Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all 302 articles
Browse latest View live

12 Bollywood Actor Death List –দেখেনিন কীভাবে ১২ জন অভিনেতাদের মৃত্যু হয়েছিল

$
0
0

রিল আর রিয়েল লাইফের আকাশ-পাতাল ফারাক। ফলে সিলভার স্ক্রিনের ওপারের দৃশ্যগুলো অধরাই থেকেই যায় দর্শকদের কাছে। সেখানে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে যা ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায় না। সম্পর্কের টানাপড়েন, কাজের চাপ থেকে শুরু করে নানা রকম সমস্যা, যা শুধু ব্যাকগ্রাউন্ডেই ঘটে চলেছে। ফলে মানসিক অবসাদ, আত্মহত্যার মতো ঘটনা বার বার দেখেছে বলিউড। এই তালিকায় নতুন সংযোজন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। এমনই কিছু অভিনেতার মৃত্যু সম্পর্কিত তথ্য রইল এই গ্যালারিতে।

সুশান্ত সিংহ রাজপুত: ১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান এটি আত্মহত্যা। ২০০৯-এ ‘পবিত্র রিস্তা’ সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় শুরু। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। টেলিভিশন থেকে বলিউডে পা রেখেছিলেন ‘কাই পো চে’-র মাধ্যমে। বাণিজ্যিক ভাবে সে ছবি সফল। পছন্দ হয়েছিল ফিল্ম ক্রিটিকদেরও। এর পর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বায়োপিক ‘ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সুপার হিট। বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেল সুশান্তের কেরিয়ার। তার পর একে একে ‘রাবতা’, ‘কেদারনাথ’, ‘পিকে’, ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’, ‘ছিঁচোড়ে’র মতো মুভিতে অভিনয় করেছেন। সুশান্তের মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত ...

শ্রীদেবী: ২০১৮-এর ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান শ্রীদেবী। দুবাইয়ের এক সাততারা হোটেলের বাথটব থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে লেখা ছিল, জলে ডুবে মৃত্যু। কিন্তু বাথটবের জলে কেউ কী ভাবে মারা যেতে পারেন, তা আজও অস্পষ্ট। বলিউডে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, আত্মহত্যা। খুনের অভিযোগও উঠেছিল। কিন্তু কপূর পরিবার জোর গলায় বলেছিলেন, এ সবই কুৎসা।

আবার দেখা মিলবে শ্রীদেবীর, তোলা যাবে ...

দিব্যা ভারতী: বলিউডে খুব বেশিদিন কাজ করার সুযোগ হয়নি তাঁর। এক বছরে তাঁর এক ডজন ছবির রেকর্ড আজও ভাঙতে পারেনি কেউ। দিব্যার মৃত্যু হয় মাত্র ১৯ বছর বয়সে। ১৯৯৩ সালের ৭ এপ্রিল নিজের ভারসোভার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

কী হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর রাতে? দিব্যা বিয়ে করেছিলেন বিখ্যাত প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াওয়ালাকে। ওই দিন তাঁদের ফ্ল্যাটে ফ্যাশন ডিজাইনার নীতা লুল্লা-সহ আরও বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব এসেছিলেন। চলছিল রাত-পার্টি। এমন সময়ে বাড়ির ব্যালকনি থেকে পড়ে মারা যান তিনি। পরিবার থেকে বলা হয়েছিল, টাল সামলাতে না পেরেই পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শোনা গিয়েছিল দুর্ঘটনা নয়। পরিকল্পিত খুন। সাজিদ জড়িয়ে রয়েছেন এর পিছনে। কিন্তু প্রমাণ মেলেনি। তাই কিছু বছর পর দিব্যার মৃত্যুর তদন্তও পুলিশ বন্ধ করে দেয়।

How Divya Bharti spent her last day? dgtl - Anandabazar

পারভিন ববি: ১৯৮০-র দশকে বলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী পারভিন ববির শেষ জীবন কেটেছে বড়ই কষ্টে। অত্যধিক সুরাসক্তি, সম্পর্কে ভাঙন তাঁকে ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হতে দেয়নি। এক সময় পুরুষ হৃদয়ে তুফান তোলা পরভিনের মৃত্যুদিন যে কবে, তা জানেন না কেউ। ফ্ল্যাটের দরজার সামনে খবরের কাগজ আর দুধের প্যাকেট জমছিল দিনের পর দিন। প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা হয়। উদ্ধার করা হয় মৃত পারভিনকে।

Parveen Babi Age, Death Cause, Affairs, Husband, Children, Family ...

সিল্ক স্মিতা: আইটেম গার্ল থেকে অভিনেত্রী হয়ে উঠতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু মুম্বইয়ের নিজের আবাসনে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। কেন করেছিলেন আত্মহত্যা? হতাশা, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নাকি অন্য কিছু, জানা যায়নি আজও।

Unknown Facts Of Silk Smita On Her Birthday | বাড়িতে ...

গুরু দত্ত: মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত। মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করার কারণে নাকি মৃত্যু হয়েছিল ‘কাগজ কে ফুল’ খ্যাত এই অভিনেতা-পরিচালকের। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, মৃত্যুর আগের দিনও বেশ হাসিখুশি ছিলেন গুরু। আত্মহত্যা, নাকি ভুলবশত ওভারডোজ? আজও জানা যায়নি।

গুরু দত্তের মৃত্যু আজও ধোঁয়াশা ...

জিয়া খান: জুহুর ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠেছিল তাঁর সেই সময়ের বয়ফ্রেন্ড সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। জিয়া যখন আত্মহত্যা করেন, তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জিয়ার মা দাবি করেছিলেন, পরিস্থিতির চাপে পড়ে জিয়া বাধ্য হয়েছিলেন এমন একটা চরম সিদ্ধান্ত নিতে। জিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুইসাইড নোট।

জিয়া খান মৃত্যু রহস্যে নয়া মোর

অর্চনা পাণ্ডে: ২০১৪-র ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বইের ভারসোভাতে নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মডেল অর্চনা পাণ্ডের। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে বয়ফ্রেন্ড ওমর পাঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন অর্চনা।

Two days after model Archana Pandey hung herself, police arrest ...

নাফিসা জোসেফ: ২০০৪-এর ২৯ জুলাই ‘বিউটি কুইন’ও ভিজে নাফিসার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মুম্বইয়ে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। ব্যবসায়ী গৌতম খান্ডুজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা পাকাপাকি হয়েও ভেস্তে যায়। এর পরই অবসাদে চলে যান নাফিসা এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

Bollywood mysteries that remain unsolved even today

বিবেকা বাবাজি: ভারতের অন্যতম সেরা মডেল বিবেকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঘর থেকে পাওয়া একটি ডায়েরিতে লেখা ছিল— আই কিল। সন্দেহ করা হয়, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মনোমালিন্যই তাঁর এই পথ বেছে নেওয়ার কারণ।

১৩ বলিউড তারকা যারা মানসিক অবসাদে ...

কুনাল সিংহ: ‘দিল হি দিল ম্যায়’ ছবির অভিনেতা। ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যদিও অভিনেতার বাবার দাবি, কুনালকে খুন করা হয়েছে।

Kunal Singh - Wikipedia

মনমোহন দেশাই: অমর আকবর অ্যান্টনি, কুলি, ধরমবীর-এর মতো সুপারহিট হিন্দি ছবির পরিচালক মনমোহন দেশাই বাড়ির ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, ফিল্মি কেরিয়ারে অসাফল্যের জন্যই আত্মহত্যা করেছেন পরিচালক। আবার এই তথ্যও উঠে এসেছে যে, পিঠের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর আত্মহত্যার আসল কারণ আজও রহস্যাবৃত।

Manmohan Desai and Hindi cinema's secularism!

The post 12 Bollywood Actor Death List – দেখেনিন কীভাবে ১২ জন অভিনেতাদের মৃত্যু হয়েছিল appeared first on Chalo Kolkata.


কষ্টের ভালোবাসার গল্প –কষ্টের প্রেমের গল্প

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদর কাছে তুলে ধরবো ভালোবাসা নিয়ে বাস্তব কিছু কথা, বাস্তব জীবনের ছোট গল্প। জেনে নেবো একটা সত্যি কারের হেরে না যাওয়া প্রেমের গল্প আপনার এই গল্পের কোনো মতামত থাকলে আপনি জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট করে।

হৃদয়স্পর্শী ভালোবাসার গল্প – বাস্তব জীবন নিয়ে কিছু কথা

কলকাতার দমদমের বাসিন্দা মধুমিতা ভারী হাসিখুশি মিশুকে মেয়ে ছিল, গল্পটি তখন যখন সে একাদশ শ্রেণীতে পড়তো। আজ সে অনেক দিন পর আমাদের সাথে শহরে করলো তার জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া একটা হেরে না যাওয়া প্রেমের গল্প ।

মেয়েটি ছিল বড্ড সরল। একদিন সন্ধ্যেবেলা সে বাড়িতে পড়াশোনা করছিল, ঠিক সেই সময় বাড়ির ফোনে একটি ফোন আসে, একটি ছেলের গলা পায় মধুমিতা, মধুমিতা পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই ,ছেলেটি উত্তর দেয় ছেলেটি নাকি তাকে আগেও দেখেছে এবং তাকে কিছু বলতে চায়, কিন্তু মধুমিতার মাথায় কিছুই ঢোকে না।
মধুমিতা জিজ্ঞাসা করে, “আরে তুমি কে ? আগে তো সেটা বল, আর তুমি আমার নাম্বার কি করে পেলে”? ছেলেটির নাম ছিল “দিব্যেন্দু”।

মধুমিতা রেগে গিয়ে ফোনটা কেটে দিল, ছেলেটা আবার কল করে যাচ্ছিল,
তারপর শেষমেষ দিব্যেন্দু স্বীকার করল যে সে নাম্বারটা কিভাবে পেল, আসলে দিব্যেন্দু হলো মধুমিতার বান্ধবীর দাদার বন্ধু। মধুমিতার সেই বান্ধবী হলো নম্রতা। নম্রতা ওর দাদার ফোন থেকে মধুমিতার বাড়িতে ফোন করে যোগাযোগ করত। আর দিব্যেন্দু নম্রতা দাদার ফোন থেকে এই নাম্বারটা কোন ভাবে নিয়ে নিয়েছিল।
আর সেই সন্ধ্যেবেলা তেই দিব্যেন্দু মধুমিতাকে দেখতে চাইছিল খুব খুব বায়না করছিল একটু দেখা করার জন্য। যেন মনে হচ্ছিল অনেকদিনের বন্ধুত্ব মধুমিতার সাথে, তারপর মধুমিতা কেমন যেন একটা হয়ে গেল ,মেনে নিল ওর বায়না টা।

বেদনাদায়ক প্রেমের গল্প – Love Story In Bengali 

আর হ্যাঁ মধুমিতার জীবনে কিন্তু এর আগে কখনো প্রেম আসেনি, এই প্রথমবার একটি ছেলে তাকে দেখতে চাইছে এতবার করে ,এই অনুরোধ টা মধুমিতা ফিরিয়ে দিতে পারেনি।তাই চুপিচুপি রাস্তায় বেরিয়ে মধুমিতা দাঁড়িয়েছিল (মনে ভয় নিয়ে), আর দিব্যেন্দু সাইকেল নিয়ে পাশ থেকে গিয়ে একটু হেসে চলে গেল। আর যখন দিব্যেন্দু মধুমিতার সামনে দিয়ে গেল, তখন মধুমিতার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছিল, আর হৃদস্পন্দনটা অনেকটাই বেড়ে গেছিল।
এর থেকে তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে মধুমিতার মনে একটু হলেও দাগ কেটেছিল দিব্যেন্দু। তারপর প্রায় রোজই এক-দুবার করে ফোনে কথা হতো ওদের। মধুমিতার নিজস্ব কোন ফোন ছিল না ওটা ছিল ওর বাড়ির ফোন।
মধুমিতা দিব্যেন্দু কে বলেই রেখেছিল দিব্যেন্দু যাতে হুটহাট ওই ফোনে ফোন না করে, তাই মধুমিতা যখন দিব্যেন্দু কে মিস কল দিত তখনই দিব্যেন্দু তাকে উল্টে কল করতো, তারপরে মধুমিতা কোচিং সেন্টারে যেত দিব্যেন্দু দাঁড়িয়ে থাকতো।দিব্যেন্দু মধুমিতার সাথে একটু সময় কাটাতে চাই তো ,কথা বলতে চাইতো কিন্তু মধুমিতার খুব ভয় ছিল তাই সে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহস পেত না রাস্তাঘাটে।

আগের মত পড়াশোনায় মনোযোগ টা কমে যাচ্ছিল মধুমিতার। পড়তে বসে বসে দিব্যেন্দুর কথা ভাবতে থাকতো।
স্কুলে যেত দিব্যেন্দু দাঁড়িয়ে থাকতো ,কোচিং সেন্টারে যেত সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতো।
আর একদিন তো হঠাৎ রাস্তায় বৃষ্টি নেমে গেছিল, মধুমিতা আর নম্রতা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, হঠাৎ পাশ থেকে যেন কে মধুমিতার মাথায় হাত দিয়ে চলে গেল, তারপর খেয়াল করে দেখল ওটা দিব্যেন্দু ছিল, কিন্তু সেদিন মধুমিতা দিব্যেন্দু কে ডাকে নি, আর মাথায় হাত দিয়েছিল কেন জানেন? দিব্যেন্দু নিজের রুমালটা মধুমিতার মাথায় দিয়ে জোরে সাইকেল চালিয়ে চলে গেল।
মধুমিতা ভিজে যাচ্ছিল সেটা দিব্যেন্দু লক্ষ করেছে।
এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো মধুমিতা কে দিব্যেন্দুর আরো কাছাকাছি টেনে নিয়ে যেতে লাগল।
সেদিন ছিল 14 ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিন।
দিব্যেন্দু সেদিন দাঁড়াতে বলেছিল মধুমিতাকে, কিছু উপহার এনেছিল মধুমিতার জন্য দিব্যেন্দু। একটা অন্ধকার রাস্তাতে দিব্যেন্দু হাঁটু গেড়ে বসে একটা গোলাপ ফুলের থোকা উপহার দিল।
আর মধুমিতা, !!সে কি খালি হাতে এসেছে?
না একদমই না, মধুমিতা এনেছিল একটা ছোট্ট গণেশ ঠাকুর। তাও আবার ঠাকুরদার পকেট থেকে টাকা চুরি করে 😛

দিব্যেন্দু মধুমিতার হাতটা শক্ত করে ধরেছিল। মধুমিতার চোখ থেকে হঠাৎ জল পড়তে শুরু করলো, দিব্যেন্দু জিজ্ঞাসা করল “পাগলী কাঁদছো কেন?”
মধুমিতা মুখ থেকে কোনও আওয়াজ বার করতে পারছিল না। শুধু দিব্যেন্দুর চোখের দিকে তাকিয়ে ছিল। দিব্যেন্দু তাকে অনেক ভাবে হাসানোর চেষ্টা করলো। সফলও হয়েছিল।😊

মধুমিতা বুঝতে পারেনি যে সেদিন রাতে বাড়ি ফেরার পর তার সবকিছু কেমন পাল্টে যাবে, আসলেই কেউ একজন মধুমিতা আর দিব্যেন্দু কে একসাথে দেখে নিয়েছিল, আর মধুমিতার বাড়িতে এসে খবর পৌছে গেছিল।
মধুমিতার বাড়ির নিয়ম খুব কড়াকড়ি, মধুমিতার বাবা খুব রাগী ,বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ তাকে ভয় পায়।
মধুমিতার মা ব্যাপারটা জেনে ছিল ,কিন্তু মধুমিতার বাবাকে জানায়নি। বাড়ি ফেরার পর মধুমিতার মা মধুমিতাকে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে, মধুমিতা স্বীকার করেছিল সত্যিটা।

তারপর মধুমিতার মা নিজে থেকেই মধুমিতার বাবাকে জানিয়ে দিয়েছিল। মধুমিতার বই-খাতা ব্যাগ ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল আর বলেছিল ..”এইসব নোংরামি করার জন্য তোকে পড়াশোনা শেখাচ্ছি”
কিন্তু মধুমিতার মনের ভিতরে যা চলছে সেটা কেউ দেখতে পাচ্ছিল না, মধুমিতার বুকটা ফেটে যাচ্ছিল.. মধুমিতা বাথরুমে গিয়ে কান্না করত।

দিব্যেন্দুর খোঁজ খবর পেয়ে গেছিল মধুমিতার বাড়ির লোক। তারপর দিব্যেন্দুর বাড়িতে মধুমিতার কাকা গেছিল ,অনেক হুমকি দিয়েছিল দিব্যেন্দুকে।
কদিনের মধ্যে মধুমিতাকে ওর মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল। মামার বাড়ীতে থেকে অন্য কারো ফোন থেকে যোগাযোগ করতে গিয়ে মধুমিতা আবার ধরা পড়ে গেছিল। অনেক চড় মেরেছিল মধুমিতার মামা। মধুমিতা খালি মাঝে মাঝে বাথরুমে গিয়ে কান্না করত।
আর একা একা বলতো ..”দিব্যেন্দু তুমি আমাকে নিয়ে যাও তুমি কোথায় আছো আমি একটুও ভালো নেই”
দিব্যেন্দু দোষটা কোথায় ছিল জানেন?
দিব্যেন্দু বেকার ছিল কোন জীবিকা ছিল না ওর। গরিব ছিল। আর তাই ওকে এত কিছু সহ্য করতে হয়েছে।
অনেকদিন হয়ে গেছে ,অনেক মাস হয়ে গেছে
.. প্রায় বছর ঘুরে গেছিল, দিব্যেন্দুর সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিল না মধুমিতার।

একদিন হঠাৎ মধুমিতার বাবা মারা গেলেন হার্ট অ্যাটাকে। হার্টের প্রবলেম অনেকদিন ধরেই ছিল।
তার এক বছরের মধ্যে মধুমিতার ফ্যামিলি বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় ফ্ল্যাট কিনে চলে গেল। সবকিছু কেমন থেমে গেছিল।

