা খোলার ফলে লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী যেমন ব্যাঙ্কের পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ পেলেন তেমনি দুর্নীতি দমনেও তা বড় ভূমিকা নিয়েছে | বর্তমানে সমস্তরকম ভর্তুকির অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। ফলে ওই অর্থের কোনরকম অপব্যবহার ও কারচুপি হওয়ার সুযোগ দূরীভূত হয়েছে | পহল যোজনায় এল পি জি’র ভর্তুকি এখন সরাসরি গ্রাহকের ব্যাঙ্কের খাতায় চলে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি নগদ ভর্তুকি পাবেন। এর ফলে ৪,০০০ কোটি টাকার ভর্তুকির অর্থ সঞ্চয় হবে।ন্যূনতম ও সাধারণ ব্যাঙ্কের সুযোগ সুবিধা যখন মানুষের নাগালে চলে এল, তখন এনডিএ সরকার জনগণের জন্য বীমা ও পেনশনের সুযোগ করে দিতে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেয় । প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা বছরে মাত্র বারো টাকার কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বীমার সুযোগ এনে দিয়েছে ।

কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে আর্থিক ব্য‌বস্থার মধ্য‌ে নিয়ে আসার চেষ্টা ধরেই শুরু হয়েছে। কিন্তু তেমন ভাবে সমাজের প্রত্য‌ন্ত স্তরে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। ২০০৫ সালে রিজার্ভ ব্য‌াঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রথম এ ধরনের মানুষজনকে ব্য‌াঙ্ক অ্য‌াকাউন্ট খোলার ব্য‌াপারে আকৃষ্ট করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কেওয়াইসি সংক্রান্ত নিয়ম খানিকটা শিথিল করে ‘জিরো ব্য‌ালান্স’ ব্য‌াঙ্ক অ্য‌াকাউন্টের সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এই আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত করে প্রতিটি বাড়িতে ব্য‌াঙ্ক অ্য‌াকাউন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লক্ষ্য‌মাত্রা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ আগস্ট লালকেল্লার ভাষণে পিছিয়ে পড়া ব্য‌ক্তিদের আর্থিক ব্য‌বস্থার মধ্য‌ে আনার জাতীয় মিশন—‘প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার’ কথা ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের ৬টি মূল স্তম্ভ রয়েছে। প্রথম বছর চারটি স্তম্ভ রূপায়িত হবে।

1. এর মধ্য‌ে আছে—প্রত্য‌েকের জন্য‌ ব্য‌াঙ্কিং পরিষেবা উন্মুক্ত করা।

2. আর্থিক সাক্ষরতার কর্মসূচি গ্রহণ

3. ওভারড্রাফটের সুবিধা এবং ‘রূপে’ ডেবিট কার্ডের সুবিধা সহ ব্য‌াঙ্ক অ্য‌াকাউন্ট খোলার সুযোগ।

4. প্রাথমিক স্তরের ক্রেডিট গ্য‌ারান্টি তহবিল গঠন।

শুরু হলো ‘প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা’

দেশের প্রতিটি পরিবারকে ব্যাংকিং পরিষেবার আওতায় আনতে নরেন্দ্র মোদী ২৮শে আগস্ট নতুন দিল্লিতে শুরু করেন উচ্চাকাঙ্খামূলক ‘প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা’৷ প্রথম দিনেই এক কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়৷

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম স্বাধীনতা দিবসের  ভাষণে‘প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ উদ্দেশ্য, প্রতিটি পরিবারকে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা৷ দূর দুরান্তের দুর্গম এলাকার মানুষকেও ব্যাংক পরিষেবার আওতায় আনা৷

এই উচ্চাকাঙ্খামূলক ‘প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা’ প্রকল্প যাতে সফল হয়, তার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, মোবাইল ফোন পরিষেবা সংস্থাগুলিকেআগেই এই কাজে নামিয়ে কেওয়াইসি, অর্থাৎ ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহের প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়৷ বৃহস্পতিবার ২৮শে আগস্ট নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন৷

প্রথম দিনেই এক কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়৷ এ জন্য খোলা হয় ৬০ হাজার ব্যাংক শিবির৷ প্রকল্পে যাতে অগ্রগতি হয়, তার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক প্রকরণগত পরিচয়পত্র দাখিলের শর্তাদি শিথিল করে৷ যাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নথিপত্র নেই, তাঁরাও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন৷ তারপর ছয় মাসের মধ্যে নথিপত্র জমা দিলেই চলবে৷ পরিচয় সংক্রান্ত নথিপত্রের মধ্যে আছে, বায়োমেট্রিক আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ১০০ দিনের জব-কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাশপোর্ট ইত্যাদি৷ যাঁদের নথিপত্র নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে নিজের ছবি ও আবেদনপত্র ব্যাংক অফিসারের সামনে সই করে দিলেই হবে৷ যাঁরা রুজি রোজগারের জন্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজে যান এবং নথিতে থাকা ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা আলাদা হলে নিজের সই করা হলফনামা দাখিল করলেই হবে৷

অন্যান্য যেসব সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে আছে, অ্যাকাউন্ট ‘জিরো-ব্যালান্স’ হলেও ক্ষতি নেই৷ গ্রামীণ উপভোক্তাদের দেয়া হবে বিনামূল্যে ডেবিট কার্ড, যার মধ্যে থাকবে এক লাখ টাকার দুর্ঘটনা বিমা৷ সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে তা জানা যাবে মোবাইল ফোনে৷ তার জন্য ইন্টারনেটের দরকার হবে না৷ উল্লেখ্য, ভারতে যত মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, তারচেয়ে অনেকগুণ বেশি লোকের আছে মোবাইল ফোন৷ সবথেকে বড় সুফল হবে ভারতের ১২৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই গরিব৷ তাঁদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ চাষি ও মজুর৷ তাঁরা বিপদকালে টাকা ধার করতে ছুটে যান মহাজনদের কাছে৷ সেই সুযোগে মহাজনরা ঋণ দেয় ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি সুদে৷ পরে যখন তাঁরা ঋণ শোধ করতে পারেন না, তখন মহাজনদের কাছে সর্বস্ব বন্ধক রাখতে হয়৷ নাহলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয় তাঁদের৷ প্রায় ১০ কোটি পরিবার টাকা রাখে চিটফান্ডে অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায়৷ পরে তাঁদের হা হুতাশ করতে হয়৷ তবে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো, গরিবি রেখার নীচে বসবাসকারীদের নিয়ে, যাঁদের ‘নুন আনতে পান্তা’ ফুরায় অবস্থা৷ সঞ্চয় এঁদের কাছে বিলাস মাত্র৷ ব্যাংকও এঁদের মাইক্রো-ঋণ দিতে চাইবে না৷ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না পড়ে হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট হয়ে থাকবে নিষ্ক্রিয়৷ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এঁদের সামিল করা কতটা সম্ভব হবে, তাই নিয়ে সংশয় আছে সমাজ বিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিক মহলে৷ তার জন্য দরকার গরিব ও নিরক্ষরদের এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল করে তোলা৷

প্রস্তুতি

এই যোজনার অঙ্গ হিসাবে ব্য‌াঙ্কগুলি কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শিবির শুরু করেছে। এর মাধ্য‌মে ব্য‌াঙ্ক অ্য‌াকাউন্ট নেই এমন বাড়িতে অ্য‌াকাউন্ট খোলার কাজ ও ডেবিট কার্ড বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল শ্রেণির মধ্য‌ে আর্থিক সাক্ষরতা প্রসারের কাজও শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার প্রয়োজন মেটাতে ৫০ হাজার ব্য‌বসা সহায়ক নিয়োজিত হবেন। এঁরা ব্য‌াঙ্কিং পরিষেবার আওতাভুক্ত হননি এমন ৭কোটি বাড়িতে পৌঁছবেন। নতুন গ্রহকদের জন্য‌ সহজ পদ্ধতিতে অ্য‌াকাউন্ট খোলা হবে এবং প্রত্য‌েক গ্রাহকই ‘রূপে’ ডেবিট কার্ড পাবেন। গ্রাহকরা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বিমার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি তাঁরা ওভারড্রাফট নেওয়ার সুযোগও গ্রহণ করতে পারবেন।

শেষ কথা 

কী করতে হবে
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য‌াঙ্ক এবং গ্রামীণ ব্য‌াঙ্ক মিলিয়ে এখনও ৫ কোটি ৯২ লক্ষ গ্রামীণ বাড়ি ব্য‌াঙ্কের আওতার বাইরে রয়েছে। মোটামুটি হিসাব অনুযায়ী ৬ কোটি গ্রামীণ বাড়িতে পৌঁছনো প্রয়োজন।
  • প্রতি পরিবার পিছু দু’টি অ্য‌াকাউন্ট খুলতে হবে, একটি স্বামীর অন্য‌টি স্ত্রীর— এই হিসাব ধরলে গ্রামে এখনও ১২ কোটি অ্য‌াকাউন্ট খোলা বাকি।
  • শহরাঞ্চলেও কিছু বাড়িতে এখনও ব্য‌াঙ্ক পরিষেবা পৌঁছয়নি। জনগণনা অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে ২ কোটি ৫৫ লক্ষ বাড়ি ব্য‌াঙ্কের আওতার বাইরে আছে। মোটামুটি হিসাব অনুযায়ী শহরাঞ্চলে প্রায় ৩ কোটি অ্য‌াকাউন্ট খোলার কাজ বাকি আছে।
  • যে সব বাড়িতে ব্য‌াঙ্ক পৌঁছেছে সেখানেও বহুস্থানে কেবলমাত্র একটি করে অ্য‌াকাউন্ট হয়েছে। কিন্তু সেই সব জায়গাতেও একটি স্বামীর ও একটি স্ত্রীর ধরে বাড়ি পিছু দু’টি করে অ্য‌াকাউন্ট করা দরকার।
বর্তমান পরিকল্পনা

আগের আর্থিক বৃদ্ধির পরিসর বাড়ানোর পরিকল্পনার সঙ্গে এ বারের পরিকল্পনার তিনটি বড় ফারাক রয়েছে।

  • ক) আগের পরিকল্পনায় অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামকে ইউনিট ধরা হয়েছিল। এ বার প্রতিটি বাড়িকে ইউনিট ধরা হয়েছে।
  • খ) আগে কেবলমাত্র গ্রামীণ এলাকায় জোর দেওয়া হয়েছিল। এ বার শহর ও গ্রাম- দু’টির উপরই জোর দেওয়া হয়েছে।
  • গ) বর্তমান পরিকল্পনা ‘মিশন’ হিসাবে গণ্য‌ করে রূপায়ণ করার কাজ চলছে। এই মিশনে সর্বত্র পৌঁছনোর অঙ্গীকার করা হয়েছে। ছ’টি স্তম্ভের মাধ্য‌মে দু’টি পর্যায়ে মিশন পরিপূর্ণ করা হবে।

The post জন ধন যোজনা – Pradhan Mantri Jon Dhan Yojana West Bengal appeared first on Chalo Kolkata.

খুসখুসে কাশির সমস্যা, খেয়ে দেখুন আদা-মধুর চা – Cold and Cough Home Remedies

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমাদের সর্দি কাশি সবার কম বেশি হয়েই থাকে সেটা নিয়াই কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমাদের এই সর্দি কাশি ১২ মাস লেগে থাকলেও শীতকালে এর প্রভাব বেশি। আজ আমরা জানবো যে কিভাবে আমাদের ঘরোয়া বেশ কিছু মজার উপায়ে খুসখুসে কাশির সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। আজ আমরা জন্য যে – খুসখুসে কাশি হবার কারণ, কাশি ভালো না হওয়ার কারণ, , কাশির ট্যাবলেট, শুষ্ক কাশির ঔষধ, শুকনো কাশির ঔষধ, কাশির জন্য এন্টিবায়োটিক, শুকনো কাশির সিরাপের নাম, ইত্যাদি ইত্যাদি। 

কাশি কী কী কীরণে হয় ? 

ঠান্ডা লাগা ছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাশির অজস্র কারণ আছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ চারটি-

1. ইনফ্লামেটরি বা প্রদাহজনিত কাশি। মূলত শ্বাসনালী বা ফুসফুসে রক্ত চলাচল বেড়ে গিয়ে এই কাশির সৃষ্টি। ল্যারেনজাইটিস অথবা ফ্যারেনজাইটিস জাতীয় রোগ এই ধরনের কাশির জন্য দায়ী।

2. মেকানিক্যাল অর্থাৎ বাইরে বা ভিতর থেকে তৈরি হওয়া কোনও চাপের ফলে সৃষ্ট কাশি। ধরা যাক, শ্বাসনালীর ভিতরে কোনও টিউমার হয়েছে। তার চাপে কাশি হতে পারে। হৃদরোগের জন্য কাশিও একই পর্যায়ের।

3. কেমিক্যাল অর্থাৎ সিগারেট, বিড়ি বা কোনও তামাক জাতীয় বস্তু গ্রহণ করার জন্য কাশি। যে কোনও গ্যাস যেমন, গাড়ির পোড়া কার্বন কিংবা ক্লোরিনের ঝাঁজালো গ্যাস অথবা কোনও কিছু পোড়া বস্তু থেকে বের হওয়া ধোঁয়ার কারণে হওয়া কাশি এর উদাহরণ।

4. থার্মাল – আবহাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডা বা গরমের মধ্যে যাতায়াতের ফলে সৃষ্ট কাশি এর উদাহরণ। ঋতু পরিবর্তনের সময় এখন যে কাশি চারিদিকে মানুষের হচ্ছে তা এই ধরনের কাশির মধ্যে পড়ে।

খুসখুসে কাশির সমস্যা– শীতে সর্দি-কাশি সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কাশি থামতেই চায় না। এ সময় আদা ও মধুর চা খুবই উপকারী। আদা কুচি করে গরম জল বা গরম চায়ে দিয়ে পান করুন। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা একেবারেই দূর হবে।

খুসখুসে কাশি, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য আদা চায়ের জুড়ি নেই। আদা চা বুকে জমে থাকা কফ দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা জ্বরে খেতে পারেন আদা চা। ঠাণ্ডা সারাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে আদা চা।

এ ছাড়া চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালিজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদও দূর হয়।

আসুন জেনে নিই কীভাবে তৈরি করবেন আদা চা –

উপকরণ

২ কাপের বেশি জল । ২ ইঞ্চি খোসাসহ আদা। চা পাতা আধা চা-চামচ। স্বাদমতো মধু বা চিনি (ইচ্ছে হলে নাও দিতে পারেন)।

পদ্ধতি

জল ভালোমতো ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত জল আদা থেতলিয়ে দিয়ে দিন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর চা পাতা ও চিনি দিন। ভালোমতো ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে লেবুর রস দিন।

চরিত্রগত ভাবে অবশ্য কাশি দু’রকমের –

1. ড্রাই বা শুকনো কাশি

2. প্রোডাকটিভ বা কফ উৎপাদক কাশি।

শুকনো কাশি হয় টিবির প্রথম অবস্থায়। এ ছাড়া ল্যারেনজাইটিস, ফ্যারেনজাইটিস বা ট্রাকিয়াটাইটিস হলে এই ধরনের কাশি হয়। আলজিহ্বা বড় হলেও এই কাশি হয়। অত্যন্ত বিরক্তিকর এই কাশির চরিত্র। সর্বক্ষণ কাশতে থাকেন রোগী। রাতের দিকে কাশির তীব্রতা বাড়ে। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে গলার রোগে নিয়মিত ভোগেন এমন মানুষদের এই ধরনের কাশি হয়।

অন্য দিকে, কফ উৎপাদক কাশির ক্ষেত্রে কফের পরিমাণ, রঙ, গন্ধ এবং সময় বিচার করে কাশির কারণ চিহ্নিত করেন চিকিৎসকেরা।
– কাশির সঙ্গে পুঁজের মতো কফ হলে বুঝতে হবে রোগীর ফুসফুসে ফোঁড়া হয়েছে।
– যদি কফের রঙ হলদেটে হয় বুঝতে হবে সংক্রমণজনিত কাশি।
– কালচে বা ধূসর রঙের হলে বুঝতে হবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বাতাসের ধুলোময়লা ঢুকে সংক্রমণ হয়ে কাশি হচ্ছে।
– লালচে-কালো রঙের কফ হলে বুঝতে হবে নিউমোনিয়ার জন্য কাশি হচ্ছে।
– কফের রঙ যদি গোলাপি হয় তা হলে কাশির কারণ ফুসফুসে পানি জমা।
– শরীরের অবস্থানগত কারণে কাশির হ্রাস-বৃদ্ধি হলে; যেমন ডান দিকে পাশ ফিরে শুলে যদি বেশি কাশি হয়, তখন বুঝতে হবে ফুসফুসে সমস্যা অথবা ব্রঙ্কাইটিস থেকে কাশি হচ্ছে।

কী করবেন ?

