Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all 302 articles
Browse latest View live

বাবা নিয়ে উক্তি – Quote About Father In Bengali

$
0
0

 নমস্কার বন্ধুরা, আমি শান্তনু আপনাদের সকলকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করি সকলে ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন।  বাবা একটা শব্দ যা আমাদের মনকে ব্যাকুল করে দেবার মতো। যেকোনো মানুষের

 জীবনের বাবার ভূমিকা অনসীকার্য. মা ও বাবার  ভালোবাসা এর মধ্যে কোনো ভেজাল নেই, নেই কোনো মলিনতা যে কোনো পরিস্থিতি হোক না কেন বাবারা সবসময় তাদের সবকিছু বিলিয়ে দেয়. সেই বাবার জাত তার জন্যেই আজ নিয়ে এসেছি কয়েকটি বিখ্যাত লেখক এর লেখা বাবা বিষয়ক কিছু বাণী, কিছু উক্তি আমরা সংগ্রহ করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। 

আমি একটা কথা সবার উদ্দেশে একটাই কথা বলবো যে বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিমাপ করতেও পারেনা। পরিবারের মেরুদন্ড হয়ে দায়িত্ব পালনে, সন্তান-সংসার পরিচালনায় ব্রতি যিনি। শাসনে কঠোর, ভালোবাসায় কোমল, স্নেহে উদার, ত্যাগে অগ্রগামী বাবা, যিনি জন্মদাতা। বাবার প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শনে একদিন কিছু নয়। তবুও শুধুই তার জন্য একটি দিন, একটু আলাদা করে উদযাপন করতেই `বাবা দিবস` যাকে ইংরেজিতে বলে  Fathers Day ।

বন্ধুরা বাবা হলেন অদ্বিতীয় আলো, যার আলোয় আলোকিত হয়েই আমাদের সারাজীবন পথ চলতে হয় বা পথচলা শুরু করি। তবু সন্তানরা বড় হয়ে কর্মব্যস্ততায়, লেখাপড়া ও নানা কাজের চাপে বাবা-মাকে সময় দিতে পারে না। কেউ বা প্রবাসে, কেউবা বাবাকে গ্রামে রেখে শহরে পাড়ি জমাই। অনেক সময় ভুলতে বসি বাবাকে। আর তাই বাবার জন্য বিশেষ একটা দিনমাত্র।

বাবারা যেকোন ধরনের দুঃখ-কষ্ট একাই সহ্য করেন। সব সময় চেষ্টা করেন দুঃখ-কষ্ট যেন সন্তানদের স্পর্শ না করে। সন্তানের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সারাজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

যাদের বাবা আমাদের মাঝে নেই, তাদের বাবারাও সন্তানের শুভকামনা করেন। বাবারা সব সময় আমাদের মাঝেই আছেন এবং চিরকাল থাকবেন। যদিও বাবার অনুপস্থিতি কোনো কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়।

‘বাবা দিবস’ বা Fathers Day  পালন শুরু হয় গত শতাব্দীর প্রথমদিকে। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা  থেকে যার শুরু।

একটা ছোট্ট গল্প মনে  পরে যাচ্ছে যেটা আমি তোমাদের কাছে শেয়ার করতে চাইছি – আমেরিকার ওয়াশিংটনের স্পোকান শহরে সোনোরা লুইস ডডের মা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। তখন ডডের বয়স ছিল ১৬ বছর। আর ডডের বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন সবেমাত্র যুদ্ধ থেকে ফিরেছে। তারপর থেকে ডড দেখেছে তার বাবা ছয় ভাই- বোনকে মানুষ করার জন্য রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাদের স্বার্থে সে আর বিবাহ করেনি। বাবা তাদেরকে মায়েব অভাব বুঝতে দেয়নি। যেন বাবাই তাদের মা। বাবাই ছিল তাদের সবকিছু। ঘটনাটি সত্য। 

‘বাবা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি  সোনারের চিন্তায় আসে ১৯১০ সালে। মা দিবসের মতো বাবাদের জন্যও একটি দিবস করা প্রয়োজন, যেখানে বাবাদের জন্য থাকবে হৃদয় নৈবেদ্যের ছোঁয়া। দেশটির মন্ত্রীসভা জুন মাসের তৃতীয় রোব বারকে বাবা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।

তখন একটি স্থানীয় পত্রিকা সেদিন ছুটি ঘোষণা করে এবং বিভিন্ন দোকানিরা বাবাদের জন্য নানা রকমের উপহার সামগ্রী সাজিয়ে রাখেন।

বাবা নিয়ে কিছু উক্তি – Father And Son Quotes In Bengali

1. আমি আমার ছেলেদের স্বাধীনতা দিয়েঠিলাম। তবে উচ্ছৃংখলতা শেখার সুযোগ দেইনি। আমি বলবো সবাই বাবাকে ভালোবাসুন।

2. আমি আমার সন্তানদের বলিনি, তোমাকে এটা হতে হবে, ওটা হতে হবে। তাই তারা নিজেদের মতোই বেড়ে উঠেছে। বাবার কাজ সন্তানকে বন্ধুর মতো পথ দেখানো।

3. বাবা দিবস যদিও পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ। তারপরও এটি পরিবর্তমান বিশ্বে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের এখানে প্রত্যেকটি দিনই বাবা দিবস।

4. পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালবাসবে, সেই ভালোবাসা মাঝে যে কোনো প্রয়োজন লুকিয়ে থাকে। কিন্তু একজন ব্যক্তি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালো বাসবে সে হলো বাবা । 

5. বাবা হল আমাদের সকলের চোখের মনি, অসিম তোমার দান., অসিম তোমার ত্যাগ, ভগবানের আগেই তোমার আসন.. ত্রিভুবনে তোমার মত হয়না কারো মান। 

6. দুনিয়ার সব কিছুই বদলাতে পারে, কিন্তু বাবার ভালবাসা কখনো বদলাবার নয়..!!

7. বাবার আদর যে কত বড় জিনিস তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ জানে না । শত চিন্তা আপনার মাথায়, একবার বাবার সাথে আপনার চিন্তার বিষয় আলোচনা করুন দেখবেন সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে । দুনিয়ার যেখানেই যান না কেন বাবার আদরের যে শান্তি তা কোথাও খুজে পাবেন না ।

8. সকাল দুপুর রাত্রী বেলা পেয়েছি সবার অবহেলা । সকল দুঃখ যেতাম ভুলে বাবার কাছে মাথা তুলে! বাবা যে আমার শেষ্ট বন্ধু , বাবার কাছে  সুখের সিন্দু ।

9. প্রথম স্পর্শ বাবা প্রথম পাওয়া বাবা প্রথম শব্দ বাবা প্রথম দেখা বাবা আমার ভগবান তুমি বাবা। 

গাম্ভীর্য আর অনুশাসনের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা কোমল স্নেহময় রূপ বাবা। তিনিই তো সন্তানদের শেখান কীভাবে পাড়ি দিতে হয় জীবনের অলিগলি আর আঁকাবাঁকা বন্ধুর পথ। তারপরও হাজারো জড়তা ভেঙে হয়তো বাবাকে বলে ওঠা হয় না, ‘বাবা, তোমায় খুব ভালবাসি’।

শেষ কথা 

১৯ জুন, ১৯১০। প্রথম বাবা দিবস উদযাপিত হচ্ছে স্পোকেনস শহরে। শহরের যুবক য্বুতীরা দুটি করে গোলাপ নিয়ে যাচ্ছিলেন চার্চে। একটি লাল, অন্যটি সাদা। লাল গোলাপ জীবিত পিতাদের শুভেচ্ছার জন্য, আর সাদা গোলাপ মৃত পিতাদের আত্মার তুষ্টির জন্য। বিষয়টি পুরো মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়। ১৯১৯ সালে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘বাবা দিবস’ পালন করা শুরু হয়। অবশেষে ১৯৬৬ সালে ৫৬ বছর পর বাবা দিবসকে দেওয়া হয় জাতীয় মর্যাদা । আপনার বাবাকে আপনি অকৃত্রিম আন্তরিক ভালোবাসা জানাতে উপহার দিতে পারেন। যদিও বাবারা উপহার পেতে নয় দিতেই ভালোবাসেন। উপহার সামগ্রীর দোকান হলমার্ক বাবা দিবসে বিশেষ আয়োজন করেছে। বিভিন্ন দামের ও ডিজাইনের কার্ড তৈরি করেছে। আছে মগ ও ছবির ফ্রেম। বাবাকে ভালোবাসা জানিয়ে বিভিন্ন বাণী রয়েছে এসব উপহারে।

The post বাবা নিয়ে উক্তি – Quote About Father In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


ভালোবাসার হাসির sms –ভালোবাসার মেসেজ

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা, আমি শান্তনু আপনাদের সকলকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করি সকলে ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন।  ভালোবাসা আমাদের জীবনে কম বেশি কার নেই বলুন তো ? সবার জীবনে ভালোবাসা আছে। তবে একটা কথা সত্যি করে বলতে ভালোবাসা সবার মজার বা শান্তির হয়না। আজ আমি মজার মজার ভালোবাসার ম্যাসেজ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবো। 

ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা এই ভালোবাসাই হলো জীবনের সব থেকে অমূল্য একটা জিনিস। তবে ভালোবাসা অনেক ধরণের হয় বা ভালোবাসার অনেক ভাগ আছে কিন্তু আজকে আমি এখানে ভালোবাসা বলতে শুধুমাত্র প্রেম অর্থাৎ একটি ছেলে আর মেয়ের মধ্যে যেই ভালোবাসা হয় বা প্রেম হয় সেটার কোথায় বলছি।

কিছু প্রেমের sms এবং কবিতা নিয়ে সাজানো আমাদের আজকের এই সম্ভার  । আশা করি এই বাংলা প্রেমের sms , ভালোবাসার এস এম এস গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে । ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন । আপনাদের সুন্দর মতামত আমাদের উৎসাহ জাগাবে আরো নতুন ও সুন্দর কিছু প্রেমের sms বাংলা এস এম এস কবিতা নিয়ে আসতে । তাহলে চলুন আমরা চলে যায় মূল পর্বে।

1. অদ্ভুত কিছু আবেগ,অজানা কিছু অনুভূতি। অসম্ভব কিছু ভালো লাগা,হয়তো বা কষ্টের ভয়,  একাকীত্ব নিরবতা।  এই নিয়ে আমাদের টয়লেটে বসে থাকা।
2. যত দূরে যাওনা কেনো, থাকবো তোমার পাশে, যেমন করে বৃষ্টি ফোঁটা জড়িয়ে থাকে ঘাসে, সকল কষ্ট মুছে দেবো, দেবো মুখের হাসি, হৃদয় থেকে বলছি তোমায়, অনেক ভালোবাসি ।
3. নারী তুমি করিওনা রুপের বড়াই, সবাইতো জানে তোমার প্রিয় বনধু রান্না ঘরের কড়াই।   যতই দেখাও তুমি রুপের ঝর্ণা,   করতে হবে তোমাকে তরকারি রান্না। দুই ড্রাইভার আড্ডা দিচ্ছে— কি রে, শুনলাম তোর নাকি চাকরি যায় যায় অবস্থা!

 4. এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে। 

5. পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।

6. কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।

7. গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।

8. চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।

 

9. মিষ্টি হেসে কথা বলে পাগল করে দিলে, তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাবো আকাশের নীলে, তোমার জন্য মনে আমার অফুরন্ত আশা, সারা জীবন পেতে চাই তোমার ভালবাসা ।
10. আজকেও দেখি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিস!  বসরে ক্যামনে হাত করলি? হে হে, ঘটনা আছে!  চাকরি যাওনের কথা শুইনাই ইচ্ছা কইরা দামি গাড়িটার একটা হেডলাইট দিছিলাম ভাইঙ্গা!  তারপর?  তারপর আর কী!   বস কইল আগামী ছয় মাসে হেডলাইট ভাঙা বাবদ যত খরচ পড়ে তত টাকা আমার বেতন থেইকা কাইটা রাখব। তাতে কী,   ছয় মাসের জন্য তো চাকরিটা একদম পাক্কা !
 
11. মফস্বল শহরে বেড়াতে এসে একজন ট্যুরিষ্ট একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকল।  ঢুকে সে দুটো সিদ্ধ ডিম আর চায়ের অর্ডার দিল।  খাওয়া শেষে তাকে বলা হল বিল পঁচিশ টাকা।  ট্যুরিষ্ট বলল, এত দাম ডিমের? তোমাদের এখানে কি ডিম পাওয়া যায় না? ওয়েটার বলল, ডিম পাওয়া যায়, কিন্তু ট্যুরিষ্ট পাওয়া যায় না।
12. আমি বৃক্ষ, তুমি ফল; আমি নদী, তুমি জল।  আমি মেঘ, তুমি বৃষ্টি; আমি চক্ষু, তুমি দৃষ্টি। আমি বধির, তুমি বোবা; আমি সাগর, তুমি ডোবা  আমি খাতা, তুমি কলম; আমি ট্যাবলেট, তুমি মলম।  আমি কান্না, তুমি হাসি; আমি টাটকা, তুমি বাসি। আমি বিষন্ন, তুমি হতাশা; আমি কদমা, তুমি বাতাসা।  আমি কাঁথা, তুমি বালিশ ;আমি ব্যথা  তুমি মালিশ।   
13. একটি ছাগলের চারটি বাচ্চা হয়েছে।  একটি বাচ্ছা তার মাকে জিগাসা করল,  মা আমার বাবা কোথায়?   ছাগলটা বল্ল চুপ কর তোর বাবা এখন SMS পরছে।
14. এ দুটি চোখে স্বপ্ন ছিল মনে ছিল আশা। গরুর ঘরে থাকবে তুমি মারবে অনেক মশা। ভাবনা ছিল খাবে তুমি রাস্তা ঘাটে মার,  কেন তুমি চলে গেলে গরুনিয়ে আমার। 
15. আমি ইট, তুমি খোয়া; আমি খই, তুমি মোয়া।  আমি ফুল, তুমি কাঁটা; আমি গম, তুমি আটা। আমি নৌকা, তুমি ব্রীজ; আমি মাছ, তুমি ফ্রিজ। আমি রাত, তুমি ভোর; আমি ভালো, তুমি চোর।

16. পৃথিবীতে ভালবাসার কোন দাম নেই, সবাই সুন্দর মানুষ খুঁজে.. কিন্তু সুন্দর মন কেউ খুঁজে না.. একটা কথা মনে রেখো, রূপ এক দিনের.. কিন্তু ভালবাসা চিরদিনের…!

17. মনে পড়ে তোমাকে যখন থাকি নিরবে” “ভাবি শুধু তোমাকে সব সময় অনুভবে” “স্বপ্ন দেখি তোমাকে চোখের প্রতি পলকে” “আপন ভাবি তোমাকে আমার প্রতি নিশ্বাসে ও বিশ্বাসে ।

18. চোখে আমার ঝর্ণা বহে, মনে দুঃখের গান । তোরে যদি না পাই আমি, দিব আমার প্রান । শুনতে চাই তোর কথা, ধরতে চাই হাত । কেমন করে তোরে ছাড়া, থাকি দিন রাত !

শেষ কথা 

ভালোবাসার কখনো শেষ কথা বলে কিছু হয় না। ভালোবাসা অমর। তার কখনো শেষ নেই। তবে এখনকার বর্তমান জীবনে ভালোবাসা বার বার জন্মায়। আমরা সবাই ছোটবেলায় বা এখনো অনেকের মুখে শুনি যে ভালোবাসা এক বার নাকি হয়। কিন্তু আমি এটা মানিনা যে ভালোবাসা একবার হবে। আবার তা বলে ভালোবাসা মাসে মাসে বা সপ্তাহে বা বছর বছর পাল্টাবে সেটাও নয়। ভালোবাসা ভালোবাসায় হয়। কার কপালে কার জীবনে কিভাবে আসবে সেটা কেউ বলতে পারে না। ভালো থাকুন ভালোবাসায় থাকুন। ধন্যমাদ

The post ভালোবাসার হাসির sms – ভালোবাসার মেসেজ appeared first on Chalo Kolkata.

ভালোবাসার রোমান্টিক উক্তি

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের কিছু ভালোবাসার উক্তি অর্থাৎ ভালোবাসার কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ভালোবাসা কিন্তু জীবনের সব থেকে  রোমান্টিক অধ্যায়  ভাবে জীবনে আসে বা আপনি যদি সেই ভাবে জীবনে নিয়ে আসেন। মা বাবার ভালোবাসার পর পরম সুখ যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে প্রেমের ভালোবাসা বা রোমান্টিক ভালোবাসা। আমরা অনেক সময় মনের মানুষ পেয়েও হারিয়ে ফেলি, আবার অনেক সময় মনের মানুষ পেয়ে সুখে সংসার করি যদিও সেটা সংখ্যায় অনেক কম। ভাগ্য বলে একটা ব্যাপার থাকে জানেন তো। ভাগ্য খারাপ থাকলে ব্যাস হয়ে গেলো আপনার ভালোবাসার সাড়ে সাতি। আপনি যাই করুন না কেন, যতই আপনি ভালোবাসুন না কেন ওই ভালোবাসা টিকবে না। কিন্তু তাই বলে আপনি হাল ছাড়বেন না। সত্যের জয় আছে। আর সত্য ভালোবাসার জয় নিশ্চিত।

আমি আমার বেক্তিগত জীবনে অনেকের অনেক কিছু দেখে বুঝে একটাই কথা কথা বলবো যে – ভালোবাসা সবার জন্য নয়। আর হ্যা এটা বাস্তব বা হয়তো সত্যি কথা যে ভালোবাসা প্রত্যেক মানুষের জীবনে আসে। কিন্তু কেউ রাখতে পারে আবার কেউ পারে না। খুব সাধারণ ভাবে বাংলা কথায় কারোর টেকে আবার কারোর টেকে না। তাহলে চলুন বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের কিছু ভালোবাসার উক্তি ও প্রেমিকা নিয়ে উক্তি, ভালবাসার মজার উক্তি, বিরহের উক্তি, ভালবাসার উক্তি(love quotes), ভালোবাসার উক্তি in English, ভালোবাসার রোমান্টিক কথা ইত্যাদি ইত্যাদি।

1. প্রেমহণি হৃদয় কী পদবাচ্য মুরুভুমিকে কি নন্দনকানন বলা উচিত ?

2. ভালোবাসাটা হচ্ছে একধরনের প্রতিজ্ঞা। 

3. মিলন হইতে দেরী বরঞ্চ বিরহ ভাল, দেখিব বলিয়া আশা থাকে চিরকাল। 

4. বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।

5. মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায় !

6. বিশ্বের সবচেয়ে অজ্ঞেয় বিষয় তা বোধগম্য হয় না। 

7. আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে। 

8. ভালো আছি, ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ। 

9. আমাদের মধ্যে সবাই সব বড় কাজ গুলো করতে পারবে তানা, কিন্তু আমরা অনেক ছোট কাজ গুলো করতে পারি আমাদের অনেক বেশী ভালবাসা দিয়ে।

10. পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথমযৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।

11. ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই।

12. ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানেনা। মেয়েরা সত্যিকার ভালবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানেনা।

13. ভালোবাসা হচ্ছে একধরনের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আলাদা করে দেখে আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে। 

14. ভালোবাসা হচ্ছে একটা আদর্শ ব্যাপার আর বিয়ে হচ্ছে বাস্তব। আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তাই কখনো নিষ্পত্তি হবে না।

15. একমাত্র প্রেমেই বিয়েকে পবিত্র করতে পারে। আর একমাত্র অকৃত্রিম বিয়ে হচ্ছে সেটাই, যেটা প্রেমের দ্বারা পবিত্রকৃত।

16. “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো ? নাহ্ জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত , উত্তরটা সঠিক নয় । সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি , কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি ।”

17. “তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কঠিন।”

18. “তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি , তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই , যতই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই তত মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে ।”

19. অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না।

20. ভালবাসা যা দেয়, তার চেয়ে বেশি কেড়ে নেয়, যৌবনে যার প্রেম হল না তার জীবন বৃথা। 

21. প্রেমহণি হৃদয় কী পদবাচ্য মুরুভুমিকে কি নন্দনকানন বলা উচিত ?

22. ভালোবাসাটা হচ্ছে একধরনের প্রতিজ্ঞা। 

23. মিলন হইতে দেরী বরঞ্চ বিরহ ভাল, দেখিব বলিয়া আশা থাকে চিরকাল। 

24. বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।

25. মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায় !

26. ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।

27.ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট। 

28. ” তবু তোমাকে ভালোবেসে মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে বুঝেছি অকূলে জেগে রয় ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে যেখানেই রাখি এ হৃদয়। ”

29. “পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় কষ্ট হলো এক তরফা ভালবাসা। আর তারচেয়ে বড় কষ্ট হলো আপনি তাকে ভালোবাসতেন সে জানত, এখনও ভালোবাসেন কিন্তু সে জানে না। ” 

30. “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো ? নাহ্ জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত , উত্তরটা সঠিক নয় । সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি , কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি ।”

The post ভালোবাসার রোমান্টিক উক্তি appeared first on Chalo Kolkata.

রাগ ভাঙানোর sms

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের কিছু রাগ ভাঙানোর SMS বা রাগ ভাঙানোর ম্যাসেজ নিয়ে কথা বলবো। অর্থাৎ রাগ ভাঙানোর কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। রাগ কিন্তু আমাদের জীবনে খুব খারাপ একটা জিনিস। এই রাগের বসে মানুষ যে কি কি করে বসে আমাদের তা অজানা নয়। তবে অভিমান আর রাগ ব্যাপারটা এক হলেও ধরণ তা আলাদা। অভিমান টা আল্লাদে হয় ভালোবাসায় হয় আর রাগ তা সহ্যের সীমানা ছাড়ার পর হয়। তবে সেটা মানুষের ওপর ডিপেন্ড করে থাকে।

তবে এই রাগ বা অভিমান যাই বোলো না কেন ভালোবাসার ক্ষেত্রে সেটা একটু মধুর হয়। আর তখনি মধুর হয় যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমার রাগ ভাঙানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে। চেষ্টা নানান ভাবে হতে পারে, সেটা গান গেয়ে হতে পারে বা একে অপরকে SMS এর দ্বারা হতে পারে। আজ আমি আপনাদের সাথে এই রাগ ভাঙানোর SMS নিয়ে কথা বলবো। তাহলে শুরু করি আজকের মূল বিষয়ের ওপর।

রাগ ভাঙানোর এস এম এস – অভিমান ভাঙানোর এসএমএস

দুটি চোখের কান্নার মর্ম যদি কেউ বুঝতো। তাহলে দুঃখের পিছনেও যে সুখ আছে সেটা সবাই জানতো। ভালোবাসার মাঝে টক-ঝাল-মিষ্টি-নোনতা  এগুলো সবই আছে কিন্তু ভালোবাসার.এসব অনেকের জীবনে ও মিথ্যে ।

ভালোবাসা হল এমন একটি শ্বাস যাতে শুধু খাটে দুজনার বিশ্বাস এটি হল ছোট্ট সুখের বাসা তাইতো এর নাম রাখা হয়েছে ভালোবাসা।

ভালোবাসা মানে নিল প্রজাপ্রতি.. ভালোবাসা মানে রুপালি উজান। ভালোবাসা মানে জোছনার গান। ভালোবাসা মানে উশ্ন সুখের বরফ গলা নদী। কিন্তু ভালোবাসতে পারো যদি।

পৃথিবীর সব সুখ তখনি নিজের মনেহাপিয়ে বা হবে, যখন ভালোবাসার মানুষটি ভালোবেসে পাশে থাকে.. আর তখনি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয় যখন ভালোবাসার মানুষটি বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাস রাখে।

বন্ধুকে ভালবাসার মানুষের জায়গায় বসানো যায়.. কিন্তু ভালবাসার মানুষকে কখনও শুধু বন্ধু হিসেবে মেনে নেয়া যায় না।

যদি ভালবাসো মোরে, তবে মোর হাত দুখান ধরে, নিয়ে চল অনেক অনেক দূরে, যেথায় তোমাতে আমাতে কথা হবে, মুখে মুখে নয় কেবলই মনে আর মনে।

মাঝে মাঝে তোমাকে খুব কষ্ট দিই…, কারন তোমাকে ভালবাসি বলে… নীরবে নিজেও কষ্ট পাই…., তোমাকে মিস করবো বলে… তোমাকে যখন মিস করি…., তখন পৃথিবীকে এড়িয়ে চলি… কারন তখন আমার সব…., অনুভূতি জুড়ে শুধুই তুমি।

ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে, ভালোবেসে ভালোবাসাকে বেঁধে যে রাখে।

জীবনে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার, যে হবে শুধুই আমার। আমার সুখ দুঃখে যে রবে পাশে, এমন মানুষকেই ভালবাসার মন খুঁজে।

আজকে তুমি রাগ করছো, দু:খ পাবো তাতে। কালকে যখন মরে যাবো, রাগ দেখাবা কাকে? বিধির বিধান এই রকমি, একদিন তো যাবো মরে। বুঝবে সেদিন তুমি, ভালোবাসতাম শুধু তোমাকে …… !

ভালোবাসাকে যদি শস্যক্ষেত্র রুপে কল্পনা করা হয়,নতবে বিশ্বাস তার বীজ। আর পরিচর্যা হলো আবেগ।

একজন প্রেমিকের কাছে।চন্দ্র হলো তার প্রেমিকার মুখ ।সআর জোছনা হলো প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাস ।

এক ফোঁটা শিশিরের কারনেও বন্যা হতে পারে যদি বাসাটা পিঁপড়ার হয়, তেমনি এক চিমটি ভালবাসা দিয়ে ও সুখ পাওয়া যায় যদি সেই ভালবাসা খাঁটি হয়।

জানিনা ভালোবাসার আলাদা আলাদা নিয়ম আছে কিনা, তবে আমি কোন নিয়মে তোমাকে ভাল বেসেছি তাও জানিনা, শুধু এইটুকু জানি আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি।

মিষ্টি হেসে কথা বলে পাগল করে দিলে, তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাব আকাশের নীলে, তোমার জন্য মনে আমার অফুরন্ত আশা সারা জীবন পেতে চাই তোমার ভালবাসা।

ফুলের প্রয়োজন সূর্যের আলো, ভোরের প্রয়োজন শিশির, আর আমার প্রয়োজন তুমি, আমি তোমাকে ভালবাসি!

চাঁদ মেঘে লুকালো তোমাকে দেখে প্রিয়া_ রাত বুঝি ঘুমালো এসো না বুকে প্রিয়া_ ঝিরি ঝিরি হাওয়া শিরি শিরি ছোয়া_ ঝড় উঠেছে এ মনে হায় এ মনে কেউ জানেনা।

মনটা দিলাম তোমার হাতে যতন করে রেখো,, হৃদয় মাঝে ছোট্ট করে আমার ছবি এঁকো.. স্বপ্ন গুলো দিলাম তাতে আরও দিলাম আশা,, মনের মতো সাজিয়ে নিও আমার ভালবাসা।

ভালোবাসার মানুষ যতোই দূরে থাকুননা কেনো, কখনো মনে হবে না যে সে দূরে আছে, যদি সে অনুভবে মিশে থাকে ।

 

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে একটাই কথা বলবো যে – রাগ আমাদের একটা খুব বাজে জিনিস আর এই রাগের বসে আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলি। রাগ টা যত কম করবে দেখবে জীবনে ততোই শান্তি আসবে। তবুও রাগ করলে রাগের SMS বা অভিমানের গান বা SMS ইত্যাদি দিয়ে নিজেই রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করবে। নিজেদের ইগো নিয়ে বসে থাকবে না বা এটা একবার ভাববে না যে তুমি আগে এগিয়ে গেলে তুমি ছোট হবে। না একদম না ভালোবাসায় কোনো ছোট বোরো হয় না। ভালো থাকবে ভালোবাসায় থাকবে। আর হ্যা রাগ করবে না কিন্তু।

The post রাগ ভাঙানোর sms appeared first on Chalo Kolkata.

কিভাবে ফেসবুকে লাইক বাড়াবেন – How To Increase Facebook Likes In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের এমন একটা জিনিস জানাবো যেটা আপনি মেনে চললে আপনারও ফেসবুক এ ঝড়ের মতন লাইক আর কমেন্ট পড়তে থাকবে। জেনে নেবো সেই অসাধারণ কিছু টিপস।

বন্ধুরা আপনারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন অনেক দিন হয়ে গেলো। কিন্তু বাকিদের মতন আপনার প্রোফাইল এ বেশি লাইক বা কমেন্ট পরে না।  তাছাড়া আপনার বন্ধু ও বান্ধবিরাও ওঁর সব ছবিতে ফেসবুক লাইক দিয়েছে এবং কমেন্টস বক্সে সুন্দর সুন্দর কমেন্টস করে রেখেছে। আপনার তাতে একটু চাপা কষ্ট বা রাগ হয়। যদি আপনার পরিস্থিতি ঠিক এমন হয়, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন, আপনিও এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে কিভাবে ফেসবুকে আরো লাইক  আরো কমেন্টস এবং আরো শেয়ার পাবেন সেটি জানতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক জেনে নেই কিভাবে ফেসবুক লাইক বাড়াতে হয়। আমরা দেখে নেবো যে – ফেসবুকে অটো লাইক পাওয়ার উপায় ইত্যাদি ইত্যাদি। 

নিয়মিত পোস্ট করুনঃ-

ফেসবুকে লাইক পেতে হলে নিয়মিত ফেইসবুক পোস্ট করতে হবে কিন্তু ফেইসবুককে আবার আপনার পারসোনাল ডায়েরি মনে করবেন না। সারা দিনে যদি একটি পোস্ট করেও করেন, তাতে কিছু দিন বা মাস পর আপনার টাইমলাইন কন্টেন্ট এ ভরে যাবে। আর পোস্ট করার সময় ইউনিক, আকর্ষনীয়, এবং আপনার বন্ধুরা পড়ে যাতে হাসিতে ফেটে পড়ে বা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এমন  কিছু ফেসবুক পোস্ট করার চেস্টা করবেন। যখন বেশি সংখ্যক ফেসবুক ফ্রেন্ড অনলাইনে থাকবে, তখন বেশি পোস্ট করুন। তাহলে তারা সাথে সাথে আপনার করা ফেইসবুকে করা পোস্টটি দেখতে পাবে, ফেসবুক লাইক বা ফেসবুক কমেন্টসসও করতে পারবে।

পোস্টে ট্যাগ করুনঃ-

ফেসবুক ট্যাগ করা মানে অন্যকেও জানিয়ে দেয়া। কাউকে কোন পোস্টে ট্যাগ করলে, ফেসবুক ট্যাগ করা সবাইকে এই পোস্টটি সমপর্কে অবহিত করবে, এর মাধ্যমে আপনার পোস্টে ফেসবুক লাইক বাড়ার পসিবিলিটিও বেড়ে যাবে, কারন ফেচবুক ট্যাগ করার কারনে পসিবিলিটি থাকে যাদের ফেইসবুক ট্যাগ করলেন তাদের প্রোফাইলেও পোস্টটি সো করবে। ফলে এই ফেসবুক পোস্টটি তাদের ফ্রেন্ডরাও দেখতে পারবে।  তবে ফেইসবুক ট্যাগ করার সময় সংযমি হয়ে করুন, এভাবে কাউকে বার বার বিরক্ত করা ঠিক হবে না।

ফেইসবুক ফ্রেন্ডের সংখ্যা বাড়ানঃ-

যদি আপনার মাত্র কয়েক জন ফেসবুক ফ্রেন্ড থাকে তাহলে হয়তো তারা স্বেচ্ছায় আপনার প্রোফাইল ভিজিট করা ছাড়া আপনার পোস্ট তেমন একটা দেখবেও না। আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড সংখ্যা যত বেশি থাকবে, তত বেশি ফেইসবুক ফ্রেন্ডরা আপনার লেখা পোস্টগুলো দেখবে, যত বেশি মানুষ আপনার ফেসবুক পোস্ট দেখবে তত পসিবিলিটি বাড়ে যে পোস্টগুলো ভাল লাগলে তারা লাইক, কমেন্টস অথবা শেয়ার করবে। ফেইসবুক ফ্রেন্ড এড করার সময় শুধু মাত্র আপনি যাদের চিনেন কেবল ফেচবুক তাদেরই এড করুন, কেননা তারা আপনার পোস্ট আগ্রহ নিয়ে দেখবে, এমনকি লাইকও করবে।

বন্ধুদের পোস্টে লাইক করুনঃ-

কথায় আছে অন্যদের কাছ থেকে আপনি যা আশা করেন আগে তাদেরকে তা দিন। মনে রাখবেন, আপানার ফেসবুক বন্ধুদের পোস্টে লাইক দেয়া একধরনের বিনিয়োগ, যখন আপনি আপনার বন্ধুর কোন ফেচবুক পোস্টে বা ছবিতে ফেসবুক লাইক দিবেন তখন তারা কৃতজ্ঞতা থেকে আপনার পোস্টেও ফেসবুক লাইক দিবে, এটা একধরনের গিভ এন্ড টেক লাইকিং, আর এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকরি এবং প্রমানিত। ফ্রেন্ডের ফেচবুক কন্টেন্ট লাইক করলে ফেসবুক বুঝবে যে আপনি আপানার ওই ফেসবুক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে আরও বেশি কন্টেন্ট চান, ফলে ফেসবুক আপনার কন্টেন্টও তাকে দেখাবে আর আপনাকেও তার কন্টেন্ট দেখাবে। এতে দুজনেরই ফেসবুক লাইক পাওয়ার পসিবিলিটি বাড়বে।

কমেন্ট করুনঃ-

আপনার ফেসবুক কন্টেন্টগুলো আপনার কোন বন্ধু বেশি দেখবে, যদিও এ বিষয়ে ফেসবুকের সঠিক এলগোরিদম কি সেটা বলা মুশকিল, তবে যার সাথে আপনার বেশি ইন্টার‍্যাক্টশন থাকবে বা কোরিলেশন থাকবে, তার ফেইসবুক পোস্টটি আপনি আর আপনার  ফেসবুক পোস্টটি তার দেখার সম্ভাবনাই বেশি। কারও ফেচবুক পোস্টে কমেন্ট করলে ফেসবুক সেটা সব বন্ধুদের নিউজ ফিডে শেয়ার দেয় যে আপনি আপনার কোন ফেইসবুক ফ্রেন্ডের পোঁস্টে কমেন্টস করেছেন, ফলে সবাই দেখতে পায় আর এতে আপনার ফেচবুক প্রোফাইল ভিজিবিলিটি বাড়তে থাকে ফলে ফেসবুক লাইক কমেন্টস এবং শেয়ারিং এর পসিবিলিটিও বাড়ে।

ফটো ও ভিডিও আপ করুনঃ-

ফেসবুক লাইক পাওয়ার জন্য শুধু টেক্সট আকারে পোস্ট না করে পাশাপাশি ভালো ক্যামেরা বা ডিএসলার দিয়ে তোলা স্টাইলিশ কিছু ফটো, ভিডিও অথবা যদি অন্য কোন মজাদার কিছু ফেচবুকে শেয়ার করার মত থাকে, যেটা ছবি কিংবা ভিডিও হতে পারে, সেটাও শেয়ার করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন, এক সাথে অনেকগুলো ছবি ফেসবুকে আপ করার অপশন ফেইসবুক দিয়েছে, কিন্তু একসাথে অনেক পিক ফেসবুকে না দিয়ে একটা করে দিলে সবাই সেটা দেখবে আর একসাথে দিলে ভিউ না করার চান্স থাকে।

রিলেশন বিল্ডআপ করুনঃ-

আপনার ফেসবুকে যত ফ্রেন্ড আছে ধীরে ধীরে তাদের সাথে সুন্দর রিলেশন বিল্ডআপের চেস্টা করুন। তাদের মাঝে মাঝে  ফেসবুকে ইনবক্স করুন, খোঁজ খবর নিন এবং সুযোগ বুঝে তাদের কাজের অথবা তাদের ফেসবুক ফটোর আন্তরিক প্রশংসা করুন।  তাদের ফেসবুক পোস্টে লাইক এবং কমেন্টসের পরেও, ইনবক্সে চ্যাটিং করার সময় ডিপ্লোম্যাটিক ওয়েতে কথাগুলো বলুন। তবে এই রিলেশন বিল্ডআপের কাজটি করতে একটু সময় নিন, খুব তড়িঘড়ি করে ফেইসবুকে রিলেশন বিল্ডআপ হয় না।

 

The post কিভাবে ফেসবুকে লাইক বাড়াবেন – How To Increase Facebook Likes In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

মন খারাপ –মন খারাপ Sms

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। মন খারাপ এমন একটা জিনিস যে মন না চাইলেও হয়ে যায়। কখন কিভাবে মন তা খারাপ হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। কখন যে কিভাবে আপনার মন খারাপ হবে সেটা আগে থেকে আছ্ করতে পারবেন না। মন খারাপ মানেই কিন্তু ডিপ্রেশন নয় তখন পছন্দের বই পড়ুন বা গান শুনুন, বা আপনার পছন্দের ফিল্ম ও দেখতে পারেন। অফিসে বা পরিবারে কোনও সমস্যার জন্য এক-আধ দিন মন বিক্ষিপ্ত বা বিষণ্ণ হতেই পারে।এটা প্রায় সবারই হয়। হ্যা আমারও হয়।  সঙ্গী বিচ্ছেদ হলে বা প্রিয়জনকে হারালে যেমন বেশ কিছু দিন মন খারাপ থাকে। আবার ঠিক নিজে নিজে ভাল হয়ে যায়। এ রকম মন খারাপ ডিপ্রেশন নয়।

কিন্তু মন খারাপ  ডিপ্রেশন দুটোকে গুলিয়ে ফেলে। আমাদের আগে জানতে হবে যে ডিপ্রেশন টা  কি ? আমি একটাই কথা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি যে – মন খারাপ যদি একটানা বহু দিন চলতে থাকে, সঙ্গে কাজের ইচ্ছে, ঘুম বা খিদের ইচ্ছে চলে যায় বা কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না করে, তবে সেটা ডিপ্রেশন। নিজেকে গুটিয়ে নেন অনেকে। কারও কারও এর সঙ্গে মাথা-গা-হাত-পা ব্যথা হতে পারে। সব সময় নিজেকে ছোট করে দেখা বা আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে। নেগেটিভ চিন্তা গ্রাস করতে করতে অনেকের মৃত্যু চিন্তাও আসে যেটা কিনা তার সব থেকে ভুল চিন্তা ভাবনা।

দেখুন একটা প্রবাদ চালু আছে। প্রথমবার ডিপ্রেশন হয় প্রিয়জনের মৃত্যুর পর। তার পর ডিপ্রেশন হয় পোষ্য মারা গেলে। তার পর ডিপ্রেশন হয় রুমাল হারালে! আর তার পর থেকে মন খারাপ হতে থাকে এমনি এমনি। এর আর কোনও কারণই খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই যে কারণেই মন খারাপ হোক না কেন, প্রশ্রয় দেবেন না। বরং কাজের মধ্যে ডুবে থাকবেন। দেখবেন মন খারাপ হচ্ছে না। এবার আমরা আজকে বেশ কিছু মন খারাপের sms বা মন খারাপের ম্যাসেজ দেখে নেবো।

1. যেদিন আমি হারিয়ে যাবো,, সেদিন তুমি বুঝবে.. হাজার লোকের ভিড়ে সেদিন,, আমায় তুমি খুজবে.. সেদিন তুমি পাবেনা আর এই আমাকে,, পাবে শুধু ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে,, কষ্ট হয়ত তোমার বুকে আচড় কেটে যাবে.. কদিন গেলেই তুমি আবার নতুন সাথি পাবে..!!

2. আকাশ ভরা দুঃখ আমার,, সাগর ভরা ঢেউ.. এত কষ্ট আমার বুকে,, দেখে নাতো কেউ.. দুঃখ দিয়ে স্বপ্ন বুনি,, কষ্ট দিয়ে আকি.. স্বপ্ন আমার ভেঙ্গে যায়,, আমি চেয়ে থাকি..!!

3. একফোটা চোখের জল ঝরার চেয়ে এক ফোটা রক্ত ঝরা অনেক ভালো।কারন,এক ফোটা রক্ত বের হতে হালকা ব্যথা লাগে আর এক ফোটা চোখের জল পুরো হৃদয় ছিড়ে বের হয়।

4. বৃষ্টিকে যদি ভালোবাসতাম হয়তো এতো জল উপহার পেতাম না, যত জল পেয়েছি তোমাকে ভালোবেসে। বুঝতে পারিনি, এত বেশি মেঘ ছিল তোমার আকাশে। সত্যিই বড় বোকা ছিলাম, আর আজও বোকাই রয়ে গেছি।

5. বাড়িয়ে দাও তোমার হাত আমি তোমার হাতটা ধোরতে চাই & বাড়িয়ে দাও তোমার হাত তোমার হাতটি ধরে হাটতে চাই ।

6. যতো ভালবাসা পেয়েছি তোমার কাছ থেকে ; দুষ্টু এই মন চায় আরো বেশি পেতে ; কি জানি তোমার মধ্যে কি আছে ; কেনো যে এ মন চায় তোমাকে আরো বেশি করে কাছে পেতে .!!