মধুমিতার খুব জানতে ইচ্ছে হতো দিব্যেন্দু কেমন আছে কি করছে
কিন্তু জানার রাস্তা সব দিক থেকে বন্ধ ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর মধুমিতা আর কোনো চেষ্টা করেনি যোগাযোগ করার,ভেতর থেকে অনেকটা ভেঙে গেছিলো।
তারপর মধুমিতা কলেজে ভর্তি হল কলেজ কমপ্লিট করল।
হঠাৎ একদিন একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো।
সেই চেনা স্বর, মধুমিতা হ্যালো বলার পরে চিনতে পেরে গেছিল, ওটা দিব্যেন্দু।
কিন্তু তাও মধুমিতা জিজ্ঞাসা করল “কে বলছেন”
মধুমিতার নাম্বার দিব্যেন্দু কিভাবে পেল সেটা দিব্যেন্দু কিছুতেই মধুমিতাকে বলেনি।
দিব্যেন্দু একটাবারের জন্য মধুমিতার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল। মধুমিতা রাজী হল।
পরেরদিন কলেজের গেটের সামনে দিব্যেন্দু দাঁড়িয়ে আছে, মধুমিতা কলেজ থেকে বেরোচ্ছে,
আগের থেকে মধুমিতার চেহারার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছিল। কিন্তু দিব্যেন্দু বলল তুমি একটু পাল্টাও নি ,সেই আমার পাগলিটাই আছো।

দিব্যেন্দু মধুমিতা কে একটা খবর দিতে এসেছিল,
দিব্যেন্দু বিয়ে করেছে।
জানিনা কেন কিভাবে বিয়ে করেছে, কিন্তু দিব্যেন্দু বলল পারিবারিক কিছু ব্যাপারের জন্য করতে হয়েছে।
মধুমিতা বলল খুব ভালো খবর, ‘আমার মতো বাজে না নিশ্চয়ই তোমার বউ, আমার জন্য তুমি আমার বাড়ির লোকের কাছে অনেক অপমান সহ্য করেছো তাই না”
দিব্যেন্দু হাসলো। দিব্যেন্দু বলল, “আমি বিয়ে করলেও, ভালো তোমাকেই বাসি”
মধুমিতা শুনে বলল, “এটা ঠিক বলছো না সেও একটা মেয়ে তোমার থেকে সেও ভালোবাসা চায় তার সবটুকু দিয়ে”, আরো বললো, “তুমি ফিরে যাও নতুন করে জীবনটাকে শুরু করো, পেছন ফিরে একদম তাকাবে না, খুব ভালো থাকো । আর আমাকে কখনো ফোন করো না, চিন্তা করো না আমি ভালো থাকবো। আমি রাগ করে কিন্তু এ কথাগুলো তোমাকে বলছি না, তুমি যতবার পেছনে ফিরে তাকাবে সামনের দিকে এগোতে পারবে না জীবনে ।আমি এটা ভেবেই খুশি থাকব যে কেউ তো আছে তোমার পাশে যে তোমাকে ভালোবাসবে ভালো রাখবে।”
এটা শুনে দিব্যেন্দু মধুমিতার হাত দুটো শক্ত করে ধরে মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলো। মধুমিতা হাতটা ছাড়িয়ে নিল। একটা বাস আসলো, মধুমিতা তাড়াতাড়ি করে উঠে গেল সেই বাসে।
সেটাই ছিল দুজনের শেষ দেখা।

মধুমিতা আর দিব্যেন্দু হয়তো সারা জীবন একসাথে থাকতে পারল না, কিন্তু অন্যদিকে তারা হেরেও যায়নি।
মনের কোন একটা কোনায় থেকেই যাবে দুজন দুজনার মনে।
তাই বলব ভালবাসুন, ভালোবাসার মানুষটাকে ভালো রাখুন,
নাইবা হলো তার সঙ্গে ঘর করা, তার সাথে থাকা, এভাবেও ভালোবাসা যায়।

The post কষ্টের ভালোবাসার গল্প – কষ্টের প্রেমের গল্প appeared first on Chalo Kolkata.

অলিভ অয়েলের ব্যবহার ও উপকারিতা

$
0
0

আপনি জানেন তো অলিভ অয়েল(Olive oil) দিয়ে রূপচর্চা করার সঠিক উপায়? তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের দারুণ কিছু ব্যবহার সম্পর্কে। অলিভ অয়েল নাম তো শুনেছেন অনেকেই। আবার সাধারণ বাড়ির মানুষরা নাম হয়তো শোনেন নি বা জানেনও না এর কাজ কি ? খায় না মাথায় দেয়। সাধারণ মানুষ বলতে সত্যি কথা যদি বলি তাহলেই বলতেই হয় দাদা আর দিদিরা এই অলিভ অয়েল কিন্তু একটু উচ্চ বিত্তের বা মধ্য বিত্তের ( যদিও সংখ্যায় ও এক কম ) ব্যাবহারকার্য একটি প্রোডাক্ট। আসুন আমরা জেনে নি যে রূপচর্যায় অলিভ অয়েল কি কাজে লাগে।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

অলিভ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। প্রতিদিনের জীবনে আমরা বিভিন্ন উপায়ে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করে থাকি। রূপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও রান্নায়ও এর ব্যবহার অতুলনীয়। আমরা জেনে নেবো একটা একটা করে এর উপকারিতা ও কাজ সম্পর্কে।

চুলের সৌন্দর্য

আপনি হয়তো জানেন না ঠিক কোন পর্যায়ে অলিভ অয়েলের ব্যাবহারে আপনি আপনার চুলের গঠন সব দিক থেকে সাহায্যকরতে পারে। হ্যা আপনি নিশ্চিন্তে চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। একটি ডিম নিয়ে তাতে ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালমত ফেটিয়ে নিন তারপর পেস্টটি আপনার চুলে লাগিয়ে নিন। বেশিক্ষন থাকতে হবে না মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুল উজ্জ্বল হবে। সপ্তাহে একবার করে করবেন। খুউব সমস্যা থাকলে ১০ দিনে একবার করলেও হবে। মানে মাসে ৩ বার।

পায়ের যত্নে

পায়ের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার অতুলনীয়। প্রতিদিনই পায়ের উপর আমাদের অনেক চাপ পড়ে, তাছাড়া অনেকেই হিল ব্যবহার করে থাকেন তখন পায়ে ব্যথা হয়। তাই আরাম পেতে ও পায়ের যত্নে ১ চামচ লবণ নিয়ে তাতে পরিমাণ মত অলিভ ওয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন ও পায়ে ম্যাসাজ করুন। পুরো পা করবেন কিন্তু গোড়ালির ওপর বেশি ভালো করে স্ক্র্যাব করলে পা ফাটা থেকে মুক্তি তো পাবেনই তার সাথে পাবেন সম্পূর্ণ কোমল গোড়ালি যুক্ত পা।

ঠোঁটের যত্নে

ঠোঁটের যত্নে অলিভ অয়েলর কোনো তুলনা নেই বললেই চলে। লিপবাম, ভেসলিন তো আমরা অনেকেই ঠোঁটে ব্যবহার করি। কিন্তু এর বদলে যদি অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারি। রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে তারপর ঠোঁটে অলিভ ওয়েল লাগান। তাছাড়া ঠোঁটে লিপস্টিক(Lipstick) লাগানোর আগেও সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে নিতে পারেন, ঠোঁট নরম থাকবে। করে দেখুন হাতে নাতে ফলাফল। 

ওজন কমাতে

শরীরের ওজন( Weight Loss ) কমাতে আপনি অলিভ অয়েল খেতেও পারেন। সকালে নাস্তার আগে ২ চামচ অলিভ ওয়েল খেয়ে নিন, এতে আপনার হজম শক্তি বাড়বে। এবং নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ওজন কমতে সহায়তা করবে।

শরীরে ও মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করুন

ফেস ম্যাসাজের ব্যাপারে আমি বলবো ১০০ শতাংশ ভালো। এর থেকে ভালো আর কোন অয়েল কে বলবেন। কিভাবে করবেন ? হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, তারপর তুলাতে সামান্য অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন তারপর একটি শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। স্নান করার পর সামান্য জলের সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন তারপর সারা শরীরে ম্যাসেজ করুন। দারুণ ময়েসচারাইজারের কাজ করবে। ৩ মাস করলেই দেখবেন আপনার মন ফুরফুরে হয়ে গেছে।

ত্বকের বলিরেখা দূর করতে

বন্ধুরা আমাদের সমাজে প্রত্যেক বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের কপালে, চোখের পাশে ও নিচে চামড়ায় হালকা ভাঁজ দেখা দেয় যাকে আমরা অন্য ভাষায় বলিরেখা বলে থাকি আর এই বলিরেখা সরাতে ২ চামচ অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য এলোভেরা (Elovera) জেল ( অরিজিনাল পাতা থেকে বের করা হলে বেশি ভালো হবে ) মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ফল পাবেন।

মেকআপের সময়

নারী হোক বা পরুষ যখন সাজসজ্জা করেন তখন অনেকেই ফেস মেকআপ (Makeup) এর জন্য ফাউণ্ডেশন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি ফাউণ্ডেশন মুখে দেয়ার আগে তাতে ১-২ ফোঁটা অলিভ অয়েল মুখে দেন, তাহলে ফাউণ্ডেশন দেয়ার পর আপনার ত্বক খুব উজ্জ্বল দেখাবে। তবে এটা কেবল শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রযোজ্য।

মেকআপ পরিষ্কার করতে

আমরা অনেক সময় অনেক কালচারাল কাজে বা অনেক কিছুর ক্ষেত্রে মুখে মেকআপ করে থাকি সে ছেলেই হোক বা মেয়েই হোক না কেন । মেকআপ করাটা ঠাপ্তা স্বাভাবিক ঠিক ততটাই অস্বাভাবিক যখন মেকআপ তুলতে হয়। অনেকেই মুখ থেকে মেকআপ তুলতে রীতিমত ত্বকের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করে । কিন্তু অলিভ অয়েল দিয়ে খুব সহজেই মুখের সমস্ত মেকআপ তুলে নেয়া যায়। তাই যখন মেকআপ তুলবেন তখন কটন বল নিয়ে তাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন, দেখবেন সমস্ত মেকআপ উঠে যাবে। আর আপনার ত্বকের কোনো রুম ক্ষতিও হবে না।

 শেষ কথা 

এখানে শেষ কথা বলতে একটাই কথা আপনাদের বলবো যে – ওপরের প্রত্যেকটি লেখা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি মারাত্মক ভালো ফলাফল দেবে। আমি নিজেও একজন আর্টিস্ট। তাই ছেলে হয়েও আমি জানি এর উপকার। হ্যা ঠিক ধরেছেন আমি নিজেই ব্যাবহার করে থাকি। আপনিও করুন ভালো থাকুন।

The post অলিভ অয়েলের ব্যবহার ও উপকারিতা appeared first on Chalo Kolkata.

জেনে নিন ডিমের খোসার কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ

$
0
0

আপনি কী জানেন ডিমের খোসার কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ ? তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক যে একটি ডিমের খোসা আমাদের কি কি কাজে লাগে। ডিমের খোসার মতো এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে জানি না যার ফলে আমরা সেগুলো এক মিনিট এ ফেলে দি।  সাথে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করবো যে একটি বা আমাদের ফেলে দেওয়া ডিমের খোসা দিয়ে কি কি করা যেতে পারে।

ডিম প্রায় সবারই প্রিয় খাবার। পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম (Egg) যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি রান্নার মতো করে করলে এর স্বাদ এর জুড়ি নেই। তেমনি আবার  এর খোসাও খুবই উপকারী ! আজ্ঞে হ্যা আপনি ঠিকই পড়ছেন ডিমের খোসাও খুবই উপকারী আসুন জেনে নেওয়া যাক, ডিমের খোসা কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ সম্পর্কে…

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

আরও পড়ুন – ডিম খেয়ে ১৪ দিনে কমিয়ে ফেলুন ১০ কেজি ওজন

1.  ডিম খুব উপকারি একটি খাবার। ডিমের কুসুম ও ডিমের সাদা অংশেরই ভিন্ন ভিন্ন বিশেষত্ত্ব রয়েছে। শুধু যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তাই নয়, চুলের যত্নের এমনকি ত্বকের জন্যও ডিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ডিমের ফেলে দেয়া খোসারও কিন্তু উপকারিতা রয়েছে। সে সম্পর্কে জেনে নিন-

2.  ১টা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটা বা দু’টো ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এ বার ওই প্যাক মুখে ১৫ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে উষ্ণ জল দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন! এতে ত্বকের(Skin)কালচে ভাব কেটে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত! এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে (সপ্তাহে ২ বারের বেশি নয়), ব্রণর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব!

3. অনেক সময় রান্নাঘরের সিঙ্কে বা বেসিনের পাইপে ময়লা জমে জল যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ডিমের খোসা খুব মিহি করে গুঁড়ো করে সিঙ্কে বা বেসিনের ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর বেশি করে জল ঢেলে দিন। দেখবেন পাইপের ময়লা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

4. বাসন মাজার জন্যও ডিমের সাদা অংশ খুবই উপকারি। বাসন ধোয়ার সাবানের সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে নিলে বাসন অনেক বেশি ঝকঝকে হবে। আর খুব সহজেই বাসন পত্র পরিষ্কার হয়ে যাবে।

 

5. গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন কমাতে একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা(Egg shell) ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে অন্তত ২-৩ দিন রেখে দিলে দেখবেন, ডিমের খোসাগুলো ভিনিগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে চাপ দিয়ে মালিশ(Massage) করুন। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা(Pain) কমাতে সাহায্য করে।

6. সাদা কাপড় পড়তে সকলেই খুব ভালো লাগে। আবার দেখতে খুবই ভালো লাগে। সাদা কাপড় পড়া বা সামলে চলা খুবই কষ্টকর। সাদা কাপড়ে কোনো দাগ লাগলে ডিমের খোসার গুঁড়ো ও ডিটার্জেন্ট এক সঙ্গে মিশিয়ে এর মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে সাদা কাপড়ের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

7. বাসন পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন ডিমের খোসা। বাসনের পোড়া, চটচটে দাগ খুব সহজেই উঠে যাবে।

8.  কফির তিক্ত ভাব কমাতে কফির সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো এক চিমটে মিশিয়ে দিন। কফি(Coffee) গুলিয়ে নেওয়ার পর একটু সময় দিন। ডিমের খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নীচে পড়ে যাবে আর কফির তিক্ত স্বাদও অনেকটাই কমে যাবে।

9.  সাধের ফুলের বাগানে বার বার পোকার উপদ্রবে গাছ নষ্ট হচ্ছে? গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা(Egg shell) গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকা-মাকড় গাছের ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।

10. বৃক্ষ রোপন, গাছ লাগান, গাছ বাঁচান, এগুলো নিয়ে নানা রকম আলোচনা হয়ে থাকে। আপনি বাড়িতে বৃক্ষ রোপন করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও ডিমের খোসা খুবই উপকারে আসবে। ডিম ভাঙার সময় মাঝ বরাবর ভাঙতে হবে। এর ভাঙা অংশ নিয়ে এর মধ্যে মাটি দিতে হবে। তারপর মাটিতে ছোট চারা গাছ রোপন করতে পারেন। সেই গাছ আস্তে আস্তে বড় হবে। আবার ডিমের খোসায় মাটির সঙ্গে একটু সারও দিয়ে দিলে গাছটি আরো বেশি বাড়বে।

11. ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর মিনারেল যা বাগানের মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে বাগানের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

The post জেনে নিন ডিমের খোসার কয়েকটি আশ্চর্য গুণাগুণ appeared first on Chalo Kolkata.

আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস -International Picnic Day Quotes

$
0
0

১৮ জুন প্রতি বছর পালিত হয় আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে। গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে। কোনও কোনও দেশে এই দিনে পাবলিক হলিডে। বন্ধুরা আজ আমরা জেনে নেবো যে বছরে মাণো একটা  আসে যেটা কিনা পিকনিক ডে পালন করা হয়, না না শুধু আমাদের দেশে না সারা বিশ্বে পালন করা হয়ে থাকে। তাই তো এর নাম আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে ( International Picnic Day )

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

দিবসটি কবে থেকে শুরু হলো, কারা শুরু করল- সেটা জানা যায়নি। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ফরাসিরাই এর উদ্যোক্তা। ফরাসি বিপ্লবের আগে বড় পার্কগুলোয় সাধারণ মানুষ ঢুকতে পারত না। ফরাসি বিপ্লবের পর সাধারণ মানুষের জন্য প্রথমবারের মতো পার্কগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর মানুষজন তখন পার্কে গিয়ে খোয়া দাওয়া করতো, মজা করত। ‘পিকনিক’ শব্দের উৎপত্তিও কিন্তু ফরাসি ভাষা থেকে।

বনভোজন সাধারণত পরিবারের সদস্যদের ঘিরে হয়ে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি বড় ধরনের মিলনস্থলে রূপান্তরিত হয়। সাধারণত বনভোজনে যাত্রাকালীন কিংবা ফিরে আসার সময় আনন্দ, হাসি-তামাশা ইত্যাদি বিষয়াবলি থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে রান্না আয়োজনের মধ্যবর্তী সময়কালে অথবা ভোজন পরবর্তী সময়ে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীদের নির্মল আনন্দ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়।

এই সময় জীবন যাপন – International Picnic Day 2020

করোনা আবহেই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে। জানেন কি, প্রতি বছর ১৮ জুন পালিত হয় আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে। তবে করোনার কারণে এই বছর পছন্দসই খাবার প্যাক করে কাছেপিঠে কোথাও বেরিয়ে পড়া যাবে না। অনেকে মিলে একসঙ্গে হইহুল্লোড়ও করা যাবে না। তবু কী ভাবে কাটাবেন আজকে দিনটা? রইল তার কয়েকটা টিপস।

চলছে আনলক ফেজ ওয়ান। কঠোর লকডাউন না চললেও নিছক পিকনিক করতে বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়স্বজন নিয়ে বেরিয়ে পড়া যাবে না। তবু আজকের দিনটা একেবারে নষ্ট হতে দেওয়াও ঠিক না। তাই এই বছর একটু অন্য ভাবে কাটানো যাবে পিকনিক দিবস।

আমাদের দেশে অবশ্য এই বর্ষাকালের ভ্যাপসা গরমে পিকনিকের চল নেই বিশেষ। শীতের মিঠে রোদ গায়ে লাগিয়ে চড়ুইভাতিতে মেতে ওঠা এই বছর সম্ভব হবে কিনা জানা নেই। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পিকনিক ডে (International Picnic Day)। কোনও কোনও দেশে এই দিনটা পাবলিক হলিডে হিসেবেও ঘোষিত।

* আপনার বাড়ির সঙ্গে লন বা ছাদে বাগান থাকলে সেখানেই পিকনিকের আয়োজন করতে পারেন। খাবার প্যাক করে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সেখানেই কাটাতে পারেন কিছুটা সময়।

  • বন্ধুদের সঙ্গে আজ কিছুটা সময় অনলাইনে আড্ডা মারুন। একসঙ্গে আপনারা স্কুল-কলেজ জীবনে কেমন পিকনিক করেছেন, সেই সব পুরনো কথা ফিরে আসতে পারে। দেখবেন মন অনেক তরতাজা লাগছে।
  • পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কোনও ইনডোর গেম খেলে সময় কাটাতে পারেন। সঙ্গে থাক পছন্দমতো খাওয়া দাওয়া।
  • নিজে একটা সাইকেল নিয়ে কাছাকাছি একটু ফাঁকা জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। অবশ্যই মাস্ক পরে বেরোবেন এবং ভিড় এড়িয়ে থাকবেন। খোলা আকাশের নীচে নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারলে ভালো লাগবে।

The post আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস -International Picnic Day Quotes appeared first on Chalo Kolkata.