1. এসময় তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জামাকাপড় পড়তে হবে।

2. যাদের অ্যালার্জির ধাত তাদের ধুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

3. যারা সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ করেন তাদের তা বন্ধ করতে হবে।

4. রোদে বা গরমে শরীর ঘেমে গেলেও এখনই এসি ব্যবহার করা যাবে না। ভেজা পোশাক খুলে গা মুছে পোশাক বদলে নিন।

5. রাতে মাথার দিকে জানলা খুলে ঘুমাবেন না। গায়ে চাদর রাখতে হবে। কারণ, রাত যত বাড়বে ততই তাপমাত্রা কমবে।

6. উষ্ণ গরম জল স্নান করুন। খুব সকালে বা রাতে স্নান না করাই ভালো।

The post খুসখুসে কাশির সমস্যা, খেয়ে দেখুন আদা-মধুর চা – Cold and Cough Home Remedies appeared first on Chalo Kolkata.

জেনে নিন আপনার ডার্ক সার্কেলের সাধারন কারণগুলো ও প্রতিকার বিস্তারিত

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। দৈনন্দিন জিবে অনেক কিছুর কারণে আমাদের চোখের তলায় কালো বা কালী হয়ে যায় যাকে আমরা  ইংরেজি তে বলি Dark Circles।

আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল অথবা চোখের নিচের কালো দাগ কথাটার সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত তাই না? এই ডার্ক সার্কেল ঢাকতে আমাদের কত প্রোডাক্টই না ব্যবহার করতে হয়। খুব সহজেই কনসিলার বা ইয়েলো কারেক্টর দিয়ে সেটা ঢেকে ফেলা যায়। কিন্তু কেন হয় এই ডার্ক সার্কেল তা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছি? চলুন আজকে না হয় এই সমস্যা নিয়ে একটু গভীরে আলোচনা করি!

ডার্ক সার্কেল আসলে কী?

আমাদের চোখের আশপাশে রক্তের ছোট ছোট কৌশিকনালী বা ক্যাপিলারিস আছে, যা আমাদের চোখের চারপাশের কোষগুলোকে অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই ক্যাপিলারিগুলো ফেটে যেতে পারে। আর এই ক্যাপিলারি ব্লিডিং এর জন্যই চোখের চারপাশে ডার্ক দেখায়।

ডার্ক সার্কেল হবার কারণ

1. আয়রন ডিফিশিয়েন্সি

যাদের রক্তে আয়রনের পরিমাণ কম, তাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন একটুতেই ভেঙ্গে যায়। যেহেতু হিমোগ্লোবিনের কাজ ক্যাপিলারির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়া, তাই হিমোগ্লোবিন ভেঙ্গে গেলে চোখের চারদিকে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলাফল স্বরূপ চোখের আশপাশের চামড়া কালচে দেখায়।

2. স্ট্রেস

ছোটবেলায় এমন কতবার হয়েছে, খেলতে গিয়ে ব্যথা পেয়ে কালশিটে পড়ে যায় নি! ধরে নেন স্ট্রেস আমাদের মনের ব্যথার মতই। যখনি আপনি স্ট্রেসে থাকেন তখন আপনার শরীরের ভাইটাল অর্থাৎ মেইন অর্গানগুলোতে রক্ত প্রবাহ বেশি থাকে। আপনার ফেইস থেকে রক্ত প্রবাহ কিছুটা হলেও কমে যায়। স্ট্রেসের কারণেও চোখের ক্যাপিলারি ফেটে গিয়ে স্কিনের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আর তখনি বেগুনি বা নীলাভ রঙ দেখা যায়, যেটাকে প্রচলিত ভাষায় আমরা ডার্ক সার্কেল বলি। তাই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটু কম নিয়ে চেষ্টা করুন সময়টাকে উপভোগ করার।

3. জোরে চোখ ঘষা

মেকআপ তুলতে গিয়ে হোক আর যেকোন কারণেই হোক অসাবধানতাবশত চোখে খুব বেশি প্রেশার দিয়ে ফেললে চোখের কৌশিকনালিকাগুলো ভেঙ্গে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আর সেই রক্ত অক্সিডাইজ হয়ে কালচে হয়ে গেলেই দেখা যায় ডার্ক সার্কেল।

4. চশমার ফ্রেম

অনেক ক্ষেত্রে অনেক লম্বা সময় ধরে চশমা পরে থাকলে ফ্রেমের ভারের জন্য ক্যাপিলারি ভেঙ্গে যায়। ফলাফল ডার্ক সার্কেল। তাই চেষ্টা করুন হালকা চশমার ফ্রেম ব্যবহার করতে। আর সারাদিন টানা চশমা না ব্যবহার করে মাঝে মাঝে একটু খুলে রাখুন।

5. ক্লান্তি

যারা ডার্ক সার্কেল এর জন্য ঘুম হারাম করে ফেললেন, তারা এবার একটু ঘুমের দিকে নজর দিন। রাত জেগে আর টিভি শো না হয় না-ই দেখলেন, গেমিং-টাও না হয় ৮টার মধ্যে শেষ করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা না ঘুমালে চোখের কালি নিয়ে চিন্তা করে লাভ হবে না।

6. সান ড্যামেজ

সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে নিয়ে তো কম আর্টিকেল পড়েন নি! এই সূর্য রশ্মি স্কিনের জন্য যেমন ভয়াবহ ঠিক তেমনি চোখের জন্যও। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি আপনার চোখের আশপাশের পাতলা স্কিনের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন সানগ্লাস ব্যাবহার করতে।

তো এই ছিল ডার্ক সার্কেল হবার পেছনের গল্প! আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখলে কিছুটা হলেও হেল্প হবে।

প্রতিকার পাবেন অনেক উপকার

কাঁচা আলু

কাঁচা আলু ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ডারে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট দাগের উপর মেখে ১০-১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলু পেস্ট করতে ঝামেলা মনে হলে শসার মত স্লাইস করেও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহ জুড়ে দিনে ১-২ বার ব্যবহার করলেই চলবে।

গোলাপ জল

প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপ জল স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। ছোট্ট পরিস্কার কাপড়ের টুকরা বা আই প্যাড গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। পুরো ভিজলে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতার উপর রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। দিনে একবার করে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে চোখের স্বাভাবিক রং ফেরত আসবে।

টমেটো

টমেটো চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর সাথে সাথে আপনার ত্বককে করবে কোমল লাবন্যময়। ১ চা চামচ টমেটোর রস, ১ চাচামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে ২ বার করা চেষ্টা করুন। টমেটোর রস , লেবুর রস আর সাথে পুদিনা পাতা যোগ করে তৈরি করে নিতে পারেন দারুন একটি হেলথ ড্রিংক। এটি আপনার চোখের নীচের কালি ভিতর থেকে দূর করতে সাহায্য করবে।

ঠাণ্ডা চায়ের ব্যাগ

চায়ের ব্যাগ দিয়ে ও চোখের নিচে কালি দূর করা সম্ভব। সবুজ বা কালো চায়ের ব্যাগ ঠান্ডা করে নিন। আপনার চোখের ওপর ঠান্ডা চায়ের ব্যাগটি রাখুন। ১০/ ১৫ মিনিট পর চায়ের ব্যাগ সরিয়ে ফেলুন। দিনে ২/৩ বার করার চেষ্টা করুন।

ঠান্ডা দুধ

প্রতিদিন ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহারে আপানার চোখের নীচের কালো দাগ দূর করে থাকে। তুলার বল ঠাণ্ডা দুধে ভিজিয়ে নিন। ভেজা তুলার বল আপানার চোখে ওপর রাখুন। ১০/১৫ মিনিট পর তুলা সরিয়ে নিন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন করাতে আপানার চোখের নীচের কালির দাগ করবে। 

শেষ কথা 

বিনদাস থাকুন ভালো থাকুন আর একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা। বাস তাহলেই ১ মাসের মধ্যেই আপনার সব সমস্যা দূর হবে। আর কোন ও ডার্ক সার্কেল থাকবে না। আজকের এই ছিল ডার্ক সার্কেল হবার পেছনের গল্প! আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখলে কিছুটা হলেও হেল্প হবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

The post জেনে নিন আপনার ডার্ক সার্কেলের সাধারন কারণগুলো ও প্রতিকার বিস্তারিত appeared first on Chalo Kolkata.

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা – Pradhan Mantri Fasal Bima Yojna

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরাআমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে ভারতবর্ষের সরকার প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা / বাংলা ফসল বীমা যোজনা আয়োজন করেছে বেশ কিছু দিন আগেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না। আজকের আমাদের এই আর্টিকেল টা সংবাইকে জানানোর জন্য লেখা হচ্ছে। আপনারা একটু চাষি ভাইদের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের সমস্যা জানুন আর যদি কোনো সমস্যা থাকে ফসল নিয়ে তাহলে এই প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা / বাংলা ফসল বীমা যোজনা সম্পর্কে বলুন।

কৃষি আমাদের দেশের মেরুদণ্ড এবং কৃষক হিসেবে আপনার অবদান দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী রাখে। দুর্ভাগ্যবশত আপনার সমস্ত প্রচেষ্টাই প্রকৃতির করুণার ওপর, যা প্রচণ্ড অনিশ্চিত। অনেক বছরে আপনার নিশ্চয়ই প্রচুর শস্যসম্ভার ছিল, কিন্তু একথাও আপনার স্পষ্ট মনে আছে খারাপ বছরগুলি যখন ফসল উৎপাদন কম বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাকৃতিক আগুন এবং বজ্রপাত, ঝঞ্ঝা, প্রচণ্ড ঝড়, সাইক্লোন, টাইফুন, টর্নেডো, শিলাবৃষ্টি, বন্যা, প্লাবন, ভুমিস্খলন, খরা, পোকামাকড় এবং অসুখ অথবা খারাপ আবহাওয়ার জন্যে এবং আপনার সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
ইফকো-টোকিও-র“প্রধান মন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা” বীমা পলিসি শস্যক্ষতি নামক পীড়ার সঠিক উপকার।

খরা, বন্যা, সাইক্লোন, ঝড়ঝাপটা, ভূমিধ্বস, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক কিছু কারণবশত ভারতীয় কৃষি উৎপাদন অ কৃষি রোজগার ক্রমাগত ধাক্কা খাচ্ছে । মহামারি প্রাদুর্ভাবে ও মনুষ্যসৃষ্ট অগ্নিকান্ড, সঞ্চিত বীজ বিক্রয়, সার, কীটনাশক ও আগাছানাশক এর অত্যাধিক ব্যবহারে এবং ফসলের দাম পড়ে যাওয়ার কারণে কৃষিকার্যের চলমানতা ক্রমাগত জটিল হচ্ছে। এই সমস্ত কারণে চাষীদের স্বার্থ আর সুরক্ষিত থাকছে না এবং এই ফসলের লোকসান কখনো কখনো এমনই মারাত্মক আকার ধারণ করছে যে টা সামাল দেওয়াই কৃষকের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। কৃষিজ পণ্যের বাণিজ্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি, ফসলের মূল্যের ভারসাম্যতা হারিয়ে যাচ্ছে যাতে দিনের পর দিন ক্ষতির পরিমাণ আরও উর্ধমূখী হয়ে চলেছে । এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী করে কৃষকদের এই ভয়াবহ প্রতিনিয়ত ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো যায়? ভারতীয় আইন অনুযায়ী কৃষকদের নির্দিষ্ট ফসলে লোকসানের পরিমাণের কিছুটা ন্যূনতম সমর্থন মূল্য(MSP) প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের আয়যোগ্যতা পরিমাপ করে  প্রদান করা উচিত। কিন্তু অধিকাংশ ফসলের উপড় বা অধিকাংশ রাজ্যে এখনও এই MSP প্রযুক্ত হয় নি।

কৃষিক্ষেত্রের জন্য বিশেষ উৎসাহব্যঞ্জক উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ‘প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা’ নামে কৃষকদের কল্যাণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে। এই কর্মসূচির মূল বিষয়গুলি নিম্নরূপ :–

ক) এই বিমার জন্য কৃষকদের খরিফ শস্যের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে মাত্র ২ শতাংশ এবং রবিশস্যের ক্ষেত্রে ১.৫ শতাংশ হারে প্রিমিয়াম দিতে হবে। বার্ষিক বাণিজ্যিক এবং উদ্যানজাত ফসলের ক্ষেত্রে কৃষকদের মাত্র ৫ শতাংশ প্রিমিয়াম দিতে হবে। অত্যন্ত অল্প প্রিমিয়ামযুক্ত এই বিমা প্রকল্পের প্রিমিয়ামের অবশিষ্ট অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল নষ্ট হলে কৃষকরা বিমাকৃত অর্থের পুরোটাই ফেরৎ পাবেন।

খ) এই প্রকল্পে সরকারি ভর্তুকির কোনও সর্বোচ্চ সীমা থাকবে না। এমনকি, এই বিমা প্রিমিয়ামের অবশিষ্টাংশ ৯০ শতাংশ হলেও সরকারই তা বহন করবে।

গ) এর আগে শস্য বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ভর্তুকি হারের সর্বোচ্চ সীমা থাকায় কৃষকরা কম পরিমাণে বিমাকৃত অর্থ পেতেন। বিমার ক্ষেত্রে ভর্তুকিবাবদ সরকারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নতুন বিমা প্রকল্পে প্রিমিয়ামের ভর্তুকির সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেওয়ার ফলে কৃষকরা বিমাকৃত ফসলের পুরো অর্থই পাবেন।

ঘ) এই বিমার প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে ফসল তোলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং আপলোড করা হবে। ফলে, কৃষকদের শস্য বিমার অর্থ পেতে আর বিলম্ব হবে না। এছাড়া, ফসল সংগ্রহে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দূরসংবেদী ব্যবস্থা কাজে লাগানো হবে।

নতুন এই শস্য বিমা প্রকল্পটি ‘এক জাতি – এক প্রকল্প’-এর ধরনে রূপায়িত হবে। নতুন এই প্রকল্পে পূর্ববর্তী বিমা প্রকল্পগুলির ভালো বৈশিষ্ট্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আগের প্রকল্পগুলির ত্রুটি-বিচ্যুতি অপসারণ করা হবে।

বিভিন্ন ধরণের শস্য বিমা প্রকল্পগুলির মধ্যে তুলনা করলে দেখা যাবে সবকটির মধ্যে নতুন বিমা প্রকল্পেই কৃষকদের প্রিমিয়ামের হার সবচেয়ে কম। একটি মরশুমে মাত্র একবারই প্রিমিয়াম দিতে হবে। এর আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, নতুন প্রকল্পে তাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফসল তোলার পর ক্ষতি হলে নতুন এই প্রকল্পে সারা দেশেই সাইক্লোন বা অসময়ে বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ফসল বোনা না গেলেও ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে। প্রযুক্তির ব্যবহার এই বিমার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বর্তমান সময়ে চুক্তি চাষ ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য ব্যবস্থার মতো ব্যবস্থা তৈরী হওয়াতে আশা করা যাচ্ছে যে কিছু মূল্য বীমা হিসাবে পণ্যমূল্যের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকবে। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে বেশীরভাগ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয় সাধারণত উৎপাদনের ও আয় সংক্রান্ত ঝুঁকির নিরিখে যেই সমস্ত ক্ষতিগুলি বিবিধ প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে ঘটে থাকে। কৃষি বীমা হল সেই ব্যবস্থা যা সাধারণত কৃষকদের কিছু অপূরণীয় ক্ষতিকে সামলাবার জন্য করা হয় যে সমস্ত ক্ষয় ক্ষতিসমূহ কিছু অজানা প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণের প্রভাবে ঘটে থাকে। বলতে গেলে এটি কৃষকদের অনিশ্চয়তাজনিত অস্বাভাবিক ক্ষতিপূরণের একটি ভবিষ্যতব্যবস্থা স্বরূপ। ভারত কৃষিপ্রধান দেশ যেখানে কৃষিকে ভিত্তি করে বেশীর ভাগ গ্রামীণ অর্থনীতি গড়ে ওঠে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে ১৩ই জানুয়ারী কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে গড়ে তোলেন প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (PMFBY) পরিকল্পনাটি। এই পরিকল্পনা অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত কৃষকের মাথা থেকে ক্ষতি বা ঋণের বোঝা কমাতে সফল হবে। এই পরিকল্পনা কৃষকদের ঝুঁকি নেওয়ার শক্তি দেবে যাতে তারা পরিবেশের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার রসদ যোগাবে।

এই পরিকল্পনার সাহায্যে কৃষক তার ক্ষতিগ্রস্থ অংশের বীমাকৃত ক্ষতিপূরণও দাবী করতে পারেন, এবং তা অত্যন্ত সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়ায়, যাতে কৃষকদের বীমাকৃত ফসলের অর্থ প্রাপ্তিতে  কোনোরূপ অসুবিধার সৃষ্টি না হয় । এই পরিকল্পনা ভারতের সমস্ত রাজ্যে চালু করা হবে, যা কাজে সহযোগিতা করবে প্রতিটি রাজ্যসরকার। এই পরিকল্পনার প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকবে Ministry Of Agriculture and Farmer Welfare, Government Of India.

