Quantcast
Channel: Chalo Kolkata
Viewing all 302 articles
Browse latest View live

আদার উপকারিতা – Benefits Of Ginger In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। বন্ধুরা আমরা আদার ব্যাপারে বা আদার সমন্ধে সবাই জানি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে আদার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম। আমরা আজকে সেই আমাদের আদি পরিচিত ও বেশির ভাগ বা বলাই যেতে পারে প্রতিটি রান্নার অন্যতম সঙ্গী আদার আমি আদার উপকারিতা জানবো।

আপনার জানেন আদা বমিরোধী। কিন্তু এটাই আদার একমাত্র পাকস্থলীজাত উপকারিতা নয়। আদা আপনার হজম শক্তি বাড়াবে এবং আপনাকে কষ্টকর এবং অস্বস্তিদায়ক পেট ফাঁপা থেকে রক্ষা করবে। বায়ুনাশক ঔষধি উপাদান হিসেবে আদা পাচক রস এবং হজম প্রক্রিয়ার উদ্দীপনা বাড়ায়।

আদা কি কি উপকার – আদার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আদাতে রয়েছে বেশিরভাগ ঠাণ্ডা-সর্দিজনিত রোগের পেছনে দায়ী রাইনো ভাইরাস দমনের শক্তিশালি রাসায়নিক উপাদান। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি একটি প্রাকৃতিক ব্যাথা-নাশক এবং জর প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে।

আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা দূর করে

আদা শরীরের জোড়াগুলোতে সৃষ্ট ব্যাথা এবং আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের প্রদাহ দূর করে। কারণ আদাতে রয়েছে জিঞ্জারোল নামের একটি উপাদান। যা প্রদাহরোধী উপাদান। এটি প্রদাহজনক সাইটোকিন গঠন প্রক্রিয়াকে দমন করে। আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউম্যাটোলজি-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটুর অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলো ব্যাপকহারে কমিয়ে আনে আদার নির্যাস।

মাংসপেশির ব্যাথা লাঘব করে

জিমে যাওয়ার আগে আদা খান। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা একটি প্রাকৃতিক ব্যাথা উপশমকারী এবং প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। ভারী ব্যায়াম করার পর মাংসপেশিতে যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে আদা। জার্নাল অফ পেইনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ২ গ্রাম আদা খান তারা ব্যায়াম করার ২৪ ঘন্টা পর মাংসপেশিতে অনেক কম ব্যাথা অনুভব করেন। দৌড়বিদ সহ অন্যান্য ক্রীড়াবিদরাও আদা থেকে উপকৃত হতে পারেন। প্রদাহ এবং মাংসপেশির ব্যাথায় ট্যাবলেটের চেয়েও বেশি কার্যকর আদা।

পেটফাঁপা দূর করে

আপনার জানেন আদা বমিরোধী। কিন্তু এটাই আদার একমাত্র পাকস্থলীজাত উপকারিতা নয়। আদা আপনার হজম শক্তি বাড়াবে এবং আপনাকে কষ্টকর এবং অস্বস্তিদায়ক পেট ফাঁপা থেকে রক্ষা করবে। বায়ুনাশক ঔষধি উপাদান হিসেবে আদা পাচক রস এবং হজম প্রক্রিয়ার উদ্দীপনা বাড়ায়। পাশাপাশি এতে রয়েছে জিনজিয়াবিন এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙ্গতে সহায়ক।

নারীদের ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা লাঘব করে

আদার সবচেয়ে বিস্ময়কর উপকারিতা হলো এটি নারীদের ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা লাঘব করে। জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঋতুস্রাবকালীন ব্যাথা উপশমের ক্ষেত্রে আদা ইবুপ্রোফেন ওষুধের মতোই কার্যকর।

মাইগ্রেনের ব্যাথাও দূর করে

মাইগ্রেনের ব্যাথা সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাথা। আদার রয়েছে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণ দমনের ক্ষমতা। যা রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে স্ফীত হওয়া এবং চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেনের ব্যাথার চিকিৎসায় আদা ওষুধের মতোই কার্যকর। আর কি চাই? এছাড়া আদা বমির উদ্রেককারী পাকস্থলির মোচড়ানোও দূর করে। যা থেকে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথার উৎপত্তি হয়।

শ্বেতী রোগ কমাতে

শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের অনেক বাছ-বিচার আছে। এই রোগ হলে দেখতে তো খারাপ লাগেই, তা অনেকসময় সামাজিক অসম্মানের কারণও হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি কাঁচা আদা খুব সুন্দরভাবে এই শ্বেতীকে কমিয়ে আনতে পারে।

স্মৃতি শক্তির সংরক্ষণ করে

আদা আপনার মস্তিষ্ককে আলঝেইমার থেকে রক্ষা করবে। এই স্নায়ুক্ষয়ী রোগটি সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে অপ্রয়োজনীয় অ্যামিলয়েড প্রোটিন জমা হওয়ার মাধ্যমে। পরীক্ষাগারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আদা এই স্নায়ুক্ষয়ী প্রোটিন থেকে আপনার মস্তিষ্কের কোষগুলোকে প্রতিরক্ষা দিতে সক্ষম। এবং এভাবে আলঝেইমার রোগও প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তবে মানুষের ওপর এ ব্যাপারে এখনো কোনো গবেষণা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়নি। তবে আদাকে মস্তিষ্কের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকাভুক্ত করাটাই শ্রেয়।