জেনে নিন আত্মহত্যার সহজে বোঝার ৫টি লক্ষণ – Suicide Causes In Bengali

$
0
0

আত্মহত্যা প্রতিরোধ

আপনি কি কাউকে সন্দেহ করছেন যে সে কিছু একটা করে বসতে পারে ? বা আপনি কি কাউকে সন্দেহ করছেন যে সে আত্মহত্যা বা তেমন কিছু একটা করে বসতে পারে তাহলে আমার এই পোস্ট তা একটু মন দিয়ে পরে নিন।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের আত্মহত্যার বোঝার কিছু কারণ বলবো। অর্থাৎ আপনি কীভাবে বুঝতে পারবেন যে অন্য একজন আপনার যে কাছের মানুষ বা কেউ একজন মানুষিক অশান্তিতে আছেন সে আত্মহত্যা করবেন  বা আত্মঘাতী হবেন কিনা ? চলুন একটু   দেখে নেওয়া যাক।

ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। যখন কেউ আত্মহত্যা করেন, তখন জনগণ এ প্রক্রিয়াকে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। ডাক্তার বা চিকিৎসকগণ আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

Sushant Singh Rajput – সুশান্ত সিং রাজপুতের এই খারাপ পরিণতি হয়তো আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিল, মানসিক সমস্যা নিয়ে মুখ বুজে থাকলে এ ভাবেই তাঁর খেসারত দিতে হতে পারে৷ কিন্তু এই সময়  ‘ডিপ্রেশন’ শব্দটির সঙ্গে বর্তমান যুগের পরিচয়টা খুবই স্বাভাবিক ও খুব দ্রুত নানান কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সব থেকে বড়ো কথা যে এই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ- ‘ডিপ্রেশন‘। রবিবার সকালে মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। আমাদের চেনা পরিসরেও এই ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন বা প্রতিনিয়ত । কিন্তুন কেন সবাই এই রকম করছে ? আমার এলাকায় ৬ মাসে ৭ জন এমন মানুষ আছেন যারা এটার শিকার হয়ে এই কাজটি করেছেন। একটাই প্রশ্ন কেন কি জন্য ? বলতে  সুন্দর পৃথিবী থেকে একটা একটা করে বহু মানুষ আছেন যারা এই আত্মঘাতী শিকার হয়ে উঠছেন দিনের পর দিন।

আমাদের নিজেদের জীবন শেষ করার ক্ষমতা রয়েছে ৷ প্রতিবছর এক মিলিয়ন মানুষ এই পথ বেছে নেয় ৷ এমনকি যে সব সমাজে আত্মহত্যা বেআইনী বা নিষিদ্ধ সেখানেও মানুষ আত্মহত্যা করে ৷ যাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয় তাদের মনে হয় আর কোনো পথ নেই ৷ সেই মুহুর্তে মৃত্যুই তাদের জগতের বর্ণনা হয়ে ওঠে এবং এদের আত্মহননের এই সুতীব্র ইচ্ছাশক্তিকে কখনওই অগ্রাহ্য করা উচিত না- এই অনুভূতি সত্যিকার, শক্তিশালী ও তাত্ক্ষনিক৷ জাদুবলে এটা সরিয়ে তোলা যায় না ৷

কখনও কাজের চাপে বলা যেতে পারে, কখনও বা অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়ে, রোজকার জীবনে অবসাদ গ্রাস করে চলেছে। গোটা বিশ্বেই ডিপ্রেশন বা বিষন্নতাকে এক ভয়াবহ ব্যাধি বলে মনে করা হয়। মন খারাপ, স্ট্রেস, কাজের চাপ এ সব আজকাল আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। চাইলেও আপনি তার থেকে পালিয়ে যেতে পারবেন না। তার মধ্যে থেকেই কেউ বেড়াতে গিয়ে, কেউ ছবি তুলে, কেউ বা গান শুনে ভালো থাকা চেষ্টা করেন। আর এই ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলির মধ্যেই জীবনের কঠিন সময়টা এড়িয়ে যাওয়া যায় সহজেই।

কিন্তু যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে অঙ্কটা এত সহজ হয় না। মন খারাপের অন্ধকারে তাঁরা ক্রমশ তলিয়ে যেতে আরম্ভ করে। এমনকী কাছের মানুষের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে পারেন না সে মলিনতা। মোটামুটিভাবে এই পাঁচটি লক্ষণ তদের মধ্যে দেখা গেলেই বোঝা যাবে যে তাঁরা ডিপ্রেশনের শিকার হতে চলেছেন। যাইহোক আর সময় নষ্ট না করে আসল কোথায় আসি, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-

নিরাশ লাগবে সারাক্ষণ:-

যে কোনও পরিস্থিতিতেই আগে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা তার মাথায় আসবে। অবসাদগ্রস্থ হওয়ায় সে নিজেকে অসহায় মনে করবে। কোনও কাজই তার করতে ইচ্ছে হবে না।

আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না:-

কান্না, রাগ, বিরক্তি – কোনওটার উপরই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন না সে। সোজা কথায় ধরতে গেলে মুড সুইং হতে থাকবে। খেলাধুলো, গান শোনা, বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার নাম শুনলেই ক্লান্তি আসবে। উৎসাহ পাবে না কিছুতেই। কোনও হবি বা বিনোদনই তাকে আর আকর্ষণ করবে না।
ঘুমের সমস্যা:-

ডিপ্রেশন প্রথমেই আপনার এনার্জির ভাঁড়ারে থাবা বসাবে, যে যে কাজগুলো করতে একটা সময়ে ভালো লাগত, সেগুলো আর উপভোগ করবেন না এবং সারাদিন ক্লান্তিতে ভুগবেন। অথচ ঘুম আসবে না।

নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া:-

পরিবার-পরিজন থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখবে। একসময় যাদের পছন্দ করত তাদের থেকেও সরে আসবে। সামাজিক যে কোনও অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে বিরত রাখবে সে। নিজের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মাবে। মনে হবে সে কোনও কর্মের নয়।

আত্মহত্যার জন্য নিজেকে প্রসতুত করবে:-

নিজে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা। অথবা গুরুত্বপূর্ণ দলিল গুলিতে স্বাক্ষর করে রাখা। এই সমস্ত লক্ষণগুলি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হন।

শেষ কথা 

আমরা সবাই একটা কথা জানি যে আত্মহত্যা করা উচিত নয়, এটা করা খুব খারাপ, এটা করা পাপ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বিশ্বাস করুন আত্মহত্যা করার সময় সত্যি এইসব কিচু মাথায় আসেনা। সে বিনা কারণে এই পথ বেঁচে নেয় না। অনেক কারণে শেষ পর্যন্ত এটাকেই বেছে  নিতে বাধ্য হয়। একমাত্র আমরাই পারি একে অপরকে সাহায্য করতে। আসুন না আমি বা আপনি বা আমরা সবাই মিলে একসাথে একে ওপরের সাহায্য করি, কথা বলি, একটু ঘুরতে যাই। আপনার চেনা পরিচিত এমন কিছু ঘটনার করাবার আগেই আপনাকেই সাহায্য করতে হবে। বাঁচাতে হবে একটি প্রাণ। ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন। র মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান ইত্যাদির কথাটা একটু ভাববেন।

The post জেনে নিন আত্মহত্যার সহজে বোঝার ৫টি লক্ষণ – Suicide Causes In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

ডিপ্রেশন – What Is Depression In Bengali

$
0
0

আপনি কী ডিপ্রেশন আছেন ? আপনি কী জানেন ডিপ্রেশন কাকে বলে ? ডিপ্রেশন কী ? চলুন একটু পরে নেওয়া যাক।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

অবসাদ’ শব্দটি যদিও আমাদের অনেকের জানা আবার অনেকের জানা না থাকতেও পারে। যদি আমরা ডিপ্রেশনের খুব কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজতে চাই, সবার আগে আসবে এই অবসাদ’ শব্দটি। অবসাদ – এই শব্দটির সাথে যে দুঃখ বা বিষাদ লেগে থাকে, সর্বনাশা রোগটিও ঠিক সেইরকমই।  যে বিভিন্ন আঙ্গিকে  ডিপ্রেশন বা অবসাদ রোগটিকে বোঝবার চেষ্টা করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র দেওয়া নিয়মাবলী (গাইডলাইন)। এই নিয়মাবলী অনুযায়ী, অবসন্ন মন (‘লো মুড’), শক্তিহীনতা (‘লো এনার্জী’) এবং উৎসাহহীনতা (‘লো ইন্টারেস্ট’)-কে ডিপ্রেশনের আওতায় ফেলা হয়েছে।

মানসিক রোগ মানেই কি ডিপ্রেশন নাকি অন্য কিছু ?

মন ও মনের অসুখ মানেই ডিপ্রেশন নয়। আপাতদৃষ্টিতে যাকে ডিপ্রেশন বলে মনে হচ্ছে, হতে পারে তা আসলে কোন জটিল রোগের বাহ্যিক লক্ষণমাত্র। এই ব্যাপারটা মনে রাখা একান্ত জরুরী, কারণ চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসার ফলাফল, দুটোই আলাদা হয়​ রোগের ক্ষেত্রবিশেষে।

কোন অসুখ বা মানসিক রোগ অবসাদ বা ডিপ্রেশন ডেকে আনতে পারে? সেই তালিকাটি বেশ লম্বা ও জটিল। এ বিষয়ে যে অসুখটির কথা সবার আগে বলা উচিত, তা হল স্কিজোফ্রেনিয়া। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এর নেতিবাচক লক্ষণগুলির (নেগেটিভ সিম্পটমগুলি) প্রকাশ। স্কিজোফ্রেনিয়ার নেতিবাচক লক্ষণগুলি মূলত চার প্রকার, যেমন:-

1. কোন কিছু ভাল লাগার ক্ষমতা কমে যাওয়া (অ্যানহেডোনিয়া/Anhedonia),

2. কোন কাজ শুরু করার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলা (অ্যাভোলিসন/ Avolition)।

3. চিন্তা করা বা কথা বলার ক্ষমতা কমে যাওয়া (অ্যালোগিয়া)

4. মনের বিভিন্ন ভাব প্রকাশের ক্ষমতা সঙ্কুচিত হওয়া (অ্যাফেক্টিভ ফ্ল্যাটেনিং)

মুশকিলটা হয় এখানেই যে লক্ষণগুলি অনেক ক্ষেত্রেই ডিপ্রেশন রোগটির লক্ষণের মতন দেখতে লাগে। কিন্তু জৈবিকভাবে দুটি রোগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা।

যে কোন রোগ নির্ণয় করতে দেরি হলে বা ভুল চিকিৎসা করলে, আসল রোগটি জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে। এমনকি সেই রোগ থেকে মস্তিষ্কে স্থায়ী প্রভাব পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে (সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম নার্ভ ইনজুরি বা স্নায়ুপ্রদাহ জনিত)। যার ফল মানসিক স্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি থেকে প্রাণহানি, যেকোন কিছুই হতে পারে।

আরো যে রোগগুলিকে ডিপ্রেশন বলে ভুল ভাবা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য​ বিভিন্ন শারীরিক রোগজনিত অবসাদ, নেশা ও নেশার বস্তুজনিত অবসাদ, পরিস্থিতির কারণজনিত অবসাদ। এর সাথে রোজকার ভালো-না-লাগা বা বহু প্রচলিত কথা ‘মুড সুইং’ তো আছেই। কিন্তু যেটা মনে রাখা দরকার সেটা হল ডিপ্রেশন রোগটি অনেক বেশি জটিল, সুদূর প্রভাব বিস্তারকারী, এবং অনেক বেশী ক্ষতিকারক, যদি না সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, যখন ডিপ্রেশন এত তীব্র হয় যে তাতে বাস্তব ভিত্তিহীনতা অবধি এসে যায়। বাস্তবে যা সত্যি নয়, সেরকম ধারণা মনের মধ্যে তৈরি হয় এবং  রোগীর দৈনন্দিন জীবন সেই ধারণার দ্বারা পরিচালিত হয়।

ডিপ্রেশন বা হতাশা কথাটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ড্রিপেশনের ভাবার্থ। এই ডিপ্রেশন সর্দি-কাশির মতো এক এক করে প্রায় সব মানুষকে আক্রমণ করে ফেলছে। ফলে, রোগ ও রোগাক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

ডিপ্রেশন থেকে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অনিদ্রা, ব্লাড প্রেশার, ক্যানসারসহ বহু জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে, সঙ্গে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়ে যাচ্ছে। ডিপ্রেশন থেকে যেমন মারাত্মক ধরনের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, তেমনই অনেক অনৈতিক কাজও করা হচ্ছে। আরেকটা জিনিস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তা হলো নেশার যে এত রমরমা অবস্থা তার কারণও ডিপ্রেশন। ডিপ্রেশনে আক্রান্ত কিনা বুঝতে হলে বেশি কিছু করার দরকার নেই, শুধু নিম্নের কয়েকটি বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখলেই দেখা যাবে, ডিপ্রেশন কীভাবে নিজের অজান্তেই সর্বব্যাপী হয়ে গেছে। এখন আমাদের জানতে হবে নিজের জন্য বা অন্য কারোর জন্য যে ডিপ্রেশন কাটানোর উপায়, ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির দোয়া,  ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু কথা বা হতাশা থেকে মুক্তির উপায়।চট করে জেনে নি। 

1. ডায়েরি লিখুন

আপনি হয়তো কখনোই ডায়েরি বা নোটবুক এ কিচ্ছু লেখেননি। যে বিষয়টি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে সেটি একটি ডায়রিতে লিখুন। তার মানে এটা নয় যে শুধু আপনার কষ্ট তাই লিখবেন। পাশাপাশি আপনি কী চান বা কী করলে আপনার ভালো লাগত সেই বিষয়টিও লিখুন। ডায়েরি লেখার এই অভ্যাসটি মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে আপনাকে।

2. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন

আপনি আপনার দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন। বলা হয়ে থাকে, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।” এটি কিন্তু বাস্তবিকই সত্য। আপনি কোনো কাজ না করে অলসভাবে শুয়ে বসে থাকলে হতাশা আর দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘিরে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক। তাই যে কোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

3. নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন

যারা সাধারনণত টাইপ ‘এ’ চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন। এ ধরনের বেক্তিরা অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।  টাইপ ‘এ’ চরিত্রের পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে, এ ধরনের মনোভাব ব্যক্তিমনে অন্যদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ তৈরি করে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন।

4. ক্ষোভ, রাগ ঝেড়ে ফেলুন

মনের মধ্যে জমে থাকা রাগ বা ক্ষোভ  রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গলহবে না । ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে। “আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সব সময়।”

5. বাস্তববাদী হওয়া

জীবন মানেই কিছু সমস্যা থাকবে এবং এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যা জীবনে কাম্য নয়। তবে এও ঠিক, সবকিছুর সমাধান রয়েছে ও সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যায়। কাজেই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মানসিকতা গ্রহণ করতে হবে। ফলে কিছুটা টেনশন কমে যাবে। তুলনামূলক ভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের প্রতি অতিরিক্ত আবেগী মনোভাব দূর করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রিয় ফুটবল দলের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেড়ে যায়। তাই তুচ্ছ কারণে উত্তেজিত হওয়া যাবে না। কারণ জীবনের মূল্য এর চেয়ে ঢের বেশি।

6. সমস্যার তালিকা তৈরি করুন

আপনার মনে হতে পারে আপনি শত শত সমস্যায় ভুগছেন। তাই আপনার দুশ্চিন্তার কারণগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। দেখবেন, অল্প কয়েকটির পর আর কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। এর মধ্যে কিছু সমস্যা থাকবে যেগুলো কমবেশি সবারই থাকে। আপনি উপলব্ধি করবেন যে আপনার আসলে দুশ্চিন্তা করার খুব বেশি কারণ নেই। এটা আপনার দুশ্চিন্তা কমাতে এবং আপনাকে মানসিকভাবে শান্তি দিবে। আস্তে আস্তে আপনার সমস্যা কমে আসতে থাকবে।

7. প্রাণ খুলে হাসুন

আপনি কি হাসতে জানেন না, বা হাসতে পারেন না  ? এটা হতেই পারে না। মানুষ মানেই হাসি,কান্না,রাগ,দুঃখ থাকবেই। ২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায়, সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়। প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামূলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন।

নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি-ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।

8. বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান

খুউব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস সেটা হল আপনার বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো। অবশ্যই যাদের আপনার ভালো লাগে বা ভালো বন্ধুর সাথে। সবসময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনও হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়। তাই একাকী ঘরে বসে না থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।

The post ডিপ্রেশন – What Is Depression In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

ডিপ্রেশন কবিতা – Depression Poems In Bengali

$
0
0

আপনি কী ডিপ্রেশন আছেন ? আপনি কী জানেন ডিপ্রেশন কাকে বলে ? ডিপ্রেশন কী ? চলুন একটু পরে নেওয়া যাক।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

বন্ধুরা আজ আমরা ডিপ্রেশনেই ব্যাপারে বা ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তার আগে আমি আপনাদের সাথে ডিপ্রেশন নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আমরা জন্য যে ডিপ্রেশন কাকে বলে ? বন্ধুরা ডিপ্রেশন  জিনিস যা কিনা মানুষকে আসতে আসতে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। সেই সময়টা যে যাই বলুক না কেন এক কান দিয়ে ঢোকাবে আরেক কান দিয়ে বের করবে। ডিপ্রেশন বা অবসাদ’ শব্দটি যদিও আমাদের অনেকের জানা আবার অনেকের জানা না থাকতেও পারে।

যদি আমরা ডিপ্রেশনের খুব কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজতে চাই, সবার আগে আসবে এই অবসাদ’ শব্দটি। অবসাদ – এই শব্দটির সাথে যে দুঃখ বা বিষাদ লেগে থাকে, সর্বনাশা রোগটিও ঠিক সেইরকমই।  যে বিভিন্ন আঙ্গিকে  ডিপ্রেশন বা অবসাদ রোগটিকে বোঝবার চেষ্টা করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র দেওয়া নিয়মাবলী (গাইডলাইন)। এই নিয়মাবলী অনুযায়ী, অবসন্ন মন (‘লো মুড’), শক্তিহীনতা (‘লো এনার্জী’) এবং উৎসাহহীনতা (‘লো ইন্টারেস্ট’)-কে ডিপ্রেশনের আওতায় ফেলা হয়েছে। তাই আজ আমি আপনাদের কাছে কিছু গুণী বেক্তির তথা নিজস্ব কিছু ধারণা নিয়ে আজকের আমার এই ডিপ্রেশন নিয়ে কবিতার সম্ভার।

1. জীবন চলছে না আর সোজাপথে দ্যাখো আজও হাসি কোনওমতে বেঁচে গেছি বলি হ’তে হ’তে হয়তো মরে গেলে হ’ত বেশি ভাল কেন এত সুখ ফেলে গেলো জীবনের সেরা স্মৃতিগুলো ?