The post প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা – Pradhan Mantri Fasal Bima Yojna appeared first on Chalo Kolkata.


প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা – Pradhan Mantri Health Insurance Plan in Bengali

$
0
0

বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা, আশা করি সবাই ভালোই আছো। বন্ধুরা আজকে আমরা এমন একটা জিনিস নিয়ে আলোচনা করবো যেটা আমাদের সবার বেঁচে থাকার বা শান্তিতে বেঁচে থাকার একটা জিনিস আর সেটা হল সুস্থতা আর সাস্থ নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনার (পিএমএসএসওয়াই) লক্ষ্য হল সাধারণ ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধ্যায়ত্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা দূর করা এবং বিশেষ করে পরিষেবা-বঞ্চিত রাজ্যগুলিতে উন্নত মানের মেডিক্যাল এডুকেশনের সুযোগসুবিধা তৈরি করা। এই প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০০৬ সালে।

বাস্তবায়নের প্রথম দফা

পিএমএসএসওয়াই-এর দু’টি মূল উপাদান ছিল – এইমসের ধাঁচে ৬ প্রতিষ্ঠান তৈরি করা এবং ১৩টি চালু সরকারি মেডিক্যাল কলেজের উন্নয়ন।

সিদ্ধান্ত হয় এইমসের মতো ৬ প্রতিষ্ঠান বিহার (পাটনা), ছত্তিসগড় (রায়পুর), মধ্যপ্রদেশ (ভূপাল), ওড়িশা (ভুবনেশ্বর), রাজস্থান (যোধপুর) এবং উত্তরাঞ্চল (হৃশিকেশ) গড়ে তোলা হবে। এর জন্য প্রতিটা প্রতিষ্ঠান বাবদ ব্যয় হবে ৮৪০ কোটি টাকা। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচক যেমন, মানব উন্নয়ন সূচক, সাক্ষরতার হার, দারিদ্র্যসীমার নীচে জনসংখ্যা ও মাথাপিছু আয় এবং স্বাস্থ্য সূচক যেমন জনসংখ্যার অনুপাতে শয্যাসংখ্যা, শিশুর মৃত্যুর হার, সংক্রামক রোগের হার ইত্যাদি যাচাই করে এই রাজ্যগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে থাকবে ৯৬০ শয্যার হাসপাতাল (৫০০ শয্যা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ৩০০ শয্যা স্পেশালিটি/সুপার স্পেশালিটি, ১০০ শয্যা আইসিইউ/অ্যাক্সিডেন্ট ট্রমা, ৩০ শয্যা ফিজিক্যাল মেডিসিন এবং পুনর্বাসন এবং ৩০ শয্যা আয়ুশের জন্য) এবং এর লক্ষ্য হল ৪২ বিভাগে স্পেশালিটি/সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা দেওয়া। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নিয়ন মেনে স্নাতক কোর্সে ১০০ জনের ভর্তির সুবিধা সহ বিভিন্ন বিভাগে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টোরাল কোর্স করার ব্যবস্থা থাকবে। পাশপাশি নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম মেনে নার্সিং কলেজও থাকবে।

১০ রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা এখনকার ১৩টি মেডিক্যাল কলেজের মানোন্নয়ন ঘটনো হবে। এর জন্য ১২০ কোটি (কেন্দ্রের ১০০ কোটি এবং রাজ্যে ২০ কোটি) বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে

  • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, জম্মু, জম্মু ও কাশ্মীর
  • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, শ্রীনগর, জম্মু ও কাশ্মীর
  • কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
  • সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, লখনউ, উত্তরপ্র্দেশ
  • ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, বিএইচইউ বারাণসী, উত্তরপ্রদেশ
  • নিজাম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, হায়দরাবাদ, তেলঙ্গানা
  • শ্রী ভেঙ্কটেশরা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, তিরুপতি, অন্ধ্রপ্রদেশ
  • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, সালেম, তামিলনাড়ু
  • বিজে মেডিক্যাল কলেজ, আহমেদাবাদ, গুজরাত
  • ব্যাঙ্গালোর মেডিক্যাল কলেজ, বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক
  • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, তিরুঅনন্তপুরম, কেরল
  • রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (আরআইএমএস), রাঁচি
  • গ্রান্টস মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড স্যার জেজে গ্রুপ অফ হাসপাতাল, মুম্বই মহারাষ্ট্র

    দ্বিতীয় দফা

    দ্বিতীয় দফায় এইমসের মতো আরও দু’টি প্রতিষ্ঠান তৈরির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই দু’টি হল পশ্চিমবঙ্গে এবং উত্তরপ্রদেশে। এর পাশাপাশি যে ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের মানোন্নয়ন ঘটানো হবে সেগুলি হল:

    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, অমৃতসর, পঞ্জাব
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, টান্ডা, হিমাচলপ্রদেশ
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, মাদুরাই, তামিলনাড়ু
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, নাগপুর, মহারাষ্ট্র
    • জহওরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ অফ আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি
    • পণ্ডিত বিডি শর্মা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, রোহতক

    এইমসের ধাঁচের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ৮২৩ কোটি টাকা। অন্য ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের মানোন্নয়নে প্রতিটির জন্য ১২৫ কেটি টাকা দেবে কেন্দ্র।

    তৃতীয় দফা

    তৃতীয় দফায় নিম্নলিখিত মেডিক্যাল কলেজগুলির মানোন্নয়ন করা হবে :

    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, ঝাঁসি, উত্তরপ্রদেশ
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, রেওয়া, মধ্যপ্রদেশ
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, গোরখপুর, উত্তরপ্রদেশ
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, দ্বারভাঙা, বিহার
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, কোঝিকোড়, কেরল
    • বিজয়নগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স, বেলারি, কর্ণাটক
    • গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, মুজফফরপুর, বিহার

    এই মেডিক্যাল কলেজগুলির মানোন্নয়ন প্রকল্পের খরচ হিসাবে প্রতিটার জন্য ১৫০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫ কোটি দেবে কেন্দ্র, বাকি ২৫ কোটি দেবে রাজ্য।

শেষ কথা 

কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য‌ বিমা যোজনার (আরএসবিওয়াই) অন্তর্গত করেছে। গোটা দেশ জুড়ে এ ব্য‌াপারে জনমত সরকারের কাছে পৌঁছনোর পর সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের আয়ুশ আঞ্চলিক কোঅর্ডিনেটর আনন্দ চৌধুরির বক্তব্য‌, ‘‘অ্য‌ালোপ্য‌াথি মেডিসিনের দাম বৃদ্ধি অল্প সামর্থের মধ্য‌ে ভালো গুণগত চিকিৎসা দেওয়ার অন্তরায়। আয়ুর্বেদ এর একটা বিকল্প হতে পারে। এতে কম পয়সায় সবাইকে ভাল গুণগতমানের চিকিৎসা দেওয়া যায়।’’ ডবলুএইচও-র লক্ষ্য‌মাত্রাকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার চিরায়ত চিকিৎসার জন্য‌ও এক জন ড্রাগ কন্ট্রোলারকে তালিকাভুক্ত করেছে। নতুন ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাজ হল, গুণগতমান ও উন্নত ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্য‌বস্থা তৈরি করা। বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিছু চিরায়ত ওষুধের মধ্য‌ে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। এক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ থেকে তো লেড পয়জনিং হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সোসাইটি ফর নিউট্রিশন, এডুকেশন অ্য‌ান্ড হেলথ অ্য‌াকশন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আর্মিতা ফার্নান্ডেজের বক্তব্য‌, “চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য‌ে ভালোর সঙ্গে কিছু খারাপ ব্য‌াপারও রয়েছে।’’ তাঁরা যেমন শিশুদের যক্ষ্মার মতো কিছু কিছু রোগের জন্য‌ অ্য‌ালোপ্য‌াথি চিকিৎসা ব্য‌বস্থার সাহায্য‌ নেন। আবার মায়েদের প্রসব-পরবর্তী অবস্থায় দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির করার ক্ষেত্রে চিরায়ত চিকিৎসা ব্য‌বস্থার শরণাপন্ন হন।

The post প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা – Pradhan Mantri Health Insurance Plan in Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও রচনা –বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রবন্ধ রচনা

$
0
0

আমাদের মন্ত্র হওয়া উচিৎ ‘বেটা বেটি, এক সম্মান’।

আসুন, কন্যাসন্তানের জন্মকে আমরা স্বাগত জানাই। পুত্র-সন্তানের পাশাপাশি কন্যাসন্তানদের জন্যও আমাদের সমান গর্বিত হওয়া উচিত। কন্যাসন্তানের জন্মকে স্মরণীয় করে রাখতে পাঁচটি গাছের চারা রোপণ করুন – এই আবেদন জানাই আপনাদের কাছে।

জয়াপুর গ্রামের নাগরিকদের উদ্দেশে একথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐ গ্রামটি তিনি বেছে নিয়েছিলেন আদর্শ গ্রাম রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও যোজনা – Beti Bachao Beti Padhao In Bengali

‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচির সূচনা ২২ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে হরিয়ানার পানিপথে।এর সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। কন্যাসন্তানের জন্মহার ক্রমশ হ্রাস পাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির কার্যকর মোকাবিলায় এই কর্মসূচিটির কথা চিন্তাভাবনা করা হয়। একইসঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে যুক্ত করা হয় এই কর্মসূচির বিশেষ ধারণাটির সঙ্গে। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এবং মানবসম্পদ মন্ত্রকের পারস্পরিক প্রচেষ্টার সমন্বয়ে রূপায়িত হচ্ছে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিটি।

পিসি অ্যান্ড পিএনডিটি আইন বলবৎ করা এবং সারা দেশে কন্যাসন্তানের বিকাশ সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের লক্ষ্যে কর্মসূচিটির প্রথম পর্যায়ে বেছে নেওয়া হয় ১০০টি গ্রামকে। প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার প্রসার সহ জনমানসে কন্যাসন্তান সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয় এই কর্মসূচি রূপায়ণের সময়।

কন্যাসন্তানের জন্ম সম্পর্কে বহুকাল ধরে চলে আসা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে হরিয়ানার বিবিপুর গ্রামের প্রধানের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেন। কারণ, কন্যাসন্তানের সঙ্গে একটি সেলফি অর্থাৎ, নিজস্বী তোলার জন্য বিশেষ আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন ঐ গ্রাম প্রধান। এই ঘটনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন, কন্যাসন্তানের সঙ্গে একত্রে সেলফি তোলার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। বলা বাহুল্য, তাঁর এই আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে বহু সংখ্যক মানুষ এগিয়ে এসেছিলেন কন্যাসন্তানের সঙ্গে সেলফি তোলার কাজে। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এই ধরনের কাজে সামিল হতে। নিঃসন্দেহে তা ছিল এক গৌরবজনক ঘটনা।

‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিটির সূচনার পর থেকে দেশের প্রায় সবক’টি রাজ্যেই জেলা পর্যায়ে বহুক্ষেত্রীয় কার্যপরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মী,বিশেষত সামনের সারিতে থেকে যাঁরা কাজকর্ম দেখাশোনা করেন তাঁদের দক্ষতাবৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ২০১৫-র এপ্রিল থেকে অক্টোবর – এই সাত মাসে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য আয়োজন করা হয় ন’টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির।

বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচি রূপায়ণে কন্যাসন্তানের শিক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার কাজে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে পিথোরাগড় জেলা কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যে জেলা ও ব্লক পর্যায়ে গড়ে তোলা হয় পৃথক পৃথক টাস্ক ফোর্স। কন্যাসন্তানের জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈঠকের আয়োজন করে এই টাস্ক ফোর্সগুলি। কন্যাসন্তানের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মপন্থাও চূড়ান্ত করা হয়। সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে কন্যাসন্তানের সুরক্ষার বার্তা পৌঁছে দিতে আয়োজিত হয় সচেতনতা প্রসার সম্পর্কিত কর্মসূচি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেনা স্কুল, রাজ্য সরকারি দপ্তরগুলির কর্মচারি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আয়োজন করা হয় র‍্যালির।

‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ সম্পর্কে জনসচেতনতার প্রসারে পিথোরাগড় জেলায় পথ-নাটিকারও আয়োজন করা হয়েছে। শুধুমাত্র গ্রামেই নয়, গ্রামীণ হাট-বাজারেও পথ-নাটিকার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই কর্মসূচির মূল বার্তাটিকে। পথ-নাটিকাগুলি থেকে গ্রামীণ এলাকার অধিবাসীরা উপলব্ধি করছেন কন্যাসন্তানের সুরক্ষা ও শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার দিকটি। কন্যাসন্তানের সমর্থনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানেরও আয়োজন করা হয়েছে। স্নাতকোত্তর কলেজগুলির ৭০০ ছাত্রছাত্রী কন্যাসন্তানের সুরক্ষায় শপথ ও অঙ্গীকারগ্রহণ করে। বেশ কিছু সেনাকর্মীও সঙ্কল্প গ্রহণ করেছেন কন্যাসন্তানের সুরক্ষা ও শিক্ষার কাজে আত্মনিয়োগ করার।

কন্যাসন্তানদের নিজেদের মধ্যেই যাতে শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতার মানসিকতা গড়ে ওঠে সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করে পাঞ্জাবের মনসা জেলা কর্তৃপক্ষ। ‘উড়ান – স্বপ্নেয়া দি দুনিয়া দি রুবারু’, (উড়ান –একদিনের জন্যতোমার স্বপ্নকে সফল করে তোল) নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেমনসার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠরত ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। একদিনের জন্য তাঁরা কি হতে ইচ্ছুক তা জানতেই এই প্রস্তাব আহ্বান। চিকিৎসক, পুলিশ অফিসার, প্রযুক্তিবিদ, আইএসএস কিংবা অন্য কোন্‌ পেশার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত হতে চায় তা তাঁদের একদিনের অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

এই উদ্যোগে সাড়া মিলেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। ৭০ জনেরও বেশি ছাত্রী একদিনের জন্য তাঁদের পেশাদারী ভূমিকা ফুটিয়ে তোলার সুযোগ লাভ করেছে। ঐ দিনটিতে পেশাদার ব্যক্তি হিসেবে কাজ করার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় তাঁদের। ভবিষ্যতে একজন পেশাদার কর্মী হয়ে ওঠার জন্য কন্যাসন্তানদের সাহায্য ও সহযোগিতা করাই এই উদ্যোগের বিশেষ লক্ষ্য।

The post বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও রচনা – বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রবন্ধ রচনা appeared first on Chalo Kolkata.