7. আকাশের ঐ মিটিমিটি তাঁরার সাথে কইবো কথা নাইবা তুমি এলে।তোমার স্মৃতির পরশ ভরা অশ্রু দিয়ে গাঁথবো মালা নাইবা তুমি এলে…।

8. আমি সত্যিই ব্যার্থ !!! কারণ আমি কখনোই তোমাকে বুঝাতে পারি নাই “আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি”।

9. আজ নিজে নিজে নীরবে কাঁদছি, যে কান্না হয়তো মরণ হলে শেষ হবে ।তবে সত্য বলতে কি জানো আমি তোমাকে আজও ঠিক আগের মতই ভালোবাসি ।

10. ভালবাসা বদলায় না বদলে যায় মানুষগুলো, অনুভূতিরা হারায় না হারিয়ে যায় সময়গুলো ।

11. অতিথি পাখি হয়ে কারো জীবনে যেওনা হয়তো তুমি তাকে কিছুদিন হাসাবে॥কিন্তু তুমি যখন চলে যাবে আপন ঠিকানায়, সে সারা জীবন কাঁদবে শুধু তোমার বেদনায়।

12. অনেক ভালোবেসে ছিলাম তোমাকে কিন্তু তুমি তা কখনো বুঝোনি বুঝবে কি করে ??? তুমি তো আমাকে ভালোবাসনি।ভালোবাসা বুঝতে যদি আমাকে ভালোবাসতে।হয়তো একদিন ভালোবাসা কি বুঝবে, সে দিন নীরবে কাঁদবে।আমি আজও ভালোবাসি তোমায় । আর সারাজীবন এভাবেই ভালোবাসবো !!!

13.  বসে আছি একা,ভাবছি তোমায় নিয়ে|ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখে এল জল|তুমি জান আমার এ চোখের জল আনন্দের নয় অনেক কষ্টের|আর এ কষ্টের কারন হল তুমি.কেন দিলে আমাকে এত কষ্ট.আমি তো তোমাকে দেই নি,তবে তুমি কেন| ভাল থাক অনেক সুখে থাক আমি দেয়া করি।

14. সপ্ন ভরা জীবনে দুঃখ যখন আসে,সবাই তখন পর হয়ে যায় থাকেনা আর পাশে।কষ্ট যখন মনের মাঝে দিয়ে যায় ব্যথা, সবাই তখন ভুলে যায় সম্পর্কের কথা।

15. আমি আছি শেষের পথে আর তুমি সূচনায়, শেষের পথে দাঁড়িয়ে ভালোবাসি আমি শুধুই তোমায়।ভালো তোমায় বেসে একদিন যাব আধারে মিলিয়ে, আসব না আর আলোর পৃথিবীতে।তুমি থেকো অনেক সুখে।তুমি সুখে থাকলে আধারে মিলবে আলোর সন্ধান, এটাই হবে তোমার ভালাবাসার প্রতিদান।

16. নিরবে ভিজে যায় চোখের পাতা,কষ্টের আঘাতে বেড়ে যায় বুকের ব্যথা,জানিনা এই ভাবে কাটাতে হবে কতদিন,আমার এই জীবনে কি আসবে না সূখের দিন।

17. এক বিন্দু জল যদি চোখ দিয়ে পড়ে,, সেই জলের ফোটা সুধু তোমার কথা বলে.. মনের কথা বুঝনা তুমি মুখে বলি তাই,, শত আঘাতের পরেও তোমায় ভালবেসে যাই..!!

18. অন্ধ ভালবাসার গন্ধ বেশি, নকল ভালবাসার সুবাস বেশি, সত্য প্রেমে রাগারাগি»নকল প্রেমে হাসাহাসি, বুঝবে যেদিন খুজবে তাকে অবহেলা হারালে যাকে।

19. কিছু কিছু কথা আছে বলতে পারিনা”এমন কিছু কষ্ট আছে সইতে পারিনা.এমন কিছু ফুল আছে তুলতে পারিনা.আর এমন1ta মনের মানুষ আছে ভূলতে পারিনা।

20. চুপি চুপি বলি তোমায় প্রিয়তমা …. আমায় ছেড়ে যেন ধুরে যেওনা … আচ তুমি আমার হৃদয়ের একদম গহীন বনে ….তোমায় ছাড়া আমি বাচতে পারবনা এই ভুবনে।

The post মন খারাপ – মন খারাপ Sms appeared first on Chalo Kolkata.

বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাস – Rain Status In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বৃষ্টি কার না ভালো লাগে। বৃষ্টি কিন্তু খুব রোমান্টিক একটা জিনিস বন্ধুরা। খুব গীষ্মের পচা গরমের পর ঝখন মনসুন আসে বা বর্ষা আসে তখন অনেক বেশি আনন্দের হয়। মন টা  ফুরফুরে থাকে।

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই মনসুনে তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি বৃষ্টি ভেজা সকাল sms,মেঘলা আকাশ এস এম এস অর্থাৎ বৃষ্টির সময় আমাদের অনেক sms এর দরকার হয়ে পরে। আজ সকালে ঘুম থেকে জেগেই দেখি সমস্ত আকাশ কালো মেঘে ভরে গিয়েছে। চারদিকে ঘোলাটে অন্ধকার। সারাটা দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি । যতদূর দৃষ্টি কেবল সজল- কাজল মেঘের আনাগোনা ।দুপুর না গড়াতেই টাইপরাইটারের শব্দের মত ঝাঁঝালো বৃষ্টি নামল আমাদের টিনের চালে । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির ধারাও যেন বেড়েই চলছে ,থামাথামি নেই।ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দেখি,আজ শ্রাবণ মাসের দুই তারিখ।বর্ষার মাঝামাঝি,এ সময়তো বৃষ্টি হবেই ।

আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে জানি নে,
জানি নে কিছুতেই কেন যে মন লাগে না ।।
ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে,
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে।

হ্যা বৃষ্টির দিনে এরকম গান গাইতে বা নানান রকমের বৃষ্টির কবিতা পাঠ করতে কার না ভালো লাগে বলো। বৃষ্টির মনসুন আসলেই শুরু হয় ফেসবুক আর হোয়াটস্যাপ এর স্টেটাস আর গানের ছড়াছড়ি তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অনেক সুন্দর সুন্দর স্টেটাস। সঙ্গে থাকুন। আশা করি অনেকটা ভালো লাগবে।

1. তুমিহীন আজ আমি একা পথে হাটি পায়ের নিচে আজ খালি ভেজা মাটি ….

2. বৃষ্টি মানে অলস দুপুর তোমার ভেজা চুল বৃষ্টি মানে রোদের ছুটি, প্রিয় গানের সুর.. বৃষ্টি মানে খোলা জানালা, পুরনো স্মৃতিচারণ বৃষ্টি মানে আদুরে উল্লাস, তোমায় ছুঁতে বারণ …

3. আমার আকাশে আজ সারাদিন বৃষ্টি তোমার আকাশেও কি তাই ? বৃষ্টি পাগলী তুমি কিচ্ছু বুঝো না তোমাকে যে আমি কতটা চাই। 

4. বৃষ্টি মানে অলস দুপুর তোমার ভেজা চুল বৃষ্টি মানে রোদের ছুটি, প্রিয় গানের সুর.. বৃষ্টি মানে খোলা জানালা, পুরনো স্মৃতিচারণ বৃষ্টি মানে আদুরে উল্লাস, তোমায় ছুঁতে বারণ …

5. মেঘলা মেঘলা আকাশ.. ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস.. বৃষ্টি ভেজা গা.. জলে ভেজা পা.. বৃষ্টি থামেনা.. চারদিকে জল.. পা সামলে চল।

6. হৃদয়ে প্রেম আসুক শরতের বৃষ্টি হয়ে বুকের ভিতর শীতল বাতাস নীরবে যাক বয়ে তোমার সঙ্গে যদি হয় দেখা কোন বৃষ্টি মুখর দিনে আমাকে নিভৃতে বাঁধিও প্রিয়া তোমার ভালোবাসার ঋণে। 

7. এমনই দুপুর বেলা বৃষ্টিতে ভিজে হাটছি, চারদিক কিছুই দেখা যায়না শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি। এমন সময় তুমি আমার সামনে। কি করবো বুঝিনাই, কি বলবো ভেবে দেখি নাই, তবে তোমাকে অনেক ভালো লেগেছিলো। আজকের এই আকাশ দেখে তুমিও কি কাদছো, সেই দিনগুলো মনে করে?

8. মেঘের চিঠি লিখে দিলেম প্রিয়া তোমার নামে সেই চিঠিটি ভরে দিলাম মিষ্টি রোদের খামে যখন রোদ ফুরিয়ে নামবে আঁধার দৃষ্টি সীমানায় তখন বৃষ্টি হয়ে যাবে চিঠি তোমার ঠিকানায়। 

9. বহুদিন পরে বৃষ্টিতে ভিজলাম তবে খুব ভয় হচ্ছিল না হঠাৎ বজ্রপাতে মরেযাবার ভয় না বৃষ্টিতে ভিজলে ভ্যাট দিতে হয়কিনা সেই ভয়।।

10. বৃস্টি ভেজা বরষা দিনে.. খুজি তোমায় আনমনে, বলনা কেমন আছ তুমি.. বৃস্টির রিমঝিম এই ক্ষনে?

11. বৃষ্টির সাথে ধুয়ে মুছে যাক, সব আটা, ময়দা, সুজি; আস্তর বিহীন আসল চেহারা খুঁজি।

12. ভাল আছি ভাল আছি সখা তুমি বিনে…………. কাছে থেকোনা দুরে যাও চলে শুধু অনুভবে থাকো শুধু অন্তরে থাকো ফোটা ফোটা বৃষ্টি হয়ে মিশে যাও জলে…… ভাল আছি ভাল আছি সখা তুমি বিনে…….

13. আজ বর্ষা এলো, ফরসা আকাশ মেঘলা হোলো, নামছে এখন বৃষ্টি, আমার কথা মনে পড়লে জানালায় রাখো দৃষ্টি।

14.  মেঘ গুড় গুড় মেঘলা দিনে কালো মেঘের সাজ গুড়ুম গুড়ুম শব্দে খালি পড়ে ভাজ ।

15.  বৃষ্টি ভেজা দিনে বৃষ্টি ভেজা কিরণ নিত্য নতুন আনন্দে তাকেই করি বরণ ।

16. বৃস্টি ভেজা বরষা দিনে.. খুজি তোমায় আনমনে, বলনা কেমন আছ তুমি.. বৃস্টির রিমঝিম এই ক্ষনে?

17. যান্ত্রিক শহরে বৃষ্টির ছায়া কারো উপর পড়ে না কাজে কামে ব্যস্ত সবে বৃষ্টির রোমান্টিকতা মনে যে আসে না। 

18.  নীল আকাশে মেঘের বাতাসে আকাশপটে কত যে স্বপ্নআঁকা রঙধনু রঙে আকাশে দেখি নীল রং হাসে ঠোঁট করে বাঁকা। 

19. আজ বর্ষা এলো, ফরসা আকাশ মেঘলা হোলো, নামছে এখন বৃষ্টি, আমার কথা মনে পড়লে জানালায় রাখো দৃষ্টি।

20.  টিনের চাল গড়িয়ে টুপটাপ টুপটাপ বৃষ্টির ফোঁটা বাড়িয়ে দিয়ে হাত.. লাগাই ছোঁয়া….. শীতল পরশে..অনুভূতিতে স্মৃতিতে আজ সব কিছু্ই লাগে যেন ধোঁয়া ধোঁয়.

শেষ কথা 

বৃষ্টি কি শুধুই জল ঝড়ায় এইপৃথিবীতে ? না বৃষ্টি অনুভুতিও ঝড়ায়, এবং তা ছড়িয়ে পরে মানুষে মানুষে। তাইতো বৃষ্টি একটা অনুভুতির নাম। আর এই অনুভুতি মানুষ নানান কায়দায় নানান রঙ্গে প্রকাশ করে। কেউ আবেগী হয়, কেউবা অভিমানের গন্ধ ছড়ায় আবার কেউ কেউ বিরক্তের রঙ্গে বিভৎস (!) হয়। বৃষ্টি খুব রোমান্টিক বা মজার মুড তৈরি করতেও ভুল করেনা। তাহলে বন্ধুরা বৃষ্টি ভালো ভাবে অনুভব করুন। ভালো থাকবেন। আর হ্যা কেমন লাগলো জানাবেন।

The post বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাস – Rain Status In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

কবিতা, বাংলা কবিতা – Bengali Poem

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমরা কবিতা কিন্তু খুব ভালোবাসি। কিন্তু বন্ধুরা কবিতা বলতে অনেক ধরণের কবিতা হতে পারে সেটা প্রেমের কবিতা বা রোমান্টিক কবিতা বা ভালোবাসার কবিতা ইত্যাদি হতে পারে। কিন্তু আজ আমি আপনাদের কিছু কবিতা শেয়ার করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

বাংলা কবিতা – Bengali Poem

1. বাংলার মানুষের বাড়ছে কষ্ট…
পরম প্রকৃতি যে আজ হয়েছে রুষ্ট ,
কত ফসল…কত সবুজ হয়েছে নষ্ট…
অপারগ তুমি, করেছো প্রকৃতিকে তুষ্ঠ ..?
প্রকৃতির দান কেউ কখনো করেছো গণ্য…?
মনে রেখো তবে,
যত বড়োই হও না তুমি politician…
যত বড়োই হওনা তুমি বিত্তশালী..
যত বড়োই হওনা তুমি মস্তান..
প্রকৃতির কাছে তুমি একেবারে তুচ্ছ।।

2. শেষ হ’ল জীবনের সব লেনদেন,
বনলতা সেন।
কোথায় গিয়েছ তুমি আজ এই বেলা
মাছরাঙা ভোলেনি তো দুপুরের খেলা
শালিখ করে না তার নীড় অবহেলা
উচ্ছ্বাসে নদীর ঢেউ হয়েছে সফেন,
তুমি নাই বনলতা সেন।
তোমার মতন কেউ ছিল কি কোথাও?
কেন যে সবের আগে তুমি চলে যাও।
কেন যে সবের আগে তুমিবিস্তারিত
3. পরাবাস্তব বৃষ্টিতে ভেজে বগলের বর্ষাতি–
শুকনো আষাঢ়, মিছে গর্জায় আকাশের কালো হাতি;
কখনো ধূসর নীলিমায় শু’য়ে গর্ভিনী কোনো মোষ
হতাশার মতো প্রসব করছে সাদা-সাদা খরগোশ!
এ-আষাঢ় যাবে সাদাকালো আর নীলের কোলাজ দেখে?
বর্ষাসংখ্যা সাময়িকী জুড়ে মেঘের পদ্য লে’খে?
ঈশানের দিকে চেয়ে দেখি যেই জমছে সম্ভাবনা
‘বৃষ্টি হবে না’ ঘোষণায় বলে ঢাকা বেতারের খনা।
অবচেতনের কোথায় তবুও কদমের ঘ্রাণ পাই:
অলীক জলের শিহরণে কাঁপে করিডোরে বনসাই–বিস্তারিত
4. উঠানের সেই দিকে আন্ধারের ইয়া লম্বা লাশ,
শিমের মাচার নিচে জোছনার সাপের ছলম,
পরীরা সন্ধান করে যুবতীর ফুলের কলম,
তারার ভিতরে এক ধুনকার ধুনায় কাপাশ,
আকাশে দোলায় কার বিবাহের রুপার বাসন,
গাবের বাবরি চুল আলখেল্লা পরা বয়াতির,
গাভির ওলান দিয়া ক্ষীণ ধারে পড়তাছে ক্ষীর,
দুই গাঙ্গ এক হয়া যাইতাছে- কান্দন, হাসন।
একবার আসবা না?- তোমারেও ডাক দিতে আছে
যে তুমি দুঃখের দিকে একা একা যোজন গিয়াছো?
একবার দেখবা না তোমারেও ডাক দিতে আছে
যে তুমি আঘাত নিয়া সারাদিন কি তফাত আছো?
যে নাই সে নাই সই, তাই সই, যা আছে তা আছে,
এমন পুন্নিমা আইজ, কোন দুঃখে দুয়ার দিয়াছো?
5. কে য্যান কানতে আছে- তার শব্দ পাওয়া যায় কানে,
নদীও শুকায়া যায়, আকালের বাতাস ফোঁপায়,
মানুষেরা বাড়িঘর বানায় না আর এই খানে,
গোক্ষুর লতায়া ওঠে যুবতীর চুলের খোঁপায়।
বুকের ভিতর থিকা লাফ দিয়া ওঠে যে চিক্কুর,
আমি তার সাথে দেই শিমুলের ফুলের তুলনা,
নিথর দুফুর বেলা, মরা পাখি, রবি কি নিষ্ঠুর,
আগুন লাগায়া দিবে, হবে খাক, তারি এ সূচনা।
অথচ আমারে কও একদিন এরও শ্যাষ আছে-
আষাঢ়ের পুন্নিমার আশা আর এ দ্যাশে করি না,
চক্ষু যে খাবলা দিয়া খায় সেই পাখি বসা গাছে,
অথচ খাড়ায়া থাকি, এক পাও কোথাও নড়ি না।
সকল কলস আমি কালঘাটে শূণ্য দেইখাছি,
তারে না দেইখাছি তাই দ্যাখনের চক্ষু দিতে রাজি।।
9. আপনি যে আছে আপনার কাছে,
নিখিল জগতে কী অভাব আছে।
আছে মন্দ সমীরণ, পুষ্পবিভূষণ,
কোকিল-কূজিত কুঞ্জ।
বিশ্বচরাচর লুপ্ত হয়ে যায়,
এ কী ঘোর প্রেম অন্ধ রাহুপ্রায়
জীবন যৌবন গ্রাসে।
তবে কেন, তবে কেন এ দুরাশা?
হৃদয়ে জ্বালায়ে বাসনার শিখা,
নয়নে সাজায়ে মায়া-মরীচিকা,
মন দিয়ে মন পেতে চাহি।
ওগো কেন,
কেন মিছে এ পিপাসা।
ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
তবে কেন,
তবে কেন মিছে ভালোবাসা।
10. কবিরা তো চিরকাল মিথ্যুক , তবু
কি কবিতাগুলো মিথ্যে
বানানো কথার এই কিংশুক , স্ফুলিঙ্গ নিত্যে-
অনিত্যে..
ডাক দিলে কল্পনা পাখিটা , উপমার শীস দিয়ে বন্য
নাগরিক জীবনের বাকিটা , রূপকথা হবেই অনন্য।।

 

The post কবিতা, বাংলা কবিতা – Bengali Poem appeared first on Chalo Kolkata.