বয়সের ছাপ হতে দেয় না

এখন আমাদের কাজের চাপ, চিন্তা, ব্যস্ততা এইসবের জন্য অল্পবয়সেই মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে। অনেক কিছু মেখে হয়তো বাইরে থেকে সাময়িক ফল পেতে পারেন, কিন্তু স্থায়ী সমাধান কিছু হবে না। এক্ষেত্রে আপনি কাঁচা আদা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান টক্সিন বের করে দেয়। মুখে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ায়।

চুলের জন্য

ত্বকের জন্য যে আদা খুবই ভালো সেটা তো জানলেনই। এবার চুলের জন্যও যে কাঁচা আদা খুবই জরুরী তা দেখে নিন। তবে এক্ষেত্রে লাগাতে পারলে বেশী উপকার পাওয়া যাবে।

খুশকি কমাতে সাহায্য করে

খুশকি নিয়ে অনেক আর্টিকেলই তো পড়েছেন আমাদেরই সাইটে। আজ জেনে নিন আদা কীভাবে খুশকি দূর করতে পারে।৪ চামচ আদার রস, ২ চামচ পাতিলেবুর রস। এই দুটো উপকরণ মিশিয়ে চুলে থুপে থুপে লাগান তুলো দিয়ে। রাখুন ৩০ মিনিট মতো। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে আজ থেকেই আদা জল খেয়ে আদা ত্বক আর চুলের যত্নে ব্যবহার শুরু করুন। দেখবেন হতাশ হবেন না। আর আমাদের জানাবেন কিন্তু।

আদা বেশি খেলে কি হয় – আদা খেলে কি ক্ষতি হয় 

আমরা জানি যে কোনো জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নয়। সব কিছুতেই যেমন উপকার আছে আবার বেশি হলে অপকারও আছে। তাই আদরও এমন অনেক কিছু আছে যা আপনাদের জানা উচিত যে কাদের জন্য আদা খাওয়াই উচিত না

যাদের ব্লিডিং ডিসঅর্ডার বা হেমোফিলিয়া আছে

আদা রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করার মাধ্যমে রক্তের প্রবাহকে বৃদ্ধি করে রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে যার ফলে রক্তপাতের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধাকে ধীর গতি করার ঔষধের সাথে মিশে গিয়ে হলেও।

পিত্তথলিতে পাথর আছে যাদের

আদা পিত্তথলিতে অবস্থিত বাইল সল্টের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।সুতরাং যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা একদমই আদা খাবেন না।

যাদের জ্বালাপোড়া/ঘা রয়েছে

যাদের খাদ্যনালীর নিম্নাংশে ব্লক, ঘা বা কোন ধরনের জ্বালা পোড়া রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বেশী পরিমান টাটকা আদা খেলে খারাপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে এমনকি খাদ্য নালীর নিম্নাংশে বাধারও সৃষ্টি হতে পারে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য

আদার রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্টের জন্য গর্ভবতী নারীদের এটা না খাওয়াই ভালো।এটা জরায়ু সঙ্কোচন করে এবং সেই সাথে আয়রন ও পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলো শোষনে বাধা দেয়। বেশি পরিমান আদা মিসক্যারেজের সম্ভাবনাও থাকে। তবে যদি খেতেই হয় তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়টারী সাপ্লিমেন্ট ক্যাপসুল/ট্যাবলেট হিসেবে আদা গ্রহন করতে পারেন।বিশেষ করে গর্ভবস্থার শেষ সপ্তাহে কোন ভাবেই খাওয়া উচিত না।

ডায়াবেটিস / উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে

যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত আদা চা খেলে এটা এর বিভিন্ন ঔষধের সাথে মিশে রক্তচাপ ও রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করে কিন্তু অবশ্যই যারা অ্যাসপিরিন ও ওয়ারফিন জাতীয় রক্ত সংকোচন ও তরলীকরনের জন্য ঔষধ খান তাদের জন্য খাওয়া ঠিক না কারন তাতে উল্টো ফল হতে পারে।

অপারেশনের আগে

২০০৭ সালে “Der Anaesthetist” নামক একটি আর্টিকেলে প্রকাশিত হয় যে অপারেশনের আগে আদা খেলে বেশী রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। সুতরাং যেকোনো ধরনের অপারেশনের কমপক্ষে ২ সপ্তাহ আগে থেকে আদা না খাওয়াই ভালো।

সম্ভাব্য ভেষজ ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার জন্য

যখন কিছু ভেষজ উপাদান যেমন হলুদ, রসুন,লবঙ্গ,গিংকো,জিনসেং,বিলবা ইত্যাদি রক্ত জমাট বাধাকে ধীর ও সঙ্কুচিত করে তখন সেগুলোর সাথে যদি আদা মিশে তাহলে এর গুনাগুন বেড়ে যায় এবং রক্তপাতের ঝুঁকি থাকে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আদার এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যায় যদি আদার সাপ্লিমেণ্ট ট্যাবলেট খাওয়া যায়, যা দেহে হজমের গতিকে ধীর করে রাখে পরিপাকতন্ত্রে যাওয়ার আগে পর্যন্ত। কিন্তু আদার সাপ্লিমেণ্ট ট্যাবলেট আমাদের দেশে সহজলভ্য নয়। তবে যাই হোক আদা যদি কম পরিমানে খাওয়া হয় বা Food & Drug Administration (FDA)কর্তৃক স্বীকৃত পরিমানে গ্রহন করা হয় তাহলে এর তেমন কোন খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