জন ধন, আধার ও মোবাইলের সমন্বয়ে এক অভিনব ভর্তুকি ও বিমা কর্মসূচি

$
0
0

প্রতিটি অর্থের ব্যয় থেকে সর্বোচ্চ সুফল লাভ করতে হবে দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতায়নসম্ভব করে তুলতে হবে দেশের জনসাধারণের জন্য সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার বাস্তবায়িত করে তোলা প্রয়োজন। 

নরেন্দ্র মোদী – প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা

স্বাধীনতার ৬৭ বছর পরেও ভারতের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর অর্থ, একদিকে যেমন সঞ্চয়ের কোন পথ তাঁদের সামনে খোলা নেই, অন্যদিকে তেমনই প্রাতিষ্ঠানিক ঋণলাভের কোন সুযোগও তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা’র সূচনা করেন ২০১৪-র ২৮ আগস্ট। এর মূল উদ্দেশ্য উল্লেখিত সমস্যাগুলির গ্রহণযোগ্য সমাধান। সূচনার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই এই কর্মসূচিটি কোটি কোটি ভারতবাসীর জীবনযাত্রায় নিয়ে আসে এক আমূল পরিবর্তন। সেইসঙ্গে, তাঁদের ভবিষ্যতও হয় সুরক্ষিত। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ১৯ কোটি ৭২ লক্ষ নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। বন্টন করা হয় ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ রূপে ডেবিট কার্ড। আমানত জমা পড়ে ২৮,৬৯৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার মতো। রেকর্ড সংখ্যক ১,২৫,৬৯৭‘ব্যাঙ্ক মিত্র’ অর্থাৎ, ব্যাঙ্ক প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে এই সময়কালের মধ্যে। মাত্র এক সপ্তাহকালের মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৯৬ হাজার ১৩০টি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সুবাদে ভারতের এই সাফল্য স্থান করে নেয় গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে।

এই ধরনের কোটি কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি ছিল নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জপূর্ণ। কারণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য দেশের সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করে তোলার কাজটিও ছিল কম চ্যালেঞ্জের নয়। সরকার গৃহীত উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে ‘শূন্য’ জমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০১৪-র ৭৬.৮ শতাংশ থেকে ২০১৫-র ডিসেম্বরে ব্যাপকভাবে নেমে আসে ৩২.৪ শতাংশে। মোট ওভারড্রাফ্‌ট গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ১৩১ কোটি টাকারও বেশি।

এই সমস্ত কিছু সম্ভব করার মূলে ছিল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহ ও উৎসাহ এবং সেইসঙ্গে দেশের আপামর সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনের সমন্বয় ও যোগাযোগ সাধনের প্রক্রিয়া। এই বিশাল কাজটি হাতে নেওয়া হয় একটি মিশন হিসেবে। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সেতুবন্ধন রূপে গড়ে তোলা হয় এই কর্মসূচিটিকে।

প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা একাউন্ট

কোটি কোটি মানুষ এইভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজে এগিয়ে আসায় একদিকে যেমন ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগ তাঁদের কাছে আজ উন্মুক্ত হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই দুর্নীতি দমন ও বন্ধ করার কাজেও এসেছে এক বড় ধরনের সাফল্য। সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন ভর্তুকির অর্থ এখন সরাসরি জমা পড়ে গ্রহীতার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এর ফলে, যাবতীয় কারচুপি ও ফাঁকফোকর বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থারও অবসান ঘটানো হয়েছে। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভর্তুকি সহায়তা জমা পড়ার কর্মসূচি ‘পহল’ যোজনা বিশ্বে এ ধরনের একটি বৃহত্তম কর্মসূচি হিসেবে স্থান পেয়েছে গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্‌-এ। ‘পহল’ যোজনার আওতায় এলপিজি-র ওপর প্রদেয় ভর্তুকি সরাসরি জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৬২ লক্ষেরও বেশি মানুষ সরাসরি নগদ ভর্তুকি লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ কোটি ৩৪ লক্ষের মতো ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে সেগুলিকে বাতিল করার কাজও এই কর্মসূচি রূপায়ণের ফলে সম্ভব হয়েছে। আর এইভাবে সাশ্রয় হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার। বর্তমানে সরকার ৩৫ থেকে ৪০টির মতো কর্মসূচির ক্ষেত্রে এইভাবে ভর্তুকি সহায়তাদানের ব্যবস্থা চালু করেছে। ২০১৫ সালে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা এইভাবে জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে।

এইভাবে ব্যাঙ্ক পরিষেবার সুযোগসুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের জন্য বিমা ও পেনশনের সুযোগ সম্প্রসারণের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। বছরে মাত্র ১২ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা লাভের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয় ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা’র আওতায়। ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা’র আওতায় বিমা গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জীবন বিমার সুযোগ। এজন্য বছরে প্রদেয় প্রিমিয়ামের কিস্তি মাত্র ৩৩০ টাকা। অন্যদিকে, ‘অটল পেনশন যোজনায়’ মাসে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশনের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যোজনা গ্রহীতার কাছে। ৯ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা’য় যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রায় ৩ কোটি মানুষ গ্রহণ করেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা’ জন ধন প্রকল্পও। ‘অটল পেনশন যোজনা’র সুযোগ লাভ করেছেন ১৫ কোটি ৮৫ লক্ষের মতো মানুষ।

The post জন ধন, আধার ও মোবাইলের সমন্বয়ে এক অভিনব ভর্তুকি ও বিমা কর্মসূচি appeared first on Chalo Kolkata.

পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি : সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা

$
0
0

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ “উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা একটি বিশেষ সমস্যার সম্মুখীন হই। আমাদের উন্নয়নসূচির আদর্শ ছিল একতরফাভাবে কোন কিছু রূপায়ণ করে যাওয়া। লক্ষ্ণৌ, গান্ধীনগর কিংবা দিল্লির জন্য কোন প্রকল্প রচনা করা হলে সেটিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হত অন্যান্য এলাকা বা অঞ্চলগুলিতেও। কিন্তু এই আদর্শ অনুসরণ করার পরিবর্তে আমরা চাহিদা ও প্রয়োজনভিত্তিক উন্নয়নের দিকেই দৃষ্টি ফেরাতে চাই। আর এই কারণেই আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। উন্নয়নের চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তার দিকটি তাই গ্রাম পর্যায়ে প্রথম অনুভূত হওয়া প্রয়োজন।

আমাদের প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। সাধারণ মানুষের হৃদয় জয়ের লক্ষ্যে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগোতে চাই। সাংসদরা সাধারণত রাজনৈতিক আচরণের মধ্যেই তাঁদের কাজকর্মকে সীমাবদ্ধ রাখতেন। কিন্তু এখন থেকে যখন আপনারা গ্রামে পা দেবেন, তখন সেখানে রাজনৈতিক তৎপরতা আপনারা দেখতে পাবেন না। সমস্ত গ্রামকেই মনে হবে যেন একটিমাত্র পরিবার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে একসঙ্গে মিলিত হয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থা গ্রামগুলিকে শুধু ঐক্যবদ্ধই করবে না, উৎসাহ ও উদ্দীপনাও সঞ্চারিত হবে গ্রাম জীবনে ”।

‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র সূচনা ১১ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে। ভারতে আদর্শ গ্রামের যে স্বপ্ন দেখতেন মহাত্মা গান্ধী তাকে বাস্তবায়িত করতেই এই কর্মসূচিটির কাজ শুরু করা হয়েছে পরিবর্তিত প্রেক্ষিত ও পরিস্থিতিকে অনুসরণ করে। ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র আওতায় প্রত্যেক সাংসদ একটি করে গ্রাম বেছে নিয়ে সেখানকার সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দেবেন। এই কাজে পরিকাঠামো প্রসারের সঙ্গে গ্রামের সামাজিক দিকটির ব্যাপক উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দেবেন তাঁরা। ‘আদর্শ গ্রাম’ তাই হয়ে উঠবে উন্নয়ন, পরিচালন ও প্রশাসনের এক ভিত্তিভূমি যা অনুপ্রাণিত করবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেও।

সাংসদের নেতৃত্বেই গ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রস্তুত করা হয়। এই কাজে সাংসদকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এবং বৈজ্ঞানিক পন্থা-পদ্ধতি অনুসরণ করে শুরু হয় গ্রামোন্নয়নের কাজ। তার আগে প্রকল্পের খুঁটিনাটি পেশ করা হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য পর্যায়ের এক বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি এই প্রকল্প সম্পর্কিত রিপোর্টটি পর্যালোচনার পর প্রয়োজনবোধে পরামর্শ দেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের। এরপর, সহায়সম্পদের বন্টন করা হয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’ সম্পর্কিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রকল্পগুলিকে অগ্রাধিকারদানের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের ২১টি কর্মসূচিকে সংশোধন করা হয়েছে।

জেলা পর্যায়ে সাংসদের নেতৃত্বে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রতি মাসে। অংশগ্রহণকারী সরকারি দপ্তরগুলির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ পর্যালোচনা করে দেখার পর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনকে। ২০১৬-র মধ্যে প্রত্যেক সাংসদ একটি করে গ্রাম বেছে নেবেন আদর্শ গ্রাম হিসেবে তাকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে। ২০১৯ সালের মধ্যে দুটি করে গ্রাম বেছে নেবেন সাংসদরা। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি গ্রামকে তাঁরা আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত করবেন। এ পর্যন্ত সাংসদরা ৬৯৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার কর্মসূচির আওতায় নিয়ে এসেছেন।

আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার কাজকর্মে সমন্বয় নিশ্চিত করতে প্রত্যেক জেলা কালেক্টর দায়িত্ব দিয়েছেন একজন করে চার্জ অফিসারের ওপর। রূপায়ণের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব তাঁদের। দেশের ন’টি অঞ্চলে ৬৫৩ জন চার্জ অফিসারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রক। জাতীয় স্তরে ভোপালে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় ২০১৫-র ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে। কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রক আয়োজিত এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন সাংসদ, জেলা কালেক্টর, গ্রাম প্রধান সহ রাজ্য সরকারগুলির প্রতিনিধিরা। মন্ত্রকের জাতীয় পর্যায়ের একটি কমিটি উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে যে প্রদর্শনীর আয়োজন করে তা থেকেও আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার কাজ সম্পর্কে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করে সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীরা। ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’র আওতায় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়ন ও অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ‘পঞ্চায়েত দর্পণ’ হিসেবে ৩৫টি নির্ণায়ক ব্যবস্থাও গড়ে তোলে কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রক।

সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা : কয়েকটি সাফল্যের কাহিনী

জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার ত্রেহ্‌গাম ব্লকের লেদারওয়ান গ্রামে অধিবাসীদের মূল জীবিকা কৃষিকর্ম। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষির বিকাশের লক্ষ্যে গ্রামের ৩৭৯ জন কৃষকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করা হয় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রটিকে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জল-হাওয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন পূর্বাভাসের খবর মোবাইল বার্তায় পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট কৃষিজীবী মানুষদের কাছে। শুধু তাই নয়, শস্যের উৎপাদন ও ফলন সম্পর্কেও বিভিন্ন ধরনের তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয় মোবাইল বার্তার মাধ্যমে। সাংসদ শ্রী মুজফফর হোসেন বেগ-এর পরামর্শে ও নেতৃত্বে এই কাজ শুরু করা হয়। এর সুবাদে কৃষকরা এখন নিয়মিতভাবে তাঁদের মোবাইল ফোনে কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের খোঁজখবর পাচ্ছেন। শস্যবীজ বপনের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ, মাটি পরীক্ষা, শস্য সুরক্ষা, ফসল তোলার পরবর্তী পর্যায়ে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিপণন সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কৃষিজীবী মানুষদের মোবাইলে। এর ফলে, শস্যের উৎপাদন ও বিপণন সম্পর্কে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা জেলার মারাভামঙ্গলম গ্রামটিকে বেছে নেওয়া হয় ‘আদর্শ গ্রাম’-এ রূপান্তরের লক্ষ্যে। এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজ্যসভার সাংসদ ডঃ ই এম সুদর্শন নাচিয়াপ্পান। গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং গ্রামীণ মানুষের জীবনধারণের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করেন তিনি। নারকেল ছোবড়ার ব্যবহার এবং নারকেল চাষ সম্পর্কে গ্রামবাসীদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কয়েকটি সচেতনতামূলক কর্মসূচিরও ব্যবস্থা করেন সংশ্লিষ্ট সাংসদ। এর উদ্যোগ-আয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন আলাগাপ্পা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের কয়্যার পর্ষদ, নারকেল উন্নয়ন পর্ষদ এবং কেন্দ্রীয় চর্ম গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ব্যবস্থাক্রমে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করেন সাংসদ।

সফল শিল্পোদ্যোগী হয়ে ওঠার কাজে গ্রামবাসীদের শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে নারকেলের ছোবড়ার ব্যবহার সম্পর্কে দু’মাসের এক প্রশিক্ষণসূচির ব্যবস্থা করা হয় সাংসদের উদ্যোগে। প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তিনি। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলিতে অংশগ্রহণ করেন ২৫৯ জন গ্রামবাসী। এদের মধ্যে নারকেল ছোবড়ার ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেন ১২০ জন মহিলা। চামড়ার ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ১১২ জনকে। অন্যদিকে, নারকেল চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা হয় ২৭ জন গ্রামবাসীকে। প্রশিক্ষণ শেষে জেলা প্রশাসন এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপকদের পক্ষ থেকে সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালানো হয় সফল প্রশিক্ষণার্থীদের নিজস্ব শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তাদানের লক্ষ্যে। সামাজিক শিল্পোদ্যোগ গঠনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে গ্রামবাসীদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার লক্ষ্যেই রূপায়িত হয় এই বিশেষ কর্মসূচি।

ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের দুর্গম ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বয়ঃসন্ধিতে উপনীত মেয়েদের স্বাস্থ্যরক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসারে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা চিন্তা করেন সাংসদ বিদ্যুৎ বরন মাহাতো। তিনি অনুভব করেছিলেন যে এই বিশেষ দিকটি সম্পর্কে এর আগে সেভাবে তেমন চিন্তাভাবনা করা হয়নি। গ্রামের মহিলা ও কিশোরী এবং তরুণীদের মধ্যে রক্তাল্পতা সহ অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি তিনি বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন। তাই, এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কিশোরী ও তরুণীদের জন্য তিনি আয়োজন করেন কয়েকটি স্বাস্থ্য শিবিরের। এই স্বাস্থ্য শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৮৮ জনেরও বেশি তরুণী ও কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় এই শিবিরগুলিতে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসে প্রকৃত সত্যটি। দেখা যায়, মেয়েদের অনেকেই মূত্রাশয়ের সংক্রমণ এবং চর্মরোগ সহ নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের শিকার যা এতদিন পর্যন্ত সামাজিক তথা সাংস্কৃতিক অভ্যাস ও সংস্কারবশে গোপন রাখা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আরও দেখা যায়, মেয়েদের স্বাস্থ্যহানির পেছনে রয়েছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। তাই, শুরু করা হয়েছে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা সম্পর্কে কিশোরী ও তরুণীদের মধ্যে সচেতনতা প্রসার সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচি। এই ব্যবস্থা নিয়মিতভাবে চালু রাখা হবে সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে।

‘স্বচ্ছ ভারত’-এর পর এ বার ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলির তালিকায় নবতম সংযোজন এই প্রকল্প। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে প্রকল্পটির উদ্বোধন করলেন তিনি।

‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে দেশ জুড়ে। প্রকল্পের কাজে হাত লাগিয়েছেন অভিনেতা থেকে খেলোয়াড়, শিল্পপতি থেকে রাজনীতিবিদ অনেকেই। ২০১৯ সালের মধ্যে ‘স্বচ্ছ ভারত’ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। নতুন প্রকল্পটির ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২০১৯ সাল। ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’ অনুয়ায়ী দুই কক্ষের প্রত্যেক সাংসদকে অন্তত তিনটি করে গ্রাম দত্তক নিয়ে তার উন্নয়নের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ২০১৬ সালের মধ্যে একটি করে গ্রাম বেছে নিয়ে কাজ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। পরবর্তী সময়ে আরও দু’টি গ্রাম বেছে তার উন্নয়ন করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সব মিলিয়ে আমরা প্রায় আটশো সাংসদ। প্রত্যেকে তিনটি করে গ্রামের উন্নয়ন করলে ২০১৯-এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার গ্রামকে আমরা এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিও যদি এই প্রকল্পে অংশ নেয় তবে আরও ছয়-সাত হাজার গ্রাম যোগ হবে।” প্রতি ব্লকে একটি করে গ্রামে উন্নয়ন হলে পাশের গ্রামগুলিতেও তার প্রভাব পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মোদী। প্রকল্পটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলনে, “গ্রামগুলি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই সাংসদদের। একটি মাত্র শর্ত রাখা হয়েছে— বেছে নেওয়া গ্রামগুলি যেন সাংসদদের নিজের বা পরিবারের কোনও সদস্যের না হয়।” তিনি নিজেও বারাণসীতে একটি গ্রাম দত্তক নিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

The post পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি : সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা appeared first on Chalo Kolkata.