গর্ভাবস্থায় , গর্ভাবস্থায় খাবার

$
0
0

বিয়ের পরে মা হবার স্বপ্ন কে না দেখে, আর এই স্বপ্ন যখন সত্যি হয়ে যায় তখন একটা মায়ের কাছে সেটা পৃথিবীর সেরা সুখ ও সেরা অনুভূতি। আমরা সবাই জানি যে এর পিছনে আছে অনেক কষ্ট অনেক জ্বালা যন্ত্রনা। কিন্তু আমাদের এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা একমাত্র এই ক্ষমতা দিয়েছেন একজন মা কে। বন্ধুরা আজ আমরা জানবো যে গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবারে কী কী উপকারিতা আছে।

 আমাদের দেশে প্রত্যেক দিনে হাজার হাজার লক্ষ্য লক্ষ্য মহিলারা মা হন। তার জন্য অনেক সময় ধরে  অপেক্ষা করতে হয়। মোটামুটি  ৮ থেকে ১০ মাস অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এখন আর এত্ত সময় লাগে না কারোর ৭, কারোর ৮, আবার কারোর ৯ মাসেই মা হয়ে যান। আর এই সময় ধরে থাকে নানানা সাবধানতা থেকে শুরু করে খাবার দাবার এরভালো  পরিচর্চা। তার থেকে উঠে আসে ভালো বিশ্রাম আর নানান ধরণের খাবারের কথা।

গর্ভবতী মহিলাদের স্বভাবতই খুব বেশি খিদে পায় এবং সেই সময়ে সঠিক পরিমাণে ও গুণমানের খাওয়ার খাওয়া তাঁদের জন্য খুব জরুরী। কেননা এই খাবার ও ভিটামিন মায়ের সাথে সাথে শিশুরও শরীর গঠন ও বেড়ে ওঠায় কাজে লাগে। গর্ভবতী অবস্থায় সব মায়েরই প্রয়োজন পড়ে সঠিক পরিমান বিশ্রাম ও খাওয়াদাওয়া ইত্যাদির।

বন্ধুরা আজ আমি একটা কথা দায়িত্ব গর্ভাবস্থায় নারীদের খুব সচেতন থাকতে হয় কি তাই তো নাকি ? এ সময় চলাফেরা, জীবনধারণ ও খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন হলে অনেক ঝুঁকি এড়ানো যায়। তাই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার তথা সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় ড্রাই ফ্রুটস ও বাদাম থাকা ভালো। এপ্রিকট, ডুমুর, আপেল, আখরোট, বাদাম, কিসমিস ও পেস্তা বাদাম গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্যকর।   কারণ এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। গর্ভাবস্থায় ডাব ও গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়াও খুব ভালো। তাহেল জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কিছু খাবারের উপকারিতা।

গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার উপকারিতা

বন্ধুরা আমরা মধু কম বেশি সবাই খাই তবে মধু বেশিরবাগ মানুষ শীতকালেই সেবন করে থাকে। আর মধু শুধু সুস্বাদুই নয় এবং পরিমার্জিত চিনির জন্য খুব ভাল বিকল্পই নয়, এতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ এবং বিভিন্ন ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি রয়েছে । হাজার হাজার বছর ধরে মধুকে খাদ্য ও ঔষধে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি প্রাকৃতিক মিষ্টিকারক হিসাবে সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে । রান্নাতেও এর অনেক কাজ। মধুকে বিশেষত মা হতে চলা মহিলাদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয় ।

গর্ভবতী মহিলারা বা মেয়ের যা খেতে পারে সে সম্পর্কে অনেক রকম সতর্কতা অবলম্বন করে এবং বিশেষত নষ্ট বা অস্বাস্থ্যকর খাবার  গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে । বেশিরভাগ মিষ্টি খাবার যাদের জীবনের কম সময় থাকে, তবে মধু, যখন সিলযুক্ত পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় তখন বেশ কয়েক বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে কারণ অধিকাংশ মাইক্রোবায়াল প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ওঠে না ।

গর্ভাবস্থায় মধু প্রায়ই অপরিবর্তনীয়। যদি ভবিষ্যতে মায়ের এই পণ্য এলার্জি না থাকে, তবে এটি শীতলতা জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, শরৎ-শীতের সময় ঠান্ডা প্রতিরোধ করার জন্য মধু নিখুঁত।

গর্ভবতী মহিলাদের বিষাক্ত রোগে আক্রান্ত হওয়া, মধু উদ্ধারের জন্যও আসতে পারে, কারণ এটি বিরক্তিকর এবং বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করতে পারে। একটি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক সংরক্ষণ করতে, মধু চামড়া সমস্যা যাকে আমরা চর্ম রোগ বলি তার জন্য খুব উপকারী। গর্ভাবস্থায় মধু অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এটি ভবিষ্যতে মায়ের সব প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মাইক্রোএইচমেন্টের পাশাপাশি অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে যা কোষ ও টিস্যুর গঠনে অংশ নেয়। একটি গর্ভবতী মহিলার জন্য মধুর প্রস্তাবিত ডোজ হয় পঞ্চাশ এক শত গ্রাম একটি দিন বা দুই থেকে তিন টেবিল চামচ। শুধু পড়লেই হবে না একটু মেনে চলুন।

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

বন্ধুরা আমরা অনেকেই জানি যে ডালিমে ক্যালসিয়াম, ফোলেট, লোহা, প্রোটিন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় তাদের অত্যন্ত সুপারিশ করা হয়। আর তাছাড়া ডালিম বা বেদনা মানেই উপকার সেটা আমরা সবাই জানি। ছোট হলে ডালিম আর বড়ো লাল রঙের হলে বেদনা বলি আমরা।

ডালিম ফলটি খাওয়া একটা স্বাস্থ্যকর পছন্দ,কারণ এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যা গর্ভাবস্থায় আপনার দেহে সরবরাহ হয়ে থাকে। ডালিম আপনার ডায়েটে অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে আপনার গর্ভাবস্থার ঠিক প্রথম মানে ওই ৩ মাস থেকে। ডালিমের দানাগুলি স্বাদে অতুলনীয় এবং সেগুলি যে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানগুলি সরবরাহ করে থাকে সেগুলি ভ্রূণের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি একটা কথা বলবো যে ডালিম খাওয়ার সময় ভালো করে চিবিয়ে তার রস খাওয়া ভালো, আর ছিবড়ে গুলো ফেলে দিন। যখন কোনও মহিলা গর্ভবতী হন,তিনি এমন ধরণের খাবারগুলির দিকে ঝোঁকেন যেগুলি তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করতে সহায়তা করে এবং তার সাথে তার স্বাদকোরকগুলিকেও পরিতৃপ্ত করে তলে।যদি আপনি সন্তানসম্ভবা হয়ে থাকেন,তবে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলি খাওয়া আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

গর্ভাবস্থায় বেল খাওয়ার উপকারিতা

বেল এমনি একটা জিনিস যা আমরা অনেকেই খাই আবার বেলের শরবত হলে তো আর কোনো কোথায় নেই। বন্ধুরা আমরা বাজারে অনেক ফলই কিনি। কিন্তু একটি ফল আমরা তেমন কিনি না সেটি হল বেল। বেল অনেকেই পছন্দ করেন না, আবার অনেকেই পছন্ধও করেন। আসলে যারা পছন্দ করেন না তারা এর উপকারিতা কি সেটা জানেন না তাই পছন্দ করেন না।  কিন্তু প্রচণ্ড গরমের দাবদাহে একটু বেলের সরবতে যেন প্রান জুড়িয়ে যায়। গরমে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে বেলের সরবতের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। কিন্তু শুধু পেট ঠাণ্ডা নয়, বেলের আছে আরও নানা রকম গুণ। যেগুলি আমরা তেমন জানি না। বেলে আছে এমন কিছু উপাদান যা খুব কম ফলেই পাওয়া যায়। যেমন এতে আছে প্রোটিন, শর্করা, থায়ামিন, ক্যারোটিন, নিয়াসিন ও আরও অনেক পুষ্টিগুন। একটা কথা আমরা সবাই জানি যে বেল ২ রকমের হয়ে থাকে ১. পাকা বেল ২. কৎবেল। কৎবেল মানেই বাঙালি মেয়েদের ভালোবাসা, বাঙালি মেয়েদের সবচেয়ে প্রিয় চটপটি খাবার। আর আপনি যদি সন্তানসম্ভবা হন, তা হলে তো কথাই নেই। লঙ্কা, তেল দিয়ে কৎবেল মাখাই যেন অমৃতসমান তখন। মুখে রুচি না থাকলে আগেভাগেই বেল মেখে খেতে শুরু করে দিই আমরা। মৌসুমী ফল হিসেবে কৎবেলের জুড়ি মেলা ভার! উষ্ণ গরমের এই সময়ে টকস্বাদের কৎবেলের ভর্তা বা শরবতই শরীর ঠান্ডা করবে, তেমনই এর নানা ওষধি আর পুষ্টিগুণ সুস্থ-সবলও রাখবে আপনাকে।

কৎবেলে আছে এমন কিছু উপাদান, অন্য় ফলে একসঙ্গে যা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এই পুষ্টিকর উপাদানগুলির মধ্য়ে অন্য়তম হল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন-সি, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ইত্য়াদি। এত গুণসমৃদ্ধ ফল, গর্ভাবস্থায় খেলে তা হলে অসুবিধা কী? এই প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে এখন। তা হলে আগে দেখে নিন কৎবেল কেন ভালো। তারপরে এর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়েও আলোচনা করব আমরা!

প্রতি ১০০ গ্রাম কৎবেলে থাকে ৮৫.৬ গ্রাম জলীয় অংশ, খনিজ পদার্থ ২.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলো ক্যালোরি, আমিষ ৩.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫৯ মি. গ্রাম, ভিটামিন সি ৩ মি. গ্রাম।

 

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা ফলের তালিকার শীর্ষে রয়েছে কারণ ফোলেট, ভিটামিন সি, বি6, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো মূল পুষ্টি রয়েছে। ফোলেট স্নায়ু টিউব ত্রুটি থেকে ভ্রূণকে রক্ষা করার কাজ করে, ভিটামিন বি6 আপনার সোডিয়াম মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভারসাম্যহীন তরলের মাত্রা গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে বমি বমি ভাব এবং বমি করাতে পারে, কিন্তু কলার মধ্যে পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ একটি সুস্থ তরল ভারসাম্য নিশ্চিত করে। সাধারণত, আপনার প্রথম ত্রৈমাসিকের সময় প্রতিদিন একটি কলা খেতে সুপারিশ করা হয়।

The post গর্ভাবস্থায় , গর্ভাবস্থায় খাবার appeared first on Chalo Kolkata.

খেজুরের উপকারিতা – Dates Benefits In Bengali

$
0
0

খেজুর এমন একটা জিনিস ব্যাপারে যত বলবো ততই কম বলা হবে। হ্যা সত্যি তাই। এক অদ্ভুত উপকার আছে এই খেজুরের মধ্যে। আজ আমরা জানবো যে খেজুরের ১ ডজন অর্থাৎ ১২ রকমের উপকারিতা। খেজুর নামক জিনিসটা কে না চেনে এর ইংরেজি নাম Dates। কিন্তু বন্ধুরা একটা কথা মাথায় রাখবেন যে খেজুর খাওয়া তো খুউব ভালো সেটা ঠিক আছে। কিন্তু খেজুর অনেক ধরণের হয়ে থাকে। একটু ভালো খেজুর খাবার চেষ্টা করবেন। হয়তো একটু দাম নেবে কিন্তু দাম দিয়ে হলেও ভালো খেজুর খাওয়া ভালো। আমরা সচর আঁচড় যে পুজোতে খেজুর ব্যবহার করে থাকি সেটা না খাওয়াই ভালো। এমনি প্রসাদ হিসাবে খান সমস্যা নেই। কিন্তু সাস্থের জন্য বা উপকারে জন্য আপনাকে ভালো খেজুর খেতে হবে। আমাদের এই আর্টিকেল এ ভালো খেজুরের ছবি আমি দিয়ে দেব। ওই ধরণের খেজুর কিনে খাবেন। আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন সকালে কিছু খেয়ে বা ব্রাশ করে ৪ টে খেজুর খাবেন। খেয়ে এক গ্লাস জল খাবেন। বেশি খাবেন না। এটাই নিয়মিয়ত খেয়ে যান টানা ৬ মাস। ফল আর আমাকে বলতে হবে না।

বন্ধুরা আমাদের সমাজে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মিষ্টি খাবার মানেই তা শরীরের জন্য ভালো নয় বা মিষ্টি কম খাওয়া উচিত, যদিও কথা টা খুউব যে অসত্য তা কিন্তু নয়। তবে এই ধারণা সব কিছুর ক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর একটা মিষ্টি ফল, তবু এর মধ্য কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। বরং এটি খেলে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে। খেজুরের মধ্য বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে শীতকালে এই ফলটি খাওয়া খুব জরুরি। তবে আমি বলবো যে শীতকালে তো খাবেনই তা ছাড়া অন্য যে কোনো সময়ে আপনি খেতেই পারেন কোনো সমস্যা নেই। চলে যাবো আবার খেজুরের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা পর্বে। 

 

খেজুরের ৫৩টি উপকারিতা

1. খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় যারা একটু দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যায় তাদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট পথ্য।

2. খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে খেজুর।

3. ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির যোগান দেয় খেজুর।

4. সুস্থ হৃদপিন্ডে দেহযন্ত্রে স্বাচ্ছন্দ এবং সতেজ বিধান করে এমন শক্তিদায়ক বা বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে খেজুরের জুড়ি নেই।

5. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর ব্লেন্ড করা জুস খেলে হার্টের সমস্যায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি ভাল সমাধান পাবেন।

6. খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে

7. খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী

8. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।

9. ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করতে পারি।

10. পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে  অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।

11. যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

12. দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

13. খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।

14. খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম বিদ্যমান যা আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সচল রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।

15. প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ৩২৪ মিলিগ্রাম ক্যালরি থাকে। ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, তাই খেজুর শিশুদের জন্যও অনেক উপকারী একটি ফল।

16. দেহকে সচল ও কার্যক্ষম রাখতে শক্তির প্রয়োজন। এর অভাবে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়,শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষেত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্য শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।আর এই শর্করা জাতীয় খাদ্য হিসেবে খেজুর খাদ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।

17. খনিজ পদার্থ দৈহিক পুষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে। খেজুর দেহে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।

18. খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয়

19. খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

20. নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত।

21. খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।

22. রোজায় অনেকক্ষন খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়

23. ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে।

24. আজওয়া খেজুর বিষের মহৌষধ।

25. খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।

26. আয়রনের পরিমাণও রয়েছে খেজুরে। তাই রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।

27. স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে

28. মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

29. ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

30. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।

31. তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে জলে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

32. সারাদিন রোজা রাখার পর পেট খালি থাকে বলে শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।

33.  মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম দূর হয়। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ উপকারী।

34. খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী।

35. এর চুর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

36. হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী

37. হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক

38. খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়।

39. উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।

40.  পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।

41. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও রুচি বাড়ায় ত্বক ভালো রাখে

42. খেজুরে রয়েছে ৬৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৭.৩ মিলিগ্রাম লৌহ – যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, চুল ভালো রাখতে সহয়তা করে।

43. খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে।

44. খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।

45. নেশাগ্রস্তদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধ করে খেজুর। স্বাস্থ্য ভালো করতে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

শেষ কথা 

খেজুর এর শেষ কথা বলতে গেলে তেমন কিছু নেই আবার কিছু কথা না বললেও চলে না সেটাহল এক দিনে ৪ থেকে ৫ বার বা বারবার একদম খাবেন না ওই সকালে একবার ৩টি , ৪টি বা ৫ টি খেজুর খাবেন। সব থেকে ভালো রাত এ একটা কাপ এ ৪ ঠিক ৫ তা খেজুর ভিজিয়ে রেখে দিন আর সালে ঘুম থেকে উঠে ওই জল তা খেয়ে নিন। তারপর ৩০ মিন পর ওই খেজুর গুলোও খেয়ে নিন। দেখবেন অনেক ভালো হবে। খেজুর খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও আয়রনের অন্যতম উৎস খেজুর প্রতিদিন ডায়েটে রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আর খেজুরের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ। 

The post খেজুরের উপকারিতা – Dates Benefits In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

আগমনী কবিতা

$
0
0

আগমনী কথা বা আগমনী এই শব্দটা শুনলেই যেন শরীরের মধ্যে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পরে আনন্দের। এই আগমনীর মধ্যে বাঙালির শীর্ষ আনন্দ লুকিয়ে থাকে যা ঠিক স্রোত কালের এই সময় প্রস্ফুটিত হয়।  বর্ষা অন্তে আসন্ন শরতের শিউলি ঝরা ভোর আমাদের অন্তর জুড়ে স্নিগ্ধতার প্রলেপ ছড়িয়ে দেয়। যদিও কিছুক্ষনের অতিথি এই শরৎ। শরৎ প্রকৃতিকে অপরূপ রূপে সাজিয়ে যায় যার আবেশে অতি সাধারণ মানুষ ও ভাবাবেগে আনন্দিত হহয়ে ওঠে।  শরৎ অবসাদগ্রস্ত মনেও নতুন প্রেরণার সঞ্চার করে।  শরতের আগমনে বাংলার প্রকৃতি থাকে নির্মল স্নিগ্ধ।  শরতে আকাশের মতো আকাশ আর কোন ঋতুতে দেখা যায় না।  শরৎকালের রাতে জ্যোৎস্নার রূপ অপরূপ।  মেঘমুক্ত আকাশে যেন জ্যোৎস্নার ফুল ঝরে।  চাঁদের আলোর শুভ্রতায় যেন আকাশ থেকে কল্পকথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে পৃথিবীতে। শরতের এ সময়টা শস্যপূর্ণা। ধানক্ষেত এ সময় ফল সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ।  মাস দু–এক পরেই কৃষকের গোলা ভরবে ধানে। কিষাণীর নোলক দোলানো হাসি বলে দেবে পরিতৃপ্তির কথা।  শরৎ আনন্দের ঋতু।  শরৎপূর্ণতার ঋতু, প্রাচুর্যের ঋতু।  এমনি ঋতুকে কি ভুলে থাকা যায়?

শরৎ মানেই সকাল-সন্ধ্যা ঘাসের ডগায়, ধানের শীষে শিশির বিন্দু জমে ওঠা। বাতাসে হিমেল অনুভূতি। এ ঋতু নিয়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন- ‘এসেছে শরৎ, হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে।’ শরতকালে হিমেল হাওয়ার অনুভূতি ও শিউলি ফুলের ঘ্রাণ কম পাওয়া গেলেও স্বচ্ছ নীল আকাশে চলছে তুলার মতো সাদা মেঘের আনাগোনা। নদীর তীরে তীরে ফুটে উঠেছে কাশফুল। অপরূপ বিভাও সৌন্দর্যের কারণে শরৎকালকে বলা হয়ে থাকে ঋতু রাণী।  মানুষ মাত্রই শরৎ কালে প্রকৃতির রূপ–লাবণ্য দেখে মোহিত না হয়ে পারে না।   শরতের সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময়।  ভাদ্র আশ্বিন এ দু’মাস শরৎ ঋতু।  বর্ষার পরের ঋতুই শরৎ।  তাই শরতের আগমনে সবার হৃদয় আনন্দে নেচে ওঠে। আমরা আজ দেখে নেবো যে আগমনী কবিতার মূলভাব।

শরতের আগমনী কবিতা – বাংলা আগমনী কবিতা

 

1. মাগো তুমি আসবে বলে.. হৃদয় জুড়ে খুশির লহর ;
ও মা তোমার পথ চেয়ে আমি শুধুই গুনি প্রহর ,
জানি মা তুমি আসছ তাই তো মেঘেদের আনাগোনা .
মাঠে মাঠে তাই কাশফুল ফোটেmভোরের ঘাসে শিশিরকনা …

2. সুধীরে নিশার আঁধার ভেদিয়া ফুটিল প্রভাততারা।

হেথা হোথা হতে পাখিরা গাহিল ঢালিয়া সুধার ধারা।
মৃদুল প্রভাতসমীর পরশে কমল নয়ন খুলিল হরষে,
হিমালয় শিরে অমল আভায় শোভিল ধবল তুষারজটা।
3. আগমনে প্রফুল্ল হৃদয়, পূরব দিশায় হয় অরুণ উদয়।
রাঙিল ভুবন আজি অরুণ আভায়, ফুলের সৌরভ ভাসে বাতাসের গায়।
ফুল বনে ফুল শাখে ফুটে ফুলকলি, মধু আহরণে আসে গুঞ্জরিয়া অলি।
ভোরের আলোয় মুক্ত নিশির শিশির দূর্বাদল-বৃন্ত হতে ঝরে ঝির ঝির।
4.মাগো  তোমার আগমনী সুর তোলে প্রানে এক হিল্লোল –
খুশিতে বিভোর বসুন্ধরা আবেগে বিহ্বল !
মাগো তোমার মধুর রূপে মজে যায় ত্রিভূবন !
মৃন্ময়ী তুমি কৃপা কর সবে এই বলি সারাক্ষণ !
অশুভ থেকে শুভ’র দিকে আঁধার থেকে আলোকে …
মৃত্যুর থেকে অমৃতের পথে ! নিয়ে চল মাগো তব জয়রথে।

5. সবুজ তরুর শাখে পাখি সব বসে থাকে প্রভাতের আগমনী গায়,
সোনা ঝরা রোদদুরে বাজে বাঁশি মিঠে সুরে মাঝি সব মাদল বাজায়।
সবুজ ধানের খেতে প্রভাত হাওয়া মেতে ঢেউ লাগে দিয়ে যায় দোলা,
অজয়ের নদীজলে বৈঠা বেয়ে মাঝি চলে নৌকাখানি সাদাপাল তোলা।
দেবীর মন্দির মাঝে ঢাক ঢোল কাঁসি বাজে পূজোর সময় এল কাছে,
চতুর্দিকে হাঁক ডাক ঢাকীরা বাজায় ঢাক আনন্দে হৃদয় মোর নাচে।

আগমনী নিয়ে কবিতা – ছোটদের আগমনী কবিতা

6. আজি শঙ্খে শঙ্খে মঙ্গল গাও জননী এসেছে দ্বারে
সপ্তসিন্ধু কল্লোলরোল বেজেছে সপ্ততারে।
সুর সপ্তক তুলেছে তান সপ্ত ঋষির গানে
সপ্তসর্গে দুন্দুভি ঘোষে সপ্তগ্রহের টানে।
অন্তরে আজ সপ্তদলের নবজাগরণ সারে।
ওগো জননী এসেছে দ্বারে। সাতরাঙা রবি রামধনু হাতে
পরণের বাণ হানেসপ্তকোটি সুসন্তান বিজয়মাল‍্য আনে
সপ্ততীর্থ এক ই সাথ হয়ে রীতিমন্দির দ্বারে
তুলে নাও বুকে তারে ওগো জননী এসেছে দ্বারে।