The post আদার উপকারিতা – Benefits Of Ginger In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


শসা ত্বকের কী কী উপকার করে – Cucumber Benefits For Skin In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আজ আমি আপনাদর শসা ত্বকের প্রতি কতটা উপকারী সেটা বলবো। বন্ধুরা আমরা শসা কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি বা সালাদ এও আমরা ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু এই শসা রস কতটা আমাদের ত্বকের পক্ষে উপকারী সেটাই একটু আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। শসায় প্রায় ৯০ শতাংশ জল , ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে ও ক্যাফিক এসিড রয়েছে, যা ত্বককে নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। এ ছাড়া ত্বকের জলশুন্যতা দূর করতে এই উপাদান বেশ কার্যকর। আর ত্বকের চুলকানি ও অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। আমরা দেখে নেবো শসার জুসের উপকারিতা। 

শশা হচ্ছে সালাদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত একটি সবজি। সহজলভ্য এবং সুলভ এই সবজিটির ব্যবহার শুধু সালাদের মধ্যেই কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়। স্বাস্থ্যরক্ষার পাশাপাশি শশা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্যও সমানভাবে উপকারী। লো ক্যালরি এবং ডায়েট্রি ফাইবারে সমৃদ্ধ এই সবজিটি তাই স্থান করে নিয়েছে রূপসচেতন নারীদের ডায়েট চার্টে। এবার আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক শশার বিভিন্ন গুণাগুন এবং ব্যবহার সম্পর্কে।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে আমাদের ত্বক পুড়ে যায়। শসা এই পোড়া দাগ সহজেই দূর করে। বাসায় ফিরে শসা কেটে স্লাইস করে মুখে লাগাতে পারেন। অথবা শসা বেটে এর রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কিংবা শসার রস দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন বাসায় ফিরে এই আইস কিউব মুখে ঘষুন। এতে আপনার ত্বকের রোদে পোড়া দাগ অনেকটা দূর হবে।

ত্বক উজ্জ্বল করে

শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে

ডার্ক সার্কেল বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে শসার রস বেশ কার্যকর। শসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সিলিকা চোখের নিচের কালো দাগ সহজেই দূর করে। লাইট বন্ধ করে চোখের ওপর দুই টুকরা শসা দিয়ে ১৫ মিনিট শুয়ে থাকুন। এভাবে টানা এক মাস করলে চোখের নিচের কালো দাগ একেবারে দূর হবে।

ত্বক টানটান করে

শসার রস ত্বকে টোনারের কাজ করে। এই রসের সঙ্গে গোলাপজল, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি কোঁচকানো ভাব দূর করে ত্বক টানটান করে।

চোখের ফোলা ভাব দূর করে

রাতে ঘুমানোর আগে চোখের চারপাশে শসার রস লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের ফোলা ভাব দূর করতে বেশ কার্যকর।

শসা ত্বকের আরও কী কী উপকার করে

1. মুখে কোনো কালো দাগ পড়লে কচি শসার রস মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নেবেন। এভাবে কিছুদিন . নিয়মিত লাগালে দাগ উঠে যায়।
2. শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মুখে মেখে শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিলে মুখের রং উজ্জ্বল ও কোমল হয়। তবে নিয়মিত কিছুদিন করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় চোখের নিচে অনেকেরই কালো দাগ পড়ে। শসার রস নিয়মিত মাখলে এ দাগ দূর হবে।
3. যদি কেউ ফর্সা হতে চান তবে নিয়মিত শসার রসের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে, হাতে ও গায়ে নিয়মিত মাখলে গায়ের রং ফর্সা হয় অথবা শসা পাতলা পাতলা করে কেটে মুখে ঘসে নিতে পারেন। পরে শুকোলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নেবেন।
4. বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং লেবুর রসের সাথে ২ চামচ গ্রেট করা শশা এবং ২ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফাইন লাইন্স, রিংকেল দূর করে ত্বক টানটান এবং সুন্দর করে।

5. তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস এবং শশা পেস্ট একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ভালো মত ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি স্কিনের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে।

 6. শশাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা যা নখ শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত শশা           খাওয়ার  মাধ্যমে নখ ভাঙ্গা কমে গিয়ে নখ শক্ত হয়।

7. ব্রনের সমস্যা দূর করতে ২ চা চামচ শশার রসের সাথে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতো লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রন কমে যাবে।

8. চুলের বৃদ্ধিতে শশার ভুমিকা অতুলনীয়। সালফার সোডিয়াম, সিলিকন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম এই সবগুলো উপাদানই শশাতে রয়েছে যেগুলো চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কিছু নিউট্রিয়েনটস। এছাড়াও এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। শশা, টমেটো ইত্যাদি ব্লেন্ডারে মিক্স করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।

9. মুখকে রোদ থেকে বাঁচাতে, মুখের দাগ তুলতে ও ময়লা থেকে যদি রেহাই পেতে চান তবে শসার সাহায্যে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ২৫/৩০ মিনিট রেখে প্রথমে গরম জল , পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে বাইরে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এতে ত্বক সারাদিনের জন্যে যেমন চকচকে, মসৃণ ও কোমল থাকবে তেমনি বাইরের নানান জীবাণু থেকে ত্বক রেহাই পাবে।