ব্রেকআপ হওয়ার পর কি করা উচিত

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আমাদের ভালোবাসার নানান রূপে চোরাই উৎরাই আছে সেটা আমরা সবাই জানি আর সেটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। খুবি সংক্ষেপে বলতে গেলে। মোটামুটি একটা আলোচনা করে দেখা গেছে যে ছেলে মেয়েদের জীবনে ৭০ শতাংশ এর বেশি প্রেম বা ভালোবাসা যাই বলেন না কোনো থাকে না বা টেকে না। সেটা কেন এটা নিয়ে অন্য একদিন লিখবো কেননা তার জন্য একটু পড়াশোনা করতে হবে। তা আজকে আমি বলব যে ব্রেক আপ হয়ে যাবার পর কি কি করবেন বা ব্রেক আপ হবার পরে কি কি করলে আপনি ভালো থাকবেন। আমরা সবাই জানি যে ব্রেক আপ এর পর কি অবস্থা হয় আমাদের সবার।

ব্রেক আপ স্টেটাস – ব্রেক আপ হওয়ার পর 

 

1. এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক

 

এবারের প্রেমদিবস আপনার খুবই খারাপ কেটেছে। বন্ধুদের মজা করতে দেখে নিজে খুবই দুঃখ পেয়েছেন, কিন্তু মুখে কিছুই বলেননি। যে কোনও ব্রেক আপ মন ভেঙে দেয়। কিন্তু এই নিয়ে কদিনই বা মন খারাপ করে থাকবেন। যে কোনও কিছুতে মুভ অন করে যাওয়াটাই জীবনের ছন্দ। তাই দেখে নিন কি কি করবেন, আর কি কি করবেন না।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্লক করে দিন

ফেসবুক, ট্যুইটার, ইন্সটাগ্রাম, স্কাইপ সবরকমের সোশ্যাল মাধ্যম থেকে এক্সকে ব্লক করে দিন। হয়তো খুব মন খারাপ করবে। তবুও ব্লক করে দিলে নিজে শান্তি পাবেন।

কাছের মানুষদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলুন

বাড়িতে বা কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলুন। এতে মন ভালো থাকবে। পার্টি করুন, তবে খুব বেশি অ্যালকোহল খাবেন না।

সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন না

কেন ব্রেক আপ করল এই প্রশ্ন করে বাকিদের জর্জরিত করবেন না। বা বেশি কাঁদুনি গাইবেন না।

নিজের পছন্দের সঙ্গে সময় কাটান

নিজে হয়তো ভালো গান করেন, ছবি আঁকেন। পছন্দের কাজগুলোর সঙ্গে আবার যুক্ত হোন। দেখবেন ভালো লাগবে।

আগের ভুল থেকে শিক্ষে নিন

আপনি হয়তো মানুষ চিনতে ভুল করেন। তাই আগের ভুলগুলোর থেকে শিক্ষা নিন। আসলে মানুষ তো ঠেকে শেখে।

জীবনকে সোজাভাবে নিন

একটাই জীবন। এই একটা জীবনেই সবই ঘটা সম্ভব। তাই জীবনকে সোজাভাবে গ্রহণ করুন।

ভালো স্মৃতি রোমন্থন করুন

ব্রেক আপ মানেই এই নয় তো যে সব সময়টাই খারাপ। অনেক ভালো স্মৃতিও রয়েছে। সেগুলো নিয়ে ফাঁকা টাইমে চিন্তা ভাবনা করুন।

পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আবার দেখা করুন

প্রেমের চক্করে বাকি বন্ধুদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। আবার যোগাযোগ শুরু করুন।

নিজেকে নতুন করে চিনুন

নিজেকে অন্যভাবে আবিষ্কার করুন। হয়তো আপনি যে আমিকে চিনতেন তার বাইরেও অন্য আমি আছে। আপনি জানেন না।

ধৈর্য রাখুন

নিজের উপর আস্থা আর ধৈর্য রাখুন

জানুন কী কী করবেন না

1. জোর করে যৌন সম্পর্ক নয়

সঙ্গীকে মিস করেন। কিন্তু তা বলে হঠাৎ করে অন্য কারোর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যাবেন না।

2. এক্সের বন্ধুর সঙ্গে বেশি যোগাযোগ নয়

এক্সের বাড়িতে বেশি যাবেন না। বা যোগাযোগও রাখবেন না।

3. ড্রাগ বা নেশায় নিজেকে শেষ করবেন না

ড্রাগ বা মদ অভ্যাসে পরিনত করবেন না।

4. হুট করে নতুন সম্পর্কে যাবেন না

ব্রেক আপ হয়েছে বলেই প্রেম করতে হবে এই মর্মে নতুন কোনও সম্পর্কে জড়াবেন না।

The post ব্রেকআপ হওয়ার পর কি করা উচিত appeared first on Chalo Kolkata.

ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ বিকাশ, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমরা জানবো যে  আমাদের দেশে ও রাজ্যের অনেক জাগায় যে বিদ্যুৎ এর ব্যাপার গুলো একবার দেখে নেবো। আজ আমরা জন্য যে – ভারতের ভূ-তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম, ভারতের ভূতাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম, ভারতের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের বৃহত্তম বায়ু শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র ভারতের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি, ভারতের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি ইত্যাদি। 

 

স্বাধীনতা লাভের পর প্রায় সাতটি দশক অতিক্রান্ত। কিন্তু দেশের ১৮ হাজার গ্রাম এখনও অন্ধকারে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের অভাবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন যে অন্ধকার এই গ্রামগুলিতে আগামী ১ হাজার দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। তাই, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের লক্ষ্যে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক কর্মসূচি রূপায়ণের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। আর এই কর্মসূচির সর্বত্র রয়েছে এক অভাবনীয় স্বচ্ছতা। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং একটি ওয়েব ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে যে গ্রামগুলিতে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকা দেখতে পাওয়া যাবে। এই কর্মসূচিটিকে তাই গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ হিসেবেই চিহ্নিত করলে চলবে না, গ্রামবাসীদের জীবনে যে স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও অগ্রগতির স্বপ্ন একদা অধরা ছিল, তাই এখন চলে এসেছে তাঁদের আয়ত্তের মধ্যে।

একথা বিস্মৃত হওয়া কঠিন যে ২০১২-র জুলাই পর্যন্ত দেশের ৬২ কোটি মানুষকে দিন কাটাতে হয়েছে ঘোর অন্ধকারের মধ্যে। ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাকে কাজে লাগানো যায়নি শুধুমাত্র গ্যাস ও কয়লার মতো জ্বালানির অভাবে। অতিরিক্ত উৎপাদনক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এই ক্ষেত্রটি তখন কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও যোগান সংক্রান্ত নীতিটিও উদ্যোগের অভাবে হয়ে পড়ে অপ্রাসঙ্গিক। একদিকে বিনিয়োগ করা অর্থের সদ্ব্যবহারের অভাব এবং অন্যদিকে ব্যাপক বিদ্যুৎ ছাঁটাইয়ের ফলেজনজীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

এনডিএ সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার সময় দেশের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির দুই-তৃতীয়াংশেরই কয়লা মজুতজনিত পরিস্থিতি ছিল খুবই সঙ্কটজনক। মাত্র সাতদিনের জন্য বিদ্যুৎউৎপাদনের মতো কয়লা মজুত ছিল ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে এমন এক অবস্থায়উন্নীত করে কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে এমন কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট নেই যেখানে কয়লা এখনঅপ্রতুল বা অপর্যাপ্ত।

সকলের কাছে বিদ্যুতের সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিশুদ্ধ জ্বালানির বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির উৎসগুলিকে ব্যবহারের মাধ্যমে ১৭৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে সৌর শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রটির কাঠামোগত বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এক সার্বিক ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি রূপায়ণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহের প্রতিটি দিনেই যাতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুতের যোগান নিরবচ্ছিন্ন রাখা যায় সেই লক্ষ্যে সরকার বিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটির বিকাশ ও উন্নয়নের দিকে একবার দৃষ্টি দেওয়া যাক। শিল্পোৎপাদনের সূচক অনুযায়ী অক্টোবর মাসে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের উৎপাদন ক্ষমতা ৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এপ্রিল-নভেম্বর – এই সময়কালে। বিগত চার বছরের উৎপাদনকে যুক্ত করলে যা দাঁড়ায় তার থেকে অনেক বেশি উৎপাদন সম্ভব করে তোলে কোল ইন্ডিয়া। এর সুবাদে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কয়লা আমদানির পরিমাণ হ্রাস পায় ৪৯ শতাংশ। বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বৃদ্ধি পায় ১২.১২ শতাংশ যা ছিল এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২১৪টি কয়লা ব্লক বন্টনের বিষয়টি শীর্ষ আদালত বাতিল বলে ঘোষণা করায় যে সঙ্কট দেখা দিয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে এক স্বচ্ছ কয়লা ব্লক বন্টন কর্মসূচির কাজ হাতে নেওয়া হয় প্রযুক্তি পরিচালিত নিলাম ব্যবস্থার মাধ্যমে। এবাবদ আয়ের প্রায় সবটাই পৌঁছে গেছে রাজ্যগুলির হাতে। বিশেষত, পূর্ব ভারতের অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলি তা থেকে বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে।

গত বছরটিতে ২২,৫৬৬ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে যা এযাবৎকালের মধ্যে এক রেকর্ড বিশেষ। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও যোগানের ক্ষেত্রে ঘাটতির মাত্রাকেও ২০০৮-০৯-এর ১১.৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৩.২ শতাংশে। এযাবৎকালের মধ্যে এটিও ছিল নিঃসন্দেহে এক বিশেষ সাফল্য। জ্বালানি ঘাটতির পরিমাণও ২০০৮-০৯-এর ১১.১ শতাংশের তুলনায় হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩ শতাংশে। ভারতে জ্বালানি উৎপাদনের ইতিহাসে এটিও এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত।

বিদ্যুৎ যোগানের ক্ষেত্রে যে সমস্ত রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা ছিল উদ্বৃত্ত, সেই সমস্ত রাজ্য থেকে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ঘাটতি রাজ্যগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজে ছিল বিস্তর বাধা-বিপত্তি। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন গ্রিডটিকে ‘এক জাতি, একটি গ্রিড, একটি ফ্রিকোয়েন্সি’তে উন্নীত করতে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৩-১৪ সালে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যেখানে ৩,৪৫০ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়, সেখানে পরে এই কাজকে ৭১ শতাংশ উন্নীত করে নিয়ে যাওয়া হয় ৫,৯০০ মেগাওয়াটে।

বিদ্যুতের উৎপাদন ও যোগানের ক্ষেত্রে যাবতীয় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে ‘উদয়’ যোজনাটির সূচনা হয় যাতে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, ডিসকম-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ উচ্চতম পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে ‘উদয়’ কর্মসূচিটিকে রূপায়িত করা হচ্ছে। এমনকি, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। একসময় ডিসকম হয়ে পড়ে ঋণ জর্জরিত। ‘উদয়’ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিসকম-কে এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা হয়। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতেও সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর সুবাদে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে সবক’টি ডিসকম লাভজনক সংস্থা হয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যভাবে বলতে গেলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটির সংস্কারের লক্ষ্যে অতীতে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও ব্যবস্থার তুলনায় ‘উদয়’ কর্মসূচিটি এক বিশিষ্টতা লাভ করবে বলে আশা করা যায়।

জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়টিতেও সরকার বিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছে। এলইডি বাল্বের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৭৫ শতাংশেরও বেশি। মাত্র এক বছরের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে ৪ কোটিরও বেশি এলইডি বাল্ব। সচরাচর ব্যবহৃত বাল্বগুলির পরিবর্তে এলইডি বাল্বের ব্যবহার বাড়াতে ২০১৮ সালের মধ্যে বন্টন করা হবে ৭৭ কোটি এলইডি বাল্ব। শুধুমাত্র ঘর-গৃহস্থালির কাজেই নয়, এলইডি বাল্বের সাহায্যে আলোকিত করা হবে বিভিন্ন অঞ্চলের পথ-ঘাটও। এর ফলে, দিনের যে সময়টিতে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি, সেই সময়ে ২২ গিগাওয়াটের মতো চাহিদা কমিয়ে আনতে বিশেষভাবে সহায়ক হবে এলইডি বাল্বের কার্যকর ব্যবহার। আর এর ফলশ্রুতিতে বছরে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে ১১,৪০০ কোটি ইউনিটের মতো। একইসঙ্গে প্রতি বছর কার্বন ডায়অক্সাইড নির্গমণের মাত্রাও হ্রাস পাবে ৮.৫ কোটি টনের মতো। ২২ গিগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বিষয়টিকে একটি সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত করা যায় ঠিক কথা, কিন্তু ব্যয়সাশ্রয়ী এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী এলইডি বাল্বেব সাহায্যে যদি এই অতিরিক্ত উৎপাদনের খরচ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, সেটি পরিবেশ রক্ষার দিক দিয়েও একটি কম সাফল্যমাত্র নয়।

The post ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ বিকাশ, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র appeared first on Chalo Kolkata.

গান্ধী জয়ন্তী প্রবন্ধ রচনা – Gandhi Jayanti Essay in Bengali

$
0
0

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী  বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ – ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা। একজন শিক্ষিত ব্রিটিশ আইনজীবী হিসেবে, গান্ধী প্রথম তাঁর অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায়নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। ভারতে ফিরে আসার পরে কয়েকজন দুঃস্থ কৃষক এবং দিনমজুরকে সাথে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা এবং বহু বিস্তৃত বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পর গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু এর সবগুলোই ছিল স্বরাজ অর্থাৎ ভারতকে বিদেশী শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। ১৯৩০ সালে গান্ধী ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দীর্ঘ ডান্ডি লবণ কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৪২ সালে ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতে কারাবরণ করেন।

মহাত্মা গান্ধী সমস্ত পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেটি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার নিজের পরিধেয় কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুতি এবং শাল যা তিনি নিজেই চরকায় বুনতেন। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে ফলমূ্লই বেশি খেতেন। আত্মশুদ্ধি এবং প্রতিবাদের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য উপবাস থাকতেন।

প্রাথমিক জীবন 

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালে পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান (প্রধান মন্ত্রী)। মা পুতলিবা করমচাঁদের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পুতলিবা প্রনামী বৈষ্ণব গোষ্ঠীর ছিলেন। করমচাঁদের প্রথম দুই স্ত্রীর প্রত্যেকেই একটি করে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অজানা কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছিল (এরকম শোনা যায় যে সন্তান জন্ম দেবার সময়ে তারা মারা যান)। ধার্মিক মায়ের সাথে এবং গুজরাটের জৈন প্রভাবিত পরিবেশে থেকে গান্ধী ছোটবেলা থেকেই জীবের প্রতি অহিংসা, নিরামিষ ভোজন, আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাসে থাকা, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহিষ্ণুতা ইত্যাদি বিষয় শিখতে শুরু করেন। তিনি জন্মেছিলেন হিন্দু বৈশ্য গোত্রে যা ছিল ব্যবসায়ী গোত্র।

১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন। তাদের চার পুত্র সন্তান জন্মায় যাদের নাম হরিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৮৮) মনিলাল গান্ধী, (জন্ম ১৮৯২) রামদাস গান্ধী (জন্ম ১৮৯৭) এবং দেবদাস গান্ধী (জন্ম ১৯০০) সালে। মহাত্মা গান্ধী তাঁর ছোটবেলায় পোরবন্দর ও রাজকোটের ছাত্রজীবনে মাঝারি মানের ছাত্র ছিলেন। কোন রকমে গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি কলেজেও সুখী ছিলেন না কারণ তার পরিবারের ইচ্ছা ছিল তিনি ব্যারিস্টার হন।

১৮ বছর বয়সে ১৮৮৮ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যান। রাজকীয় রাজধানী লন্ডনে তার জীবন যাপন ছিল ভারতে থাকতে তার মায়ের কাছে করা শপথ প্রভাবিত। জৈন সন্ন্যাসি বেচার্জীর সামনে তিনি তার মায়ের কাছে শপথ করেছিলেন যে তিনি মাংস, মদ এবং উচ্ছৃঙ্খলতা ত্যাগ করার হিন্দু নৈতিক উপদেশ পালন করবেন। যদিও তিনি ইংরেজ আদব কায়দা পরীক্ষামূলকভাবে গ্রহণ করেছিলেন; যেমন নাচের শিক্ষা, কিন্তু তিনি তার বাড়িওয়ালীর দেওয়া ভেড়ার মাংস এবং বাঁধাকপি খেতেন না। তিনি লন্ডনের গুটি কয়েক নিরামিষভোজী খাবারের দোকানের একটিতে নিয়মিত যেতেন। শুধু তার মায়ের কথায় সাধারণ নিরামিষভোজী জীবন যাপন না করে তিনি এ বিষয়ে পড়াশোনা করে একান্ত আগ্রহী হয়ে নিরামিষভোজন গ্রহণ করেন। নিরামিষভোজী সংঘে যোগ দেন এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন, এ সংস্থার একটি স্থানীয় শাখাও প্রচলন করেন। তার এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অনেক ভাবে কাজে লাগে। নিরামিষভোজী অনেক সদস্যই আবার থিওসোফিক্যাল সোসাইটি (Theosophical Society)-এর সদস্য ছিলেন, যা ১৮৭৫ সালে সার্বজনীন ভাতৃত্বের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল এবং এতে ধর্ম শিক্ষায় বৌদ্ধ এবং হিন্দু ব্রাহ্মণ্য সাহিত্য পড়ানো হত। তারা গান্ধীকে ভগবত গীতা পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন। আগে ধর্ম বিষয়ে তেমন কোন আগ্রহ না থকলেও, গান্ধী হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, ইসলামসহ অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে এবং বিভিন্ন রীতি সম্পর্কে পড়াশোনা করেন।

গান্ধী ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে মহাত্মা (মহান আত্মা) এবং বাপু (বাবা) নামে পরিচিত। ভারত সরকারিভাবে তাঁর সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে । ভারতে ২রা অক্টোবর তার জন্মদিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবর-কে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।মহাত্মা গান্ধীর দর্শন পৃথিবীর মানুষের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তার দেখানো অহিংস আন্দোলনের পথ আজ বিশ্বে এক গবেষণার বিষয়।

 মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী  পুরো নাম হলেও আমাদের কাছে মহাত্মা গান্ধী নামেই বেশি পরিচিত। আমরা অনেকে গান্ধীজিকে বাপু নামেও সম্বধন করে থাকি। জেনে নেবো মহাত্মা গান্ধীর কিছু অমর বাণী

মহাত্মা গান্ধীর ১০ অমর বাণী 

  • জীবন নশ্বর, তাকে অমর করতে শেখো।

  • একজন মানুষ তার চিন্তার দ্বারা পরিচালিত, তার ভাবনার মতোই তার ভবিষ্যতের চেহারা হয়।