7. তটিনী চলেছে নাচিয়া ছুটিয়া, কলরব উঠে আকাশে ফুটিয়া,

ঝর ঝর ঝর করিয়া ধ্বনি ঝরিছে নিঝরধারা।
তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া মালা, চলিয়াছে গিরিবাসিনী বালা,
অধর ভরিয়া সুখের হাসিতে মাতিয়া সুখের গানে।
মুখে একটিও নাহিকো বাণী শবদচকিতা মেনকারানী
তৃষিত নয়নে আকুল হৃদয়ে, চাহিয়া পথের পানে।
আজ মেনকার আদরিণী উমা আসিবে বরষ-পরে।

8. তরুশাখে পাখি সব করিছে কূজন,
শারদ আকাশে শুভ্র মেঘের গমন,
শুভ্র মেঘপুঞ্জ ভাসে আকাশের গায়,
দুই ধারে কাশ ফুল নদী কিনারায়।
শরতের আগমন হেরি বসুধায়,
লিখেন লক্ষ্মণকবি তার কবিতায়।

9. আজি এ সুপ্রভাতে অজস্ৰ শঙ্খনিনাদে .
আমার নয়নপাতে অমলমুরতি ধরি ..
এলে মাগো দশভূজা কোন্ অপরূপ সাজে …
আকুল মনপবনে ..তব পদধ্বনি বাজে ;
এলে সুনয়না মধুর বেশে ভরালে এ মন অধীর আবেশে !
শিশিরকণায় শেফালীকা ফুলে.তোমার সে রূপে সবই গেছি ভুলে !
পরমা প্রকৃতি শক্তিস্বরূপা.ভবানী মা তুমি জগদম্বিকা !
মৃণ্ময়ী নও চিন্ময়ী মাগোনা প্রকৃতির মাঝে তুমি সদা জাগো !
হৃদয় আলয়ে তোমার শোভা তোমার মূর্তি বড় মনোলোভা !
মনের অসুর দমন করে ,তোমায় প্রণমি ও মা করজোড়ে !
দেবীপক্ষের এ মহাতিথিতে এসো এসো মাগো এই ধরণীতে …
তোমার ধেয়ানে তোমার স্তুতিতেহল মহালয়া এই পৃথিবীতে।

10. আমার আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে।
হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥
আমার মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে
মা মা ব’লে ছুটে আসে,
‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥
তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে,
না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে।
ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায়
কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’।
যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥

শেষ কিছু কথা 

আমি আগেও বলেছি যে আগমনী এমন একটা শব্দ যা শুনলে আমাদের সারা শরীর ও মন শিওরে ওঠে আনন্দে। কারণ টা আমরা সবাই জানি যে আগমনীর কথার অর্থ হচ্ছে আমাদের বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা উৎসব যার আগমনী দিয়ে শুরু হয়। আর এই আগমনী থেকে লেগে পরে নানান অনুষ্ঠান ও নানা ধর্পনের নিয়ম ও নীতি। আজ হটাৎ কেমন পুজো পুজো গন্ধ বাতাসে মোই মোই করছে। জানিনা কোনো হটাৎ মনে হচ্ছে। বেশি দিন নেই আর হাতে গোনা কটা দিন মাত্র। সাবধানে সব নিয়ম মেনে আনন্দ করুন। আপনার আনন্দ যেন কারোর কোনো ক্ষত না হয় সেটা মাথায় রাখবেন। ভালো থাকবেন আপনারা সবাই।

The post আগমনী কবিতা appeared first on Chalo Kolkata.

প্রেমের কবিতা – Love Poems In Bengali

$
0
0

প্রেম জীবনে এসেছে আপনার ? মানে হ্যা আসবে তো বটেই কিন্তু কতবার একটু বলবেন। হ্যা বন্ধুরা এখন বর্তমান জীবনে কিন্তু ওই প্রেম ট্রেম একবারই হয় বা একবারই আসে এইসব কথা এখন অতীত কারণ জীবনটা পুরো পুরি প্রেমে ভরা।  প্রেম এমন একটা জিনিস আপনার জীবনে আসবেই। আপনার দরজায় কড়া নাড়বেই। এইবার  আপনি সেটাকে কিভাবে নেবেন বা আপনি কিভাবে সেটাকে গ্রহণ করবেন সেটা আপনার ওপর মানে ওই প্রেমের ভবিষ্যতটা নির্ধারণ করবে। বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে প্রেম ভালোবাসা একটা দারুন অনুভূতির এক অংশ। বিশ্বাস করুন খুব মজার।

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়, বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে… এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।

প্রেম কি? প্রেম কে অভিধানে খুঁজতে গেলে পাওয়া যায়: প্রীতি স্নেহ অনুরাগ ভালবাসা ও ভক্তি মিশ্রিত ভাববিশেষ। কিন্তু ‘প্রেম’ অর্থ কি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ? চল্লিশ শতাব্দী ধরে অবক্ষয়ী কবি-দল খুঁজে যাচ্ছেন প্রেম কি? অনুভূতি, আকর্ষণ, হৃদয়ের টান? প্রেম কে সংজ্ঞায়িত করা হয় – ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও রহস্যময় অনুভূতি। প্রেম নিয়ে কয়েক শতাব্দী থেকে রচনা হচ্ছে কবিতা। প্রেম নিয়ে তৈরি হয়েছে সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা।

রোমান্টিক প্রেমের কবিতা – বাংলা কবিতা প্রেমের

1. আমায় ডুবাও যদি ডোবে কি সাগর
নতুন ঝিনুকে লাগে পুরানো আদর
তন্দ্রা আমায় দেয় অস্থিরতা
কাছে থেকে যা পেয়েছি তাইতো কথা
ছুঁয়ে গেলে মরে যাই
এমন স্পন্দে তাই
ছুঁবোনা ছুঁবোনা ওই কল্পলতা
এসো তবে দূরে এসো নীরবতা….

2. শ্যাওলা আমার শরীরে জাগে,
আমায় তুমি বড্ড ভালোবাসো
তাই শ্যাওলা মাখবো দুজন, বহু বহুযুগের গভীরতায়৷

3. ঝড় উঠুক,নৌকো দুলুক-
আষাঢ় শ্রাবণ ঢেউ থাক, ওপারে মনের গল্পে
তুই শুধু আমার রাজ্যত্বের কাদম্বরী॥

4.আমি বুঝাবো না আমার গুরুত্ব,
আমার শূন্যতা তোমাকে বোঝাবে।
আমার শূন্যতায় তোমাকে গ্রাস করবে,
আমি তোমার কি ছিলাম সেইদিন হয়তো বুঝবে।
সেইদিন তুমি হাহাকার করবে,
সারাদিন বিরক্ত করাকে খুব মিস করবে।
“ভালোবাসি” বলেছি তোমাকে হাজার বার,
তখন খুব বিরক্ত লাগতো তোমার।
কিন্তু এখন তোমার মন বলবে,
একটি বার এসে বলো ভালোবাসি তোমাকে।
তোমার সাথে ছিলাম সারাবেলা,
কিন্তু তুমি করেছিলে অবহেলা।
কিন্তু ঠিকই একদিন তুমি আমায় খুঁজবে।
তাই, আমি বোঝাব না আমার গুরুত্ব,
আমার শূন্যতা তোমাকে বুঝাবে।

5. প্রেম এসেছিলো কাছে
তবুও আসতে দিইনি
এমন জোরসে তালা মেরেছিলাম
মারতে মারতে চাবির প্যাচই কেটে ফেলেছিলাম
তবুও কাছে আসতে দিইনি
আমি প্রেম আসতে দিইনি
প্রিয়ার কাছে প্রিয়ার প্রেম আটকে দিয়েছিলাম।

6.আমি ফসল বুনি প্রাণীসমুহ তরে
জীবে প্রেম করে যেজন সেইজন প্রেমে ঈশ্বরে
এই মহাজাগতিক প্রেম বর্ণনাহীন রংবিহীন
নেই কোন অভিধানে এই প্রেমের বিবরন
আমি মাস্তুলহারা মাঝির মত গুনে চলি তারা
গোটা আকাশের কোন কোনে হবে আগত যাত্রা !!

7. তোমার কাছে আর্জি খোদা,
দু’হাত তোলে চাই,
যাকে আমি ভালবাসি,
তাকে যেন পাই।

যাকে আমি ভালবাসি,
থাকে যেন সুখে,
সারাজীবন যেন সেই
আমায় মনে রাখে।

ভালো তুমি রাখো তাকে,
সারাজীবন ধরে,
কভু যেন সেই আমায়
চলে না যায় ছেড়ে।

আসুক যত ঝড় তুফান
যেন থাকে পাশে,
তোমার তরে আর্জি খোদা,
কবুল করো মোদের।

8. তোকে ভালোবেসে হয়ে গেছি অন্ধ,
তাই তোকে না পেলে দম হয়ে যায় বন্ধ।
তোকে না পেলেই আমি রেগে যাই,
কারণ, সাথে তুই না থাকলে লাগে অসহায়।

তোকে কারো সাথে দেখলেই রেগে যাই,
কারণ, কারো সাথে দেখলে মরি হিংসায়।
তুই যদি চলে যাস আমায় অপেক্ষা রেখে,
তেলে বেগুনে জ্বলে উঠি প্রচন্ড রাগে।

তুই যদি না রাখস আমার কথা,
তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ যায় না রাখা।
কেন তুর সাথে এত রাগ করি জানিস??
তোকে আমি অনেক ভালোবাসি বলে।

9. দিন শেষে কেন যে রাত আসে,
প্রতি রাতেই কান্নায় চোখ ভাসে।
যে রাত হয় স্বপ্ন দেখার,
সেই রাত আজ হাহাকার।
রাত্রে নেমে আসে অন্ধকার,
সাথে নেমে আসে কষ্টের পাহাড়।
কাঁদি আর চোখ মুছি,
মনের কষ্টে আলো খুঁজি।
যে দেবে আলো আমায়,
সেই তো প্রতি রাতে কাঁদায়।

10.  খুব অস্থির মন তোমার অপেক্ষায় থাকতো ,
কবে তুমি আসবে, আমার সাথে গল্প করতে,
কিন্তু আজ একটা রাত, নেই তোমার দেখা,
আমি অপেক্ষায় থাকলেও তোমার  নেই দেখা।

11.  কখনো কষ্ট দিতে চাই নি
চেয়েছি মন ভরে ভালো বাসতে,
করেছিলে অনেক অবহেলা,
তারপরেও মেনে নিয়েছি ভালোবাসার স্বার্থে।

বদলে গেয়েছিলে তুমি,
তারপরেও বদলে যায় নি আমি,
দোষ না করেও বহুবার,
হয়েছিলাম আসামী।

12.  হয়তো খুব খুশি মনে,
ঘুমাচ্ছো আর নানা রঙিন স্বপ্ন দেখছো,
আর আমি এখনো জেগে, স্বপ্ন ভাঙ্গার বিরহে।
জানি তুমি আসবে না, তারপরও বোকার মত অপেক্ষায় আছি,
চোখে নেই ঘুম,আছে শুধু জল,
মনে বাজছে বিরহের বাঁশি।

13.  প্রতি দিন রাতে গল্প করতে হেসে,
আমি না হয় তুমি ঠিকই খুঁজে নিতে।
ছোট কিংবা বড়, গল্প কিছুটা হলেও হত,
কেউ পারতাম না ঘুমাতে গল্প যদি না হত।

14. ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি,
পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা;
ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া,
বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি;
ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা;
ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্টির একটানা
ভিতরে-বাহিরে দুজনের হেঁটে যাওয়া;
ভালোবাসা মানে ঠাণ্ডা কফির পেয়ালা সামনে
অবিরল কথা বলা;
ভালোবাসা মানে শেষ হয়ে-যাওয়া কথার পরেও
মুখোমুখি বসে থাকা।

 

The post প্রেমের কবিতা – Love Poems In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া নিষেধ

$
0
0

গর্ভাবস্থায়  কি কি খাবার খাবেন না সেটা নিয়ে বহু মানুষের  চিন্তা। কোনো এই চিন্তা কারণ তারা জানেন না সঠিক কি কি জিনিস খেতে নেই বা খাওয়া উচিত না। আমি এর আগে গর্ভাবস্থায় কি কি খাবার উচিত সেটা লিখে দিয়েছি এই লিংক এই লিংক এ ক্লিক করে দেখে নিন। সত্যি কথা বলতে সাধারণ হোক বা অসাধারণ এই বিষয়ে অনেকেরই অজানা যে গর্ভাবস্থায় কোন কোন জিনিস আছে যা গর্ভবতী নারীদের ক্ষতি করে থাকে বা একদম দূরে থাকা উচিত। আজ আমি আপনাদের সেই সব জিনিস নিয়েই জানাবো। সঙ্গে থাকুন।

আমাদের দেশে প্রত্যেক দিনে হাজার হাজার লক্ষ্য লক্ষ্য মহিলারা মা হন। তার জন্য অনেক সময় ধরে  অপেক্ষা করতে হয়। মোটামুটি  ৮ থেকে ১০ মাস অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এখন আর এত্ত সময় লাগে না কারোর ৭, কারোর ৮, আবার কারোর ৯ মাসেই মা হয়ে যান। আর এই সময় ধরে থাকে নানানা সাবধানতা থেকে শুরু করে খাবার দাবার এর ভালো  পরিচর্চা। তার থেকে উঠে আসে ভালো বিশ্রাম আর নানান ধরণের খাবারের কথা। আগেই আলোচনা হয়েছে যে কি কি খাবার এই সময় খাওয়া উচিত।

বন্ধুরা আজ আমি একটা কথা দায়িত্ব গর্ভাবস্থায় নারীদের খুব সচেতন থাকতে হয় কি তাই তো নাকি ? এ সময় চলাফেরা, জীবনধারণ ও খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন হলে অনেক ঝুঁকি এড়ানো যায়। তাই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার তথা সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। কিন্তু আপনি পুষ্টি ভেবে যদি ক্ষতিকর খাবার খেয়ে নেন তাহলে আপনাকে পস্তাতে হতে পারে। জেনে নেবো তাই আজকের আর্টিকেল এ জানাবো যে কি কি খাবার এই সময় উচিত না।

গর্ভাবস্থায় খাবেন না এমন খাবারের তালিকা

আনারস – Pineapple

আপনি জৎক্ষনাৎ জানতে পারবেন যে আপনি সন্তান সম্ভবা বা আপনি গর্ভবতী তৎক্ষণাৎ আপনার এই আনারসের প্রতি লোভ ত্যাগ করতে হবে। বেশি না ওই ১০ মাস বা ১ বছর। প্রথম ত্রৈমাসিকের গর্ভাবস্থায় এড়ানোর ফলের তালিকায় আনারসগুলি উচ্চ স্থানে থাকে। কিন্তু আমি এখানে বলবো যে আপনি একদম আনারসের কথা ভুলে যান যখন আপন ই জানতে পারবেন যে আপনি সন্তান সম্ভব। কারণ আনারস খাওয়ার ফলে জরায়ুতে তীব্র সংকোচন হতে পারে, যার ফলস্বরূপ একটি গর্ভপাত ঘটতে পারে। আনারসে ব্রোমেলাইন থাকে, এটি একটি এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। এটি জরায়ু নরম করতে পারে এবং অকাল প্রসব শ্রমের কারণ হতে পারে। এজন্য আপনার গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আনারস খাওয়া এড়াতে হবে। 

আঙুর – Grapes 

এই সময় ভালো মন্দ খাওয়া তো খুব ভালো তার মধ্যে ফল এর থেকে আর ভালো কি হতে পারে। কিন্তু এই সময় আঙ্গুর কিছু ক্ষতি করতে পারে আপনার। তাই গর্ভাবস্থায় আঙুর বাদ দেওয়া  ভাল এবং এটি সবুজ ও কালো উভয় আঙুরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আপনার অবশ্যই কোন রকম ওয়াইন সেটা রেড হোক বা হোয়াইট হোক বা অন্য কিছু একদম পান করা উচিত নয়। যদিও গর্ভাবস্থায় আঙুর খাওয়া সম্পর্কে মিশ্র মতামত রয়েছে, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে আঙুরের মধ্যে থাকা যৌগিক রেজভেরট্রোল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায়, কালো আঙুরের ত্বক হজম করতে আপনার পক্ষে অসুবিধা হতে পারে কারণ এই সময় হজম ব্যবস্থা দুর্বল থাকে। তাও আপনার যদি খেতে খুব ইচ্ছা করে বা আপনার যদি খেতেই হয় তাহলে একবার ডাক্তার এর সাথে কথা বলেই খাওয়া ভালো। কান্না আপনার তৎক্ষণাৎ কি কি সমস্যা আছে সেটা আপনি আর আপনার ডাক্তার জানবেন।

তেঁতুল – Tamarind

গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় খওয়ার অভ্যাস হওয়া স্বাভাবিক, এবং আপনি তাৎক্ষণিক ভাবেই তেঁতুলের কথা ভাবতে পারেন। তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া ভাল হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতিকারক। হ্যা হয়তো আপনি অবাক হবেন কিন্তু কথাটা সত্যি। তেঁতুল দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাবের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে তেঁতুল খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম হল মূল বিষয়। তেঁতুল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, এবং গর্ভবতী হওয়ার সময় এড়ানোর ফলগুলির তালিকায় এটি প্রদর্শিত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল এটি। যেহেতু তেঁতুলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি আপনার দেহে প্রোজেস্টেরনের উৎপাদনকে দমন করতে পারে। তাই একটু সাবধান হয় ভালো। কারণ জিনিসটাই খুব সেনসেটিভ।

পেঁপে – Papaya

দায়িত্ব নিয়ে বলছি একদম খাবেন না। পেঁপেগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং ভিটামিন রয়েছে যা আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়, তবুও, এগুলি এমন একটি ফল যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপযুক্ত নয়। পেঁপে আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে, আপনি যখন গর্ভবতী হন তখন তা ভাল না। এগুলি ছাড়াও ফলটি ল্যাটেক্স সমৃদ্ধ যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এবং এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে। এটি ভ্রূণের বিকাশকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে তাই আপনি আপনার গর্ভাবস্থার সময়কালে পাকা ও কাঁচা পেঁপে খাওয়া বন্ধ করুন।

কলা – Banana

না কোলা খোয়া কিন্তু একদম খারাপ না কিন্তু জেনে নিতে হবে যে কেন, কি জন্য,কাদের কাদের জন্য এটা খারাপ ?গর্ভাবস্থায় এড়াতে হবে এমন ফলের এই তালিকাতে এই ফলটি অনেকেই খেয়ে থাকেন বা খান। যদিও গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া নিরাপদ হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এগুলি এড়ানো উচিত। যেসব মহিলারা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন এবং ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের কলা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কলাতে চিটিনেস থাকে, একটি ল্যাটেক্স জাতীয় উপাদান যা একটি পরিচিত অ্যালার্জেন। এটি শরীরের উত্তাপ বাড়ায়। তাই চিটিনেসে অ্যালার্জিযুক্ত মহিলাদের কলা থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়াও, কলাগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত কোনও মূল্যে কলা খাওয়া এড়ানো।

তরমুজ – Watermelon

তরমুজ মানব দেহের পক্ষে সাধারণত ভাল কারণ হাইড্রেশন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তারা দেহ থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সক্ষম করে। তবে এটির খারাপ দিকও রয়েছে, কারণ আপনি যদি গর্ভাবস্থাকালীন তরমুজ খান তবে আপনি বাচ্চাকে বিভিন্ন ধরণের টক্সিনের সংস্পর্শে আনতে পারেন যা তরমুজটি থেকে বেরিয়ে আসে। এই ফলটি সাধারণত গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবে এটির কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব থাকতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা হয় তবে এতে চিনিযুক্ত উপাদানগুলি আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।  এছাড়াও এটি হল ঠাণ্ডা প্ররোচিতকারী খাবার, এজন্যই আপনি গর্ভবতী হওয়ার সময় এটি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাও যদি খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে জাস্ট একবার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিয়ে তবেই খাবেন।

খেজুর – Dates

না ২,৪ টি করে খেজুর খাওয়া খারাপ না তবে খেজুর ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ, তবে গর্ভবতী মহিলাদের প্রায়শই খেজুর গ্রহণ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ ফলের তালিকায় খেজুরকে রাখার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল এগুলি আপনার শরীরকে উত্তপ্ত করে তোলে এবং আপনার জরায়ুর পেশীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে জরায়ুতে সংকোচনের কারণ হতে পারে। তাই প্রতিদিন এক বা দুইটি খেজুর খাওয়ায় ঠিক থাকা উচিত, আর বেশি খেলে কিছু জটিলতা হতে পারে। তাই এটা খারাপ যদি আপনি বেশি খান। খুব বেশি হলে ৩ তে খেলতে পারেন।

 টমেটো – Tomato

যখন আপনি শিশু প্রত্যাশা করছেন, সর্বদা যে সমস্ত টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। এবং এর সংরক্ষণকারী উপাদানগুলি আপনার ও আপনার শিশু উভয়ের পক্ষেই বিষাক্ত এবং সেগুলি সেবন করায় জটিলতা দেখা দিতে পারে।

কাঁচা ডিম ও দুধ

ছেলেদের তুলনায় কম হলেও এমন অনেক মেয়েরাও আছে যারা কাঁচা বা কম সিদ্ধ করা ডিম ও ফুটানো ছাড়া দুধ খায় বা হয়তো ভালোবসে কিন্তু একদম খাওয়া ঠিক না। এইগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশংকা থাকে। ডিম প্রোটিনের প্রধান উত্‍স। গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা ডিমে আছে সালমোনেলা নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার যা জ্বর,বমি বমি ভাব,ডায়রিয়া্র মত রোগের কারণ হতে পারে। ডিম ভালভাবে রান্না করে খেতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়ার ধবংস হয়ে যায়।

এলকোহল বা মদ 

খুব খতরনাক একটা জিনিস। এটি আপনার আনাগত সন্তানের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন ব্রেইন,নার্ভ ইত্যাদি তৈরিতে বাধাঁ সৃষ্টি করে। শুধু মদ নয়, যে সকল খাবারে এলকোহল থাকে তা খাওয়া থেকে ও বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকায় তাজা খাদ্য রাখতে চেষ্টা করুন। রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত বা অতিরিক্ত গরম খাবার না খাওয়াই ভাল। গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভাসে যেকোনো খাবার গ্রহণ বা বর্জনের পূর্বে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।

গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলি নিরাপদ?