The post শসা ত্বকের কী কী উপকার করে – Cucumber Benefits For Skin In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

খুশকি দূর করার সহজ উপায় – Ways To Remove Dandruff In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের।আমাদের অনেক সমস্যার বা প্রবলেম এর মধ্যে মাথার খুশকির সমস্যা বহুদিন ধরে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য খুউব সমস্যা দায়ক। কিন্তু ছেলেদেরও সমস্যা কম না। অনেক সময় এই খুশকির জন্যই অনেক ছেলে মেয়েদের নেড়া হয়ে হয়। বা এমনি এমনি চুল পরে যায়। যাদের এই সমস্যা নেই তাদের জন্য ঠিক আছে কিন্তু যাদের আছে বা মাঝে মাঝেই এই সমস্যা দেখা দেয় তাদের রাতের ঘুম চলে যায়।

আচ্ছা আপনি কি খুশকি সমস্যায় কখনোই ভোগেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না! কারণ এটা অতি সাধারণ একটা সমস্যা। মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং পুরনো কোষগুলো ঝরে যায়। এটা একটা ক্রম। কিন্তু পুরনো কোষগুলো যখন ঠিকঠাক মতো ঝরে যেতে পারে না তখন সেগুলো জমে যায় এবং ফাঙ্গাস সংক্রমিত হয়। ফলে খুশকি হয়। মাথা থেকে সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি পড়ে এবং মাথা চুলকায়। মাথায় খুশকির সৃষ্টি নানা ভাবে হতে পারে। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, যদি চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়। শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও ধুলাবালিযুক্ত। ফলে খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। যাঁদের খুশকির সমস্যা অন্যান্য সময় থাকে না, দেখা যায় শীতকালে তাঁদেরও খুশকির সমস্যা হয়।

খুশকি দূর করার কার্যকরী উপায়

1. পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।

2. টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।

3. একটি ডিমের সাদা অংশ ও ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন।

4.  মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।

খুশকি তাড়ানোর উপায়

5. মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান।

6. চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

7.  পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।

The post খুশকি দূর করার সহজ উপায় – Ways To Remove Dandruff In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

বৈশাখী Sms,কবিতা ২০২০- Boishakhi Sms Bangla 2020

$
0
0

বাঙ্গালী ক্যালেন্ডার এর পয়লা বৈশাখ হল নতুন বছরের সূচনা। এই বছর পয়লা বৈশাখ ১৪২৭ শুরু হতে যাচ্ছে ।P Pohela boishakh বাঙ্গালীদের জন্য একটি আনন্দঘন মূহুর্তের দিন। এই দিনটি বাঙ্গালীরা খুবই আনন্দের সহিত পালন করে। নানান রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ তারই অনুসরণ করে বাংলা এসএমএস এর সুন্দর সুন্দর কিছু কালেকশন আমরা আযোজন করেছি । ভালোবাসা দিবস হিসাবেও পালিত হয় এই দিনটি। Pohela boishakh sms খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে আমাদের মাঝে। ভালোবাসা দিবসে যেমন আমরা এসএমএস প্রেরণ করি ঠিক এই দিনটিতেও আমরা একই কাজ করে থাকি। এই বাংলা বৈশাখি Sms এসএমএস ২০২০ এ  এখানে অনেক ভালো ভালো এসএমএস রয়েছে যা আপনারা আপনাদের প্রিয় জনদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

প্রেমের কবিতা বা প্রেমের চিঠি বা প্রেমের উক্তি আকারের ও আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন। ভালোবাসার বাংলা এসএমএস এর জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী একটি অ্যাপ। ভালোবাসার বাংলা এসএমএস দিয়ে আপনারা খুব সহজেই আপনার প্রিয় মানুষটিকে খুশি করতে পারবেন। ভালোবাসার এসএমএস আমরা সকলেই খুব ভালোবাসি তাতে আমাদের আবেগ জড়িত থাকে। এইখানে আপনি  আপনারা পছন্দ মতন অনেক রোমান্টিক এসএমএস ও পাবেন।

শুভ পহেলা বৈশাখ Sms – Boishakhi Sms Bangla

 

1. চৈত্রের রাত্রি শেষে, সূর্য আসে নতুন বেসে, সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো, মুছে দিক তোমার জীবনের সকল কালো…! শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

2. বাউল গানের স্যন্ধা তালে নতুন বছর এসেছে ঘুরে, উদাসী হাওয়ার সুরে সুরে রংগা মাটির পথটি জুড়ে । শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

3. পুরনো যত হতাশা, দুঃখ, অবসাদ, নতুন বছর সেগুলোকে করুক ধূলিসাৎ। সুখ, আনন্দে মুছে যাক সকল যাতনা। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

4. পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রান l পুরোনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট! নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেনো সুখ আর বিনুদুনময়! এই কামনায় তোমাদের জানাই। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

5. ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সব মলিনতা । বৈশাখের সকালে, লাগুক প্রাণে আনন্দের এই স্পর্শ, মন থেকে আজ জানাই তোমায় “শুভ নববর্ষ” নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ।মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি। শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি॥ শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

6. দিনগুলি যেমনই হোক, ঠিকই যায় কেটে। তবুও বল কি লাভ, পুরনো স্মৃতি ঘেটে। এ বছর পূর্ন হোক, তোমার সকল আশা। নববর্ষের এটাই আমার প্রত্যাশা। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