  • দুর্বল মানুষ ক্ষমাশীল হতে পারে না, ক্ষমা শক্তিমানের ধর্ম।

  • শক্তি দেহের ক্ষমতা থেকে আসে না, আসে মনের বলের মাধ্যমে।

  • কয়েক টন ব্যক্তিত্বের থেকে এক আউন্স ধৈর্য অনেক দামি।

  • চোখের বদলে চোখ গোটা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।

  • অহিংসভাবে তুমি গোটা বিশ্বকে আন্দোলিত করতে পারো।

  • নিজেকে পালটাও, নিজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

  • প্রতিদিন কিছু শেখো, প্রতিদিন পরিণত হও।

  • লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টার মধ্যে সম্মান আছে, শুধু লক্ষ্যে পৌঁছনোর মধ্যে নয়।

শেষ কথা 

২রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবর -কে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।একজন শিক্ষিত ব্রিটিশ আইনজীবী হিসেবে, গান্ধী প্রথম তাঁর অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। ভারতে ফিরে আসার পরে কয়েকজন দুঃস্থ কৃষক এবং দিনমজুরকে সাথে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা এবং বহু বিস্তৃত বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পর গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু এর সবগুলোই ছিল স্বরাজ অর্থাৎ ভারতকে বিদেশী শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। ১৯৩০ সালে গান্ধী ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দীর্ঘ ডান্ডি লবণ কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৪২ সালে ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতে কারাবরণ করেন। মহাত্মা গান্ধী সমস্ত পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেটি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার নিজের পরিধেয় কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুতি এবং শাল যা তিনি নিজেই চরকায় বুনতেন। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে ফলমূ্লই বেশি খেতেন। আত্মশুদ্ধি এবং প্রতিবাদের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য উপবাস থাকতেন।

The post গান্ধী জয়ন্তী প্রবন্ধ রচনা – Gandhi Jayanti Essay in Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য – Bangla Health Tips for Pregnancy

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমরা জানবো যে  আমাদের দেশে ও রাজ্যের অনেক জাগায় অনেক মহিলারা আছেন যারা গর্ভাবস্থার সময় জানেন না তাদের খাদ্য ও সব কিছুর নিয়ম কানুন, হ্যা এই সময়টা আপনার জন্য আর আপনার আসন্ন অথিতির জন্য ভাবতেই হবে। তাই আজকে বেশ কিছু পরামর্শ নিয়ে আপনাদের সাথে ব্যাপার গুলো শেয়ার করছি। আশা করি আপনারা ওএকটাই উপকার পাবেন। শেয়ার করবেন ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। স্বাভাবিক হলেও এ সময় শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। সে জন্য গর্ভকালীন কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়, সহজে এসবের সমাধান সম্ভব। তবে অনেক সময় কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ সমস্যাও বেশ কষ্ট দেয়। প্রত্যেক গর্ভবতী মা-ই ৯ মাসের সুস্থ-স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা প্রত্যাশা করেন। সুস্থ গর্ভাবস্থায় কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যসেবা

মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য গর্ভবতী মায়ের ‘প্রসবপূর্ব যত্ন’ করাতে হবে নিয়মিত। এ জন্য আদর্শ হচ্ছে, গর্ভাবস্থায় সময় আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী যেতে হতে হবে  বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কোনো অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে। প্রথম সাত মাসে প্রতি মাসে একবার করে মোট সাতবার (প্রতি চার সপ্তাহে একবার), অষ্টম মাসে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে মোট দু’বার এবং পরে সন্তান প্রসব হওয়ার আগপর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার করে মোট পাঁচবার, সর্বমোট ১৪ বার যাওয়াটা আদর্শ। কিন্তু এটা অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে কমপক্ষে তিনবার যেতেই হবে। প্রথম ২০ সপ্তাহের মধ্যে একবার, ৩২ সপ্তাহের সময় একবার এবং ৩৬ সপ্তাহের সময় একবার।

গর্ভবতী মায়ের ইতিহাস

চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে শেষ মাসিকের ইতিহাস জানতে হবে। শেষ মাসিকের তারিখ থেকেই তারা সন্তান হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেন। পূর্ববর্তী গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন ইতিহাসও বলতে হবে। সে হিসেবে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হবে, না কোনো অপারেশনের প্রয়োজন পড়বে, হাসপাতালে হবে, না বাড়িতে হবে- তার সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী। ধনুষ্টঙ্কারের টিকা নেওয়া আছে কি-না, সে খবর দিতে হবে। টিকা না নিয়ে থাকলে নিতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা

শরীরের উচ্চতা ও ওজন ঠিক আছে কি-না, রক্তশূন্যতা আছে কি-না, উচ্চ রক্তচাপ আছে কি-না- এসবই দেখা হয় ‘প্রসবপূর্ব যত্ন’তে। হাতে, পায়ে বা শরীরের অন্যান্য স্থানে জল এসেছে কি-না (প্রি-এক্লপশিয়া), তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হয় গর্ভাবস্থায়।

ল্যাবরেটরি পরীক্ষা

রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা জরুরি। সিফিলিস, ডায়াবেটিস আছে কি-না, তা আগেভাগেই পরীক্ষা করিয়ে নিলে সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। গর্ভের ভ্রূণ ঠিকমতো বাড়ছে কি-না, ভ্রূণের কোনো শারীরিক ত্রুটি আছে কি-না, জরায়ুর ভেতর জলের পরিমাণ ঠিক আছে কি-না, জরায়ুর ভেতর ফুলের অবস্থান কোথায় বা কেমন ইত্যাদি দেখার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হয়।

উপদেশ 

স্বাস্থ্যকর খাবার

খাবারে থাকতে হবে একটু বাড়তি ক্যালরি। এ ছাড়া গর্ভের সন্তানের জন্য বাড়তি খাবার প্রয়োজন। কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সে জন্য খাবারে থাকতে হবে পর্যাপ্ত আঁশ। খাবারের আঁশ ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করবে। খাবারে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ। শাকসবজি, ফলমূলে পাওয়া যাবে এগুলো। মাছ খাওয়া ভালো। যথেষ্ট জলও পান করতে হবে প্রতিদিন।

পরিমিত বিশ্রাম 

একেবারে শুয়ে-বসে থাকাও নয়, আবার দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনিও নয়। কাজের ফাঁকে চাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম। স্বাভাবিক কাজকর্ম করবেন। তবে ভারী কাজ, যেমন কাপড় কাচা, ভারী জিনিস তোলা, দ্রুত চলাফেরা এসব এড়িয়ে চলবেন। পরিশ্রমের ব্যাপারে প্রথম তিন মাস ও শেষ দু’মাস খুবই সতর্ক থাকবেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা ধীরে করবেন।

পর্যাপ্ত ঘুম

গর্ভবতী মা দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা ঘুমাবেন। রাতে ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমাবেন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আরামদায়ক সুতির ঢিলেঢালা পোশাকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ থাকবে স্বাভাবিক। হাই হিল জুতা স্বাস্থ্যকর নয়। ফ্ল্যাট চটি ভালো, তাতে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা বজায় থাকবে। পিঠ, কোমর ও পায়ের পেশিতে ব্যথামুক্ত থাকা যাবে।

সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন

গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে গর্ভের সন্তান কম ওজনের হয়। পরোক্ষ ধূমপানেও একই ক্ষতি হয়। অর্থাৎ নিজে তো করবেনই না তারপর অন্য কেউ আসে পাশে করলে সেখান থেকে সরব পড়ুন।

প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ পরিহার করুন

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গর্ভের সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে। তাই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না।বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া 

গর্ভাবস্থায় তিন মাস দিনের শুরুতে বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয়। এই সমস্যা হলে অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিস্কুট, টোস্ট-জাতীয় শুকনো কিছু খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। তৈলাক্ত খাবার কম খেলে উপকার পাওয়া যায়। বমি খুব বেশি হলে কিংবা সমস্যাটা তিন মাসের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বুক জ্বালা

গর্ভকালীন এসিডিটির জন্যও এ সমস্যা হতে পারে। এসিডিটি বা বুক জ্বালাপোড়া হলে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার না খেলেও উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার সময় জল কম পান করতে হবে। খাওয়ার পরপরই উপুড় হওয়া বা বিছানায় শোয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। পরামর্শ ছাড়া কোনো রকম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ওষুধ খাবেন না।

কোষ্ঠকাঠিন্য

গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সে জন্য প্রচুর জল পান করতে হবে। দৈনিক অন্তত সাত থেকে আট গ্লাস । আঁশ আছে এ রকম খাবার, যেমন_ শাকসবজি, ফলমূল, বিচিজাতীয় খাবার, ডাল, গমের আটা ইত্যাদি খেতে হবে বেশি বেশি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পায়খানা নরম করার জন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। ইসবগুলের ভুসির শরবত দৈনিক দু-এক গ্লাস খেতে পারলে উপকার পাওয়া যাবে।

অর্শ ও পাইলস

দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে অর্শ হতে পারে। অর্শ হলে পায়খানা করার সময় মলদ্বারের রক্তনালি ছিঁড়ে রক্ত বের হয়। মলদ্বার ব্যথা হয়। অর্শ সমস্যা যেন না হয়, সে জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আর এ জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে; বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। আর অর্শ হয়ে থাকলে মলদ্বারের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে এক খণ্ড বরফ টিস্যুতে বা কাপড় পেঁচিয়ে মলদ্বারে ধরে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে। একটা পাত্রে হালকা গরম জল দিয়ে দিনে কয়েকবার তাতে কিছুক্ষণ বসে থাকলেও উপকার পাওয়া যাবে।

ঘন ঘন প্রস্রাব

গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হয় এবং প্রস্রাবের থলিতে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। এ কারণে প্রস্রাবের থলি পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়। সে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, এ জন্য দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। ঘন ঘন প্রস্রাব হয় বলে জল কম খাওয়া উচিত নয় বরং পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রস্রাব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে কোনো ইনফেকশন আছে কি-না কিংবা ডায়াবেটিস আছে কি-না তা দেখে নেওয়ার জন্য। থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা

সামান্য কাশি হলে কিংবা সামান্য ভারী কিছু ওঠানোর সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এই সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবের এমন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রস্রাবের রাস্তা ও মলদ্বারের আশপাশের মাংসপেশির ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে।

নিম্নাঙ্গ বা পায়ের পেশিতে খিঁচুনি ও ব্যথা

সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে এবং বিশেষ করে রাতের বেলায় হাঁটুর নিচে পায়ের পেছনের পেশিতে (কাফ মাসলা) খিঁচুনি ও ব্যথা হয়। শোবার আগে কাফ মাসলের ব্যায়াম করলে পেশির খিঁচুনি হওয়ার আশঙ্কা কমে, আর খিঁচুনি হলে পায়ের আঙুলগুলো হাঁটুর দিকে বাঁকা করে টান টান করে কাফ মাসলের স্ট্রেচিং ব্যায়াম করতে হবে, তাতে খিঁচুনি কমবে।বিছানা থেকে উঠে একটু হাঁটলেও খিঁচুনি ও ব্যথা কমতে পারে। সাধারণত ক্যালসিয়ামের অভাবে এ ধরনের ব্যথা হয়, কাজেই ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার খেলে উপকার হবে। প্রয়োজন অনুসারে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।

পিঠে বা কোমরে ব্যথা

গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বেড়ে যায়। তা ছাড়া অস্থিসন্ধির লিগামেন্টগুলোও কিছুটা নরম ও নমনীয় হয়, এসব কারণে পিঠে ও কোমরে ব্যথা হতে পারে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। দাঁড়ানো বা বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। একটানা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে না থেকে মাঝেমধ্যে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। উঁচু হিলের জুতা ব্যবহার না করে নিচু হিলের জুতা ব্যবহার করতে হবে।

তলপেটে ব্যথা

জরায়ু ধীরে ধীরে বড় হয়ে এর আশপাশের লিগামেন্টে টান পড়ার জন্য তলপেটে ও কুঁচকিতে হালকা ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা স্বাভাবিক। এ ব্যথা পাঁচ-ছয় মাসের দিকে হয়।

পায়ে জল আসা

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে পায়ে কিছু জল আসতে পারে। তবে অতিরিক্ত পা ফোলা বা পা ফোলার সঙ্গে রক্তচাপ বেশি থাকলে প্রি-একলামশিয়ার চিন্তা করা হয়, তখন ডাক্তারের পরামর্শমতে চিকিৎসা নিতে হবে।

শেষ কথা 

গর্ভাবস্থার সময়ে বাড়ির লোককে অনেকটাই সচেতন থাকতে হয় যাতে করে গর্ভবতীর কোনোরকম অসুবিধে না হয়। বেশি চিল্লা মিল্লি, জোরে সাউন্ড সোনা।.বা জোরে গান সোনাও খারাপ। ভালো মন্দ খাবার দাবার এর অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। কোনো কিছু দরকারের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শই একমাত্র কাজ। অন্যের কোথায় না জেনে না শুনে কোনো কিছু করবেন না ,ধন্যবাদ

 

The post গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য – Bangla Health Tips for Pregnancy appeared first on Chalo Kolkata.

জেনে নিন ভারতবর্ষে সব থেকে বড়ো মূর্তি কি

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমরা জানবো যে  আমাদের দেশে সব থেকে বড়ো মূর্তি কি ও তার সমন্ধে।

সর্দার প্যাটেলের 185 মি উঁচু স্ট্যাচু নিয়ে বাঙালির অতিবাম ফেসবুক বিপ্লব অব্যহত। বক্তব্য 3 হাজার কোটি টাকা বাজে খরচ। কেন কৃষিকাজে বা শিক্ষাখাতে সে খরচ হবে না, ইত্যাদি। যদিও বলে নেওয়া ভাল, শুধু এফসিআই-এর মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যে ভর্তুকি দিয়ে থাকে বছরে 70 হাজার কোটি টাকার উপর। বাকি ভর্তুকির কথা নয় ছেড়েই দিলাম।

যারা এই অতিবিপ্লব করছেন, তাদের কাছে এই প্রশ্ন রাখা নিশ্চয় সঙ্গত যে আপনারাই বা সিনেমা দেখেন কেন? মাল্টিপ্লেক্সে একটা সিনেমার টিকিটের টাকায় দশজন গরীবের খাওয়া সম্ভব। তাহলে সিনেমা না দেখে গরীবদের জন্য পঙতিভোজন করান? জানি, এক্ষেত্রে উত্তর আসবে -কেনরে বাপু। আমি সিনেমাও দেখি, আবার সাধ্যমত গরীবদের সাহায্য ও করি।

তা সরকার কি আলাদা? সরকারও প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার উপর গরীবদের জন্য ভর্তুকি দেয়। আবার তাদেরও তো আদর্শ অনুযায়ী শখ আহ্লাদ আছে। তাই সামান্য কিছু স্ট্যাচু খাতে খরচও করে! 1932-1933 পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ানে চলেছে পৃথিবীর সব থেকে বড় দুর্ভিক্ষ। হলডোমার। যাতে ইউক্রেনে মারা যায় 70 লাখের বেশী মানুষ। সেই বছর কি সোভিয়েত ইউনিয়ানে লেনিনের স্ট্যাচু বসানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল ?

এবার প্রশ্ন উঠবে জাতির জনক মহত্মাগান্ধী বা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর স্ট্যাচু নয় কেন? কেন সর্দার প্যাটেল?
মহত্মা গান্ধীর স্ট্যাচুর দরকার নেই। তিনি এবং গৌতম বুদ্ধ, সর্বকালের সেরা ভারতীয়। যাদের গোটা পৃথিবী চেনে। আর কংগ্রেস ৪০ বছর ক্ষমতায় থেকে এত কিছু নেহরুর নামে চালিয়েছে, ভারতের একটু ডিনেহেরুফিকেশন হলে খারাপ কিছু হবে না। প্রশ্ন উঠবে তাহলে নেতাজি, বাবা সাহেব আম্বেদকর এদের স্ট্যাচু?