গর্ভবতী অবস্থায়, আপনি খেতে পারেন এমন কয়েকটি ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল, ডালিম, নাশপাতি, আম, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো এবং পেয়ারা। তবে আপনার যদি কোনও স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকে তবে আপনার এগুলি সংযতভাবে গ্রাস করা উচিত। আরও ভাল বিকল্প হল যে কোনও খাবার শুরু করার আগে একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা।

গর্ভাবস্থায় আপনার কত পরিমাণ ফল খাওয়া উচিত?

আপনি প্রতিদিন একটি পুষ্টিকর ফলের দুটি থেকে চারটি পরিবেশন গ্রহণ করতে পারেন। সাধারণত, ফলের একটি পরিবেশনে এক কাপ কাটা ফল বা গোটা ফলের মাঝারি টুকরা অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেক্ষন ধরে কেটে রাখা ফল খাবেন না। ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।

The post গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া নিষেধ appeared first on Chalo Kolkata.

খেজুরের উপকারিতা

$
0
0

বন্ধুরা আমাদের সমাজে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মিষ্টি খাবার মানেই তা শরীরের জন্য ভালো নয় বা মিষ্টি কম খাওয়া উচিত, যদিও কথা টা খুউব যে অসত্য তা কিন্তু নয়। তবে এই ধারণা সব কিছুর ক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর একটা মিষ্টি ফল, তবু এর মধ্য কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। বরং এটি খেলে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে। খেজুরের মধ্য বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে শীতকালে এই ফলটি খাওয়া খুব জরুরি। তবে আমি বলবো যে শীতকালে তো খাবেনই তা ছাড়া অন্য যে কোনো সময়ে আপনি খেতেই পারেন কোনো সমস্যা নেই। চলে যাবো আবার খেজুরের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা পর্বে। 

খেজুরের যত উপকারিতা-অপকারিতা

খেজুর সকলেই চিনি এবং পছন্দও করি৷ তবে এতে যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কত উপাদান রয়েছে, তা হয়ত আপনাদের জানা নেই৷ খেজুরের এতসব গুণের কারণে এই মিষ্টি ও রসালো ফল খাওয়ায় আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে৷ তবে খেজুরের অনেক উপকারিতার মধ্যে রয়েছে কিছুটা অপকারিতা।

রোজার সময় খেজুর ছাড়া ইফতার করার কথা যেন ভাবাই যায় না৷ খেজুর খেতে মিষ্টি এবং এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি এ কথা ঠিক৷ তবে এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ, যেমন ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ড এবং রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী৷ আরো রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড৷ তাছাড়াও ট্রিপটোফেন-মেলাটনিন হরমোন যা, ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে ৷

খেজুর মুহূর্তেই শরীরে শক্তি দেয়

শুকনো খেজুরের ওজনের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি এবং সে কারণেই সরাসরি রক্তে চলে যায়৷ আর সে কারণেই শুকনো খেজুরকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে ৷

স্ট্রেস দূর করে

স্ট্রেস ও নার্ভাসনেসের কারণে মাথা ব্যথা হলে তা সহজেই দূর করতে পারে খেজুর  ৷ খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্ট্রেস দূর করতে সহায়ক৷

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর

মানসিক চাপ, রাগ বা অন্য অনেক কারণেই হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়৷ আবার এর সঙ্গে পেট ব্যথাও হয়ে থাকে অনেক সময়৷ এরকম পরস্থিতিতে শুকনো খেজুর খেলে খুব সহজে পেট পরিষ্কার হতে পারে৷ তবে সাথে প্রচুর জল  পান করতে হবে৷ একমাত্র তবেই সঠিক ফল পাওয়া সম্ভব৷

খেজুর যেভাবে রাখবেন

তাজা খেজুর সরাসরি ফ্রিজে রাখা ভালো এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তা খেয়ে ফেলা উচিত ৷ তবে শুকনো খেজুর বা খোরমা কিছুদিন রেখে খাওয়া যায় ৷ তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন পোকা বা ফাঙ্গাস না হয়৷ এরকমটা হলে খেজুর সাথে সাথেই ফেলে দেওয়া উচিত৷

খেজুরের ঔষধি গুণাগুণ

মরুঅঞ্চলের ফল খেজুর। পুষ্টিমানে যেমন এটি সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে, সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া, এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। চলুন জেনে নেই খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ।

1. রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর . খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।

2. তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে জলে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই জল খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।

3. হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। গবেষণায় দেখা যায়, পুরোরাত খেজুর জলে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।

4. ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।

5. খুব দুর্বল লাগছে অথবা দেহে এনার্জির অভাব হচ্ছে? তাহলে ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।

6. খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

7. খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

8. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়। ৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

9. খেজুরের চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

10. খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের এই রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওর অভ্যাস করা উচিত। কারণ, রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।

প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

গত প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে নানা উপকারে লাগলেও আজও স্বাস্থ্য সচেতনদের পছন্দের লিস্টে জায়গা করে উঠতে পারেনি ছোট্ট এই ফলটি। সুস্বাদু এই মরু ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন । প্রতিদিন সকালে ৩-৪ টে খেজুর খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত যারা কনস্টিপেশন বা কোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য তো এই ফলটি মহৌষধির কম নয়! এখানেই শেষ নয়, খেজুরের আরও অনেক উপকারিতা আছে, যেমন – একাধিক পেটের রোগের প্রকোপ কমায়।  প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৩টি করে খেজুর খেলে শরীরে অন্দরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদহজম, কোলাইটিস ও হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে

খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিও পোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। অ্যানিমিয়া রোগকে দূরে রাখে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোনও সময় দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে? এই ছোট্ট ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধি। তাই তো অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভুমিকা নেয়।

অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়

২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছিল খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে

ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে ‘এল ডি এল’ বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

ওজন বাড়ায়

নানা কারণে যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে, তারা আজ থেকেই খেজুর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটিতে উপস্থিত ক্যালরি শরীরে ভাঙন রোধ করে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সংক্রমণের আশঙ্কা হ্রাস

খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজও রযেছে, ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়।

শেষ কথা 

যাদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো৷ কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে ‘টিরামিন’ বলে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথা ব্যথা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে৷ তাছাড়া আর যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাদের জন্যও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়৷ এক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে ৷ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

The post খেজুরের উপকারিতা appeared first on Chalo Kolkata.

বন্ধু ও বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু কথা – Friendship Poem In Bengali

$
0
0

বন্ধু শব্দটা এমন যার কোনো বিকল্প হয় না। বন্ধু থাকলে কোনো সমস্যা হয় না। বন্ধু হল এই পৃথিবীর অন্য এক অংশ। বন্ধু ও বন্ধুত্ব এই দুটো শব্দ আমাদের জীবনে খুব গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ বহন করে। বন্ধু হলো স্থান,কাল,পাত্র,জাতী,ধর্ম,বর্ণ,বয়স নির্বিশেষে এমন একটা সম্পর্ক যা একজন মানুষের জীবনের সব থেকে বড় অর্জন। আমাদের জীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ আমাদের স্বত্বার ওপর বিশেষ কিছু প্রভাব রেখে যায়, তাদের অস্তিত্ব আমাদের এমন কিছু উপলব্ধি দেয়, যা আমাদের মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে, তাদের ভাবনা-চিন্তা, জীবন বোধ সবটাই আমাদের প্রতক্ষ্য পরোক্ষ ভাবে আমাদের মানুষ হয়ে ওঠায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তার মধ্যে সবথেকে প্রয়োজনীয় অস্তিত্ব বন্ধু। বন্ধু ছাড়া আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা ভাগই বেশ শূন্য বোধ হয়, এরাই আমাদের জীবনকে হাসি-কান্না -ভালো লাগা-মন্দ লাগা আর বেশ খানিক বকুনি দিয়ে ভরিয়ে তোলে বন্ধু হচ্ছে এমন একজন যে সুখে-দুঃখে,বিপদে-আপদে,জীবনে-মরণে, জয়ে আর পরাজয়ে একাত্ম হয়ে আমাদের সাথে থাকবে।

বন্ধুত্ব আমাদের জীবনে এমন একটা জিনিস যেটা ছাড়া আমাদের জীবন একেবারেই সাদা কালো, এক থাকার মজা অবশ্যই আছে তা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু কোনো ঘটনা, কোনো পরিস্থিতি বা কোনো গল্প যা আপনাকে আপনি হয়ে উঠতে সাহায্য করে সেগুলো বন্ধু ছাড়া একেবারেই সম্ভব না, স্কুলের টিফিন আর কলেজের সিগারেট ভাগ করে নেয়ার মত বন্ধু না থাকলে জীবনের “ষোলয়ানাই ফাঁকি”। জীবনে নাম-যশ, সুখ-ঐশ্বর্য, ইত্যাদি অনেক না থাকলেও যদি সঠিক বন্ধু থাকে তবে তার জীবনের মোর গুলোই হয় আলাদা যার স্মৃতি সুখ ভাগ করে নেয়া যায় অন্য মানুষটির সাথে যে আপনার সাথে সেই জায়গায় সেই পরিস্থিতিতে ছিল ও আপনার সাথে সেই সময়ের নুভূতি টুকুও ভাগ করে নিয়েছে friendship day sms bangla, friendship quotes বাংলা

ফরাসি দার্শনিক ও লেখক আলবেয়ার কামু বন্ধু সম্পর্কে বলেছেন ‘’ বন্ধু মানে বুকে স্বপ্ন আর হাতে হাজারো রঙের
ডালা নিয়ে পাশে থাকা এক দুর্ভেদ্য প্রাচীর। যার মন আকাশের মত বিশাল। যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়’’।

বন্ধু হল সে যাকে জীবনের সব কথা খুলে বলা যায়,যে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে নানা রঙে রাঙিয়ে দিয়ে যায়,বন্ধু সে
বিপদের দিনেযে প্রাচীর হয়ে পাশে দাঁড়ায়। সেইতো প্রকৃত বন্ধু যে সুখেও পাশে থাকে,আবার কষ্টেও ছেড়ে চলে যায়না যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও যে মানুষটা লড়াই করার সাহস যোগায়, জয়ের স্বপ্ন দেখায়, সেইতো প্রকৃত বন্ধু। আপন জনেরা যখন সঙ্গ ছেড়ে দিয়ে একা করে যায়, তখন হাতটি ধরে যে পাশে দাঁড়ায় বলে আমি আছি তোর সাথে জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে,যে জীবনের মানে শেখায়, উৎসাহ দেয়, সেইতো প্রকৃত বন্ধু। বন্ধু হল দুই দেহে এক প্রান,বন্ধু মানে আদি অনন্ত ভালবাসার এক উদহারন,বন্ধু সে যে মনে আত্মবিশ্বাস যোগায় যাকে সুসময় হোক আর অসময় হোক বিশ্বাস করা যায়,ভরসা করা যায় যার ওপর নির্ভর করা যায়। বন্ধু হল এক নদীর মতো যেখানে চাইলে মনের দুঃখে ডুব দিয়ে দুঃখহীন হওয়া যায়। বন্ধু মানে আস্থা,বন্ধু মানে বিশ্বাস, বন্ধু হল অক্সিজেন যার কাছে চরম দুঃসময় গেলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়,বন্ধুই সেই যে স্বপ্ন দেখাতে জানে।তাই বন্ধুর সন্মান মানে আমার সন্মান,বন্ধুর অসন্মান আমার অসন্মান।
বন্ধুত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন বন্ধুত্ব বলতে তিনটি পদার্থকে বোঝায় দুইজন ব্যক্তি ও একটি জগৎ, অর্থাৎ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের সকল কাজ সম্পন্ন করা। বন্ধুত্ব মানে যে যেমন তাকে সেই ভাবে গ্রহন করা বন্ধুর সন্মানকে নিজের সন্মান মনে করা।বন্ধুত্ব হচ্ছে বন্ধুর মত জীবনের এক স্তম্ভ যা জীবনে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে একজন তার সারাটা জীবন বন্ধুত্বের ভালবাসায় কাটিয়ে দিতে পারে। আসলে বন্ধুত্বকে কোন শব্দে বা বাক্যে বেঁধে দেওয়া যায় না এর পরিসর অসীম আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বন্ধুত্বকে আর কিভাবেই বা সংজ্ঞায়িত করব। বন্ধুত্ব স্বার্থের ঊর্ধ্বে, বন্ধুত্ব উদার, বন্ধুত্বে কোনো কলুষতা নেই, কোনো চাওয়া-পাওয়ার চাহিদা প্রকৃত বন্ধুত্বে জন্মায় না কোনো চাহিদা হীন বন্ধুত্বই প্রকৃত বন্ধুত্ব ।প্রকৃত বন্ধুত্বে বন্ধু শুধুই দিতে জানে কোনো কিছু নিতে জানেনা। বন্ধুত্বের অনুভূতিকে কখন ছোঁয়া বা বন্দি করা যায়না একে অনুভব করা যায়,দেখা যায়।বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাঁধা না, বন্ধুত্বের মাঝে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই ।বন্ধু বা বন্ধুত্ব কখনো পুরনো হয়না,বন্ধুত্বের বয়স কখনো বাড়েনা যতো দিন যায় বন্ধুত্ব তোতো দৃঢ় ও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।

বন্ধু নিয়ে কবিতা 

1. “ছেড়া ঘুড়ি রঙ্গিন বল এই টুকুই সম্বল আর ছিল রোদ্দুর এ পাওয়া বিকেল বেলা বাজে বকা রাত্রি দিন asterix tintin এলোমেলো কথা উড়ে যেত হাসির ঠেলায় বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায় আরেকবার যদি তোমাদের দলে নাও খেলায়”

2. যেমন ছিলাম তেমন আছি, বন্ধু তোমার পাশা-পাশি, ভাবছো হয়তো ভুলে গেছি, কেন ভাবছো মিছে-মিছি । যদি তোমায় ভুলে যেতাম, তাহলে কি আর এসএমএস করতাম ?

3. একজন স্বার্থপর বন্ধু, তোমাকে অন্ধকারে ফেলে রেখেই চলে যাবে কিন্তু একজন সত্যিকারের বন্ধু, তোমাকে সেই অন্ধকারের মধ্যে আলো দেখিয়ে নিয়ে যাবে।

4. ভালো লাগার কিছু স্বপ্ন , মন ছুঁয়ে যায়, ভালো লাগার কিছু গল্প, জীবন রাঙায় , ভালো লাগার কিছু মানুষ , বন্ধু হয়ে রয় , ভুলতে চাইলেও তাকে ভুলার মত নয় ।

5. “ভালো লাগে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে ভালো লাগে ওই আকাশের তারা গুনতে ভালো লাগে মেঘলা দিনে নিষ্পলকে রামধনু খুঁজতে বন্ধু !”

6. বন্ধুত্ব শুনিল আকাশের সেই রুপালী চাঁদ, যাকে দেখা যায় কিন্তু ছোঁয়া যায়না , বন্ধুত্ব সেই সুন্দর সৃতি যাকে আজিবন মনে রাখা যায়, কিন্তু ভুলা যায় না ।

7. বন্ধু মানে অবহেলা নয়, বন্ধুকে আপন করে নিতে হয়, বন্ধু হল সুখ- দুঃখের সাথী, এমন বন্ধু রেখো না যে তোমার করে ক্ষতি !!

 8. “খুঁজে পাওয়া বই জানতে চায় বান্ধবী আছে কে কোথায় ধুলো লাগা চেনা বই সব হাতরায় কেনা শৈশব
এক আকাশ ভর্তি অভিমান কোনদিন গাইব না যে গান খুঁজে পাওয়া বই রাত জাগা চোখ আমি পড়বই যন্ত্রণা হোক”

9. বিধাতার হাতে লিখা, কার সাথে কার হবে দেখা । কেউ যানে না কবে কখন , কার সাথে গিয়ে মিলবে জীবন । তবুও থাকে একটি চাওয়া, মনের মত বন্ধু পাওয়া ।

10. দেখা হলে বন্ধুকে ভালোবাসো, না দেখা হলে পিছনে তার বদনাম না করে তার প্রশংসা করো তথা বিপদের সময় তাকে সাহায্যও করো। 

The post বন্ধু ও বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু কথা – Friendship Poem In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


বন্ধুত্ব মানে কি – What Is Friendship

$
0
0
বন্ধু শব্দটা একটা শক্তি হ্যা বন্ধুরা বন্ধু শব্দটা সত্যি একটা শক্তি। কিন্তু এখানে শক্তি তখনি মাত্রা পায় যখন আপনার বন্ধু ভাগ্য হয় বা আপনার যদি ভালো বন্ধু থাকে। বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক,যেটা আমরা নিজেরা তৈরি করি।জন্মগ্রহণ,আত্মীয়-পরিজন,এগুলো ভবিতব্য। কিন্তু বন্ধুত্ব? ওটা প্রাণের বন্ধন! আমরা জীবনে চলার পথে একাধিক বন্ধুর বা একাধিক মানুষের সংস্পর্শে আসি। তারা কেউ আমাদের মন ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।কেউ হয়তো চোখের জলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মনের ভিতরে আমরা তাদেরই জায়গা দিই,যাদের সঙ্গে আমরা অবিচ্ছেদ্য এক আত্মার টান অনুভব করি। তার দুঃখে কাঁদি,তার খুশিতে হাসি।কিন্তু জীবন তো বড়ই জটিল। তাই সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে পরিবর্তিত হয় বন্ধুত্বের সমীকরণও। তবুও সবকিছুকে ছাপিয়ে যে বন্ধুবৃত্তে আমরা আবদ্ধ হয়ে থাকতে চাই আজীবন,তাকেই আমরা হয়তো সীমিত বৃত্ত বলি। হয়তো জীবনের একটা পর্যায় পেরিয়ে কঠিন সময়ে আমাদের মনে হয়,কেন আমরা বড় হলাম ?  বন্ধুরা এটার উত্তর হিসাবে একটাই কথা বলা যায় যে – জীবনযুদ্ধের সৈনিক হিসেবে নিজেদের বারংবার প্রমাণ করতে হবে বলে। আর সেই জীবনযুদ্ধের সহযোদ্ধা যারা,তারাই শেষ পর্যন্ত টিকে যায় সীমিত বৃত্তে,ধীরে-ধীরে হয়তো সবাইকে পিছনে ফেলে,কেউ পৌঁছে যায় বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতেও।