7. নতুন সূর্য, নতুন প্রাণ। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন ঊষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

8. ইলিশ মাছের ৩০ কাঁটা”♣♥”বোয়াল মাছের দাড়ি.♣!!! ♥বৈশাখ মাসের ১ তারিখে”♣ ♥আইসো আমার বাড়ি.♣!!! ♥ছেলে হলে পাঞ্জাবি”♣ ♥মেয়ে হলে শাড়ি.♣!! ♥করব বরন বন্ধু তোমায়”♣ ♥আইসো আমার বাড়ি.♣!!! [[আপনাকে পহেলা বৈশাখের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

9. উদিত রবির প্রথম আলো দূর করবে সকল কালো। মাতবে মন আনন্দধারায় সবাই হবে বাঁধনহারা। দিনটি হোক তোমার তরে মন ভরে উঠুক খুশির ঝরে। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

10. ইচ্ছে গুলো উড়ে বেরাক পাখনা দুটি মেলে, দিনগুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে। অপূর্ন না থাকে যেন তোর কোন সখ, এই কামনার সাথে জানাই। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

11. বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর ! গ্রীষ্মের আগমনে রোদেলা দুপুর ! বর্ষার আগমনে সাদা কাঁশফুল ! তাই তোমায় Wish করতে মন হল বেকুল !শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

12. একটু আলো, একটু আধার বাতাসগুলো নদীর বুকে দিচ্ছে সাতার কিছু দুঃখ, কিছু সুখ সবচেয়ে সুন্দর এই বাংলার মুখ! বাংলা বর্ষ ১৪২২ এর পদার্পনে এস শানিত হই নবপ্রাণে।

13. পানতা ইলিশ আর ভরতা বাজি বাঙ্গালীর প্রাণ… নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান.. এসো হে বৈশাখ এসো এসো… শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

14. নতুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে নববর্ষের শুভেচছা। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

15. নিশি অবসান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত আমি আজি ধূলি তলে জীর্ণ জীবন করিলাম নত | বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রত ক্ষমা কর আজিকের মত পুরাতন বছর সাথে পুরাতন অপরাধ যত হর্দম হৈ হৈ, বৈ এলো ঐ, কলার পাতায় ইলিশ পান্তা | ঈশান কোনে মেঘের বার্তা | শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

16. আকাশের সব নীল দিয়ে, প্রভাতের সব লাল দিয়ে, হৃদয়ের সব অনুভুতি দিয়ে, অরন্যের সব সবুজ দিয়ে, সমুদ্রের সব গভীরতা দিয়ে তোমাকে জানাই। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

17. পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রাণ । পুরনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট! নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেনো সুখ আর আনন্দময় ! এই কামনায় তোমাদের জানাই।শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

18. নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি। শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি॥ শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

19. তোমার জন্য সকাল দুপুর, তোমার জন্য সন্ধ্যা, তোমার জন্য সকল গোলাপ, সব রজনীগন্ধা, তোমার জন্য সব সুর,তোমার জন্য ছন্দ, নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ…শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

20. নতুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে নববর্ষের শুভেচছা।শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

21. নতুন পোশাক নতুন সাঁজ।নতুন বছর শুরু আজ।মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি।শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি॥অটুট থাকুক তোমার হাসি” শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

22. নতুন বছর, নতুন ভাবে, নতুন সাজে, নতুন কাজে, নতুন আনন্দে, নতুন ভালবাসায়, নতুন সম্ভাবনায়, নতুনত্ত ছুয়ে যাক তোমার হৃদয়।শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

23. পানতা ইলিশ আর ভরতা বাজি বাঙ্গালীর প্রাণ… নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান.. এসো হে বৈশাখ এসো এসো… শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

24. নতুন বছর আসুক নিয়ে নতুন নতুন আশা, পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিক শুধুই ভালোবাসা । হানা-হানি বেধাবেদ সব কিছু ভুলি, এসো সবাই মিলে মিশে সৎ পথে চলি । শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

25. নতুন বছর নতুন ভাবে, নতুন সাঁজে নতুন কাজে , নতুন আনন্দে, নতুন ভালোবাসায়, নতুন সম্ভাবনায়, ছুঁয়ে যাক তোমার হৃদয়। শুভ পহেলা বৈশাখ-১৪২৭

 

The post বৈশাখী Sms,কবিতা ২০২০- Boishakhi Sms Bangla 2020 appeared first on Chalo Kolkata.

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ, চিকিৎসা ও উপায় কি ?Corona Symptoms and Treatment in Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের চির সাথী আপনাদের সকলকে chalokolkata.com এ স্বাগত। আজ আমরা সবাই জানি যে সারা বিশ্ব জুড়ে যে এক মহামারীর সৃষ্টি হয়েছে যার নাম করোনা ভাইরাস ইংরেজিতে বা ডাক্তারি ভাষায় জেক বলে (Covid – 19 ) . আজ আমরা জেনে নেবো যে এই করোনা হাত থেকে এই সময় আপনি কিভাবে বাঁচবেন বা আপনি কিভাবে থাকবেন। আমরা সবাই জানি সারা বিশ্বে এই সময় লকডাউন অর্থাৎ সব কিছু বন্ধ। আসুন দেখে নেওয়া যাক আমরা কিববে এই বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের থেকে আস্তে আস্তে  মুক্তি লাভ করতে পারি।

এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। ভয়ানক থেকে ভয়ংকর এর ক্ষমতা। যেকোনো ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রথমেই যেটা করতে হবে, তা হচ্ছে সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা। এইচআইভি ভাইরাস যেমন যৌনতা বা রক্তের মাধ্যমেই ছড়ায়। হাঁচি, কাশি বা ছোঁয়ার মাধ্যমে নয়। তাই এইচআইভি রোগীর সঙ্গে যেমন মেলামেশা করবেন, বায়ুর মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাস (যেমন করোনা, ইবোলা ইত্যাদি) আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করবেন না।

রোগের লক্ষণ কী

রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।

এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে।

সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।

সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ।

শুরুর দিকের উপসর্গ সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফ্লু’য়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেককে সার্স ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যা ২০০০ সালের শুরুতে প্রধানত এশিয়ার অনেক দেশে ৭৭৪ জনের মৃত্যুর কারণ হয়েছিলো ।

নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। মাস্ক পরার চেষ্টা করুন। যেকোনো কিছু ছোঁয়ার আগে অবশ্যই মাথায় রাখবেন সেখানে প্রাণঘাতী জীবাণু থাকতে পারে।

যেকোনো জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদিকে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে হ্যান্ডেল করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে ডাক্তারি ফলাতে যাবেন না।

ভাইরাসটি কীভাবে ঠেকানো যেতে পারে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের আবিষ্কৃত একটি টিকা নিয়ে মানুষের দেহে পরীক্ষা চালিয়েছে।

এই টিকার উপাদান হলো, কোভিড-নাইনটিন ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড – যা আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এই কপিটি বিপদজনক নয়, এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না।

যদি দেখেন আপনার শিশুর জ্বর এসেছে, তাকে স্কুলে পাঠাবেন না।

আপনি যদি নিজে অসুস্থ হন, তাহলে অফিসে যাবেন না। আপনার মাধ্যমে অফিসের কারও ফ্লু হতে পারে। আপনি হয়তো বেঁচে যাবেন। যাকে আক্রান্ত করবেন, তিনি হয়তো বাঁচবেন না। তাই এমন ঝুঁকি কখনই নেবেন না। এ ক্ষেত্রে অফিসের বসদের একটু শিথিল হতেই হবে। নিজেদের স্বার্থেই।

আপনি যদি দেখেন অফিসের কারও জ্বর/সর্দি/কাশি হয়েছে, তাহলে অবশ্যই তার থেকে কমসে কম পাঁচ ফুট দূরত্ব রেখে কথাবার্তা বলবেন। কাছে ঘেঁষবেন না। তিনি যা ছোঁবেন, স্পর্শ করবেন, খবরদার। সেসব ভুলেও ছুঁয়ে দেখবেন না। স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করবেন। এ দেশে প্রথম প্রথম বিদেশি কলিগদের এমন আচরণে খুবই মর্মাহত হতাম। মনে হতো আমি যেন বর্ণবাদ সমাজের অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ের কেউ, আমায় ছুঁলে জাত যাবে। কিন্তু পরে উপলব্ধি করলাম, তাঁর হাসপাতালের বিলও আমি দেব না, তাঁর বাচ্চাকাচ্চা এতিম হলে ওদের দেখভালের দায়িত্বও নেব না। নিজের সাবধানতা নিজের কাছে ।

এই সময় গর্ভবতী নারী বা নবজাতক শিশু জন্মালে যা করণীয় 

গর্ভবতী নারী বা নবজাতক শিশু জন্মালে দেখতে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক সামাজিকতা। যদি আপনার নিজের বা নিজের পরিবারের কারও জ্বর, সর্দি, কাশি থাকে, তবে যত আপন আত্মীয়ই হোক না কেন, অবশ্যই সেই শিশুকে দেখতে যাবেন না। শিশুর মা–বাবাকে জানাবেন যে বাড়িতে কেউ অসুস্থ তাই আসতে পারেননি। গর্ভবতী নারীর ফ্লু হলে তাঁর গর্ভপাতও ঘটতে পারে। তাই গর্ভবতীর জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে হসপিটাল ইমার্জেন্সিতে যাবেন।

এদিকে নবজাতক শিশু খুবই দুর্বল থাকে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না বললেই চলে। এমতাবস্থায় আপনার স্পর্শ, চুমু ও নিশ্বাসের ফলে সেই শিশুটির প্রাণঘাতী সংক্রমণ হতে পারে। নিজে একটু দায়িত্ববান হন। আপনি কোলে না নিয়েও শিশুর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। সেটাই করুন। হাত ভালো করে জীবাণুমুক্ত না করে (স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে না ধুয়ে) কোনো অবস্থাতেই নবজাতককে স্পর্শ করবেন না।

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। খাওয়ার পরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন বা না করুন, খাবারের আগে অবশ্যই ভালো করে কমপক্ষে বিশ থেকে তিরিশ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে এরপরে খাবার খাবেন। ফ্লু সিজনে অবশ্যই জেনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে খাবেন। যে খাবার সম্পর্কে ধারণা নেই, সেই খাবার খাবেন না। রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি হাত ধুয়ে রান্না করেছে বা কিচেন খুবই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন, ইঁদুর–তেলাপোকার বাস নেই, সেখানে ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে রেস্টুরেন্টের খাবার মুখে তুলবেন না। বাইরের খোলা খাবার খাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। সবচেয়ে ভালো হবে যদি নিজের বাড়িতেই রান্না করা খাবার খান। ওটা আপনার নিয়ন্ত্রণে।