এখানে খেয়াল রাখতে হবে, স্ট্যাচুর অর্ধেক টাকা দিয়েছে গুজরাত সরকার। এটা গুজরাতের মানুষের টাকা। তারা তো নিজেদের ভূমিপূত্রকেই সন্মান জানাবে। কিন্ত সর্দার প্যাটেল গুজরাটের জন্য কি করেছিলেন?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের দুজন ব্যক্তি আমাদের বিশেষ পছন্দের। বাবা সাহেব আম্বেদকর এবং সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল। বাবা সাহেবের লেখা পড়ে আমি মুগ্ধ হই তার রাজনৈতিক জ্ঞানের গভীরতায়। পরিস্কার ভাবেই বলা যাক, গান্ধী, নেহরু, নেতাজি বা অন্য কোনও ভারতীয় নেতা রাজনৈতিক দর্শনের প্রজ্ঞায় বাবা সাহেবের সমান ছিলেন না। কিন্ত তিনি মহারাষ্ট্রের ভূমিপুত্র।

দ্বিতীয় জন বল্লভ ভাই প্যাটেল। সর্দার প্যাটেল ছিলেন দক্ষ এক্সিকিউটিভ। তাঁকে যখনই যে কাজ দেওয়া হয়েছে দ্বায়িত্ব নিয়ে তাতে সফল হয়েছেন। সাংগঠনিক ক্ষমতায় তাঁর ধারে কাছে কেউ ছিল না।

রাজনীতিতে তার প্রবেশ খেদা সত্যাগ্রহে (1918)। তিনি তখন বৃটেন ফেরত স্যুটেড বুটেড ব্যরিস্টার। আমেদাবাদে ভাল পসার। খেদা গুজরাতের একটা জেলা। খরার কারনে চাষিরা ট্যাক্স দিতে পারছিল না। পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট শুরু করে অত্যাচার। গান্ধীর নির্দেশে খেদার গ্রামে গ্রামে ঘুরে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে কৃষকদের সংগঠিত করেন সর্দার। ছ’মাসে প্রায় হাজার খানেক গ্রাম ঘুরেছেন সর্দার প্যাটেল। পুলিশ গ্রামে গ্রামে হানা দিয়ে কৃষকদের ছাগল গরু সব কিছু বাজেয়াপ্ত করেছে। এরকম কোনঠাসা অবস্থায়ও সম্পূর্ণ অহিংসভাবে আন্দোলন করতে থাকে কৃষকরা। তারা কোনও মতেই বৃটিশকে ট্যাক্স দেবে না। এক বছরের মধ্যে কর মকুব করতে বাধ্য হয় বৃটিশ রাজ। এটিই ছিল ভারতের তৃতীয় সত্যাগ্রহ, যা সব থেকে বেশী সফল হয়। অন্যদিকে সর্দার প্রমান করলেন-তিনি কাজের লোক। বাজে বকতেন কম, কাজ করেন বেশি। খেদা সত্যাগ্রহের ফলে তিনিই হলেন গুজরাতের সর্বজনগ্রাহ্য কৃষক নেতা।

সর্দার প্যাটেলকে ভাল লাগার আমার অন্য আর একটা কারণ আছে। নেতাজি, ফিদেল কাস্ত্রো, লেনিন, স্ট্যালিন এরা একদম ছাত্রাবস্থা থেকে আগুন খেকো বিপ্লবী। যাকে হলে, হার্ড ওয়ার্ড বিপ্লবী। সর্দার কিন্ত আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ছিলেন প্রথম জীবনে। পাতিদার কাস্টে ( যা এখন ওবিসি ভুক্ত) জন্ম, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে, চাকরির টাকা জমিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে আইন পাশ করেন ( বই কেনার টাকা ছিল না, এর ওর কাছে ধার করে পড়তেন)। নেহরু, নেতাজি বা গান্ধীর মতন বাপের টাকায় উনি বৃটেন যাননি। ফিরে এসে আমেদাবাদে আইন ব্যবসায় ভাল পসার করছিলেন। ব্রিজ খেলতে খুব ভালবাসতেন। একদম সাধারন পরিশ্রমী, মেধাবী একজন মানুষ।

কিন্ত এই মানুষটাকেই আগাপাস্তালা পালটে দিলেন গান্ধী। গান্ধীর সাথে প্যাটেলের দেখা অক্টোবর 1917। এর আগে গান্ধীর রাজনীতি নিয়ে বন্ধু মহলে হাসি ঠাট্টা করতেন সর্দার। গান্ধীই তাকে দেখালেন খেদা জেলায় কৃষকদের দুর্দশা। সুটেড বুটেড :ব্যরিস্টার লোকটা সব কিছু ছেড়ে খাদি ধরল। কৃষকদের সাথে ওঠা বসাই তাকে চিনিয়ে দিল আসল ভারতবর্ষ। তিনি হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের নাম্বার ওয়ান অর্গানাইজার, ফান্ড রেইজার। বাকি সবাই নেতা। কিন্ত কংগ্রেসের সংগঠন সর্দারকে ছাড়া ভাবা যায় না। লোকটা গোছানো, সিস্টেমেটিক এবং কার্যসিদ্ধির জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আগেই লিখেছি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা আসেনি-এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে। কিন্ত তা সত্ত্বেও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসের সব থেকে গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ, এই আন্দোলনই জন্ম দিয়েছে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের । শত্রুকে ভালোবেসে বিজয়ের শিক্ষা আর কোনও দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেই পাওয়া যাবে না। আর এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ক্ষেত্রে গান্ধী যদি হন বুদ্ধ, তাহলে সর্দার প্যাটেল ছিলেন আনন্দ।

ঠিক এই কারনেই 500টি দেশীয় রাজ্যের ভারত অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্যাটেলই ছিলেন যোগ্য কমান্ডার। খুব বেশী লিব্যারাল নেতাকে এই কাজ দিলে, ভারতের অনেক জমি হাতছাড়া হত। আবার খুব বেশী দক্ষিনপন্থী নেতার হাতে এই কাজ এলে, প্রচুর রক্তপাত অবধারিত ছিল। কিন্ত সর্দার প্যাটেলের সুদক্ষ নেতৃত্বে এর কোন এক্সট্রিমই হয়নি- খুব কম মিলিটারি ইন্টারভেনশনেই অধিকাংশ দেশীর রাজ্যের ভারতভুক্তি সম্ভব হয়েছে।

শুধু তাই না, গুজরাতে নারী শিক্ষা, মেয়েদের ভোটাধিকার, মুসলমান, দলিতদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া, কৃষক সভা, শ্রমিক ইউনিয়ান -ইত্যাদি সব বিষয়ে তিনিই পথিকৃত। এমন একজন মহামানব গুজরাত পুত্রকে যদি গুজরাতবাসী তিন হাজার কোটি টাকার স্ট্যাচু তৈরি করে সন্মান জানায়, তাতে বাঙালির গাত্রদাহ কেন? বাঙালির ট্যাঁকে জোর থাকলে তারা 209 মিটার উচ্চতার নেতাজি বা বিদ্যাসাগরের স্ট্যাচু তৈরি করুক।

সাহিত্যের পথে গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন “অতএব, যদি এমন কথা কেহ বলিত যে, আজকাল বাংলাদেশে কবিরা যে সাহিত্যের সৃষ্টি করিতেছে তাহাতে বাস্তবতা নাই, তাহা জনসাধারণের উপযোগী নহে, তাহাতে লোকশিক্ষার কাজ .. কিন্তু, কালিদাস যদি কবি না হইয়া লোকহিতৈষী হইতেন তবে সেই পঞ্চম শতাব্দীর উজ্জয়িনীর কৃষাণদের জন্য হয়তো প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগী কয়েকখানা বই লিখিতেন – তাহা হইলে ..”

কবিগুরুর কথা ধার করেই বলি, দারিদ্র দুর্দশা পৃথিবীতে থাকবেই, তা বলে কী হাজার কোটি টাকা বাজেটের ‘অবতার’বা ‘বাহুবলি’র মতন সিনেমা তৈরি হবে না?

185 মিটার লম্বা স্টিল স্ট্যাচু ইঞ্জিনিয়ারং মার্ভেলও বটে। একটা খবর বাজারে ঘুরছে, যে স্ট্যাচুটি মেইড ইন চায়না। সেটাও ঠিক না। এর ডিজাইনার ভারতের লার্সন অ্যান্ড টুব্রো। স্টিল ভারতেরই। শুধু ব্রোঞ্জ কাস্টিং চিনের ফাউন্ড্রি থেকে করিয়ে আনাতে হয়েছে, কারন অত বড় ফাউন্ড্রি ভারতে নেই। এটি ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিজ্ঞাপন ও বটে। ইঞ্জিনিয়ারং আউটসোর্সিং থেকে ভারতের ইনকাম 1 বিলিয়ান ডলার বা 150 x7000 = 1050,000 কোটি টাকা। 3হাজার কোটি টাকা, তার 0.3% মাত্র। ওই টুকু ভারতের প্রযুক্তির বিজ্ঞাপন খাতে খরচ বলেও ধরা যায়।

The post জেনে নিন ভারতবর্ষে সব থেকে বড়ো মূর্তি কি appeared first on Chalo Kolkata.

বাংলা নাটক হাসির – Bengali Drama Comedy

$
0
0

বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। তা বন্ধুরা তোমরা তো অনেকেই সিনেমা দ্যাখো আবার একে তাকে দেখাও সেটা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু বন্দুরা তোমরা নাটক দ্যাখো তো বা অন্যদের নাটক দেখাও তো। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা আবার অনেকেই জানি যে সমাজে সিনেমার থেকে বহু পুরোনো নাটক, থিয়েটার আর তার থেকেও পুরোনো যাত্রা। তা বন্ধুরা আজ আমাদের একটু আলোচনা হলো বাংলা নাটক ও তার পরিচয় সমন্ধে।

নাটক যাকে আমরা ইংরেজিতে বলে থাকি Drama সাহিত্যের একটি বিশেষ ধরণ। সাধারণত একটি লিখিত পাণ্ডুলিপি অনুসরণ করে অভিনয় করে নাটক পরিবেশিত হয়ে থাকে। নাটক লেখা হয় অভিনয় করার জন্য। তাই নাটক লেখার আগেই তার অভিনয় করার যোগ্য হতে হয়। নাটকে স্থান, সময় ও পরিবেশের বর্ণনা ছাড়াও সংলাপ লেখা থাকে। সংলাপ বলেই একজন অভিনতা নাটকের বিভিন্ন বিষয়ে বলে থাকেন। তবে সংলাপই শেষ কথা নয়। সংলাপবিহীন অভিনয়ও নাটকের অংশ।

নাটক দৃশ্য ও শ্রব্যকাব্যের সমন্বয়ে রঙ্গমঞ্চের সাহায্যে গতিমান মানবজীবনের প্রতিচ্ছবি আমাদের সম্মুখে মূর্ত্ত করে তোলে। রঙ্গমঞ্চের সাহায্য ব্যতীত নাটকীয় বিষয় পরিস্ফুট হয় না। নাট্যোল্লিখিত কুশীলবগণ তাদের অভিনয়-নৈপুণ্যে নাটকের কঙ্কালদেহে প্রাণসঞ্চার করেন, তাকে বাস্তব রূপৈশ্বর্য্য দান করেন। নাটকে অনেক সময় পাত্র-পাত্রীদের কথায় নাট্যকার নিজের ধ্যান-ধারণার কথাও সংযোগ করে দেন। এইজন্য এটি সম্পূর্ণরূপে বস্তুনিষ্ঠ বা তন্ময় বা অবজেকটিভস্‌ না-ও হতে পারে। কিন্তু শ্রেষ্ঠ নাট্যকার নিজেকে যথাসাধ্য গোপনে রাখেন এবং তাঁর চরিত্র-সৃষ্টির মধ্যে বিশেষ একটি নির্লিপ্ততা বর্তমান থাকে।

সংস্কৃত নাটক

সংস্কৃত নাটকে দেখা যায় যে, প্রথমতঃ পূর্বরঙ্গ বা মঙ্গলাচরণ, দ্বিতীয়তঃ সভাপূজা (সামাজিকগণের), তৃতীয়তঃ কবিসংজ্ঞা বা নাটকীয় বিষয়-কথন এবং তারপর প্রস্তাবনা। ‘মঙ্গলাচরণে’ সূত্রধর (তিনি জাতিতে ব্রাহ্মণ, সংস্কৃতজ্ঞ ও অভিনয়-পটু) রঙ্গভূমিতে উপস্থিত থেকে অভিনয়-কার্য্যের বিঘ্নপরিসমাপ্তির জন্য যে মঙ্গলাচরণ করেন তার নাম ‘নান্দী’। প্রস্তাবনার পর সাধারণতঃ প্রথম অঙ্ক আরম্ভ হয়। নাটকীয় কুশীলবগণ ‘সূচিত’ না হয়ে রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করতে পারে না। শুধু নায়ক বা আর্ত্ত যে-কোন চরিত্রের প্রবেশের জন্য সূচনার প্রয়োজন নেই। নাটকের ভাষায় গদ্য ও পদ্য উভয়ই ব্যবহৃত হয়। তবে, সংস্কৃত নাটকে বিদ্বানপুরুষ সাধারণতঃ সংস্কৃত, বিদুষী মহিলাগণ শৌরসেনী, রাজপুত্র ও শ্রেষ্ঠিগণ অর্দ্ধমাগধী, বিদূষক প্রাচ্যা এবং ধূর্ত্ত অবন্তিক ভাষা ব্যবহার করতেন।

নাটকের ঐক্যনীতি 

সনাতনপন্থী নাট্যকারগণ নাটকে তিনটি ঐক্যনীতি মেনে চলতেন। সেগুলো হলোঃ-

  1. স্থানের ঐক্যঃ নাটকে এমন কোন স্থানের উল্লেখ থাকতে পারবে না, যেখানে নাট্য-নির্দেশিত সময়ের মধ্যে নাটকের কুশীলবগণ যাতায়াত করতে পারে না।
  2. ঘটনার ঐক্যঃ নাটকে এমন কোন দৃশ্য বা চরি
  3. সময়ের ঐক্যঃ নাটকীয় আখ্যানভাগ রঙ্গমঞ্চে দেখাতে যতক্ষণ সময় লাগে, বাস্তব জীবনে সংঘটিত হতে যেন ঠিক ততক্ষণ লাগে, এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এরিস্টটল এই কাল-নির্দেশ করতে গিয়ে একে ‘সিঙ্গেল রিভোলিউশন অব দ্য সান’ অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছেন।
  4. ত্র সমাবেশ থাকবে না, যাতে নাটকের মূল সুর ব্যাহত হতে পারে। সমস্ত চরিত্র ও দৃশ্যই নাটকের মূল বিষয় ও সুরের পরিপোষকরূপে প্রদর্শিত হওয়া চাই এবং নাটকটি যেন আদি, মধ্য ও অন্ত-সমন্বিত একটি অখণ্ডরূপে পরিস্ফুট হয়।

নাটকের উপাদানগুলি হল 

  • মূল ভাবনা বা প্রেমিজ: একটা নাটক তার দর্শককে কিছু বলতে চায়। নাট্যকার একটি ধারণাকে অবলম্বন করে একটি কাহিনী তৈরি করেন। কাহিনীর মাধ্যমে তিনি তার ধারণাটিকে বলেন। তার এই মূল বক্তব্যটিই হল মূল ধারণা বা প্রেমিজ।
  • কাহিনী বা প্লট: নাটকে সাধারণত একটি ঘটনা থাকে। কাহিনীর শুরু, মধ্য ও শেষ থাকে। এক বা একাধিক মানুষের বা চরিত্রের কাহিনী বর্ণিত হতে থাকে। প্রধান কাহিনীর পাশাপাশি নাটকে উপ-কাহিনী বা সাব-প্লট থাকতে পারে। তবে উপ-কাহিনী প্রধান কাহিনীকে সহায়তা করে।
  • চরিত্র: নাটক যেই ব্যক্তিগুলোর কাহিনী বর্ণনা করে সেই ব্যক্তিগুলোই নাটকের চরিত্র। মূলত একটি নাটকে একজন প্রধান চরিত্র হয়। চরিত্রটি নাটকের শুরুতে যে রকম থাকে, নাটকের শেষে সে রকম থাকে না। ঘটনাপ্রবাহের প্রবাহে তার মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন ঘটে।
  • সংলাপ: নাটকের চরিত্র বা পাত্রপাত্রী কথোপকথন আকারে যা বলে সেটাই সংলাপ। সোজা কথায়, নাটকের চরিত্রের মুখের কথাগুলোকেই সংলাপ বলে।

নাটকের শ্রেণীবিভাগ 

নাটকের শ্রেণীবিভাগ কোনো বিশেষ বিষয়কে ভিত্তি করে করা হয়নি। নানারকম বিষয়বস্তু অনুসারে নাটককে নানাভাবে শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। নাটকের শ্রেণীবিভাগগুলো এরকম

ক) ভাব সংবেদনা রীতি অনুসারে 1. ট্রাজেডি 2. কমেডি 3. ট্রাজি-কমেডি 4. মেলোড্রামা ও 5. ফার্স।

খ) বিষয়বস্তুর উৎসরীতি অনুসারে 1. পৌরাণিক 2. ঐতিহাসিক3. ঐতিহাসিককল্প চরিত্রমূলক (০৪ ) সামাজিক (০৫) পারিবারিক 6. উপকথাশ্রয়ী ও 7.কাল্পনিক

গ) বিষয়বস্তুর প্রকৃতি অনুসারে 1. ধর্মমূলক 2. নীতিমূলক 3. আধ্যাত্মিক 4. রাজনৈতিক 5.  অর্থনৈতিক 6. প্রেমমূলক 7. দেশপ্রেমমূলক 8. সমাজরীতিমূলক 9. ষড়যন্ত্রমূলক 10. রোমাঞ্চকর দুঃস্বাহসমূলক ও 11. অপরাধ আবিষ্কারমূলক প্রভৃতি

ঘ) উপাদানযোজনা বৈশিষ্ট্য অনুসারে 1. গীতিনাট্য বা অপেরা 2. যাত্রা 3. নৃত্যনাট্য 4. নাটক বা ড্রামা

ঙ) আয়তন বা অঙ্কসংখ্যা অনুসারে 1. মহানাটক 2. নাটক 3. নাটিকা 4. একাঙ্কিকা

চ) গঠন রীতি অনুসারে 1. ক্লাসিক্যাল 2. রোমান্টিক 3. দৃশ্যাবলী

ছ) রচনারীতি অনুসারে 1.পদ্যনাটক 2. গদ্যনাটক 3. গদ্য-পদ্যময় নাটক

জ) উপস্থাপনারীতি অনুসারে 1. বাস্তবিক নাটক 2. ভাবতান্ত্রিক নাটক 3. রূপক নাটক 4. সাংকেতিক নাটক 5.এক্সপ্রেশানিস্টিক নাটক

ঝ) উদ্দেশ্য অনুসারে 1. ঘটনামূখ্য (মোলোড্রামা) 2. চরিত্রমূখ্য (চরিত্রনাট্য) 3. রসমূখ্য (রসনাট্য) ও 4. তত্ত্বমূখ্য (তত্ত্বনাটক)

শেষ কথা 

বর্তমান সমাজে বা বর্তমান কাল এ আমরা প্রায় অনেকেই নাটক দেখা ভুলে গেছি। কিন্তু বন্ধুরা একটা কথা বলতে পারি দায়িত্ত নিয়ে যে যারা অভিনয় ভালোবাসেন তারা একটু নাটক তা দেখুন। অনেক ভালো ভালো নাটক হয় এখনো কলকাতার বা বাংলাদেশের নামি দামি জায়গায়। তাই বার বার বলি সবাই একটু নাটক দেখার অভ্যাস করুন সিনেমার দেখার আগে। ধন্যবাদ।

The post বাংলা নাটক হাসির – Bengali Drama Comedy appeared first on Chalo Kolkata.