প্রিয় বন্ধু

প্রিয় বন্ধু কথা টা খুব সহজ তাই না ? প্রিয় বন্ধি মানে ওই যে জেক আমরা ইংরেজিতে Best Friend বলে থাকি সেটাই। কিন্তু সত্যি কি যাকে আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড বা প্রিয় বন্ধু বলে থাকি তারা সেটার দাম দেয়। কিন্তু তা বলে যে সবাই দাম দেয় না সেটা বলাটাও ভুল। যাদের ভাগ্য ভালো তারাই একমাত্র পেয়ে থাকে সেই শক্তি অর্থাৎ বন্ধু শক্তি।
আমি মনে করি যে  বন্ধু জীবনে অক্সিজেনের মতো। যে কথা কাউকে বলা যায় না, সেই গোপন কথার ঝাঁপি নিশ্চিন্তে খুলে দেয়া যায় বন্ধুর সামনে। বন্ধু কখনো শিক্ষক, কখনো সকল দুষ্টুমীর একমাত্র সঙ্গী। বন্ধু মানে বাঁধ ভাঙা উচ্ছাস আর ছেলেমানুষী হুল্লোড়। সব ধরণের মানবিকতা বোধ ছাপিয়ে বন্ধুত্বের আন্তরিকতা জীবনের চলার পথে অন্যতম সম্পদ। আবার সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে সহসাই বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরতে দেখা যায়! যে ব্যাপারটা সামান্য আলোচনার মাধ্যমেই মিটে যেতো, তাকে বছরের পর বছর মনের মধ্যে পুষে রেখে বন্ধুত্ব নষ্ট হবার দৃষ্টান্তও নিতান্ত স্বল্প নয়। বন্ধুত্বে বিশ্বাস রাখুন। তৃতীয় কোন পক্ষের বক্তব্যের জের ধরে সম্পর্কে ফাটল ধরাবেন না। বন্ধুর কোন কিছু অপছন্দ হলে অন্যের কাছে সমালোচনা না করে সরাসরি বলুন। শুনতে তিক্ত হলেও ফলাফল মধুর হবে। বন্ধুত্বে সৎ থাকুন। মিথ্যা তথ্য কিংবা ধারণা দিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়বেন না। আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। অযথা কৃত্রিমতা বর্জন করে নিজের ব্যাক্তিত্বকে প্রদর্শন করুন। মনের মতো বন্ধু পেতে সততার কোন বিকল্প নেই। সততা প্রিজারভেটিভ ছাড়াই সম্পর্কের বৃক্ষকে সতেজ রাখে।
‘বন্ধু’ শব্দটি যতই ছোট হোক, এর গভীরতা আর ভালোবাসা অনেক বেশি। বন্ধুত্বের কোন সংজ্ঞা হয় না একে সংজ্ঞায়িত করা যায় না । বন্ধুত্ব মানে বিশ্বাস, বন্ধুত্ব মানে পরস্পরের মাঝে সহযোগিতা, বন্ধুত্ব মানে বিপদে পাশে থাকা, সুখে-দুঃখে এক থাকা। জীবনের কোনো বাঁকে নয়, বন্ধুত্বের ব্যাপ্তি সারাজীবন। আমি বন্ধুত্বটাকে দেখি জীবনে অক্সিজেনের মতো। যে কথা কাউকে বলা যায় না, সেই গোপন কথা নিশ্চিন্তে বলা যায় বন্ধুর সাথে। অক্সিজেন ছাড়া যেমন বাচা যায় না জীবনে তেমনি বন্ধু ছাড়া বাচা যায় না । এই ভাবে আমি মানি বন্ধুত্বটাকে আর আমি আশা করি আমায় ও যে বন্ধুত্ব ভাব্বে সে ও আমায় তার জীবনের অক্সিজেন হিসেবে ভেবে নেবে।
আমার জীবনে সশরীরে এমন কোনো বন্ধু নেই,যাদের সঙ্গে আত্মিক টান অনুভব করা যায়।আমি খুঁজিওনি কোনোদিন।কারণ,আমার ঘরের পুরুষটি সব অভাব পূরণ করেছেন।তাই খুব ইচ্ছে ছিলো,একদিন তোমাদের সবার জন্য একটা খাঁটি বন্ধুত্বের গল্প লিখবো।এমন বন্ধুত্ব,যা কল্পনারও ঊর্ধ্বে।যেখানে প্রেম থাকবে,ভালোবাসা থাকবে,হিংসে থাকবে,বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলচাল থাকবে,দহন থাকবে,কিন্তু সবার ওপরে উঠবে বন্ধুত্বের পারদ!!কারণ,একমাত্র তোমরাই তারা,যারা আমার জীবনের অনেকখানি জুড়ে আছো।কেউ-কেউ হয়তো পৌঁছে গেছো,মনের অত্যন্ত কাছে,সীমিত বৃত্তেও….জীবনের সীমিত বৃত্ত বা বন্ধুত্বের সম্পর্কটা অত্যন্ত সংবেদনশীল,ভঙ্গুরও বটে।একটু আঘাতেই আহত হয়ে যেতে হয়….তাই এই একটা অধরা,স্বার্থহীন কিন্তু অদৃশ্য অঙ্গীকারবদ্ধ সম্পর্ককে অত্যন্ত সযত্নে রাখতে হয়….বন্ধুত্ব😊অসমাপ্ত চলাকালীন আজকের এই বিশেষ দিনে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।তাই কয়েক ছত্র বেরিয়ে এলো। সবাইকে বন্ধুত্ব দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।💐তুমি আছো,আমি আছি! তোমাদের জন্যই,কল্পনায় বাঁচি! ভালো থেকো আমার সব অদেখা বন্ধুরা… সকলের সীমিত বৃত্তের বন্ধুরাও…. কোনো একদিন আবার হয়তো, জানি দেখা হবে…

বন্ধুত্বের  ১০টি ‘কোটেশেন’ – Friendship Quotes

বন্ধু সম্পর্কে কোনও খারাপ ধারনা রাখবে না। কিছু সমস্যা থাকলে মিটিয়ে নিন। আর বলে ফেলুন ‘তুমি আমার সেরা বন্ধু’।

জীবনে অনেককিছুই থাকবে। কাজের সাফল্য, অর্থ-সবকিছু। কিন্তু তারমাঝেই খুঁজে বের করুন বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে।

বন্ধু মানেই যে আমার মতো হবে এমনটা নয়, তাই বন্ধুত্ব এতটাই সুমধুর।

বন্ধুত্ব এক মূল্যবান উপহার যাকে কোনও দাম বা অর্থ দিয়ে বিচার করা যায় না।

সম্পর্ক অনেক থাকে। কিন্তু তার মধ্যে খুঁজে নিতে হয় প্রকৃত বন্ধুকে।

রাগ, দুঃখ-ভালবাসার এক চড়াই-উতরাই-এর সঙ্গে জুড়ে থাকে বন্ধুত্ব। তাই বন্ধুত্ব মানে কোনও নিস্তরঙ্গ সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্ব অনেককিছু ভাবতে শেখায়।

আমরা জীবন জুড়ে শুধুই নিখুত হওয়ার চেষ্টা করি। এর জন্য অনেক সম্পর্কেও ত্যাগ করে দিতে পিছপা হয়নি। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে দেখি সম্পর্কটা বড় না নিখুত হয়ে বেঁচে থাকাটা! তাই বাঁচুন বাঁচার আনন্দে, বন্ধুদের সঙ্গে।

আত্মাটা হয়তো আলাদা কিন্তু, দুই আত্মার তারগুলো জুড়ে গিয়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা অত্যন্ত সুমধুর। তাই বন্ধুত্ব এতটা সুন্দর। তাই বন্ধু মানে উচ্ছ্বাস, বন্ধু মানে হাসি।

চারপাশে ভিড় করে থাকা মুখগুলো। যার মধ্যে মাঝেমাঝেই মনে হতে পারে কে সেই প্রকৃত সহযোগী, যাকে বিশ্বাস করা যায়, যে এক প্রকৃত বন্ধুর মতো পাশে থাকতে পারে। তাই চিনে নিন নিজের প্রকৃত বন্ধুকে।

এই বিশ্বাস রাখুন, দেখবেন জীবনটা হঠাতই খুব সুন্দর হয়ে গিয়েছে। ফোন করে ফেলুন জীবনের সেরা বন্ধুটাকে। যদি সে পাশে থাকে তাহলে তাকে বুকে জড়িয়ে নিন। বেরিয়ে পড়ুন কোথাও। নিখাদ আড্ডা। এটাই তো বন্ধুত্ব।

The post বন্ধুত্ব মানে কি – What Is Friendship appeared first on Chalo Kolkata.

স্বাধীনতার সম্বন্দ্বীয় উক্তি – Quotes on Freedom

$
0
0

আজ থেকে ৭১ বছর আগে এই দিনে আমরা পরাধীনতার শিকল ভেঙে স্বাধীন হয়েছিলাম । কে আমাদের এই স্বাধীনতা দিলো কেউ কি আদও স্বাধীনতা কাউকে দেয় ? । স্বাধীনতা আসলে কি ? সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই কি স্বাধীনতা ? প্রতিষ্ঠান যে সিদ্ধান্ত নেয়, তার পিছনে থাকে মানুষের নিজস্ব ব্যক্তিক বা গোষ্ঠীগত ইচ্ছার প্রকাশ । তা যেমন অবাধ হতে পারে না, তেমনই ব্যক্তির স্বেচ্ছাসিদ্ধান্তকেও স্বাধীনতার অধিকার হিসেবে মেনে নিতে পারি না।  স্বাধীনতাকে একটা খোলা মাঠের সঙ্গেও তুলনা করা যায়, যার দৈর্ঘ, প্রস্থ দুই – ই আছে । স্বাধীনতা আসলে আলাদিন এর সেই আশ্চর্য প্রদীপ যা সবার চাই । সেই প্রদীপ যা মানুষ ঘষলে কোনো এক আশ্চর্য জিন বেরিয়ে আসে । এখানে প্রদীপ ঘষে যে ব্যক্তিটি তাকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে আসলে , রাষ্ট্রব্যবস্থা , সমাজ , জাতি , বৈদেশিক নীতি কে বোঝানো হচ্ছে । এবং প্রদীপ এর ভিতর এ থাকা জিনকে আমরা রাষ্ট্রপরিচালনাকারী দল হিসেবে দেখতে পারি । পনেরোই অগস্ট আমরা কী পেলাম? সে দিনের সেই স্বাধীনতার নাম আসলে ক্ষমতার হস্তান্তর।সুদীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভারতবাসী এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছিল যে ,আমাদের দেশ আমরাই শাসন করতে চাই। এরই নাম স্বাধীনতা । ‘স্বাধীনতা’-র বোধ এবং আবেগ থাকা বা প্রত্যাশা করা যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। ‘স্বাধীন দেশ’ সম্পর্কিত গর্বের কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতির গ্রাহ্যতা তাঁদের ক্ষেত্রে অন্তত সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল কি? তাঁরাও নিশ্চয়ই ব্রিটিশের অধীনতা চাননি। কিন্তু দেশাত্মবোধ পাল্টাতেও কি চেয়েছিলেন সেই দিনের স্বাধীন হওয়া মানুষ গুলো ? প্রতি বার স্বাধীনতা দিবস সমাগত হলে এই যন্ত্রণার কথা স্মরণ করা উচিত। স্বাধীনতার নানান সংজ্ঞা এবং প্রকৃতি ওই ঘটনার মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছিল। রাষ্ট্রিক স্বাধীনতাই নাগরিকের সার্বিক স্বাধীনতা রক্ষা করবে। কিন্ত , স্বাধীনতার চেতনা রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিমানসে সর্বত্র এক বিন্দুতে মেলে না। স্বাধীনতা নাগরিকের জীবন এবং ভূখণ্ড রক্ষা করে । সেই দেশের মধ্যে আছে সমাজ, ধর্ম, সংস্কার ও সংস্কৃতি। আছে নিয়ত বিবর্তনশীল মানবিক সত্তা। যা , সমাজের প্রতিটি দিক, প্রতি ব্যবস্থা এবং ব্যক্তি মানুষের নৈতিকতা ও আচরণবিধির মধ্যে পরিবর্তন ঘটায়। একজন ব্যক্তি প্রাথমিক ভাবে একজন একক সত্তা। তারপর সে সামাজিক সত্তা। এরপর সে এক রাষ্ট্রীয় পরিচিতি, যাকে প্যান কার্ড, পাসপোর্ট বা আধার নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু সেই ব্যক্তি ছবি আঁকবে কিনা, গান গাইবে কিনা, আমিষ খাবে না নিরামিষ , ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে কিনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা থাকে না, কারণ , এটা সম্পূর্ণ রূপে , তাদের স্বাধীনতা । বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সমাজও তার নিয়ন্ত্রণক্ষমতা হারাচ্ছে ,  শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ব্যক্তিস্বাধীনতা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ।

স্বাধীনতার সম্বন্দ্বীয় উক্তি – Quotes on Freedom

সমাজের প্রয়োজনে নিয়ম সৃষ্টি করা হয়, সমাজ তার রক্ষক সৃষ্টি করে, শৃঙ্খলার নির্ণায়ক এবং পরিচালক। তাকে আমরা বলছি ‘সরকার’ বা গভর্নমেন্ট। যে পরিকাঠামো অবলম্বন করে শাসনপ্রক্রিয়া চালায় ‘সরকার’ । নাগরিকবৃন্দের স্বাধীনতা, জীবন, অধিকার এবং নিরাপত্তার রক্ষক হলো এই সরকার ,  অর্থাৎ , দেশ ও দেশবাসীর জীবনের ও স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব তাদের । অনেক সময় এই সরকার নামক প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মতো নাগরিক অধিকার হরণ করতে থাকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে , এবং ঠিক সেই মুহূর্তে , মানুষ স্বাধীন থাকতে পারে না । আর ঠিক তখনই , আসে দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ। অধিকার বোধের সঙ্গেই তো আসলে স্বাধীনতার উদ্ভব । কারণ স্বাধীনতা মানে কেবল শাসন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা হস্তান্তর নয়, স্বাধীনতা একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া যা সচেতন নাগরিককে অর্জন করে চলতে হয়। স্বাধীন দেশে আমরা ভোটাধিকার পাই এবং শাসনকার্যের প্রতিনিধি নির্বাচন করি। আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশচালনার যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু তার মানে এই নয় ,  যে তারা মানুষ ( নাগরিক ) – র ব্যক্তিগত বিষয়ে তাদের , নাক গলাবে।

1. যুদ্ধের বার্তা 

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, লড়াই নয় ভালোবাসতে চাই।

২. স্বাধীন ভাবে বাঁচো 

স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায় !

৩.একতার গান 

এখন  আর দেরি নয় ধরগো তোরা হাতে হাতে ধরগো, আজ আপন পথে ফিরতে হবে সামনে মিলন সর্গ।

৪. উন্মুক্ত আকাশ  

স্বাধীনতা তুমি বিকেলের আকাশে ধবল বক, স্বাধীনতা তুমি নিশ্চিন্তে উড়া সোনালি-ডানা চিল।

৫. সোনার ফসলে লেখা স্বাধীনতা। 

স্বাধীনতা আমার রক্তমাখা ফসলের ক্ষেত! স্বাধীনতা আমার রোদেপোড়া কৃষকের ক্ষুধার্ত পেট!

৬. পাখিদের গানে গানে স্বাধীনতার সুর। 

স্বাধীনতা তুমি কোকিলের কণ্ঠে মিষ্টি সুর, স্বাধীনতা তুমি ভোরের আকাশে সোনাঝড়া রোদ্দুর।

৭. স্বাধীনতার ঝড়। 

স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ। স্বাধীনতা তুমি কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা।

৮.  বাঁধ ভাঙার গান। 

তুমিই প্রভাতের রবি,রজনীর চাঁদ, তুমিই লাখো-কোটি জনতার বিদ্রোহী হাত। এক মাত্র তুমিই ভেঙ্গে দিয়েছ সমস্ত পরাধীনতা একটিই তুমি বাংলার স্বাধীনতা ।

৯. স্বাধীনতার মুখ।  

বাক স্বাধীনতা প্রাপ্য জানি স্বাধীন একটি দেশে, স্বাধীন দেশে বাক আমার কেড়ে নিলো তবে কে সে ?

১০. বাংলার স্বাধীনতা। 

স্বাধীনতা নাইকি তব করবো কি হাহাকার ? খুঁজে দেখি মাঝে মাঝে বাংলার স্বাধীনতার পাহাড় !

শেষ কথা 

স্বাধীনতা মানুষের নৈতিক অধিকার গুলির মধ্যে একটি অন্যতম। ক্ষুধা বিনা মানুষ বাঁচতে পারে না, ঠিক সেরকম পরাধীনতার শিকলও মানুষকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। স্বাধীনতা মানুষকে নতুন ও গঠন মূলক চিন্তা ভাবনা করতে আমাদের সাহায্য করে। স্বাধীনতা মানুষকে নতুন পথের দিশা দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। স্বাধীনতা সৃষ্টি করে ভেদাভেদহীন এক নতুন পৃথিবী। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন আর যতটা পারবেন কাউকে আঘাত না করে আর গুরুজনদের সম্মান দিয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে বা থাকতে ধন্যবাদ।

The post স্বাধীনতার সম্বন্দ্বীয় উক্তি – Quotes on Freedom appeared first on Chalo Kolkata.

এলাচ, এলাচের উপকারিতা, এলাচের অপকারিতা

$
0
0

 এলাচ

বন্ধুরা এলাচ এমন একটি মশলা যা মোটামুটি সকলের রান্নাঘরেই উপস্থিত থাকে এবং নানারকমের খাদ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হল এই যে এলাচ শুধুমাত্র খাদ্যে বিশেষ সুগন্ধ ও স্বাদই বাড়ায় না, তার সাথে এলাচের উপকারিতা রয়েছে নানারকমের যা স্বাস্থ্যের জন্যে বেশ প্রয়োজনীয়। কিন্তু সাধারণত আমরা শুধুমাত্র এর স্বাদের জন্য খেয়ে থাকি বা রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। না বন্ধুরা শুধু তাই নয় এলাচের মধ্যে আছে এমন অনেক গুণাবলী যা আপনাকে তাজ্জব করে দেবে। আজ আমরা সেগুলোই আলোচনা করবো।

সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে এলাচ নানা নামে পরিচিত। এই বিশেষ মশলাটি সাধারণত ভারত, ভুটান, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার মত দেশগুলিতে বেশি করে চাষ হয়। দেখতে ক্ষুদ্র এই মশলাকে তার বিশদ গুনাগুনের জন্য সমস্ত মশলার সেরা আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। এলাচ এর গুনাগুন ও এলাচের স্বাস্থ উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

চুলের জন্য এলাচের উপকারিতা – Hair Benefits of Cardamom in Bengali

আপনি ভাবতেও পারবেন না যে এলাচ স্বাস্থ্য ও ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও কতখানি উপকারী। চুল বাড়ানো ও মাথার ত্বকের নানা সমস্যার জন্যে এলাচ বিশেষভাবে সাহায্য করে। আমরা  দেখে নেবো এক এক করে আমাদের কি কি লাভ করে থাকে  এই এলাচ।

1. চুলের মজবুতি

মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এলাচের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে ঝলমলে ও লম্বা করতে সাহায্য করে। কালো এলাচের গুঁড়ো, একটি ডিম ও নারকেল তেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরী করে স্নান করার ১ ঘন্টা আগে লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এটি প্রত্যেক সপ্তাহে বার প্রয়োগ করলে দারুন ফল পাবেন।

2. মাথার ত্বক বা স্কাল্পের জন্যে উপকারী

কালো এলাচে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট থাকার ফলে স্কাল্প বা মাথার ত্বক ভাল থাকে। এলাচ চুলের ফলি কল গুলিকে মজবুত করে। এলাচ ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুলে বা এলাচের গুঁড়ো চুলে লাগানোর পর শ্যাম্পু করলে সব থেকে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া এলাচের এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান স্কাল্পের কোনো রকম ইনফেকশনকে দ্রুত সারিয়ে তোলে।

ত্বকের জন্য এলাচের উপকারিতা – Skin Benefits of Cardamom in Bengali

স্বাস্থ ছাড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও এলাচ বেশ উপকারী কারণ এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটোরিয়াল ও এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এর ফলে ত্বকের নানারকমের এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যায় ও ত্বকের উজ্জ্বল রং ফুটে ওঠে

1. ত্বকের রং উজ্জ্বল করে

ত্বকের ফর্সাভাব ও ঔজ্জ্বল্যের জন্যে এলাচ দারুণ কাজ করে। ত্বকে ব্রণ ও কালচে ভাব দেখা গেলে এলাচের সাহায্যে তা দূর করা যায়। আজকাল বাজারে নানারকমের এলাচ সম্পন্ন ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায়। এছাড়া বাড়িতে আপনি মধু ও এলাচের প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ফল পেতে পারেন।

2. ত্বকের এলার্জি দূর করে

এলাচের মধ্যে বিশেষ করে কালো এলাচ এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান দ্বারা ভরপুর। মধু এবং কালো এলাচের মিশ্রণ দিয়ে মাস্ক বানিয়ে এলার্জি হওয়া অংশ গুলিতে লাগান। খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।

3. মাস্কের কাজ করে

ত্বকের জন্যে তৈরী বিভিন্ন কসমেটিক যেমন টোনার বা ক্লিন্সারে এলাচ থাকলে ত্বকে তা দারুন মাস্ক হিসেবে কাজ করে। এলাচের সুন্দর গন্ধ অনেক সময় পারফিউম বা সেন্টে ব্যবহারের ফলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়।

4. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে

এলাচে রয়েছে ভিটামিন সি যা এন্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

5. ত্বকের জন্যে থেরাপির কাজ করে

এলাচ খুব ভালো এন্টিসেপ্টিক ও এন্টি ইনফ্লেমেটরির কাজ করে যা ত্বককে মোলায়েম বানিয়ে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই এলাচকে ত্বকের জন্যে একটি থেরাপির ওষুধ বলে ধরা হয়। এলাচ দিয়ে নানারকমের সাবান, তেল, পারফিউম, ইত্যাদি তৈরী হয় যা সুগন্ধ ও উপকার দুটিই প্রদান করে।

6. ত্বক পরিষ্কার করে

কালো এলাচের সাহায্যে ত্বকের ময়লা ও বিষাক্ত যেকোনো পদার্থগুলিকে অনায়াসে পরিষ্কার করা যায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে এলাচের তৈরী প্যাক দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। এই প্যাক তৈরী করতে লাগে এলাচের গুঁড়ো, মধু ও একটুখানি লেবুর রস। তবে লেবুর রোষে এলার্জি থাকলে সেটি দেবেন না। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই ফল পাবেন।

7. ঠোঁটের জন্যে ভাল

এলাচ দিয়ে ঠোঁটের নানারকমের বাম, গ্লস বা তেল তৈরী হয় যা ঠোঁটের কোমলভাব ফুটিয়ে তুলে তার গোলাপিভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনি ঘরেও প্যাক তৈরী করে সারারাত ঠোঁটে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফলাফল পেতে পারেন। এই প্যাক তৈরী করতে লাগে এলাচের গুঁড়ো, অলিভ অথবা আমন্ড অয়েল এবং একটুখানি এলোভেরা জেল। প্রতিদিন এটি ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

স্বাস্থ্যের জন্য এলাচের উপকারিতা – Health Benefits of Cardamom in Bengali

এলাচের স্বাস্থ উপকারিতা বিশাল। এলাচ শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ফলে শরীরে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এলাচ এর গুনাগুন ডায়বেটিস ও ডিপ্রেশনের মত সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এমনকি, ক্যান্সারের মত রোগের বিরুধ্যে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। এলাচ খাওয়ার নিয়ম হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণ এলাচ যোগ করলে আপনি এর নানা রকমের উপকারিতা পাবেন। এলাচের স্বাস্থ উপকারিতা বেশি মাত্রায় পেতে দুধে মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

1. হজমে এলাচের ভূমিকা

The post এলাচ, এলাচের উপকারিতা, এলাচের অপকারিতা appeared first on Chalo Kolkata.