The post করোনা ভাইরাসের লক্ষণ, চিকিৎসা ও উপায় কি ?Corona Symptoms and Treatment in Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

লিভার ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ কি কি ? – What Is Liver Cancer In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। অন্য ক্যান্সারের মতোই লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না। ক্যান্সার কোষ ক্রমশ বড় হতে থাকলে বা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। লিভার ক্যান্সারের এমন কিছু সাধারণ লক্ষণের কথাই আজ জেনে নিব।

লিভারের ৮টি সেগমেন্ট আছে। যদি একসঙ্গে ৪টি ফেলে দেয়া যায় তাতেও ফল ভালো পাওয়া যায়। অপারেশন চলাকালে আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা দ্বারা বিশ্বে সার্জেন ক্যান্সার নির্ণয় করে সার্জারির মাধ্যমে তা নির্মূল করে থাকেন। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট এখন আধুনিক বিশ্বে প্রায় হচ্ছে। ছোট টিউমারগুলো ইথানল ইনজেকশ দিয়ে ধ্বংস করা যায়। কেমোথেরাপিও ভালো ফল দেয় তবে তা প্রথম অবস্থায়।টিউমারের লক্ষণ দেখা দিলে তখন আর চিকিৎসার উপযোগী থাকে না। তাই শুরুতেই রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। লিভার ক্যান্সার হতে পারে-এমন ব্যক্তিকে আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা দরকার।  পরে নিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকারে। যাতে তাদের রোগ শুরু হওয়া মাত্রই ধরা পড়ে এবং সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়। রোগের প্রাথমিক অবস্থাই প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভাল হয়।যেরকম  অবস্থই হোক না কেন কোনো রকম সূচনা পেলেই সবার আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন আর আপনার সন্দেহ ও সমস্ত অসুবিধে গুলো বা শারীরিক ক্ষয় ও ক্ষতির কথা ভালো করে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। এই রোগের ক্ষেত্রে একদম কোনো মোটেই ঢিলা দেবেন না তাতে বাড়তে পারে ভয়ঙ্কর ক্ষতি।

প্রারম্ভ কথা ক্যান্সার মানেই আঁতকে ওঠা, আর লিভারে হলে তো কথাই নেই। সত্যি বলতে কি, অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় বিশেষ করে, পুরুষদের মধ্যে লিভার ক্যান্সারের প্রকোপ একটু বেশিই। শরীরে যতসব ক্যান্সার হয়, তার মধ্যে লিভার ক্যান্সারের স্থান পাঁচ নম্বরে। লিভার ক্যান্সার এর অপর নাম হেপাটিক ক্যান্সার ও প্রাইমারি হেপাটিক ক্যান্সার, একে বাংলায় যকৃতের ক্যান্সারও  বলা হয়। যকৃৎ ক্যান্সারের উৎপত্তি যকৃতেই হয়। অন্য অঙ্গ থেকে ক্যান্সার কোষ লিভারে ছড়ালে তাকে লিভার মেটাস্টাসিস বলে।

লিভার ক্যান্সারে বুকের পাঁজরের নিচে ডানপাশে দলা বা ব্যথা অনুভূত হয়। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জন্ডিস, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা, পেটে জল জমা, অল্প আঘাতেই ত্বকে  রক্ত জমে কালচে দাগ পড়া ইত্যাদি। লিভার  ক্যান্সার এর বেশ কিছু কারণ যেমন  হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি অথবা অ্যালকোহলের কারণে( মদ বা অতিরিক্ত মদ্য পান করলে ) লিভার সিরোসিস হওয়া। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে আফলাটক্সিন, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ও লিভার ফ্লুকস। প্রধান দুটি টাইপ হলো হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা যা ৮০% ক্ষেত্রে হয় এবং কোলানজিও কার্সিনোমা। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ টাইপ হলো মিউসিনাস সিস্টিক নিওপ্লাজম ও ইন্ট্রাডাক্টাল প্যাপিলারি নিওপ্লাজম রক্ত পরীক্ষা ও মেডিকেল ইমেজিং এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায় তবে আগে কোনো মন্তব্য না করে টিস্যু বায়োপসি করে নিশ্চিত হওয়া দরকার।

লিভার ক্যান্সারে রেডিওথেরাপির কোনো ভূমিকা নেই, আর কেমোথেরাপির রেসপন্সও খুব একটা আশাপ্রদ নয়। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে ভুগছেন এমন শতকরা প্রায় পাঁচজন লোক লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস ও ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটি যথাক্রমে শতকরা ২০ ও ৩০ জন। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তবে আমরা শিশুদের মধ্যেও বিশেষ করে, হেপাটাইটিস-বিজনিত লিভার ক্যান্সার খুঁজে পাই। আমাদের লিভার ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো বেশ মারাত্মক। চলুন দেখা যাক আমাদের লিভার ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো কি কি ?