 

2. বন্ধুদের ভিড়েও একলা একলা আমি খুঁজে ফিরি লক্ষ্য আমার পাল্টাচ্ছে না এই অবস্থাটা যদিও পাল্টে যাওয়াই দরকার। 

3. বন্ধুরা সব ফিরছে বাড়ি দূর থেকে… কেন যে আজ হিংসে হল তাই দেখে, দেখতে গিয়ে সন্ধ্যে হল জানলাতেই আগের মত মেঘ করেছে কান্না নেই কেবল মুঠোয় বন্দি কফির একলা কাপ ডিপ্রেশনের বাংলা জানি । মনখারাপ ।

4. ডিপ্রেশনের বাংলা নাকি নিম্নচাপ ? বৃষ্টি এল। সঙ্গে কফি এক-দু’ কাপ নামছে বিকেল, অল্প ভিজে রাস্তাঘাট ছাতার নীচে মিইয়ে গেল পাপড়ি চাট। 

5. কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে! বলে, কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাশ ঠেলে’। পড়ে না ক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা। কেহ বলে, বৌ-এ গিলিয়াছে গোটা। কেহ বলে, মাটি হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে! কেহ বলে, তুই জেলে ছিলি ভালো ফের যেন তুই যাস জেলে!

6. কাউকে কষ্ট দেব না, চেষ্টা করবো হাসি উপহার দেওয়ার। আমার জন্য যেখানে ক্ষতি হবে সেখান থেকে সরে আসবো, আর থাকবেনা কোনো কিছু পাওয়ার।

7. গতকাল বড়ো ছেলেবেলা ছিল আমাদের চারিধারে, দেয়ালের মতো অনুভূতিমাখা মোম জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে আমরা দেখেছি শিখার ভিতরে মুখ । গতকাল ছিল জীবনের কিছু মরণের মতো সুখ । গতকাল বড়ো যৌবন ছিল শরীরে শরীর ঢালা, ফুলের বাগান ঢেকে রেখেছিল উদাসীন গাছপালা ।

8. “কোন ভয় নেই। আমি আছি তো। আছিতো আমি।” এসব কাব্যে খুঁজে পাওয়া যায়।

9. সন্ধেবেলা শহরফেরত ভিড় ট্রেনে দীন ভিখিরি যেমন শোনায় অন্ধ গান – আমার তেমন মুখ লুকনোর জায়গা নেই। তুমিই আমার শান্তি খোঁজার সংবিধান।

10. অপেক্ষা তোমার ছায়াকে দীর্ঘতর করেছে। যেন কবরখানা থেকে উড়ে আসা কবুতর, যেন ওয়াইনের পাত্রে এলিয়ে থাকা রোদ, যেন ধাতব পাতের গা দিয়ে গড়িয়ে পড়া বয়স।

11. কবিতা এমনই থাকে। পুরাতন রীতির পোশাকে সে বোতাম। আধভাঙা। বহু পথ পাশ দিয়ে গেলে, তবে তার স্থিতি আসে। মানুষেরা ছুঁয়ে দ্যাখে তাকে কোনওদিন দূর থেকে হেঁটে এসে, দূরের বিকেলে।

12. তাকে বলে দিও, আমি নিজেকে লুকিয়ে আজও তাকেই ভালোবাসি। আমি নিজেকে খুঁজেছি তার সুরে। 

13. আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি, ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে-, এদেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?

 

14. এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা- তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার, নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পঁচা লাশ, মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস শরীর ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে । আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি ঘুমুতে পারিন। 

15. আমি থাকতে চাই ,নিয়ে একলা মন.. নিয়ে একলা দেশ। ভিতবু সান্তনা আমি চাইছি না পেতে আর। 
16. আমরা দু’জনে মাটি খুঁড়ে-খুঁড়ে লুকিয়েছিলাম প্রেম, গতকাল বড় ছেলেবেলা ছিল বুঝিনি কী হারালাম ! গতকাল বড়ো এলোমেলো চুলে, বাতাস তুলেছে গ্রীবা,, চুমু খেয়ে গেছে কৃষ্ণচূড়ার, উজ্জ্বল মধুরিমা । গতকাল বড়ো মুখোমুখি ছিল, সারাজীবনের চাওয়া, চোখের নিমিষে চোখের ভিতরে, চোখের বাহিরে যাওয়া। 

17. আসবে মানুষ একের পর এক। জন্মদিন। ফুলের ঝাঁকে ওই উদাসীন দীর্ঘ চোখ, দেখবে কোনও সীমান্তহীন অক্ষগ্রাম, নিন্দুকেরা এমনি বলে, একলা লোক ?

The post ডিপ্রেশন কবিতা – Depression Poems In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


মন খারাপের কবিতা, কথা – Sad Poem In Bengali

$
0
0

মন খারাপ ? চুপ করে বসে আছেন ? আপনি কী ডিপ্রেশন বা মন খারাপে আছেন ? বন্ধুরা আজ আমি কিছু মন খারাপের কথা বলবো।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

কথায় কথায় কখনো মন খারাপ করার কিছু নেই। তুমি জানো তোমার কী কী প্রতিভা আছে এবং সেটা দিয়ে একদিন পৃথিবী বিজয় করে ফেলা সম্ভব। পরীক্ষার খাতায় কম মার্কস বা নম্বর পেলে আসলে কিছু আসে যায়না। কখনো হীনম্মন্যতায় ভুগবে না, ভুগে কি আদৌ কোন লাভ হয়? আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদাটুকু ধরে রাখতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না।

একটা কথা এমাথায় রাখবে ভাল কথা, ভাল উপদেশ কখনো পুরনো হয় না।  ঘরের দেয়ালে একটি শিক্ষামূলক উক্তি টাঙানো, তুমি হয়তো দিনের পর দিন সেটি দেখে আসছো কোনদিন কিছু মনে হয়নি, হঠাৎ একদিন কোন বিশেষ পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে বাণীটি একদম তোমার হৃদয়ে গেঁথে গেল। অবাক হয়ে ভাবলে, তাই তো! এতদিন কেন চোখে পড়েনি ব্যাপারটা?

এতদিন চোখে পড়েছে ঠিকই, কিন্তু হৃদয়ে প্রবেশ করেনি। আজ সেটা করলো। একটি উক্তি তোমার জীবন বদলে দিতে পারে চিরদিনের জন্য। দেখে নেবো আমাদের জীবনের সাথে ঘটা কিছু মন খারাপের কথা ও কবিতা।

1. একটু হিসেব করে দেখো তো আজকে সারাদিনে কীভাবে কেটেছে তোমার? হয়তো ক্লাসে গিয়েছো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছো, ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি। আচ্ছা এবার অন্যকিছু ভাবা যাক। আচ্ছা বলো তো, তোমার কী কী শখ আছে? জীবনে বড় হয়ে কী হওয়ার ইচ্ছা?

2. আমি কি তোমার মনটা খারাপ করে দিয়েছি? আমিই কি তোমার মন খারাপ করে দেবার কারণ? যদি আমি তোমার মন খারাপ করে দেবার কারন হয়। তবে বলি… মন খারাপ করে থেকো না, বন্ধুর সাথে বন্ধুর মন খারাপ করে থাকতে নেই। আর যদি মন খারাপ করেই থাকো তবে বন্ধুত্বের সার্থকতা রইল কই_?

3. প্রতিদিন খবরের কাগজে, সোশাল মিডিয়ায়, টেলিভিশনে অনেক দুর্ভাগা মানুষের খবর আসে। খেতে না পেয়ে মরমর শিশু, সব হারিয়ে নিঃস্ব কোন বৃদ্ধ- সেটা দেখে আমাদের বড় মায়া হয়, আমরা জিব নেড়ে চুকচুক করে সহানুভূতিসূচক একটা শব্দ করে চ্যানেল পাল্টাই। একটু কল্পনা করো তুমি পা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে আছো।

4. কেউ তোমার ছবি তুলে ফেসবুকে দিল সেটি সাথেসাথে ভাইরাল হয়ে গেছে হাজার হাজার লাইক উঠছে সবাই আহারে টাইপ কমেন্ট করছে- যতক্ষণ না কেউ এসে তোমাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিচ্ছে এত হাজার হাজার মানুষের সহানুভূতিতে তোমার পায়ের যন্ত্রণা কি এতটুকু কমেছে? তুমি কী ভাবছো সেটা বিষয় না, যতক্ষণ না মাঠে নেমে সেটিকে সত্যি করছো এই ভাবাভাবির কোন মূল্য নেই।

5. যখনি শুনি তোমার মন খারাপ কেমন জানি, একটা ভয় কাজ করে হৃদয় আঙ্গিনায়, মনে হয়, এই বুঝি এলো কাল বৈশাখী ঝড় সব বুঝি করে দিবে উল্টা পাল্টা, হারাতে হবে বুঝি আমাকে সব ? আর তখনি তোমার সাথে সাথে আমারো মনটা অনেক অনেক খারাপ হয়।

6. মন খারাপ হলেই ভাবি তুমি আসবে এসে পাশে বসবে,গালে হাত রাখবে জানতে চাইবে আমার কেন এই ভাংচুর চেহারা?? কেনো আমি কথা খুজে পাই না মাঝ রাতে? কেনো তোমার সামনে অপরিচিতদের মত বসে থাকি। মন খারাপ হলেই ভাবি তুমি ফোন দিবে বুঝবে এই ছেলেটার মনটা ভাল নেই বুঝবে তোমাকে ভিষন দরকার পাগলটার মন খারাপ হলেই ভাবি তুমি… না কিচ্ছু ভাবি না।আকাশ দেখি। এই মধ্য দুপুরে বৃষ্টি দেখি রোমান্টিক হই না,বিরহ জাগে বিরহি হলে ভাবি তুমি আসবে কই তুমি??আসবে না ?

7. একটা ঈগলছানা কিভাবে কীভাবে যেন দলছাড়া হয়ে মুরগির খোঁয়াড়ে পড়ে গেল। সেখানে একটি মুরগির বড় দয়া হলো বেচারার দুরবস্থা দেখে, আপন সন্তানের মত দরদ দিয়ে লালন-পালন করে বড় করে তুললো সেটিকে। ঈগলটি এখন একটু বড় হয়েছে, গায়ে গতরে তার চারপাশের মুরগিদের চেয়ে ঢের বড় সে। কিন্তু, চলাফেরায় স্বভাবে একদম মুরগিদের মতোই। তাদের সাথেই থাকে, তাদের সাথেই ঘুমায়, তাদের মতোই ভীতু সে।

8. তোমার চোখের মায়া সে তো আকাশের মত সীমাহীন শান্ত আর আমার ইচ্ছে গুলো মেঘের মতই দুরন্ত দুরন্ত মেঘ গুলো শান্ত আকাশের বুকে যেমন টা ছুটোছুটি করে ঠিক তেমনি করে আমার ডানপিটে ইচ্ছে গুলো তোমার সীমাহীন শান্ত চোখের মায়ায় অবিরাম ছুটে বেড়াতে চায় অনন্তকাল ধরে.

The post মন খারাপের কবিতা, কথা – Sad Poem In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

ডিপ্রেশন স্ট্যাটাস, বাংলা কষ্টের উক্তি – Depression Status In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

নমস্কার বন্ধুরা আজ আমরা শেয়ার করছি বাংলা কষ্টের উক্তিকান্নার স্টেটাস সমগ্র, যেগুলি আপনার ভালো লাগবে সেগুলি শেয়ার করতে ভুলবেন না ! আমি যখন কখনো কখনো জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে নানান কারণে যাই, ফেসবুকে হতাশমূলক স্ট্যাটাস আপডেট করি, তখন বড় ভাই আমাকে সাহস যোগায়। আমার ভেঙে পড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। হাজারো মোটিভেশনাল কথা শোনায়। হয়তো কিছু সময়ের জন্য নিজেকে স্বাভাবিক করে তুলে ফেলি। কিন্তু ভাইকে যখন ‘ডিপ্রেশন‘ নামক শব্দে ডুবে যেতে দেখি, যখন দেখি …

বিষন্নতার দিনগুলিতে নিজের একাকিত্বকে বয়ান করার জন্যে আমাদের এই দুঃখের বাণীগুলির লিস্ট টিকে নিজের ফোন এ সেভ করে রাখতে ভুলবেন না। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নি আমাদের আজকের কিছু বেশ ভালো ভালো হতাশার স্ট্যাটাস – ইমোশনাল স্ট্যাটাস। 

হতাশার স্ট্যাটাস – ইমোশনাল স্ট্যাটাস

1. নিন্দা করতে গেলেবাইরে থেকে করা যায়
কিন্তু বিচার করতে গেলে, ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।

2. কি হবে জীবনে এতো পারফেক্ট মানুষ খুঁজে.!
যদি সেখানে ভালোবাসাই না থাকে.!

3. অন্য কারো হাতে তোমার সুখ আমানত
দিও না, কারন সে হারিয়ে গেলে তোমার
সুখকে আর তুমি খুজে পাবে না…..!!!

4. এক চোখ কখনো আরেক চোখকে
দেখেনা তবুও এক চোখের কিছু হলে
আরেক চোখে অশ্রু না ঝড়িয়ে পারে না।

5. আমি সত্যিই ব্যার্থ !!! কারণ আমি কখনোই
তোমাকে বুঝাতে পারি নাই আমি
তোমাকে কতটা ভালবাসি..

6. আজ নিজে নিজে নীরবে কাঁদছি,
যে কান্না হয়তো মরণ হলে শেষ হবে ।
তবে সত্য বলতে কি জানো আমি
তোমাকে আজও ঠিক আগের মতই ভালোবাসি ।

7. সমুদ্রের ঢেউ বার বার ফিরে আসে
কিন্তু যাকে একবার নেয় তাকে আর
ফিরিয়ে দেয় না । কিছু কথা কাউকে
বলা যায়না শুধু বুকের মধ্যে বয়ে বেড়াতে হয়

8. কাউকে ভালবেসে তাকে কষ্ট
দিলে সে নিজে ও কষ্ট পায়।

9. ভুল যেমনি মানুষকে সিখায়।
তেমনি ভলোবাসা মানুষকে কাদায়।।

10. তুমি যাচ্ছ দূরে যাও
আমি বাদা দেবনা
তুমি যাও ভুলে যাও
ভুলে যেতে বলুনা।

11. তোমাকে হারাইনি
হারিয়েছি নিজেকে।
কাউকে বোঝাইনি
বুঝিয়েছি এই নিজেকে

12. কাউকে বাধ্য করোনা
কথা বলার জন্য!
তুমি চুপ থাকো আর বুঝিয়ে দাও
তাদের ছাড়া তুমিও থাকতে পারো!!!!

13. আমার রাত জাগা তারা
-তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি

14. জানি ফিরবেনা এই মনের নিড়ে তবুও
অপেক্ষায় থাকবো সারা জীবন ধরে ।

15. জানিনা কিভাবে তোমার দেখা পাবো
জানিনা কিভাবে তোমাকে কাছে পাবো
জানিনা কতটা আপন ভাবো তুমি আমায় ।
শুধু জানি এই অবুজ মনটা অনেক মিস করে তোমায়।
একটা আকাশ হেরে গেলো হারিয়ে তার মন

16. অন্য আকাশ হটাৎ হল চাঁদের প্রিয়জন
তবুও তার ভালবাসা চাঁদের ভালো চায়
নতুন আকাশ চাঁদকে যেন সুখের ছোঁয়া দেয়.!কেনো হঠাৎ তুমি এলে?
কেনো নয় তবে পুরোটা জুড়ে?
আজ পেয়েও হারানো যায়না মানা
বাঁচার মানেটা রয়ে যাবে দূরে।

17. যদি জানতাম তোমার কষ্টের কারন হব আমি।
তোমার এক ফোটা অস্রুর কারন হব আমি।

18. তবে সত্যি বলছি কখনোই আসতাম না তোমার জীবনে
শুধু দুর থেকে ভালোবাসতে যেতাম তোমায়

19. জিবনে কাওকে আঘাত করার আগে
একটু ভেবে নিও নিজে আঘাত পেলে
কেমন লাগে, মনে রেখো কাওকে কাঁদিয়ে
বেশি দিন ভালো থাকা যায় না।

20. কখনো ভাবিনি চলে যাবে তুমি
আমাকে এভাবে কাঁদিয়ে
কখনো বুঝিনি ফিরে আসবেনা
আমার পৃথিবী রাঙিয়ে.

