Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all articles
Browse latest Browse all 302

গ্রীন টির,চা এর উপকারিতা – Benefits Of Green Tea In Bengali

$
0
0

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন ? সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠছেন তো ? হ্যা বন্ধুরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে তার ,মেজাজ টাই আলাদা হয়ে যায়। অনেক তাই ফ্রেশ লাগে। তবে সাথে এক কাপ চা তো লাগেই। তবে আমি বলবো যে সকালে আমরা সকলেই চা পান করে থাকি। নানান মানুষ নানান রকমের চা পান করে থাকেন। কিন্তু এখানে আমি একটা কোথায় বলবো যতটা পারবেন লিকার চা বা গ্রীন টি পান করার জন্য। হ্যা আমি জানি খেতে ভালো লাগেনা। স্বাস্থকর জিনিস কোনোদিন ভালো লাগবে না। কিন্তু আমাদের জন্য আমাদের সাস্থের জন্য আমাদের এটা করতে হবে। আজকে আমি আপনাদের এই গ্রীন টি ব্যাপারে কিছু স্বাস্থকর কথা বলবো। আজকাল চা পান করাটা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হয়ে দাড়িয়েছে। সে রং চা, দুধ চা বা সবুজ চা হোক না কেন । জীবনের কর্ম ব্যস্ততায় এক কাপ চা যেন প্রশান্তি এনে দেয়। চা পান কমবেশি আমরা সবাই করে থাকি। কিন্তু চা এর উপকারিতা সম্পর্কে কমই জানি আমরা। আজ সবুজ চা বা গ্রিন টি এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বলব। স্বাদের জন্যে নয়। গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্যেও ভালো এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই, সবুজ চা সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দিতেই আজ এই আয়োজন। চলুন তবে জেনে নিন গ্রিন টি বা সবুজ চা-এর চমকপ্রদ উপকারিতাগুলো সম্পর্কে।

গ্রিন টি কী ?

গ্রিন টি বলতে আমরা অনেকে এর সবুজ রংকে বুঝি। কিন্তু আসলেই তা নয়। সাধারণ চায়ের ক্ষেত্রে যেমন অনেক প্রক্রিয়াজাত করে একেক দানাদার আকার দেওয়া হয়, তবে গ্রিন টির ক্ষেত্রে বেশিরভাগই তা করা হয় না। এটি প্রক্রিয়াজাতকরণের ধরন সাধারণ চায়ের চেয়ে আলাদা। অনেক ক্ষেত্রে ছোট ছোট আস্ত পাতাই থেকে যায়।

জাপান এবং চীনের মতো পৃথিবীর অন্য দেশেও স্বাস্থ্যগত সুবিধার কথা বিবেচনা করে ধীরে ধীরে গ্রিন টি’র জনপ্রিয়তা বাড়ছে।  অন্য চায়ের চেয়ে গ্রিন টি দ্রুত সংরক্ষণ করা যায়। গ্রিন টি’র প্রক্রিয়াজাতকরণের এই পার্থক্যের জন্যই এটি সর্বোচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধরে রাখতে পারে। গ্রিন টি’তে পলিফেনল নামে এক ধরনের উপাদান আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যগতভাবে উপকারী। তবে, এ ধরনের চা’তে যে ক্যাফেইন আছে তা অধিকাংশ গ্রিন টি ব্র্যান্ডে উল্লেখ নেই। এটা অবশ্যই খেয়াল রাখার বিষয়। কেউ যদি অসতর্কতাবশত রাতে গ্রিন টি পান করে ফেলে তবে তার শান্তির ও আরামদায়ক ঘুম উড়ে যেতে পারে নিমেষেই।

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

সবুজ চা বিপাক বৃদ্ধি করে। গ্রীন টি পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালরি তৈরি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি এক দিনে ৭০ কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রীন টি পানের মাধ্যমে বছরে ৭ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।

খাদ্যনালীর ক্যান্সার রোধে

গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে। গ্রীন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি এর চাইতে ১০০ গুন ও ভিটামিন ই এর চাইতে ২৪ গুন ভালো। গ্রীন টি বিশেষ ভাবে ত্বকের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটি ত্বকে বলিরেখা পড়াকে রোধ করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে

সবুজ চা রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিণ টি। তাই গ্রীন টি ডায়াবেটিস নিয়ন্তনে অনেক সহায়ক।