প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

$
0
0

রবীন্দ্রনাথ মানেই তো প্রেম আর প্রেমের কবিতা, আর প্রেমের কবিতা মানেই কিন্তু রবি ঠাকুর অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা সবার আগেই আমাদের মনে পরে। ভাবছেন প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে নতুন করে আবার কী জানবেন,সবই তো সবার জানা! ধারণাটা কিন্তু একেবারেই ভুল। প্রেম সম্পর্কে বেশির ভাগ তথ্যই এখনো অজানা। প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। প্রেমের অনুভূতি গুলো কেমন, কেনই বা মানুষ ভালোবাসে, প্রেমে পড়ার সময় মানুষ কী দেখে ইত্যাদি নানা রকমের প্রশ্ন জাগে অনেকের মনেই। ভালোবাসা নিয়ে মানুষের এই আগ্রহ চিরন্তন একটি বিষয়। চিরচেনা ভালোবাসার এই অনুভূতি সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদের জানা। আবার এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমরা আজও জানি না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার ছোয়া মানেই প্রেম প্রেম ব্যাপারটা কিছু থেকেই যায়। অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রেমিক কবিও বলতেন। আসুন আমরা সরাসরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু প্রেমের কবিতা জেনে নি।

আমাদের জীবনের প্রেক্ষাপটে রোজ আমরা পাই  জীবনের রূপরেখা, এবং তাকেই তুলির টানে রাঙিয়ে চলায় আমাদের জীবনের স্বার্থকতা।  এবং এই তুলির রঙের রসদই আমরা পাই কবিগুরুর লেখা থেকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান এই সব আমাদের ভাবায়, জীবন টাকে নতুন রঙে-রূপে চিনতে শেখায়। এমনি কিছু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি আমরা এখানে দিলাম যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর রচনা থেকে নেওয়া।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা – রবি ঠাকুরের প্রেমের কবিতা

 

1. অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে

অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
এবার হৃদয় মাঝে লুকিয়ে বোসো,
কেউ জানবে না, কেউ বলবে না।
বিশ্বে তোমার লুকোচুরি,
দেশ বিদেশে কতই ঘুরি –
এবার বলো আমার মনের কোণে
দেবে ধরা, ছলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
জানি আমার কঠিন হৃদয়
চরণ রাখার যোগ্য সে নয় –
সখা, তোমার হাওয়া লাগলে হিয়ায়
তবু কি প্রাণ গলবে না।না হয় আমার নাই সাধনা,
ঝরলে তোমার কৃপার কণা
তখন নিমেষে কি ফুটবে না ফুল
চকিতে ফল ফলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
2. আমার মাঝে তোমার লীলা হবে
আমার মাঝে তোমার লীলা হবে,

তাই তো আমি এসেছি এই ভবে।
এই ঘরে সব খুলে যাবে দ্বার,
ঘুচে যাবে সকল অহংকার,
আনন্দময় তোমার এ সংসার

আমার কিছু আর বাকি না রবে।

মরে গিয়ে বাঁচব আমি, তবে
আমার মাঝে তোমার লীলা হবে।
সব বাসনা যাবে আমার থেমে
মিলে গিয়ে তোমারি এক প্রেমে,
দুঃখসুখের বিচিত্র জীবনে
তুমি ছাড়া আর কিছু না রবে।

3. যাবার দিন

যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই –
যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই।
এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে     যে শতদল পদ্ম রাজে
তারি মধু পান করেছি, ধন্য আমি তাই।
যাবার দিনে এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।

বিশ্বরূপের খেলাঘরে কতই গেলেম খেলে,
অপরূপকে দেখে গেলেম দুটি নয়ন মেলে।
পরশ যাঁরে যায় না করা     সকল দেহে দিলেন ধরা,
এইখানে শেষ করেন যদি শেষ করে দিন তাই –
যাবার বেলা এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।

4. আছে আমার হৃদয় আছে ভরে

আছে আমার হৃদয় আছে ভরে,
এখন তুমি যা খুশি তাই করো।
এমনি যদি বিরাজ’ অন্তরে
বাহির হতে সকলই মোর হরো।
সব পিপাসার যেথায় অবসান
সেথায় যদি পূর্ণ করো প্রাণ,
তাহার পরে মরুপথের মাঝে
উঠে রৌদ্র উঠুক খরতর।

এই যে খেলা খেলছ কত ছলে
এই খেলা তো আমি ভালবাসি।
এক দিকেতে ভাসাও আঁখিজলে,
আরেক দিকে জাগিয়ে তোল’ হাসি।
যখন ভাবি সব খোয়ালাম বুঝি
গভীর করে পাই তাহারে খুঁজি,
কোলের থেকে যখন ফেল’ দূরে
বুকের মাঝে আবার তুলে ধর’।

 5. ক্ষণিকা

খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা –
খুঁজে নিতে দাও সেই আনন্দের হারানো কণিকা।
কবে সে যে এসেছিল আমার হৃদয়ে যুগান্তরে
গোধূলিবেলার পান্থ জনশূন্য এ মোর প্রান্তরে
লয়ে তার ভীরু দীপশিখা!
দিগন্তের কোন্ পারে চলে গেল আমার ক্ষণিকা।।

6. নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

বাসনা বসে মন অবিরত,
ধায় দশ দিশে পাগলের মতো।
স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত
জাগিছ শয়নে স্বপনে।

সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ
তুমি আছ তার আছে তব কেহ
নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও
সেও আছে তব ভবনে।

তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর
সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার,
কাল পারাপার করিতেছ পার
কেহ নাহি জানে কেমনে।

7. প্রেম ও প্রকৃতি

মন হতে প্রেম যেতেছে শুকায়ে, জীবন হতেছে শেষ।
শিথিল কপোল, মলিন নয়ন, তুষারধবল কেশ।
পাশেতে আমার নীরবে পড়িয়া অযতনে বীণাখানি
বাজাবার বল নাহিক এ হাতে, জড়িমাজড়িত বাণী।
গীতিময়ী মোর সহচরী বীণা, হইল বিদায় নিতে।
আর কি পারিবি ঢালিবারে তুই অমৃত আমার চিতে।
তবু একবার, আর-একবার, ত্যজিবার আগে প্রাণ
মরিতে মরিতে গাইয়া লইব সাধের সে-সব গান।
দুলিবে আমার সমাধি-উপরে তরুগণ শাখা তুলি
বনদেবতারা গাহিবে তখন মরণের গানগুলি॥

8. প্রেমের দূতকে পাঠাবে নাথ কবে

প্রেমের দূতকে পাঠাবে নাথ কবে।

সকল দ্বন্দ্ব ঘুচবে আমার তবে।

আর-যাহারা আসে আমার ঘরে

ভয় দেখায়ে তারা শাসন করে,

দুরন্ত মন দুয়ার দিয়ে থাকে,

 হার মানে না, ফিরায়ে দেয় সবে।

সে এলে সব আগল যাবে ছুটে,

সে এলে সব বাঁধন যাবে টুটে,

ঘরে তখন রাখবে কে আর ধরে

 তার ডাকে যে সাড়া দিতেই হবে।

আসে যখন, একলা আসে চলে,

গলায় তাহার ফুলের মালা দোলে,

সেই মালাতে বাঁধবে যখন টেনে

 হৃদয় আমার নেরব হয়ে রবে।

9. মানসী

শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী!
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে। বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন।
সঁপিয়া তোমার ‘পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
কত বর্ণ, কত গন্ধ, ভূষণ কত-না –
সিন্ধু হতে মুক্তা আসে, খনি হতে সোনা,
বসন্তের বন হতে আসে পুষ্পভার,
চরণ রাঙাতে কীট দেয় প্রাণ তার।
লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ,
তোমারে দুর্লভ করি করেছে গোপন।
পড়েছে তমার ‘পরে প্রদীপ্ত বাসনা –
অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা।।

 

10. অনন্ত প্রেম 

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।


যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
তোমারি মুরতি এসে,
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।

The post প্রেমের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর appeared first on Chalo Kolkata.

ভারতের সেরা ১০টি চোখের মেকআপ – Top 10 Best Eye Makeup In India

$
0
0

মেকআপ  করতে কার না ভালো লাগে। তার মধ্যে যেটা সব থেকে  Attractive সেটা হল চোখের মেকআপ। চোখের মেকআপ আপনি কেমন করছেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনার বাকি মুখের মেকআপ। তাই চোখের মেকআপ করার সময় ভাল করে জেনে নিতে হবে কি দিয়ে মেকআপ করছেন আর কিভাবে করছেন। আজ আমরা জেনে নেবো যে ভারতের সেরা ১০টি চোখের মেকআপ প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে। সময় নষ্ট না করে সরাসরি চলে যাবো আমাদের মূল পর্বে।

1. মেবেলিন কাজল – Maybelline Colossal Kajal

যে কোনও ভারতীয় মহিলার সৌন্দর্যের মধ্যে অন্যতম অংশ হল এই চোখের পারফেক্ট মেকআপ তাও আবার সাপ্তহিক প্রোডাক্ট দিয়ে। সত্যি কথা বলতে কি চোখ হল এমন সুক্ষ জিনিস তার সাথে কোনো মতেই ছেলেখেলা করা যাবে না। ২০১১ সালে প্রথম বাজারে আসে মেবেলিন কলোসাল কাজল । আর ভারতীয় বাজারে একটি দারুন উত্সাহ তৈরি করেছিল এই প্রোডাক্ট টি। এটি এখনই ভারতীয় বাজারে সর্বাধিক জনপ্রিয় কাজল যার কোনো বিকল্প নেই। এটি বেশ কার্যকর এবং নামের এতে সাথে কাজ টাও দারুন করে নিজের গাম্ভীর্যের সাথে।  এটি জেট কালো, তীব্র,এবং ছয় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমার চোখে পড়ে। এটি ওয়াটারলাইনের পাশাপাশি চোখের পাতা উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে এই প্রোডাক্ট এর টেক্সচারটি বেশ ক্রিমযুক্ত এবং এটি শীতল অর্থাৎ ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত অন্যথায় এটি গলে যেতে পারে ।

2. লাকমে আইকোনিক কাজল – Lakme Eyeconic Kajal

লাকমে কোম্পানি আমাদের সকলের কম বেশি জানা আছে। আর মজার জিনিস হচ্ছে এই ল্যাকমে আইকোনিক কাজল প্যাকেজিং এবং এর রঙটি খুব আকর্ষণীয়। যেটা একবার দেখলে মন ভোরে যায়। শুধু মন ভোরে যায় সেটা না কাজটাও ভালোই করে। এটি গভীর কালো এবং ধূলাবালি এবং আপনার বাজেট মুক্ত এবং দশ ঘন্টা ধরে বজায় থাকে। এটি স্টিং বা চুলকায় না আবার জ্বালাও করে না। এটি ডার্মাটোলজিকালি পরীক্ষিত বলে দাবি করা হয়। কাজলটি মসৃণ এবং কোনও টাগিং বা টান ছাড়াই চোখেচমক দেয়।

3. মেবেলাইন আই লাইনার – Maybelline Eye Liner

আই লাইনার এর মধ্যে খুব জনপ্রিয় মেবেলাইন এর আই স্টুডিও। এটি একটি টেকসই ড্রামা জেল লাইনার ছোট টব এবং সাথে একটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা ব্রাশ থাকে । এই লাইনারগুলির টেক্সচারটি খুব ক্রিমযুক্ত এবং মসৃণ এমনকি প্রয়োগের সাথে তীব্র লাইন দেয়। এটি তরল আইলাইনারের অনুরূপ, আর এটি দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং সারা দিন ধরে থাকে। এটি সহজেই মিশে যায় এবং আপনার চোখকে সুন্দর করে তুলতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

4. ফেস লম্বা আইলাইনার্স – Faces Long wear Eyeliners

যে যাই বলুক না কেন সত্যি কথা বলতে পেন্সিল আইলাইনার্স হল একটি মেয়ের অহংকারের প্রধান বিষয় এবং এটি প্রাথমিক ভাবে যারা খুব সহজেই সরলরেখা আঁকতে অসুবিধা মনে করেন তাদের পক্ষে ভাল। সব থেকে বোরো কথা ফেস লং ওয়্যার আই পেন্সিলগুলি ইন্ডিয়ান মার্কেটের অন্যতম জনপ্রিয় পেন্সিল এবং এটি সবাই পছন্দ করে। তাদের মধ্যে বেছে নিতে হবে যে শেডগুলি বেশি ভালো আর বেশি চাহিদা রয়েছে। যেমন: বেগুনি, বন সবুজ, একোয়া ব্লু, গ্রে, মেটাল ব্রাউন, সলিড ব্রাউন, ফিরোজা নীল, সলিড ব্ল্যাক, স্পার্কল ব্ল্যাক, ডার্ক গ্রিন এবং নেভি ব্লু ইত্যাদি ইত্যাদি। এই পেন্সিলগুলির রঙ প্রদত্তটি আশ্চর্যজনক এবং সমস্তগুলি অত্যন্ত রঞ্জক। পেন্সিলগুলি নরম এবং ক্রিমযুক্ত এবং একটি পরম স্মুড প্রুফ ফিনিস দেয়। তারা চোখের পাতায় গড়ে ছয় ঘন্টা ধরে থাকে।  এই চোখের পেন্সিলগুলির মধ্যে আপনার কমপক্ষে একটি চেষ্টা করা উচিত। ব্যবহার করার পর কেমন লাগছে কমেন্ট করে জানাবেন।

5. ল্যাকমে আই আর্টিস্ট আইলাইনার পেন – Lakme Eye Artist Eyeliner Pen

আমাদের আরেকটি অসাধারণ জিনিস যেটা হল ল্যাকমে আই আর্টিস্ট, টিপ লাইনার। মেয়েদের বা যে কোনো আর্টিসদের চোখের পাতায় সুনির্দিষ্ট প্রয়োগের জন্য একটি অনুভূত টিপ আইলাইনার পেনটি তৈরি করা হয়েছে। ল্যাকমে আই আর্টিস্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। অনুভূত টিপ ডিজাইনটি এতটাই অনায়াসে এবং সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় যে মাত্র একটি স্ট্রোকের মধ্যেই আইলাইনারের সঠিক পরিমাণ বিতরণ করা হয়। লাইনটি আরও পাতলা বা ঘন, তীক্ষ্ণ বা উইংসযুক্ত, লম্বা বা সংক্ষিপ্ত এবং আরও কিছু হতে পারে।

6. মেবেলাইন হাইপার লাইনার – Maybelline Hyper glossy Liquid Liner

এই প্রোডাক্ট টি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মাসে চালু হওয়া মাইবেলিন হাইপার গ্লোসি লিকুইড আই লাইনার তরল আই লাইনার পরিবারের সর্বশেষতম সংযোজন, চূড়ান্তভাবে ভারতীয় চোখের মেকআপ পণ্যগুলিতে। এটি একটি লম্বা স্টিক সোহো কাছের বোতলে আসে। আর এর একটা সহজ ব্যাপার হলো ব্রাশটি অত্যন্ত পাতলা যা পাতলা রেখাগুলি আঁকতে সহজ করে বা সাহায্য করে।

7. এম.এ.সি আই শ্যাডো – M.A.C Eye Shadow

ভারতীয় বাজারে অন্যতম সেরা চোখের ছায়া হল এমএ.সি আই শ্যাডো।  এটি ভালো আর সমানভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং ভালভাবে মিশে যায়।  আপনি হালকা এবং চকচকে শেডগুলির সাথে কিছুটা পড়ে যেতে পারেন তবে আপনি চাইলে এটি আই প্রাইমার দিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ছায়াগুলি চোখে গভীরতা এবং একটা সুন্দর মাত্রা যুক্ত করে এবং চোখের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

8. ইংলট ফ্রিডম সিস্টেম আই শ্যাডো – Inglot Freedom System Eye Shadow

আপনার চেহারা কি কোনও মাস্কারা ছাড়াই সম্পূর্ণ হতে পারে ? না একদম না। এমএএসি আই শ্যাডোর মতো, ইংলট আই শ্যাডো গুলিও রিফিল এবং প্যালেট গুলিতে পাওয়া যায়। আর এই কালার এর দেওয়া রঙ অনেক্ষন বজায় থাকে।

9. মেবেলিন কলসাল মাসকারা – Maybelline Colossal Mascara


আমাদের সমীক্ষায় বিপাশা বলে একটি মেয়ে যে কিনা ফিল্ম এর সাথে যুক্ত অর্থাৎ তিনি একজন অভিনেত্রীআরব তিনি বলেছেন যে – মেবেলিন কলসাল মাস্কারা হ’ল আমার এইচজি মাস্কারা। আমি এটি গত দুই বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি এবং অন্য কোনও চেষ্টা করার প্রয়োজন অনুভব করিনি। এই মাস্কারা আমার এত কম স্পর্শকাতর ভরসা দেয় যা একটি বেশ ভালো ভলিউম এবং আমার ল্যাশগুলির চেহারা আরও তীব্র করে।  তবে সবার জন্য একটা কথা বলতে চাই যে – এটি মুছে ফেলা বেশ কঠিন এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করতে আপনার একটি মেকআপ রিমুভারের প্রয়োজন হবে। আমি নিয়মিতগুলি ওয়াটারপ্রুফ তাই বেশি ব্যাবহার করি।তবে চিন্তার কিছু নেই। আপনি বিন্দাস ব্যবহার করতে পারেন।

10. মেটালিগ্লো আই প্রাইমার – Faces Metaliglow Eye Primer

আই প্রাইমার হ’ল একটি প্রসাধনী যা চোখের ছায়াগুলির প্রয়োগের আগে চোখের পাতার প্রলেপ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে চোখের অংশটি একটি মসৃণ রূপ নেয়, এমনকি দীর্ঘ সময়ের জন্য চোখের পাতাতে রাখা যায়। তবে এটি যা দাবি করে তা হল – এটি চোখের ছায়াকে ক্রিজ এবং স্মাগিং থেকে বাধা দেয় এবং ছায়ার রঙকে তীব্র করে তোলে। এটি কমপক্ষে আট ঘন্টা ধরে ছায়াকে অক্ষত রাখে। আর দারুন লাগে রাখতে।

The post ভারতের সেরা ১০টি চোখের মেকআপ – Top 10 Best Eye Makeup In India appeared first on Chalo Kolkata.

Viewing all 302 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>