21. সব কিছু ভাঙলে শব্দ হয় কিন্তু, মন
ভাঙলে শব্দ হয়না। তাইতো যার মন
ভাঙে সেই একমাত্র বুঝে ব্যাথা কত।

22. বুঝতে দাওনি কেনো আমাকে
সাজিয়েছ যা হৃদয়ে
ছায়া হয়ে ছিলে পাশে
বল কি করে চলে গেলে আমাকে রেখে

23. ভালবাসা হলো এমন একটি মায়া
তুমি যত দুরে যাবে যাবে ততই কাছে টানবে
যত ভুলে যাবে ততই মনে পড়বে
আর যতটুকু হাসবে তার থেকে বেশি কাঁদবে

24. তুমি চোখের আড়াল হও
কাছে কিবা দূরে রও
মনে রেখো আমিও ছিলাম
এই মন তোমাকে দিলাম
এই প্রেম তোমাকে দিলাম।

25. পৃথিবীর সবচেয়ে
দুর্বল স্থান হলো মন
আর সবচেয়ে দুর্বল
অস্ত্র ভালোবাসা।

26. জলে ছুঁয়ে যায়,চোখে বারেবার,
তুমি না ফিরলে আমি হবো কার?

27. সুখি মানুষদের রাত
গুলো খুব ছোট
চোখ বন্ধ করার
সাথে সাথে ভোর
হয়ে যায় কিন্তু.
অসুখী মানুষদের রাত
অনেক দীর্ঘ হয়. !

28. সময় বদলে যায় জীবনের সঙ্গে
জীবন বদলে যায় সম্পর্কের সাথে
সময় বদলায় না আপনজনের সঙ্গে
শুধু আপনজন বদলে যায় সময়ের সঙ্গে।

29. ভালবেসে যারা জিবন দিয়ে চলে
গেছে তারাই ভাল করেছে,
তা নাহ হইলে প্রতিদিনই নতুন
করে মনের মরন হইতো।

30. পথ খুঁজে যায় পথের সীমানায়।
আমার ঝাপসা চোখের বারান্দাতে
দীর্ঘ শ্বাসের জল,
আমার মুঠোয় বন্দী
এখন শুধুই স্মৃতির শতদল।

31. তুমি যদি ভালো থাকো অন্যের ভালোবাসায়
আমি তবে থাকবো ভালো তোমার ভালো থাকায়

32. সে এসে বসুক পাশে
যেভাবে অসুখ আসে
তারপর হয়ে যাক, যন্ত্রণা অনায়াসে।
তবুও আসুক সে
জানুক, প্রিয়তম অসুখ সে!

33. আমি যখন তোমার নাম মাটিতে লিখলাম
বৃষ্টিতে ভিজে গেলো আকাশে লিখলাম
আকাশ মেঘে ঢেকে গেলো
কিন্তু যখনই হৃদয়ে লিখলাম
ঠিক তখনই তুমি আমায় ভুলে গেলে

34. কষ্ট বুকে চেপে একলা থাকি
কান্নার নোনাজল অধরে মাখি
লাভ কি বৃথা মনে কষ্ট চেপে
আয় না ফিরে তুই আমারি বুকে.!

35. তুমি হয়তেো কাউকে পেয়ে সুখি আমি
হয়তো তোমাকে হারিয়ে দুঃখী। কিন্তু তোমার
আর আমার মাঝে পার্থক্য শুধু এটাই
তুমি অভিনয় করে জিতেছো
আর আমি ভালবেসে হেরেছি.।

The post ডিপ্রেশন স্ট্যাটাস, বাংলা কষ্টের উক্তি – Depression Status In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

লেবুর উপকারিতা – The Benefits Of Lemon In Bengali

$
0
0

মন খারাপ ? চুপ করে বসে আছেন ? আপনি কী ডিপ্রেশন বা মন খারাপে আছেন ? বন্ধুরা আজ আমি কিছু মন খারাপের কথা বলবো।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

লেবু, এই  নামটা হালকা হলেও এর কাজ অপিরিসীম, লেবু আমাদের অনেক কাজে লাগে। লেবু আমরা সবাই জানি যে এক প্রকার হয় না লেবু আমাদের অনেক প্রকার হয় যেমন – পাতি লেবু, বাতাবি লেবু, কাগজী লেবু, গন্ধরাজ লেবু, ইত্যাদি ইত্যাদি।

না শুধু খাবার এর স্বাদে তো আছেই তা ছাড়াও আমাদের অনেক কাজে লাগে যেমন – লেবুর শরবত খাওয়ার উপকারিতা, জ্বরে লেবুর উপকারিতা, ওজন কমাতে লেবুর উপকারিতা, গরম জলে লেবুর রসের উপকারিতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

লেবুতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমারোহ যা শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আমরা প্রাত্যহিক জীবনে লেবু, সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকি। সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয় । আবার অনেকে এটির আচার তৈরি করেও খেয়ে থাকেন। লেবু আকারে ছোট ফল হলেও এর উপকারিতা প্রচুর আর পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আসুন জেনে নিন লেবুর অসাধারণ কিছু উপকারিতা –

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

লেবুতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমারোহ যা শরীরকে বিভিন্ন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। নিয়মিত লেবু খাদ্যতালিকায় রেখে আমারা ক্যান্সারের হাত থেতে রক্ষা পেতে পারি।

পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে

যারা পেটের গোলযোগে ভুগছেন তাদের জন্য লেবু আদর্শ টনিক। পেটের গোলযোগের মধ্যে ডায়রিয়া, বদহজম, কোষ্টকাঠিন্য, আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়, শুরুতে এক গ্লাস লেবু+লবন জল আপনাকে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেবে। লেবুর সঙ্গে এক চা চামচ মধু হলে আরো ভাল। 

ফুসফুসের জন্য ভাল

লেবু ফুসফুসের যত্ন নেয় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য বের করে দেয়, লেবু শরীরের চর্বি ও লিপিডের মাত্রা কম রাখে।

ক্ষত সারায়

লেবুর উচ্চ ভিটামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যে কোন ভাইরাস জনিত ইনফেকশন যেমন ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর দমনে লেবু খুব কার্যকারী, মুত্রনালীর ক্ষত সারাতেও লেবুর গুরুত্ব রয়েছে।

হাইপার টেনশন কমায়

যারা খাবারে যথেষ্ট পটাশিয়াম গ্রহণ করে না, তারা সহজেই নান রকম হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে পড়ে। লেবুর রসে যথেষ্ট পরিমান পটাশিয়াম রয়েছে যা হাইপার টেনশন কমাতে সাহয্য করে।

ত্বকের যত্নে 

প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসাবে লেবুর জুড়ি নেই, এটি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে, মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের সংকোচন সৃষ্টিকারী পদার্থকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। চামড়ার অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে। লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যানটি সেপটিক। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূর করে। ব্রণ সারিয়ে তোলে, ত্বকের রং উজ্জ্বল করে। বয়সের বলিরেখা দূর করে।

মুখের দুর্গন্ধ দুর করে

মাড়ির ব্যথা, দাঁতের সমস্যা, মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। লেবুর জল খাবার পর দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই।

নখকে সুন্দর করে

একটুকরা লেবু দিয়ে নখ পলিশ করলে নখ তার বিবর্ণতা থেকে উজ্জল রং ফিরে পায়। লেবুর জলে পা, হাত, ডুবিয়ে রাখলেও একটি উপকার হয়।

লেবুর রস ওজন কমাতে সাহায্য করে

নিয়মিত ফ্রেস লেবুর জুস+জল খেলে ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহয্য করবে

ওজন কমাতে

নিয়মিত ফ্রেশ লেবুর জুস+জল খেলে ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহয্য করবে।

পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

শুনলে অবাক হতে হয়, লেবু অম্লীয় হওয়া সত্ত্বেও শরীরে প্রয়োজনে ক্ষারধর্মী আচরণ করে। এটি শরীরে এসিডিটি তৈরি করে না। এটি শরীরের পিএইচ মাত্রাকে সঠিক অবস্থায় রাখে। লেবুর রস+লবণ জল পান করলে পিএইচ মাত্রা ঠিক থাকে।

গর্ভবতী নারীদের সুস্থতায়

গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবুজল। এটা শুধু গর্ভবতীর শরীরই ভালো রাখে না বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশি উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে।

পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে

শুনলে অবাক হতে হয়, লেবু অম্লীয় হওয়া সত্বেও শরীরে প্রয়োজনে ক্ষারধর্মী আচরন করে। এটি শরীরে এসিডিটি তৈরী করে না। এটি শরীরের পিএইচ মাত্রাকে সঠিক অবস্থায় রাখে। লেবুর রস+লবন জল পান করলে পিএইচ মাত্রা ঠিক থাকে।

শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে 

যাদের হালকা শ্বাসকষ্ট আছে, তারা নিয়ম করে খাবারের আগে এক চামচ লেবুর রস খেতে পারেন। যারা মাইল্ড অ্যাজমায় ভুগছেন, লেবুর রস তাদের জন্য ওষুধের বিকল্প হিসেবেই কাজ করবে।

বয়সের ছাপ দূর করে

বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তাছাড়া অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন ও ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

1. যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদের অতিরিক্ত লেবু খেলে বুক জ্বালা করে।

2. লেবুতে কারো কারো অ্যালার্জি হয়ে থাকে, তাই আগে থেকে জেনে নিয়ে লেবু চিকিৎসা শুরু করা উচিত৷ তা নাহলে হিতে-বিপরীত হতে পারে৷

3. ওজন কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানা হলে কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে লেবু জল পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে শরীরে ক্লান্তি ভর করতে পারে।

4. অতিরিক্ত লেবু সেবনে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে পেট ফাঁপাসহ নানান ধরনের সমস্যা ও অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

5. অতিরিক্ত লেবু ও লেবুর শরবত পানের ফলে পেটে ও তলপেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

6. লেবুর শরবত বেশি পান করলে কিছুটা দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।

7. যেকোনো মানুষের পরিমিত লেবু খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো কিন্তু অতিরিক্ত লেবু স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

Tag

লেবুর শরবত খাওয়ার উপকারিতা, মুসম্বি লেবুর উপকারিতা, পাকা লেবুর উপকারিতা, কমলা লেবুর উপকারিতা, লেবুর উপকারিতা চুলের জন্য। 

The post লেবুর উপকারিতা – The Benefits Of Lemon In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

কলার উপকারিতা – The Benefits Of Bananas In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

কলা – এই  নামটা হালকা হলেও এর কাজ অপিরিসীম, কলা আমাদের অনেক কাজে লাগে। কলা আমরা সবাই জানি যে এক প্রকার হয় না আর কলা আমাদের অনেক প্রকার হয় যেমন –

সম্পূর্ণ বীজমুক্ত কলা: যেমন-সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর প্রভৃতি ।

দু-একটি বীজযুক্ত কলা: যেমন-চাম্পা, চিনিচাম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঠালী ইত্যাদি ।

বীজযুক্ত কলা: এটেকলা যেমন-বতুর আইটা, গোমা, সাংগী আইটা ইত্যাদি।

আনাজী কলাসমুহ: যেমন-ভেড়ার ভোগ, চোয়াল পউশ, বর ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়েরবাতি প্র ভৃতি।

হয়তো এই নাম গুলো অনেকেই শোনেননি বা এই প্রজাতির কলা অনেকেই জানেন না, হয়তো খেয়েছেন বা খান। কিন্তু আমরা চলিত ভাষায় মোটামুটি যে কলা গুলো খেয়ে থাকি সেগুলো হল – কাঁঠালি, সিঙ্গাপুরি, মর্তমান, বিচি কলা ইত্যাদি।

কলার বিভিন্ন গুণাগুণে

কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। এতে রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপদান যথা আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস। এতে কঠিন খাদ্য উপাদান এবং সেই সাথে জল জাতীয় উপাদান সমন্বয় যে কোন তাজা ফলের তুলনায় বেশি। একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। এই শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। গবেষকরা জানান, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে দেহে পটাশিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। আর এই উপকারী পটাশিয়াম কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে। গবেষকরা দেখেছেন, একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামের যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লক্ষ মানুষ।

 

কলার খাদ্যগুণ সম্পাদনা 

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় যে খাদ্যগুণ আছে তার বিশ্লেষণনিচে দেওয়া হল – 

জল (জল) —————— ৭০.১%

শর্করা ———————— ৭.২%

আমিষ ———————- ১.২%

ফ্যাট (চর্বি) —————— ০.৩%

খনিজ লবণ ——————- ০.৮%

আঁশ ————————- ০.৪%

মোট ———————– ১০০.০%

খনিজ লবণ এবং ভিটামিন
ক্যালসিয়াম———————– ৮৫মি.গ্রা.

ফসফরাস———————— ৫০মি.গ্রা.

আয়রন——————— ০.৬মি.গ্রা.

ভিটামিন-সি, অল্প ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স—– ৮মি.গ্রা.

মোট ক্যালরি———————– ১১৬

আলসার

নরম ও মিহি হওয়ার জন্য পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী খাবার কলা। অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

রক্তচাপ

কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ নুনের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রুখতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।

মস্তিষ্ক

টানা ১ বছর ধরে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ইংল্যান্ডের টুইকেনহ্যাম স্কুলের ২০০ জন পড়ুয়ার ওপর। পরীক্ষার আগে টানা ব্রেকফাস্ট, ব্রাঞ্চ ও লাঞ্চে কলা খাওয়ানো হয় তাদের। দেখা গিয়েছিল কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম তাদের মনসংযোগ বাড়ানোর ফলে অন্যদের থেকে পরীক্ষায় ভাল করেছিলেন ওই ২০০ জন পড়ুয়া।

অ্যানিমিয়া

কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্‍পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমনকী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।

কনসটিপেশন

কলার মধ্যে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।

হ্যাংওভার

আগের রাতের অতিরিক্ত মদ্যপানের হ্যাংওভার কাটাতে বানান মিল্কশেকের কোনও তুলনা নেই। সঙ্গে যদি থাকে ১ চামচ মধু। কলা শরীরের অস্বস্তি কমায়, দুধ পেট ঠান্ডা করে ও মধু বজায় রাখে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ফলে অম্বলের হাত থেকেও রেহাই পায় শরীর।

মর্নিং সিকনেস

কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করি আমরা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় কম থাকে এনার্জির মাত্রাও। এই সময় কলা বজায় রাখতে রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা।

মশার কামড়

মশার কামড়ে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।

স্নায়ু

কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি যা স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়োজনীয় কলা। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ

অনেক দেশে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কলা ব্যবহার করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। তাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

The post কলার উপকারিতা – The Benefits Of Bananas In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

আপেলের উপকারিতা – Apple Benefits In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই  * chalokolkata.com * এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকুন. শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। নিজের খেয়াল রাখুন। 

বন্ধুরা প্রত্যেক দিনে একটা করে আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে !  এটা যদি দিনে একটা গ্রিন অ্যাপেল বা সবুজ আপেল হয়, তাহলে প্রাপ্ত উপকারিতা দ্বিগুণ হয়। সবুজ আপেল, পুষ্টির ভারসাম্য সহ, খাদ্যতালিকায় যোগ করার জন্য সেরা, তা সে স্বাস্থ্য কিংবা  ওজন কমানোর জন্য হোক।

আপেলের পুষ্টিগুন 

আপেলে মধ্যে পাওয়া গুণের সংখ্যা অনেক বেশি। আপেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন মিনারেল এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিটামিন k পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানীজ্, ইত্যাদির মতন উপকারী তথ্য পাওয়া যায়। আপেল ফাইবার এক অন্যতম প্রাকৃতিক আমানত। আপেলকে পুষ্টির এক অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস মানা হয়।

1. আপেল ক্যান্সার (Cancer) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে

নিয়মিত আপেল খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম করা যায়। এছাড়াও আপেল কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম করতে পারে। আপেলে থাকা ফাইবার আপনার পাচন শক্তিকে মজবুত করে যা থেকে কোলন ক্যান্সার রুখতে সাহায্য মেলে।

2. আপেল পাচন ক্রিয়া (Digestion) তে সাহায্য করে

আপেলে অনেক বেশি ফাইবার পাওয়া যায় যেটি আপনার হজমে  সাহায্য করে।  আপেল প্রাকৃতিক ফাইবারের এক অন্যতম উৎস। নিয়মিত আপেল খেলে আপনার হজম শক্তি এবং পাচন ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে। ফাইবার আপনার হজমের জন্য দরকারি enzymes এর উৎপাদন করতে সাহায্য করে।

3. আপেল আপনার কোলেস্টেরল (Cholestrol) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে

আপেলে মজুদ দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম করতে কার্যকরী। আপেলে থাকা ফাইবার আপনার শরীরের LDL অথবা Bad Cholesterol এর মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও Good Cholesterol অথবা HDL এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রিসার্চে দেখা গিয়েছে প্রত্যেকদিন আপেল খেলে LDL মাত্রা 23 শতাংশ কম হতে পারে।

4. আপেল স্ট্রোকের (stroke) সম্ভাবনা কম করে

নিয়মিত আপেল খেলে thrombotic স্ট্রোকের সংখ্যা কম করা গিয়েছে। স্ট্রোকে (Stroke) প্রত্যেক বছর অনেক মাঝবয়সী এবং প্রাপ্ত বয়সে লোক মারা যান। স্ট্রোককে রুখতে ফল এবং ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়াটা উচিত।

5. আপেল ডায়বেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কম করতে সাহায্য করে

 নিয়মিত আপেল খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য মিলতে পারে। ডায়াবেটিস এক মহামারির আকার ধারণ করছে এবং তাকে দূরে রাখার উপায় খুবই কম। প্রত্যেকদিন আপেল খেলে অল্প হলেও ডায়াবেটিসের মতন রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