দাঁত ভালো রাখতে

গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে। এছাড়াও এটি ওরাল ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে। গ্রীন টি মাউথওয়াশ হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টিস এবং কোনো এলকোহল নেই। যা নিয়মিত মাউথওয়াশে থাকতে পারে। নিয়মিত গ্রীন টি পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

রোগ প্রতিরোধ করতে

গ্রিন টি দেহের জন্য অনেক উপকারি। এটি দেহের সকল রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। সবুজ চা দেহকোষকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে, ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

ফারটিলাইজার হিসেবে

গ্রিন টি অনেক উপকারি। এই সবুজ চায়ের পাতা পানিতে কয়েকদিন ভিজিয়ে রেখে তারপর ছেঁকে গাছের গোড়ায় সেই পানি দিলে তা ফারটিলাইজার হিসেবে কাজ করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তাই কোনো কারণে রক্ত চাপে পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের ক্ষতি করে না। তাছাড়া গ্রীন টি রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়।

কোলেস্টেরল বাড়াতে

গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়াতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে

গ্রীন টি তে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়াযতে সাহায্য করে। চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নীচের ডার্ক সার্কেল কমাতে ব্যবহার করা গ্রীন টি এর দুটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রীজ এ রেখে, ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখতে হবে। তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে। গ্রীন টি খুব ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে। মেডিকেল গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গ্রীন টি ব্রণের সমস্যা ট্রিটমেন্টের জন্য খুবই উপকারি। এটি ত্বকে কোন রকম ইরিটেশন বা ড্রাইনেস তৈরী করা ছাড়াই ব্রণ নির্মূল করে থাকে।

রক্ত চাপ কমাতে

গ্রীন টি রক্তচাপের ঝুকি কম করতে অনেক সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যাবে। সুতরাং উচ্চ রক্ত চাপের ক্ষেত্রে গ্রিন টি অনেক উপকারি।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে

গ্রীন টি স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। গ্রীন টি শরীরের বিভিন্ন অংশকে ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে এবং সেই সাথে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। যদিও স্মৃতি বিনষ্টকারী রোগ আলঝেইমার্স এর কোন চিকিৎসা নেই, কিন্তু এটি আলঝেইমার্স এর জন্য দায়ী এসিটাইলকোলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে অবস্থার কিছুটা উন্নয়ন ঘটাতে পারে।

ডিপ্রেশন দূর করতে

প্রকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

অ্যান্টি-ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী

সবুজ চায়ের ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এটা ক্যানসারের ধ্বংসাত্মক সেলকে ধ্বংস করে। চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ উপকারি। গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি।

ব্র্যান্ড

টেটলি, অর্গানিক ইন্ডিয়ান, ইকো ভ্যালি, গায়া, তাজমহল এবং মিত্তাল এই ব্র্যান্ডের গ্রিন টি আপনি সহজেই আপনার বাড়ির পাশের মেগাশপেই পেয়ে যেতে পারেন। ব্র্যান্ডের ভিন্নতা অনুযায়ী এর গন্ধেরও তারতম্য হতে পারে।

গ্রীন টি এর অপকারিতা

আমাদের জীবনে কোনো কিছুই বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত না। অর্থাৎ যেই জিনিস গুলো আপনাকে আপনার সাস্থের জন্য উপকারী তার মানে এই নয় যে বেশি বেশি করে খেলে তাড়াতাড়ি দু একদিনের মধ্যেই ভালো হবে। না একদমই না। সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে আর আমরা সেই সিস্টেমের মধ্যে দিয়েই চললে ভালো। তা না হয়তো খারাপটাই বেশি হয় অর্থাৎ হিতে বিপরীত হয়। চা বা গ্রিন টি জাতীয় পানীয়ের অনেক উপকারিতা বিদ্যমান থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে একটু মেনে চলতে হয়। যেমন চা হোক বা গ্রিন টি কোনটাই অতিরিক্ত পান করা ভাল না। আর খাবার খাওয়ার আগে বা পরে গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে তো গ্রিন টি একদমই খাওয়া ভাল না। এতে করে আরামের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। সুতরাং দেখবেন চা বা গ্রিন টিতে যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, কিছু নিয়মও মেনে খাওয়া উচিত। তাহলে দেহের ক্ষেত্রে উপকার পাবেন।

The post গ্রীন টির,চা এর উপকারিতা – Benefits Of Green Tea In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


Viewing all articles
Browse latest Browse all 302

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>