বাংলাদেশের রচনা – Bangladesh Paragraph in Bangla

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আজ কিন্তু আমি আমাদেরই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা দেশ বাংলাদেশ এর ব্যাপারে কিছু  আলোচনা করবো। আমরা সবাই জানি যে আমাদের দেশ স্বাধীন হবার আগে কিন্তু এই ভারত,বাংলাদেশ, আর পাকিস্তান একটাই দেশ ছিল হিন্দুস্থান বা ভারতবর্ষ। তারপর অনেক লড়াই করে এক এক করে ভাগ হবার পরেই নাম হলো বাংলাদেশ আর পাকিস্তান। ভারত বর্ষ স্বাধীন হবার পর কিন্তু পাকিস্তানের আন্ডার এ ছিল বাংলাদেশ। তার পর ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে নিজ দেশ গঠন করে ১৯৭১ স্বাধীন হয়।  বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি উর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত “বঙ্গ” অঞ্চলটির মানে পূর্ণ করে। “বঙ্গ” ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক’টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারতবিভাজন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের আয়তন ও লোকসংখ্যা 

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম যদিও আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৪তম; ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর নবম। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)। রাজধানী ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১.৪৪ কোটি এবং ঢাকা মহানগরীর জনঘনত্ব প্রতি বর্গমা্গইলে ১৯,৪৪৭ জন।[১১] দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা; সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ।

যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই বাংলাদেশের প্রাচীনতম যাতায়াত পথ হিসেবে গণ্য করা হয় নৌপথ বা জলপথকে। নৌপথের নদীপথ এবং সমুদ্রপথ উভয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থায় নদীপথ গুরুত্বপূর্ণ, তবে বহির্বিশ্বের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থায় সমুদ্রপথ ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৮৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌচলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার শুধু বর্ষাকালে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের নদীগুলো নৌচলাচলের জন্য বেশি উপযোগী। এ অঞ্চলেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরগুলো অবস্থিত: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা প্রভৃতি। নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই (৯৪%) নৌকা ও লঞ্চে এবং বাকিরা (৬%) স্টিমারে যাতায়াত করেন। দেশের সমুদ্রপথ মূলত ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রধান দুইটি সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর,মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর একাজে ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য “বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন” (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।

সংস্কৃতি

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহ্য হাজার বছরের বেশি পুরনো। ৭ম শতাব্দীতে লেখা বৌদ্ধ দোহার সঙ্কলন চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। মধ্যযুগে বাংলা ভাষায় কাব্য, লোকগীতি ও পালাগানের প্রচলন ঘটে। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে বাংলা কাব্য ও গদ্যসাহিত্যের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলা ভাষায় সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলার লোক সাহিত্যও সমৃদ্ধ; মৈমনসিংহ গীতিকায় এর পরিচয় পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের সংগীত বাণীপ্রধান; এখানে যন্ত্রসংগীতের ভূমিকা সামান্য। গ্রাম বাংলার লোক সঙ্গীতের মধ্যে বাউল গান, জারি, সারি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, গম্ভীরা, কবিগান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। গ্রামাঞ্চলের এই লোকসঙ্গীতের সাথে বাদ্যযন্ত্র হিসাবে মূলত একতারা, দোতারা, ঢোল, বাঁশি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

নৃত্যশিল্পের নানা ধরন বাংলাদেশে প্রচলিত। এর মধ্যে রয়েছে উপজাতীয় নৃত্য, লোকজ নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ইত্যাদি। দেশের গ্রামাঞ্চলে যাত্রা পালার প্রচলন রয়েছে। ঢাকা-কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র শিল্প হতে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হতে ১০০টি বাংলা চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়।

বিয়ের সাজে বৌ, বাংলাদেশের হস্তশিল্পের নমুনা বাংলাদেশে মোট প্রায় ২০০টি দৈনিক সংবাদপত্র ও ১৮০০রও বেশি সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে নিয়মিতভাবে পত্রিকা পড়েন এরকম লোকের সংখ্যা কম, মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫%। গণমাধ্যমের মধ্যে রেডিও অঙ্গনে বাংলাদেশ বেতার ও বিবিসি বাংলা জনপ্রিয়। সরকারি টেলিভিশন সংস্থা বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ১০টির বেশি উপগ্রহভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ও ৫টির বেশি রেডিও সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের রান্না-বান্নার ঐতিহ্যের সাথে ভারতীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের রান্নার প্রভাব রয়েছে। ভাতডাল ও মাছবাংলাদেশীদের প্রধান খাবার, যেজন্য বলা হয়ে থাকে মাছে ভাতে বাঙালি। দেশে ছানা ও অন্যান্য প্রকারের মিষ্টান্ন, যেমন রসগোল্লাচমচমসন্দেশকালোজাম বেশ জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের নারীদের প্রধান পোষাক শাড়ি। অল্পবয়স্ক মেয়েদের মধ্যে, বিশেষত শহরাঞ্চলে সালোয়ার কামিজেরওপ্রচলন রয়েছে। পুরুষদের প্রধান পোষাক লুঙ্গি, তবে শহরাঞ্চলে পাশ্চাত্যের পোষাক শার্ট-প্যান্ট প্রচলিত। বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরুষরা পাঞ্জাবী-পায়জামা পরিধান করে থাকেন।

কিছু মজার তথ্য 

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে দিয়ে ঘেরা এই দেশটির নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানে বাঙ্গালিদের দেশ বা বাংলাভাষার দেশ। এটি পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানকার মানুষ শুধু মাত্র ভাষার জন্য প্রান দিয়ে ছিল। বাংলাদেশের আধিকারিক নাম পিপিল রিপাব্লিক অফ বাংলাদেশ। এই দেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও এই দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি, প্রায় ১৬ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার জনসংখ্যা নিয়ে এই দেশ বিশ্বের অষ্টম সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে পরিচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিছু আজানা তথ্য এই বাংলাদেশের ব্যাপারে।

বাংলাদেশের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর হল ঢাকা। এই শহরে বাস করে প্রায় দেড় কোটি মানুষ আর এত বেশি জনসংখ্যার জন্যই এই শহরটি বিশ্বের জনবহুল শহর গুলির মধ্যে একটি। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ পাকিস্থানের অংশ ছিল।

বাংলাদেশ পৃথিবীর তৃতীয় সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ যা পাকিস্থান ও ইন্দোনেশিয়ার পড়েই স্থান পেয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা অবিভক্ত সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত যাকে আমরা কক্সবাজার নামে চিনি এটি প্রায় ১২০ কিলোমিটার লম্বা। বাঙ্গালির কথা হচ্ছে আর খাবারের কথা হবেনা তা কি হয় কথাতেই বলে বাঙ্গালিরা খাদ্য রসিক। আপনারা জেনে অবাক হবেন বাঙ্গালিদের কাছে এত রকমের খাবারের রেসিপি যা পৃথিবীর অন্য কোন জাতির কাছে নেই।

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। ছোট্ট এই দেশটিতে প্রায় সাতশোরও বেশি নদি আছে। গঙ্গাকে এখানে মেঘনা ও ব্রম্ভপুত্রকে এখানে যমুনা বলা হয়। এই দেশে সাতশোরও বেশি নদি থাকার জন্য এই দেশকে মাটি খুবই উর্বর, বাংলাদেশকে পৃথিবীর সবচেয়ে উর্বর মাটির দেশও বলা হয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিছু  বিশ্ব রেকর্ডের ব্যাপারে যা বাংলাদেশের নামে রয়েছে।

২০১৪ সালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয় বাংলাদেশ।  যা গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে।

শেষ কথা 

মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে, এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।। এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল, এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল।এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।। 

এটা কিন্তু একটা অতি জনপ্রিয় গান বা কবিতা আমাদের বাংলার। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।। আমার আঙিনায় ছড়ানো বিছানো, সোনা সোনা ধুলিকণা,মাটির মমতায় ঘাস ফসলে, সবুজের আল্পনা, আমার তাতেই হয়েছে স্বপ্নের বীজবোনা।। অরূপ জোছনায়, সাজানো রাঙানো ঝিলিমিলি চাঁদ তলে নিবিড় মমরায়, পিউ পাপিয়া হৃদয়ের দ্বার খোলে, আমি তাতেই রেখেছি স্বপ্নের দ্বীপ জ্বেলে।। ধন্যবাদ। 

The post বাংলাদেশের রচনা – Bangladesh Paragraph in Bangla appeared first on Chalo Kolkata.

সর্দার প্যাটেলের মূর্তি – Statue of Unity Height

$
0
0

ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের একটি বিশাল মূর্তি উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের নর্মদা জেলার ছোট্ট একটি দ্বীপে তৈরি করা এই মূর্তিটি এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি – স্ট্যাচু অফ লিবার্টির প্রায় দ্বিগুণ। এর নাম ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ বা ‘ঐক্যের মূর্তি।’

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এই মূর্তি তৈরির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয় আদিবাসী ও কৃষকদের একটা অংশ। তারা বলছেন, ফসলের দাম পাওয়া যাচ্ছে না, চাষের জল নেই – অথচ বিপুল অর্থ খরচ করে এই মূর্তি বানানো হল।

অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে যে সর্দার প্যাটেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নিষিদ্ধ করেছিলেন গান্ধী হত্যার অভিযোগে, যিনি এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিষ ছড়ানোর অভিযোগ করেছিলেন, তারই বিশালাকার মূর্তি কেন বানালেন আর এস এস থেকেই বিজেপিতে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? মূর্তি উন্মোচনের পরে দেওয়া ভাষণে মি. মোদী বলছিলেন, কেন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কাছে ভারতের মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

“বিশ্বের সবথেকে উঁচু এই মূর্তি গোটা পৃথিবী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সর্দার প্যাটেলের সাহস, সংকল্প এবং সামর্থ্যর ইতিহাস মনে করিয়ে দেবে। তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি ভারতমাতাকে টুকরো টুকরো করার চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন। কৌটিল্যের কূটনীতি এবং শিবাজী মহারাজের শক্তি একত্র হয়েছিল তার মধ্যে। বহু মতভেদ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সুষ্ঠু শাসন চালাতে হয়, সেটা সর্দার সাহেব করে দেখিয়েছিলেন,” বলছিলেন মি. মোদী।

তার কথায়, “আজ যদি কচ্ছ থেকে কোহিমা, কারগিল থেকে কন্যাকুমারী সহজে যাতায়াত করা যায়, সেটা সর্দার সাহেবের সংকল্পের ফলেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এরকম একজন মহাপুরুষকে কেন প্রশংসা করা হচ্ছে, শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে – তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে !”

একতা এক্সপ্রেস

সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ‘ঐক্যের মূর্তি’র উদ্বোধনে ‘একতা এক্সপ্রেস’ পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রেল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে আইআরসিটিসি। ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজকোট থেকে ‘একতা এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালানো হবে। পর্যটকদের জন্য টানা ১২দিন এই পরিষেবা প্রদান করা হবে।

রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ৩১ অক্টোবর ‘একতা এক্সপ্রেস’ যাত্রা শুরু করবে রাজকোটের উদ্দেশ্যে। এই বিশেষ ট্রেন রাজকোট, সুরেন্দ্র নগর, বিরামগম, সবরমতী, আনন্দ, ভদোদরা, ভারুচ, সুরাট, বাপি, কল্যাণ ও পুনে ছুঁয়ে যাবে। এই ট্রেনটি রামেশ্বরম, মাদুরাই, কন্যাকুমারী, কোচুভেলি, ত্রিভান্দুম, তিরুপতি, শিরদি এবং শনি শিংগনপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনেও পৌঁছবে।’স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিটিতে দুটি উচ্চ-গতির যাত্রী এলিভেটর রয়েছে, যা পর্যটকদের গ্যালারি থেকে মূর্তির সামনে নিয়ে যাবে। একসঙ্গে ২০০ পর্যটক উঠতে পারবেন এই এলিভেটরে। ১৮২ মিটার উচ্চতার ওই মূর্তি তৈরি করতে ২৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সময়ে লেগেছে ৩৩ মাস।

টানা ১২ দিন চলবে এই ট্রেন। আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মোট ৮০৪টি স্লিপার ক্লাসের বার্থ, ৬২টি থার্ড এসি বার্থ থাকেব এই বিশেষ ট্রেনে। আগ্রহী যাত্রীরা অনলাইন তাদের টিকিট বুকিং করতে পারবেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’র দ্বিগুণ উচ্চতার মূর্তি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র উদ্বোধন করবেন।
ধানমন্ত্রী মোদি জানান, এই মূর্তিটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ঠিক যেমন ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’ নিউ ইয়র্কের বুকে আকর্ষনীয়, তেমনই ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ ভারতের বুকে বিরাজমান থাকবে। গুজরাট সরকারের মতে, এটি প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার পর্যটক টানতে সক্ষম হবে।
গুজরাতে গোলমাল শুরু হলে কর্মরত সংস্থা তাদের শ্রমিকদের সুরক্ষিত রাখতে সমর্থ হয়েছেন। তবে সেই ভালো ভাগ্য গুজরাতের অন্য প্রান্তে কাজ করা বিহার বা উত্তরপ্রদেশের হয়নি। তাদের ভয়ে গুজরাত ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

গুজরাতে যেখানে জলের সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে, সেখানে নর্মদার পাড়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি বসানো নিয়ে প্রথম জোর বিতর্ক হয়েছে। এবং এখনও হয়েই চলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর একটি ইস্যু। যাতে রাজনীতির রং লেগেছে। গত মাসে গুজরাতে নাবালিকার যৌন হেনস্থার ঘটনায় সেরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের উপরে আক্রোশ গিয়ে পড়েছে।যার জেরে দলে দলে শ্রমিক গুজরাত ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এদের অনেকেই সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তির জন্য কাজ করছিলেন। সবমিলিয়ে মোট ৪৫০০ জন শ্রমিক ঐক্যের প্রতীক মূর্তি তৈরির কাজে লিপ্ত ছিলেন। বুধবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মূর্তি যার উচ্চতা ১৮২ মিটার তা উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার মধ্যেই আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছে। কোনও কোনও মহল থেকে ভূমিপুত্রদের উসকে দেওয়া হচ্ছে। বাইরের লোকেরা স্থানীয়দের কাজ ছিনিয়ে তাদের বেকার করে দিচ্ছেন, এমন অভিযোগও বাতাসে ছড়ানো হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে আতঙ্ক যেন গ্রাস করেছে। পাশাপাশি অন্য অসন্তোষও রয়েছে। নিউ ইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টি তৈরিতে বেশিরভাগ বিনিয়োগই বেসরকারি ছিল। আর এখানে ২৯০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে যার বেশিরভাগটাই সরকারি টাকা, অর্থাৎ জনগণের টাকা। এদিকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির একাংশ এটা ভেবে ক্ষুব্ধ যে এত বিশাল অঙ্কের টাকার সামান্যটুকুও সরকার তাদের পিছনে খরচের কথা ভাবেনি।

শেষ কথা 

বিজয় রূপানির সরকার বিলক্ষণ এই বিষয়ে খবর রাখছে। অসন্তোষ যে জমেছে তা সামনে না মানলেও পাল্টা ঐক্য তৈরিতে প্যাটেলের অবদানের কথা মনে করিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জনতাকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

The post সর্দার প্যাটেলের মূর্তি – Statue of Unity Height appeared first on Chalo Kolkata.

Viewing all 302 articles
Browse latest View live


Latest Images

<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>