6. আপেল আপনার দাঁতকে (Dental Care) মজবুত এবং সাদা করে

আপেলে মজুদ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা আপনার দাঁত এবং মাড়ি কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপেল কামড়ানোর সময় যে রস আপনার দাঁতে লাগে সেই রস আপনার দাঁতকে পরিষ্কার এবং সাদা করতে সাহায্য করে।

7. আপেল ওজন কম করতেও উপকারী (Weight Loss)

আপেল ওজন কম করতে সাহায্য করে। আপেলে থাকা ফাইবার এবং জল শরীরে calorie এর দরকার কমিয়ে দেয়। শরীরে ক্যালরি কম হলে ফ্যাট সেল থেকে শরীর ক্যালরি নিতে থাকে। এর থেকে শরীরের ফ্যাট সেল ক্ষয় হয় এবং শরীরের সামগ্রিক চর্বি সঞ্চয় কম হয়। এছাড়া আপেলে মজুদ কিছু প্রাকৃতিক পদার্থও ওজন কম করতে সাহায্য করে।

8. আপেল অ্যাজমা (Asthama) চিকিৎসায় সাহায্য করে

আপেল হল এক প্রাকৃতিক Inflammation রোধ করার অন্যতম খাদ্যদ্রব্য। অ্যাজমা (Asthama)  এবং ফুসফুসের বিভিন্ন infection এ আপেলের জুস এবং আপেলে মজুদ কেরাটিন উপকারী। আপেলে অধিকমাত্রায় ভিটামিন সি থাকায় আপেল কফ এবং congestion থেকে মুক্তিতে সাহায্য করে।

9. আপেল হৃদরোগের (Heart Diseases) ঝুঁকি কম করতে সাহায্য করে

আপেলে থাকে অনেকবেশি ফাইবার যা রক্তবাহ তে চর্বির জমা কম করতে কার্যকারী। এছাড়া আপেল কোলেস্টেরল এবং স্ট্রোক থেকেও আমাদের সুরক্ষিত রাখতে পারে।

10. আপেল আর্থারাইটিস (Arthritis) থেকেও বাঁচাতে পারে

আপেলে অধিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম মজুদ থাকে যেটি হাড় এবং দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করেক্যালসিয়াম osteoporosis এবং আর্থারাইটিস থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করে। সেইজন্য, আপেলকে নিজের খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

11. আপেল আপনার দৃষ্টিশক্তি (Eye Sight) মজবুত করতে কার্যকারী

বন্ধুরা অনেকেই হয়তো জানেন না যে আপেল আপনার দৃষ্টিশক্তি এবং রাতে দেখার  (night vision) ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপেলে মজুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

12. আপেল আপনার ত্বককে (Skin Care) তরুণ এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে

আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বককে তরুণ এবং সতেজ রাখতে কার্যকারী। আপেলের পেস্টের সাথে দুধ এবং মধু মিলিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের জেল্লা বাড়ে।

সবুজ আপেলের উপকারিতা – Green Apple Benefits

এখানে সবুজ আপেলের কিছু  উপকারিতার কথা বলা হল যা খাদ্যতালিকার ভারসাম্য বজায় রাখবার জন্য জানা দরকার। জেনে নিন আর অন্যকেউ জানান।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

আপনি যদি ওজন কমাতে আগ্রহী থাকেন কিন্তু বেশী খাওয়া কমাতে পারছেন না? গ্রিন আপেল দিয়ে খিদে কমান কারণ এটা অনেক তাড়াতাড়ি পেট ভরিয়ে দেয়। কম ক্যালোরির পরিমাণ ডায়েট বজায় রাখতে সাহায্য করে, জলের অধিক পরিমাণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং পলিফেনল ওজন বাড়া নিয়ন্ত্রণ করার সাথে সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজমের উন্নতি ঘটায়।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

বন্ধুরা আমরা যে সমস্ত ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল খাই বাঁ আমাদের শরীর তৈরি করে সেটা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। গ্রিন আপেল তার ফাইবার উপাদান সহ আমাদের কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করার সাথে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমায়। জুস হিসেবে কিংবা কাঁচা খেলে, গ্রিন আপেল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের সাহায্য আর্টারিতে কোলেস্টেরলের মুক্তি প্রতিরোধ করে। ফাইবারও ব্লাড সুগারের ভারসাম্য বজায় রাখে।

শরীরের হাড় মজবুত করে 

আমাদের সবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের শক্তি কমে যায় এবং ভেঙে গেলে সেরে ওঠা কষ্টকর। গ্রিন আপেলের ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিন আপেল পরোক্ষ ভাবে অস্টিওপোরেসিসের সম্ভাবনা কমায় ঘটনাচক্রে যার অর্থ হল হাড় ভাঙবার সম্ভাবনা কম।

চুলের মান উন্নত করে 

শুষ্ক ত্বক থেকেই অধিকাংশ সময়ে খুশকি হয়। গ্রিন আপেল যুক্ত শ্যাম্পু অথবা সবুজ আপেলের পেস্ট লাগালে সেটা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার সাথে খুশকি কমায়। তাছাড়াও, আপেলের ভিটামিন সি অস্বাস্থ্যকর, শুষ্ক চুলের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে যা প্রধানত ভিটামিন সি-র অভাব থেকে হয়।

শেষ কথা 

আপেল এক অন্যতম ফল , যেটি সকলকে নিজের নিয়মিত খাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এখনো যদি আপনি আপেল কে নিজের খাওয়ায়  তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করেন তাহলে ক্ষতি আপনারই। আপনাদের আজ থেকেই এই ফলের নিয়মিত সেবন করা উচিত। নিয়মিত ফল খাওয়া ভালো অভ্যেস, আর আপেলের মতো অন্যতম পুষ্টিকারক এবং সুস্বাদু ফল কেনইবা খাবেন না?

আপনি কি আরো কিছু আপেলের উপকারিতা জানেন ? তাহলে আমাদের সাথে অবশ্যই  কমেন্ট করে শেয়ার করুন এবং আমরা পরের আর্টিকেলে নিশ্চয়ই আপনাদের বক্তব্যকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করব। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে comment করে জানান। লেখাটি ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করুন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন

The post আপেলের উপকারিতা – Apple Benefits In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

খেজুরের উপকারিতা – The Benefits Of Dates In Bengali

$
0
0

আজ আমরা জন্য যে খেজুরের ১ ডজন অর্থাৎ ১২ রকমের উপকারিতা। খেজুর নামক জিনিসটা কে না চেনে এর ইংরেজি নাম Dates। কয়েক শত বছর ধরে চলে আসছে এর খাদ্য ব্যবহার। আজ এই খেজুর নিয়ে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করবো যে এর কী কী উপকার আছে।

বন্ধুরা সত্যি কথা বলতে এর মারাত্মক ভালো উপকার আছে। আর আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি আজ থেকেই খাওয়া শুরু করে দিন। তার কারণ আমি রোজ অফিস আসার আগে ৪টি করে খেজুর খেয়ে আসি। আর কি কি ফল পেতে পারেন তারই আলোচনা করবো আজকের আমাদের এই আর্টিকেল এ।

বন্ধুরা আমাদের সমাজে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মিষ্টি খাবার মানেই তা শরীরের জন্য ভালো নয় বা মিষ্টি কম খাওয়া উচিত, যদিও কথা টা খুউব যে অসত্য তা কিন্তু নয়। তবে এই ধারণা সব কিছুর ক্ষেত্রে কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর একটা মিষ্টি ফল, তবু এর মধ্য কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। বরং এটি খেলে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে। খেজুরের মধ্য বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে শীতকালে এই ফলটি খাওয়া খুব জরুরি। তবে আমি বলবো যে শীতকালে তো খাবেনই তা ছাড়া অন্য যে কোনো সময়ে আপনি খেতেই পারেন কোনো সমস্যা নেই।

বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে আমরা আজ সরাসরি জেনে নেবো যে কী কী সেই অসাধারণ গুণাবলী যা আমাদের জীবনে নিয়ে আসে অনেক সুখ শান্তি ও স্বাস্থবান, আসুন দেখে নেওয়া যাক।

1. হার্টের জন্য ভালো:-

খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার হার্টকে ভালো রাখবে । আর একথা তো সকলেরই জানা যে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এই ফলটি খেলে হার্ট যেমন ভালো থাকে, তেমনি হার্টরেটও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফেল হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

2. শরীর গরম রাখে:-

খেজুরে আছে অনেক বেশি ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্য়াগেনশিয়াম থাকার কারণে এটি শরীর গরম রাখতে খুব সাহায্য় করে। সেই কারণেই তো শীতকালে এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু আপনি কম বেশি ১২ মাস খেতে পারেন।

3. ঠান্ডার দোষ কমায় :-

আপনার কি খুব ঠান্ডায় হাঁচি-কাশি হচ্ছে ? একদম চিন্তাকরবেন না । এখনই ২-৩ টে খেজুর, কিছুটা মরিচ আর ১-২ টো এলাচ নিয়ে গরম জলে ফেল সেদ্ধ করে নিন। দাঁড়ান দাঁড়ান, এখনই খাবেন না। শুতে যাওয়ার আগে ওই জল খেয়ে নিন। দেখবেন ঠান্ডা কেমন দৌড়ে পালাচ্ছে।

4. ব্লাড প্রেশার কমাতে সহায়তা করে :-

খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ‘বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

5. খেজুর মনকে আনন্দিত করে

খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যা সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এছাড়া এই মিষ্টি ফল মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়, খুশি রাখে।

6. অ্যাজমা সারায়:-

শীতে যে যে রোগ খুব মাথাচারা দিয়ে ওঠে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল হাঁপানি বা অ্যাস্থেমা। প্রতিদিন সকালে আর বিকালে নিয়ম করে ১-২ টো খেজুর খান। দেখবেন শীতকালে আর হাঁপানি হচ্ছে না আপনার। এটা খুব উপকারী।

7. শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে:-

খেজুরে যেহেতু অনেক পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে, তাই এই ফলটি খেলে নিমেষ শরীরের শক্তি বেড়ে যায়।

8. দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়:-

কেয়েকটা খেজুর নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরটা ফাটিয়ে জলে মিশিয়ে সেই জল পান করুন। দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্য়া কেমন কমতে শুরু করেছে। আসলে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুন কাজে আসে।

9. আর্থারাইটিস কমায়:-

যাদের আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা আছে তারা আজ থেকেই কোনো চিন্তা না করেই খেজুর খেতে শুরু করুন।  আর শীতে যারা আর্থ্রারাইটিসের সমস্য়ায় খুব ভোগেন তারাও  আজ থেকেই খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ থাকার কারণে আর্থ্রারাইটিসের ব্য়থা কমাতে এটা দারুন কাজে দেয়।

10. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে:-

ম্য়াগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে। আর এই দুটি খনিজ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকায় এই ফলটি খেলে রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্য়া আছে, তারা প্রতিদিন ৫-৬টা খজুর খেতে ভুলবেন না যেন !

11. হাড় শক্ত করতে খেজুর :-

ভিটামিন ‘কে’-তে ভরপুর খেজুর৷ হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ‘কে’৷

12. পেটের জন্য খুব উপকারী:-

খেজুর পেটের জন্য খুব উপকারী ও পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। খেজুরে থাকা ফাইবার যেমন কোষ্টকাঠিন্য দূর করে তেমনই পেটের ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করে। নিয়মিত খেজুর খেলে খাদ্যনালীতে প্যাথোজেন তৈরি হতে দেয় না ও উপকারী জীবাণু তৈরিতে সহায়তা করে। প্যাথোজেন হল একধরণের জীবাণু যা শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

শেষ কথা 

খজুর হল এক অন্যতম মিষ্টি জাতীয়ফল , যেটি সকলকে নিজের নিয়মিত খাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এখনো যদি আপনি খজুর কে নিজের খাওয়ায়  তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করেন তাহলে ক্ষতি আপনারই। আপনাদের আজ থেকেই এই ফলের নিয়মিত খাওয়া  উচিত। কম বেশি নিয়মিত সব রকম ফল খাওয়া ভালো অভ্যেস, আর খজুরের মতো অন্যতম পুষ্টিকারক এবং সুস্বাদু ফল কেনইবা খাবেন না?

আপনি কি আরো কিছু খজুরের উপকারিতা জানেন ? তাহলে আমাদের সাথে অবশ্যই  কমেন্ট করে শেয়ার করুন এবং আমরা পরের আর্টিকেলে নিশ্চয়ই আপনাদের বক্তব্যকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করব। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে comment করে জানান। লেখাটি ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করুন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন

The post খেজুরের উপকারিতা – The Benefits Of Dates In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

গর্ভাবস্থায় খেজুরের উপকারিতা – Health Benefits Of Dates During Pregnancy In Bengali

$
0
0

বন্ধুরা আজ আমরা জানবো যে গর্ভাবস্থায় খেজুরের কি কি উপকারিতা আছে। আমেদর দেশে প্রত্যেক দিনে হাজার হাজার লক্ষ্য লক্ষ্য মহিলারা মা হন। তার জন্য অনেক সময়ত অপেক্ষা করতে হয়। হ্যা  জানেন ৮ থেকে ১০ মাস অপেক্ষা করতে হয়। আর এই সময় ধরে থাকে নানানা সাবধানতা থেকে শুরু করে খাবার দাবার এর শুভ পরিচর্চা। তার থেকে উঠে আসে খেজুরের কথা।

বন্ধুরা আজ আমি একটা কথা দায়িত্ব গর্ভাবস্থায় নারীদের খুব সচেতন থাকতে হয় কি তাই তো নাকি ? এ সময় চলাফেরা, জীবনধারণ ও খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন হলে অনেক ঝুঁকি এড়ানো যায়। তাই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার তথা সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় ড্রাই ফ্রুটস ও বাদাম থাকা ভালো। এপ্রিকট, ডুমুর, আপেল, আখরোট, বাদাম, কিসমিস ও পেস্তা বাদাম গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্যকর।   কারণ এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। গর্ভাবস্থায় ডাব ও গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়াও খুব ভালো।

খেজুর নামক জিনিসটা কে না চেনে এর ইংরেজি নাম Dates। কয়েক শত বছর ধরে চলে আসছে এর খাদ্য ব্যবহার। আজ এই খেজুর নিয়ে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করবো যে মহিলাদেড় এই সময় এর কী কী উপকার আছে।

বন্ধুরা সত্যি কথা বলতে এর মারাত্মক ভালো উপকার আছে। আর আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি আজ থেকেই খাওয়া শুরু করে দিন।  আর কি কি ফল পেতে পারেন তারই আলোচনা করবো আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে।

খেজুরগুলি কেবল মা এবং শিশুর জন্য নিরাপদই নয়, পাশাপাশি এটি উপকারীও। গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া ভাল কারণ এগুলিতে ল্যাক্সেটিভ রয়েছে যা জরায়ুর সংকোচনে সহায়তা করে এবং এটি সংক্ষিপ্ত করে প্রসব শ্রমকে সহজ করে।

বন্ধুরা সত্যি কথা বলতে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, ফাইবার রয়েছে, যা বয়সের সঙ্গে বেড়ে ওঠা বলিরেখাকে অনেকাংশে করে। বলিরেখা এসে গেলে তা যে কমিয়ে দিতে পারে। চলুন আজ আমরা দেখে নেবো যে এক গুচ্ছ উপকারিতা গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া। 

গর্ভাবস্থায় ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

1. ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেশি নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ড ও কিডনিতে খুব বেশি চাপের সৃষ্টি করে, যা হার্ট বা কিডনি রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

2. গর্ভাবস্থায় ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার ফলে হাঁপানি ও ঘ্রাণকাশি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

3. গর্ভাবস্থায় ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার ফলে হাঁপানি ও ঘ্রাণকাশি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়

4. ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে যেমন- খেজুর, বাদাম ও কাজুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এ সময় মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ হয়।

5.  আলুবোখারা ও খেজুর জরায়ুর পেশি শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত, যা মসৃণভাবে প্রসব ঘটাতে  সাহায্য করে। এ ছাড়া এগুলি প্রসব-পরবর্তীকালীন রক্তপাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে।

6. . ড্রাই ফ্রুটস শিশুর দাঁত ও হাড়ের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ সরবরাহ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টি এবং ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।

7. শুকনো ফল ও বাদাম প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত হওয়ায় এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করে। তাছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করতেও অনেক সাহায্য করে।

গর্ভবস্থায় আপনি কিভাবে আপনার সাস্থের যত্ন নেবেন 

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়ে আপনি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। একটি সুস্থ জীবনধারা শুধুমাত্র একটি মসৃণ গর্ভাবস্থাই নিশ্চিত করে না, এটি আপনার সামগ্রিক কল্যাণও করে। প্রথম ত্রৈমাসিক আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি গর্ভাবস্থার যাত্রায় সবে ছোট পা ফেলেছেন।

 

আপনি নিজেই আপনার স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার সঠিক যত্ন নিতে পারেন। আপনি যে গর্ভবতী তা বুঝতে পারা মাত্রই শুরু করা উচিত। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। দেখে নেবো কী কী।

A . আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিন, আপনি চাপ মুক্ত তা নিশ্চিত করুন এবং নিজেকে ইতিবাচক ও সুখী রাখুন, কারণ আপনাকে গর্ভাবস্থায় অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হবে।

B. আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং প্রারম্ভিক প্রসবকালীন যত্ন নিন, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রসূতি পরীক্ষাগুলি।

C. প্রসব পূর্ববর্তী ভিটামিন এবং লোহা এবং ফোলিক এসিডের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিপূরক নিন।

D. আপনার ডাক্তারের পরামর্শের পরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করুন

E. আপনার খাদ্যের যত্ন নিন, এবং ভালোভাবে রান্না না করা খাবার, ঠান্ডা মাংস এবং অনির্বীজিত দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলি এড়িয়ে যান, যাতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়া এড়ানো যায়। স্বাস্থ্যকর এবং তাজা খাবার খান।

শেষ কথা 

মহিলাদের সব থেকে বড়ো গুরুত্বপূর্ণ সময় হল মা হবার আগের সময়টা। মা হয়ে যাবার পরে তো কোনো তেমন সমস্যাই  নেই তখন শুধু আনন্দই আনন্দ। কিন্তু তার আগের প্রত্যেক মুহূর্ত গুলো আপনার পুঙ্কানুপুঙ্ক ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আজকের আর্টিকেলে যথাযত ভাবে আপনারা দেখে নিয়েছেন খেজুর আপনাদের কতটা দরকারি। আর দেরি না করে আজকেই খাওয়া শুরু করে দিন। আর বাকিদের যারা আপনার জানা সোনা বা আত্মীয় বন্ধু বান্ধব যারা গর্ভবতী তাদের জানিয়ে দিন বা আমাদের লেখাটার লিংক শেয়ার করে দিন উনি নিজেই পরে নিতে পারবে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

The post গর্ভাবস্থায় খেজুরের উপকারিতা – Health Benefits Of Dates During Pregnancy In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


পরিবার পরিকল্পনা – Family Planning In Bengali

$
0
0

আপনি কি জানেন পরিবার পরিকল্পনার কি ? না এটা আপনার কোনো সবার জানার দরকার। নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু শুরু করছি আজকের এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হল – পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা ও পরিবার পরিকল্পনার কতটা দরকার সেটা নিয়ে আলোচনা। আমরা সবার আগে জেনে নেবো যে পরিবার পরিকল্পনা আসলে কি জিনিস। 

পরিবার পরিকল্পনা কী এবং কেন – পরিবার পরিকল্পনা স্লোগান

একদম সোজা কোথায় বলতে গেলে পরিবার পরিকল্পনা বলতে জন্মনিয়ন্ত্রণ বুঝানো হয়ে থাকে । একটি পরিবারের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতির লক্ষ্যে একটি দম্পতি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সচেতনভাবে চিন্তা-ভাবনা করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকেই বলা যায় ‘পরিবার পরিকল্পনা’ । যে কোনো কিছু করার আগে আমাদের পরিকল্পনা করতে হয় বা করাটা ভালো। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠন করা । সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিবারের সার্বিক মঙ্গল ও উন্নতিসাধন করাই পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্য । স্বামী-স্ত্রী মিলে আলোচনা করে পরিকল্পিতভাবে পরিবার গঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাই পরিবার পরিকল্পনা । পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি দম্পতি সর্বমোট কয়টি সন্তান নেবেন, কতদিনের বিরতি নেবেন ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, পরিকল্পনা করে থাকেন এবং জন্ম-নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেন । বন্ধুরা তাহলে বোঝা গেলো তো পরিবার পরিকল্পনা আসলে কি জিনিস।

জরুরী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলেই স্ত্রীর গর্ভে সন্তান জন্ম নেয় । সন্তান ধারণে সক্ষম (১৫-8৯) বছর বয়সী একজন মহিলার ডিম্বকোষে অসংখ্য ডিম জমা থাকে । সেখান থেকে প্রতি মাসে একটি ডিম পরিপক্ক হয়ে ডিম্ববাহী নালী দিয়ে জরায়ুর দিকে আসতে থাকে । এই পরিপক্ক ডিমটি সেইসময় যদি পুরুষ শুক্রকীটের সাথে মিলিত হয় তাহলে গর্ভসঞ্চার হয় । শুক্রকীটের সাথে মিলিত না হলে পরিপক্ক এই ডিমটি মাসিকের রক্তস্রাবের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে । জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো পদ্ধতি দ্বারা ডিমকে পরিপক্ক হতে না দিলে বা পরিপক্ক ডিম ও শুক্রকীটের মিলনে বাধা সৃষ্টি করা গেলে গর্ভসঞ্চার হতে পারে না । বিভিন্নভাবে গর্ভসঞ্চারে বাধা সৃষ্টি করা যায় । এ গুলোকে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলা হয় । যেমন-

1. ডিম ও শুক্রকীটকে মিলিত হতে দেয় নাঃ যেমন- পুরুষ বন্ধ্যাকরণ, মহিলা বন্ধ্যাকরণ ও কনডম ব্যবহার ।

2. ডিমকে পরিপক্ক হতে না দিয়ে এবং ডিম্বস্ফুটন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখেঃ যেমন- খাবার বড়ি, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্টের ব্যবহার ।

3. ডিম ও শুক্রকীট মিলিত হয়ে যে ভ্রুণের সৃষ্টি করে সেটিকে জরায়ুতে গ্রথিত হতে দেয় নাঃ যেমন- আইইউডির ব্যবহার ।

এই সকল পদ্ধতির যে কোনো একটি ব্যবহার করে গ্রহীতা ইচ্ছা অনুযায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

শেষ কথা 

জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি প্রয়োগের স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে এই সকল বিষয় নিয়ে ভালোভাবে কথা বলে নেবেন। যদি আপনার পছন্দের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আপনার অসুবিধাজনক লাগে অথবা এই ধরণের জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আপনি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পান তবে সেক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মনে রাখবেন আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও আপনার নিয়মিত STD চেকের রুটিনকে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়, এই পরীক্ষাগুলি কঠিন আপনার ও আপনাকে ঘিরে যারা থাকেন তাদের সুরক্ষার জন্য।এটি সুপারিশ করা হয় যে,আপনি প্রতি 3 মাসে STD এর রুটিনের একটি প্যানেল করুন যখন আপনার যৌনকার্য আরো রুটিন মাফিক হবে সেই সময়ের।

পরিবার পরিকল্পনার গ্রহণ কেন প্রয়োজন

সত্যি কথা বলতে গেলে একটি সুস্থ ,সবল ও সুখী পরিবার সবার প্রত্যাশা থাকে । আর এজন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা । বিয়ের পর কখন প্রথম সন্তান নেবেন, পরবর্তী সন্তান আবার কবে নেবেন, কয়টি সন্তান নেবেন এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে আলাপ করে জন্মবিরতিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন ।

স্বামী ও স্ত্রীর শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক চাপ কমায়।

সংসারে সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ বাড়ায়।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি কমায়।

স্বামী – স্ত্রী পছন্দমত সময়ে এবং পছন্দমত সংখ্যায় সন্তান নিতে পারেন।

সন্তান সংখ্যা কম হলে সব সন্তানদের যথাযথ যত্ন নেয়া যায়, তাদের চাহিদা সমূহ সহজে পূরণ করা যায়।

ঘন ঘন গর্ভধারনের ঝুঁকি কমায়, ফলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং মা ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।

মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এর কাজ কি

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের কাজ হল পরিচিতি ,দায়িত্ব ও কর্তব্য।

পদের নাম : পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক।

যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট। পদমর্যাদা : তৃতীয়. শ্রেণী। কর্মস্থল : ইউনিয়ন।

নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা : উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা।

মূল্য দায়িত্ব : পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের দায়িত্ব গুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে মা, শিশু, প্রজননস্বাস্থ্য, পুষ্টি সেবা প্রদান এবং পরিবার পরিকল্পনা কার্যাবলীর সাথে সম্পর্কযুক্ত।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০ প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি চাকরির খবর  পাবেন সবার আগে বার এই এক পেজে। সরকারি চাকরি প্রার্থীর জন্য চলমান বিশেষ সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি  বা চাকরির খবর যা  কে এফ প্ল্যানেট এর সরকারি জব সার্কুলার ক্যাটাগরিতে পাবেন । তাছাড়া বেসরকারি ও  ইঞ্জিনিয়ারিং জব ক্যাটাগরি তো আছেই ।  চাকরি পেতে দেরি না করে আজই এপ্লিকেশন করুন।

The post পরিবার পরিকল্পনা – Family Planning In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

Gastric Problem Solution Tips –গ্যাসের সমস্যা

$
0
0

আচ্ছা আপনাকে কি গ্যাস এর সমস্যা মানে এসিডিটি সমস্যা আছে ? মানে কিছু খেলেই পেট ভুলে যায় আর আপনার পেট টা জলের কলসির মতো হয়ে যায়। না না চিন্তার কোনো কারণ নেই কারণ আমাদের সবার হয় কম বেশি। আজ এটা নিয়ে আমি আপনাদের সাথে কিছু সমস্যার সমাধান শেয়ার করবো যার ফলে গ্যাস বা এসিডিটি সব সমস্যা চলে যাবে এক নিমিষে। পুরোটা পড়বেন ও শেষে কমেন্ট করবেন।

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু সবাইকে আমার এই CHALOKOLKATA.COM এ অনেক শ্রদ্ধার সাথে স্বাগতম। বন্ধুরা অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা কিন্তু আমাদের কমবেশি সবার মধ্যেই থাকে। যখন আমরা কোনো অনুষ্ঠানে যাই বা নিজের বাড়িতে যখন কোন অনুষ্ঠানে লিপ্ত হই বা কখনো যদি একটু এদিকে সেদিকে বেড়াতে যাই পেট পুজো আমাদের থাকে আসল উদ্দেশে। আমরা অনেকেই জানি যে অল্প খাবো, মেপে খাবো, বেশি তেল ঝাল মসলা খাবো না। কিন্তু আমরা যারা খাদ্য রসিক তারা কিন্তু কিছু ভেবে খাইনা। সে যেমন খাবার হোক না কেন এটাই বাস্তব। সত্যি কথা বলতে এসিডিটির সমস্যা টা যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কতটা যন্ত্রনা। বর্তমাান ব্যস্ততম জীবন যাত্রার যুগে গ্যাস এবং পেটের অসুখ  এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো বাড়িতে আপনি যান না কেনো গ্যাসের ওষুধ আপনি পাবেন আর কিছু পান বা না পান। কিন্তু বন্ধুরা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি বেশি গ্যাসের ওষুধ খাওয়া একদম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না। কিন্তু ঘরোয় কিছু দারুন উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়। তাহলে আসুন সেগুলো কি কি আমরা একবার দেখে নি।

গ্যাসের সমস্যা দূর করার উপায় – কি খেলে গ্যাস কমে

জিরা :-

জিরা হল আমাদের রান্নার এক সৈনিক। জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অনেক অনেক উপকারী এক জিনিস। যারা জানেন না তারা জেনে নিন যে জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে। কিন্তু ,মাথায় রাখতে হবে যে ওটা বেশি খেয়ে কিন্তু কাজ হবে না।

 লবঙ্গ :-

২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মেপে খাবেন অর্থাৎ বেশি খাবেন না।

কলা ও কমলা :-

কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলা আমাদের প্রথম স্থানে।

 পেঁপে :-

পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে। আর তাছাড়া পেঁপে খেলে পায়খানাও অনেক পরিস্কার হয় আর অনেক ক্ষেত্রে অনেক উপকারী।

শসা :-

শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

দই :-

দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

ঠাণ্ডা দুধ :-

পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে। তবে দুধ গ্যাসের সমস্যা হলে তখন না খাওয়াই ভালো। আগে বা পরে খেতেই পারেন।

আদা :-

আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

 দারুচিনি :-

হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস জলে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।

এলাচ :-

লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।

পুদিনা পাতার জল :-

এক কাপ জলে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

মৌরির, বাতাস ও মিস্রীর জল :-

মৌরি, বাতাস, আর মিস্রি ভিজিয়ে সেই জল সকাল বেলা খেলে গ্যাস থাকে না।

এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন :-

সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।

লেবুর রস :-

লেবুও গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত উপকারী। হঠাৎ খুব গ্যাসের সমস্যা হলে লেবু সঙ্গে সঙ্গে আরাম দেয়। এক কাপ জলে এক টেবিল চামচ লেবুর রস, হাফ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। এই জল খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খান নিয়ম করে। উপকার পাবেনই।

Tag – এসিডিটি দূর করার উপায়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায়, গ্যাসের ব্যায়াম, পেটের পীড়া দূর করার উপায়, রুটি খেলে কি গ্যাস হয়, কোন কোন খাবারে গ্যাস হয়, পেটে গ্যাস ঢেকুর

The post Gastric Problem Solution Tips – গ্যাসের সমস্যা appeared first on Chalo Kolkata.

ফেসবুক স্ট্যাটাস ২০২০ – Facebook Status Bangla 2020

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা, আমি শান্তনু তোমাদের সকলকে জানাই chalokolkata.com এর পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছাভালোবাসা। আশা করি সকলে ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন। খুব সহজে আর অল্প কথায় বলতে গেলে আমাদের বর্তমান জীবনে বেশ কিছু সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর মধ্যে ফেসবুক হল এক অন্যতম এক নেটওয়ার্ক যাকে আমরা অনেকেই বলে থাকি 2nd হোম বা দ্বিতীয় থাকার জায়গা। কেন বলছি সেটা আর নতুন করে বলবার কিছু নেই আপনারা সবাই জানেন, তাও আমি ছোট্ট করে আমার মতন করে যদি বলি তাহলে বলবো যে আমরা সবাই সবার বাড়িতে থাকি, কিন্তু বাড়িতে থেকেও আমরা আমাদের মন চিন্তা আনন্দ ইত্যাদি সব কিছু রাখি ওই আমাদের ভালোবাসার এক ঘর যার নাম ফেসবুক।  কি বন্ধুরা সত্যি বলছি তো নাকি ? আমি নিজেও সেটা বিশ্বাস করে থাকি। 

বর্তমান জীবনে আমরা আমাদের সময়ের অর্ধেক ভাগ দিয়ে থাকি ফেসবুক এর মধ্যে। আর এখন আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে ফেসবুক আর হোয়াটস্যাপ এক প্রক্রিয়াতে চলছে। মানুষ বিন্দুমাত্র থাকতেই পারবে না এটা ছাড়া। সত্যি কথা হেয়ালি করে বলতে গেলে হটাৎ যদি কোনোদিন ফেইসবুক বা হোয়াটস্যাপ বন্ধ হয়ে যায় লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ হয়তো মারাই যাবে। ফেইবুক এর নিত্য নতুন লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষদের স্টেটাস সব থেকে আকর্ষণীয় ও ভালো লাগার বিষয়। আর আজ আমি আপনাদের সাথে সেই কিছু লেখনীও স্টেটাস শেয়ার কজড়ব যা আপনাদের মন অবসসই করবে আর আপনারা সেই স্টেটাস ব্যাবহার করতে পারবেন। কথা না বাড়িয়ে আমরা দেখে নি সেই সমস্ত মন ছোয়া কিছু ফেইসবুক স্টেটাস। 

1. আপনি যেমনি হন না কেন অন্যের সাথে নিজেকে বিচার করবেন না কারণ আপনি তাদের থেকে আলাদা।

2. আমি সেই ব্যক্তির জন্য কৃতজ্ঞ যারা আমাকে খারাপ পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় কারণ কেবল তাদের কারণে আমি আমার ভাল অবস্থার সাথে দেখা করি। বাস্তব। 

3. কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন, একটু নিজেকে ভালোবাসুন। 

4. আমি 500 বা 1000 টাকার মুদ্রা নই, আমি চিরকাল তোমার সাথেই  থাকব। 

5. অসম্পূর্ণ বিশ্বাস করি না, আমি সত্যের সাথে আছি  তাদের সত্যই গ্রহণ করি। 

6. আমি যা সত্য দেখি তার পক্ষে কথা বলি, আমি যা বিশ্বাস করি তার পক্ষে কথা বলি।  আমি যা চাই তার জন্য চেষ্টা করি …

7. যারা আমাকে চেনেন তারা কখনও আমাকে সন্দেহ করবেন না। যারা আমাকে সন্দেহ করে, তারা কখনও আমাকে চিনত না

8. টম অ্যান্ড জেরি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে জীবন বিরক্তিকর…

9. তার রুচির সাথে আমার রুচির কেবল একটা মিল রয়েছে, সে ও তেলাপোকা ভয় পায়, আমিও তেলাপোকা ভয় পাই, আর কিছু না।

10. কেউ যদি তোমারে ইট মারে, তবে তুমি তারে ফুল দুয়ে ঢিল মারো কিন্তু মনে রাখবা, ফুলের সাথে যেন ফুলের টবটাও থাকে। 

11. “একটা ভুল মানুষ কে হয়তো অনেক কাঁদায়, কিন্তু মনে রাখতে হবে জীবনে এমন অনেক কিছু ভুল আছে যা ভবিষ্যতে হাজারটা ভুল থেকে বাচায়”।”

12. “যে ভালোবাসার মাঝে হারানোর ভয় থাকে, আর সে কথা ভেবে দুজনেই কাঁদে সে ভালোবাসা হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা”।”

13. আসল প্রেমিকরা মেসির মতো, গোলপোষ্ট ফাকা পেয়েও গোল করে না। কিন্তু ভন্ড প্রেমিকরা নেইমারের মতো পেনাল্টির জন্য কত যে অভিনয় করে।

14. বোকা মানুষগুলো হয়তো অন্যকে বিরক্ত করতে জানে কিন্তু কখনও কাউকে ঠকাতে জানে না। 

15. আমার হৃদয় সব কথা তোমাকে বলতে ব্যাকুল। কিন্তু আমার বিশাল হৃদয়, সব বলতে গেলে তুমি বোরিং ফিল করবে , তাই বলা হচ্ছে না!!

16. “যে ভালোবাসার মধ্যে অবিশ্বাস জন্মেছে সে ভালোবাসা নিয়ে স্বপ্ন না দেখাটাই ভালো। কারণ ভালোবাসা অফুরন্ত আর অবিশ্বাস চীরস্থায়ী। যা অফুরন্ত ভালোবাসাকে কোনো এক দিন ঘুন ধরাবেই”।”

17. কিছু কিছু সিরিয়াস সময়ে সিরিয়াস ভাব নিয়ে থাকতে হয়, কিন্তু আজ কেন জানি সিরিয়াস ভাবটা আসছে না। সত্যি জানিনা কেন। 

18. বিবাহিতদের জন্য একটি উপদেশ- আপনার মানি ব্যাগে সব সময়ে আপনার বউয়ের ছবি রাখুন, যখনি কোন সমস্যায় পড়বেন তখনি মানি ব্যাগ থেকে বউয়ের ছবিটি বের করে দেখবেন আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না।

19. যে থাকে আখি পল্লবে, তার সাথে কেনো দেখা হবে, নয়নের জলে যার বাস, সে তো রবে নয়নে নয়নে।

20. আসল প্রেমিকরা মেসির মতো, গোলপোষ্ট ফাকা পেয়েও গোল করে না। কিন্তু ভন্ড প্রেমিকরা নেইমারের মতো পেনাল্টির জন্য কত যে অভিনয় করে।

21. সুখে থাকার জন্য আমরা অর্থ উপার্জনের চেস্টা করতে গিয়ে অসুখি হই, আর সেই অর্থ দিয়ে হারানো সুখকে আবার কেনার চেস্টা করি। জীবন থেকে আমরা কি চাই অনেক সময়ই আমরা সেটা ভুলে যাই।

22. “আমার দুর্বলতাকে না খুঁজে বরং সবার আগে তুমি নিজের দুর্বলতাকে খুঁজে ঠিক করো কারণ অন্যের দুর্বলতাকে সবাই খুঁজতে পারে কিন্তু নিজের দুর্বলতাকে অনেকই খুঁজে ঠিক করতে পারেনা”

23. “কথা বলা শিখতে একটা মানুষের প্রায় দুই বছর লাগে, কিন্তু কার সামনে কীভাবে কথা বলতে হয় তা শিখতে অনেকের সারাজীবনও কম পরে যায়”

24. “যে ভালোবাসার মধ্যে অবিশ্বাস জন্মেছে সে ভালোবাসা নিয়ে স্বপ্ন না দেখাটাই ভালো। কারণ ভালোবাসা অফুরন্ত আর অবিশ্বাস চীরস্থায়ী। যা অফুরন্ত ভালোবাসাকে কোনো দিন না কোনো দিন ঘুন ধরাবেই”।”

25. “কিছু মানুষ আছে যাদের দেখলে মনে হয় যে তারা ভাঁজা মাছ উল্টে খেতে জানেনা, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারাই মাছকে কিভাবে ভাঁজতে সেটা শেখায়”

26. “সেইসব মানুষের সাথেই থাকো যারা তোমার মূল্য বুঝবে | সুখী হওয়ার জন্য তোমার চারপাশে অসংখ্য মানুষের দরকার নেই, শুধু সেই সত্যিকারের কয়েকজনই যথেষ্ট যারা তোমাকে মন থেকে ভালোবাসবে”

27. আজকে যাকে না পেলে বাঁচব না বলে মনে হচ্ছে, বছর না ঘুরতেই মনে হতে পারে যে, তাকে না ছাড়লে বাঁচব না। ছয় মাস আগেও যে চেহারাটা এক নজর দেখার জন্যে অস্থির হতো মন, এখন সে চেহারাটাই হতে পারে সবচেয়ে অসহ্য দৃশ্য।

শেষ কথা

শেষ কথা বলতে একটাই কথা বলবো যে আপনাদের আমার এই সমস্ত স্টেটাস এর কালেকশন দেখে বা পরে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন শেয়ার করবেন। আর হ্যা আপনারাও একটা কারোর উদ্দেশে শেয়ার করতে পারেন ফেসবুক এ।  আজ তাহলে আসি অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই। 

The post ফেসবুক স্ট্যাটাস ২০২০ – Facebook Status Bangla 2020 appeared first on Chalo Kolkata.

কষ্টের স্ট্যাটাস

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা, আমি শান্তনু তোমাদের সকলকে জানাই chalokolkata.com এর পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আশা করি সকলে ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন। কষ্ট এমনি একটা শব্দ বা কষ্ট জিনিসটা এমনি একটা জিনিস যেটা আমাদের এই পৃথিবীর সকল প্রাণীর জীবনের এক অধ্যায় সেটা মানুষ হোক বা অন্য যে কোনো প্রাণী। বন্ধুরা আজ আমি একটু তোমাদের সাথে কষ্ট নিয়ে কথা বলবো। 

আচ্ছা বন্ধুরা এই পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ কি আছেন, যিনি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারবেন, তার কোনো কষ্ট নেই; বা তিনি কোনো দিন কষ্টের কোনো অনুভূতি পাননি। আমি মনে করি উত্তরটা হবে ‘না’। কোনো কিছু অর্জন করতে চেয়ে না পারার কষ্ট; কোনো কিছু হারিয়ে ফেলার বেদনা কিংবা ভালোবেসে বিফল হয়ে যাওয়ার মনোযন্ত্রণা; একেক জনের কষ্টের ধরণ এক এক রকম। কার যে কখন ঠিক কী কি কারণে কষ্ট হতে পারে সেটা বোঝা খুউব চাপের। 

আমি মনে করি যে ভালোবাসার জন্যে যদি একটি দিন থাকতে পারে, তাহলে কষ্টের জন্য নয় কেন? কষ্টের অনুভূতি ভালোবাসার বিপরীত হলেও, সেটিও প্রচণ্ড এবং তীব্র।  ফলে এই তীব্র অনুভূতির জন্যে একটি দিন রাখা যেতেই পারে তা আপনারা কি বলেন ? 

ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি সেটা আমরা সবাই জানি । সেদিন সবাই কি ভালোবাসার অনুভূতি পান ? আমার কিন্তু  যথেষ্ট সন্দেহ  আছে এ বিষয় এ। আমাদের মধ্যে অনেকেই কি তীব্র কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়ান না! বুকে হাত দিয়ে বলুন। তাই আ

মার প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ভ্যালেন্টাইনস ডের পরের দিনটাই হতে পারে কষ্টদিবস। আবার বহু মানুষের সেই বিখ্যাত   ১৪ ফেব্রুয়ারি হয়ে ওঠে চরম কষ্টের বা দুঃখের দিন। আবার  আরেকভাবে আমাদের কষ্ট আমরা অনুভব করতে পারি যেমন – 

নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কষ্ট, বাবা-মারা সন্তানের কষ্ট কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা হারানোর বেদনা। হতে পারে অকালেই সন্তান হারানোর তীব্র শোক। আবার কখনো ঘরের কষ্ট, পরের কষ্ট। কারণ যাই হোক, কষ্ট আছে, থাকবেই। অথচ কষ্ট থাকুক, সেটা কেউ চায় না। কিন্তু কষ্টের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার নয়। চলুন কষ্ট নিয়ে একটি দিন একটু বেশিই না হয় ভাবি। কষ্ট তাড়ানোর শক্তি অর্জনের পথ খুঁজি। অন্তত ভালো থাকার চেষ্টা করি। আমরা এখন কিছু কষ্টের স্টেটাস বা কিছু কষ্টের মেসেজ ইত্যাদি দেখে নেবো এক এক করে। 

1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একটি গানে লিখেছেন, চেয়েছিনু যবে মুখে তোলো নাই আঁখি আঁধারে নীরব ব্যথা দিয়েছিল ঢাকি।

2. ‘সুরঞ্জনা, ওইখানে যেও নাকো তুমি, বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা নক্ষত্রের রূপালি আগুন ভরা রাতে;

3. চোখে এখন আর জল আসেনা , কত একা বসে থাকি কিন্তু কান্নার আর শেষ হয় না কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়ে গেছে জলের রাশি তাইতো এখন আর রোমাল দিয়ে চোখ মুছতে হয় না।।

4. হারিয়ে গেছে সে কোন এক মেঘলা দিনে বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া হয়ে রোদ্রের সাথে কোন এক ভোরবেলায় কুয়াশা হয়ে কোন এক শেষ বিকেলে গোধূলি লগনে। হারিয়ে গেছে সে কোন এক অমাবস্যার রাতে ভয়ংকর কালো অন্ধকার হয়ে ঘন কালো মেঘের আড়ালে কোন এক বর্ষা কালে কোন এক অচেনা নদীর স্রোতের সাথে।।

5. দুঃখ আমার জীবন সঙ্গী দুঃখই আমার সুখ, দুঃখ আমার পরশ পাথর দুঃখ আমার হাসি, দুঃখ আমার জীবনটাকে আজ করেছে বড্ড খাটি আমি দুঃখ বিলাসী তাই দুঃখকে বড় ভালবাসি।। 

6. কি হবে জীবনে এতো পারফেক্ট মানুষ খুঁজে.! যদি সেখানে ভালোবাসাই না থাকে.!

7. আমার কষ্টগুলো আমারি থাক বৃষ্টিগুলো সব আমার চোখ দিয়েই ঝরুক ঝর্ণার জলগুলো আমার হৃদয় দিয়েই বের হোক তবুও তোমার হৃদয়ে বিন্দুমাত্র কালো ছায়া স্পর্শ না করুক।

8. নিন্দা করতে গেলেবাইরে থেকে করা যায় কিন্তু বিচার করতে গেলে, ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। 

9. কি হবে জীবনে এতো পারফেক্ট মানুষ খুঁজে.! যদি সেখানে ভালোবাসাই না থাকে.!

10. অন্য কারো হাতে তোমার সুখ আমানত দিও না, কারন সে হারিয়ে গেলে তোমার সুখকে আর তুমি খুজে পাবে না…..!!!

11. তুমি যাকে ভালোবাসো স্নানের ঘরে বাষ্পে ভাসো তার জীবনে ঝড় তোমার কথার শব্দ দূষণ তোমার গলার স্বর আমার দরজায় খিল দিয়েছি আমার দারুণ জ্বর তুমি অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধো ঘর। 

12. জানিনা কিভাবে তোমার দেখা পাবো জানিনা কিভাবে তোমাকে কাছে পাবো জানিনা কতটা আপন ভাবো তুমি আমায় । শুধু জানি এই অবুজ মনটা অনেক মিস করে তোমায়।

13. শাড়ির সুতো বুনছে যেন সেই লালের কঙ্কাল বিপদ বড় কথার ওপর কেবল কথা সিলিং ছুঁতে চায় নিজের মুখের আয়না আদল লাগছে অসহায় তুমি অন্য কারোর ছন্দে বেঁধো গান তুমি অন্য কারোর ছন্দে বেঁধো গান।  

14. আজ নিজে নিজে নীরবে কাঁদছি,না যে কান্না হয়তো মরণ হলে শেষ হবে । তবে সত্য বলতে কি জানো আমি তোমাকে আজও ঠিক আগের মতই ভালোবাসি ।

15. তুমি বেঁচে থেকো তোমার সকল ভালোলাগার কারণগুলো নিয়ে আমি না হয় বেঁচে থাকবো তোমার সকল অতীতকে আঁকড়ে ধরে।

শেষ কথা 

একটা কথা কি বলোতো কম বেশি কষ্ট আমাদের জীবনে মানে মানুষের জীবনে কম বেশি থাকে। এবার সেটা কি নিয়ে কষ্ট বা কোন বিষয় নিয়ে কষ্ট সেটার একটা ব্যাপার থাকে। অনেকের একাধিক বিষয় নিয়ে কষ্ট হতে পারে বা নানা সমস্যা থাকতে পারে, তবে এই দুনিয়ায় এমন একজন কেউ বলতে পারবে না যে তার কোনো কষ্ট নেই বা কোনো কষ্ট সে পাননি বা পায়না। যাই হোক আমার এই ছোট্ট একটা প্রয়াস তোমাদের সামনে তুলে ধরলাম। আর একটা কথা বলবো  ভালোবাসায় থাকো। কষ্ট আসবে যাবে। কষ্ট আসলে তবেই সুখ বা আনন্দ আসবে এটা মাথায় রেখো। ভালোবাসায় থেকো। ভালো থেকো।

The post কষ্টের স্ট্যাটাস appeared first on Chalo Kolkata.

বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করি সকলে ভাল আছেন।  অনেক দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা বাবা-মা থাকতেও তাদের সন্মান করেন না বা ভালোবাসেন না তাই আজও আমাদের দেশে বিদ্যাশ্রম রয়েছে। আর দিন কে দিন এটা বাড়ছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন এই বাবা মা না থাকলে আপনার ঠিকানা কোন অনাথ আশ্রমে হতো। আজ আমরা একটু বাবার হয়েকিছু কথা শুনবো ও বলবো। 

বাবা আমাদের এমন একটা শক্তি যার কথা বলতে গেলে দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন হয়ে যাবে। আমরা সত্যি কোনোদিন বাবাকে নিয়ে একটু বিশেষ ভাবে ভাবিনা, কোনোদিন বোঝার চেষ্টা করিনা। তবে এটুকু জেনেছি, তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের বোঝার ক্ষমতা নেই যে তোমার ত্যাগ গুলো কি কি বা কোথায় কোথায় তোমার ত্যাগ আছে আমাদের জন্য সেটা আমাদের মধ্যে অনেকেইয়া চে যারা আমরা মনে রাখিনা। তবে আমাদের বাবা আমাদের এক শক্তি। আমাদের বাবা আমাদের মাথার ছাদ। আমাদের বাবা আমাদের বর্ষার ছাতা আর আমাদের বাবা আমাদের শীতকালের কাঁথা। 

শুনেছি জাপানে কোন বিদ্যাশ্রম নেই কারণ সেই দেশে প্রতি বছর তাদের স্কুল কলেজে ছেলে মেয়েদের ডেকে সকলের সামনে তার বাবা মায়ের পা ধুঁইয়ে সেবা করানো হয় তাই হয়তো বাবা মায়ের ভালবাসার মত পরম আনন্দ আর কোথাও পাবেন না।শুধু ফেসবুকে লোক দেখানো না বাস্তব জীবনেও বাবা-মাকে ভালবাসতে হবে আমাদের।

1. পিতাদিবস প্রতিটা সেকেন্ড ই, তবে আজকের দিনটিতে একটু, বেশী ই জোর দেওয়া হয় সমাজে, কোনো ব্যাপার না, বাবাদের আশির্বাদ ও সন্তানের ভালোবাসা একে ওপরে, সর্বদা বিরাজ মান থাকে, থাকবে, এতো সুন্দর এক মায়াবী পৃথিবীতে। 

2. তোমাকে কোনোদিন হয়তো জাপটে ধরে ভালোবাসি বলা হয়ে ওঠেনি তোমার এই introvert মেয়েটার😞 আজ হয়তো father’s day ও নয়…তবুও এই কবিতাটা দিয়েই সবটা প্রকাশ করলাম।

3. হয়তো এটা তুমি দেখতে পাবেনা কখনো, তবু বলবো এভাবেই আমাকে জড়িয়ে রেখো বাবা, খুব ভালোবাসি তোমায়❤

4. আজ পিতৃ দিবস উপলক্ষে সকল বাবা দের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।তোমরা আছো তাই আমরা আছি, এভাবে সাথে থেকো, এভাবেই পাশে থেকো।

5. মাঝে মাঝে এমন একটা সময় সবার জীবনেই আসে যখন মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, তখন কারো পরামর্শ খুব জরুরী হয়ে পড়ে । সে সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মতো আদর্শ একজন মানুষ হল বাবা।।

6. শুধু একটু সাহস করে আমাদের প্রথম উদ্যোগটা নিতে হবে তাঁর সান্নিধ্যে যাবার। বাবার মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। সে মানুষগুলো ভাগ্যবান যারা নিজেদের বাবার বন্ধু হতে পারে।

7. বাবা, তোমাকে মনে পড়ে, আমার স্বপ্নভঙ্গের দিনগুলোতে, কিংবা পরম সুখের মূহুর্তগুলোতেও, বাবা, তোমাকে মনে পড়ে খুব মনে পড়ে!

8. যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি, মাথার উপর তোমাকেই পেয়েছি,, সেই অভাবও মিটিয়েছ তুমি, অনেক আদরে, পরম স্নেহ মায়ায়, আমি হেসে বলতাম, তোমার দোয়া সাথে আছে তো!

9. বাসায় ফেরার সময়ও দেখতাম, দাঁড়িয়ে আছ তুমি বারান্দায়, তীর্থের কাকের মত! আমার অপেক্ষায়, আজ তুমি নেই, আমি একা; বড় একা! আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেনা কেউ আর বারান্দায়, মাথায় রাখেনা ভরসার হাত!

10. আজ তুমিহীনা কষ্টের প্রহরগুলো, বুকের ভিতর জমাট কান্নার ঢেউ তুলে যায়!, প্রতিদিন ঘর হতে বের হবার সময় তুমি বলতে, সাবধানে চলিস বাবা !

11. তোমাকে দেয়া কথাগুলো এখনও ভুলিনি বাবা ! তোমার শেখানো পথে আজও হেঁটে চলেছি, দুর্গম সে পথে ঝড় আসে, ঝঞ্ঝা আসে, তবু ছুটে চলি অবিরাম, জানি, পাশে আছ তুমি; ছায়ার মত!

12. বিষাদে ছেয়ে যাওয়া মনটা, বার বার খুঁজে ফেরে শুধু তোমায়, চোখের কোণে তপ্ত জল জমে,, মাঝে মাঝে বড্ড জ্বালা করে চোখদুটো,, বার বার তোমাকে মনে পড়ে যায়, খুব মনে পড়ে খুব!

13. মনে পড়ে তোমায় খাওয়ার টেবিলে, মনে পড়ে যায় স্মৃতি নিজের পাতের খাবার আমায় তুলে দিয়ে বলতে- বাবা তুমি খাও বেশি। মনে পড়ে তুমি ঘুমের সময়, পাশে বসে থাকতে। না ঘুমানো পর্যন্ত আমার- মাথা টিপে দিতে।

14. বাবা কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে, কোন অচিনপুরে? তোমায় ছেলে কাঁদছে বাবা- কাঁদছে একা বসে। কতদিন আমি দেখি নি তোমায়, দেখি নি দু’চোখ ভরে, এসো তুমি কাছে আমার এসো বাবা ফিরে। 

শেষ কথা

বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে মা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠ উপহার হল বাবা মা । দুনিয়ার সব মানুষের বিকল্প কল্পনা করা সম্ভব হলেও মা-বাবার বিকল্প নেই। যেমন- ভাই একাধিক হতে পারে। বোন একাধিক হতে পারে। সন্তান একাধিক হতে বাধা নেই। কাকা – কাকিমা একাধিক হতেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মা-বাবা একবার যদি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান তাহলে তার বিকল্প কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। তাই সকলের উদ্দেশে একটাই কথা বলবো যে ভগবান কে ফুল বেলপাতা তুলসী পাতা দিয়ে ভক্তি করে পুজো দেবার আগে জ্যান্ত ভগবান অর্থাৎ আপনার বাবা মা কে একবার পুজো করুন, দেখবেন আপনার সকল দেব দেবীর পুজো আপনা আপনি হয়ে গেছে। ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন আর বাবা মাকে অবশ্যই ভালোবাসবেন। ধন্যবাদ। 

The post বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস appeared first on Chalo Kolkata.

Viewing all 302 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>