লিভার ক্যান্সার এর লক্ষণ সমূহ – Liver Cancer Stages Symptoms

যে কোন বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। লিভার ক্যান্সারের ঝুকি পুরুষদের ক্ষেত্রে মহিলাদের চেয়ে ৪ থেকে ৬ গুণ বেশী। সাধারণতঃ ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়, তবে এর ব্যতিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক না। লিভার ক্যান্সারের রোগীরা প্রায়ই পেটের ডান পাশে উপরের দিকে অথবা বুকের ঠিক নীচে মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভব করেন যার তীব্রতা রোগী ভেদে বিভিন্ন রকম। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পরা, পেট ফাপা, ওজন কমে যাওয়া আর হালকা জ্বর জ্বর ভাব এ রোগের অন্যতম লক্ষণ। লিভার ক্যান্সার রোগীদের প্রায়ই জন্ডিস থাকে না, আর থাকলেও তা খুবই অল্প। রোগীদের খাওয়ায় অরুচি, অতিরিক্ত গ্যাস কিংবা কষা পায়খানার উপসর্গ থাকতে পারে- আবার কখনো দেখা দেয় ডায়রিয়া। পেটে পানি থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। অন্য ক্যান্সারের মতোই লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না। ক্যান্সার কোষ ক্রমশ বড় হতে থাকলে বা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।

ন্ডি

যদিও জন্ডিসে আক্রান্ত হলেই তা লিভার ক্যান্সারের জন্য হবেতা কিন্তু একদমই নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি লিভার ড্যামেজের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে লিভার ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাসে মল ও  প্রস্রাব এ কোনো সমস্যা বা অস্বাভাবিক কিছু বুঝে থাকলে অবহেলা করা উচিৎ নয় বরং দ্রুত নিরাময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। এর ক্ষেত্রে একদমই দেরি না করে সরাসরি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা দরকার।

পেটে ব্যথা

যদি আপনার পেটে ব্যথা অনুভব করেন, বিশেষ করে পেটের ডান পাশে নিয়মিত  ব্যথা হলে তা হতে পারে লিভার ক্যান্সারের জন্য। একজন অনকোলজিস্ট বা লিভার বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন সঠিক কারণ জানার জন্য এবং নিরাময়ের জন্য।

পেটে কোন ফোলা বা পিন্ড দেখা গেলে

উপরের বা নীচের পেটে ফোলা বা পিন্ডের মত অংশ দেখা দিলে তা হতে পারে লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ। এর পাশাপাশি পেট ভরা থাকার অনুভূতি থাকলে তা লিভার ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ হতে পারে।

পেট ফুলে যাওয়া

পেট ফুলে গেলে তা অবহেলা করা উচিৎ নয়। কারণ এটি হতে পারে ক্যান্সার কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে অথবা লিভারে তরল জমে যাওয়ার কারণে। এর ফলে পেটে ও লিভারের মধ্যে চাপ বৃদ্ধি পায়। এতে শুধু লিভারের কাজেই প্রভাব পড়েনা বরং লিভারের অকার্যকারিতাও দেখা দিতে পারে।

অবসাদ

অবসাদ অনুভব করা লিভার ক্যান্সারের তেমন কোন তীব্র লক্ষণ প্রকাশ করেনা। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেয়ার পরেও অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করা অথবা দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজ করলেই পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লে অবহেলা করা উচিৎ নয়। এগুলোর পাশাপাশি যদি পেটে ব্যথা ও জ্বর থাকে তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

জ্বর

জ্বরকে লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে গণ্য করাটা কঠিন। কারণ অনেক রোগের বা ইনফেকশনের সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। পেট ফুলে যাওয়া বা পেটে ব্যথা হওয়ার সাথে যদি নিম্ন মাত্রার জ্বরে ভুগে থাকেন তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন মূল কারণ নির্ণয়ের জন্য।

ক্ষুধা কমে যাওয়া

কিছু ক্ষেত্রে পেট ভরা অনুভব করা বা ক্ষুধা কমে যাওয়া লিভার ড্যামেজের বা লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ক্ষুধা কমে গেলে শরীরের ওজন কমে যায়। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের না হয়ে লিভারের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে বলে এমন হয়।

লিভার ক্যান্সারের কারণ

ক্যান্সার মানেই আতঙ্ক, আর তা যদি হয় লিভার ক্যান্সার তাহলে তো কথাই নেই। একথা সত্যি যে শরীরের বেশির ভাগ ক্যান্সারের মতোই লিভার ক্যান্সার নিরাময় এখনো আমাদের সাধ্যের অতীত। তবে পাশাপাশি একথাও সত্যি যে লিভার ক্যান্সার চিকিৎসায় সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অগ্রগতিও কম কম। সবচেয়ে বড় কথা, আজ বাংলাদেশে বসেই লিভার ক্যান্সারের আধুনিক চিকিৎসাগুলো পাওয়া সম্ভব। আর সেই সব আশার কথা নিয়েই এ লেখার অবতারণা। লিভার ক্যান্সার কেন হয়? সারা পৃথিবীতেই লিভার ক্যান্সার, ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে চার লাখ লোক এ রোগে আক্রান্ত হন।

পুরুষদের ক্ষেত্রে মোট ক্যান্সারের ৭.৫ ভাগ লিভার ক্যান্সার, আর মহিলাদের বেলায় এ সংখ্যাটি ৩.২ ভাগ। আশঙ্কাজনক সত্যটি এই যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লিভার ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব পৃথিবীর জন্য যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সারের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আর অ্যালকোহল। আমাদের দেশে অবশ্য হেপাটাইটিস বি মূল খলনায়ক, কারণ এদেশে প্রায় ৮০ লাখ লোক এ ভাইরাসের বাহক বা ঐইংঅম পজেটিভ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ লোক জীবনের কোনো এক পর্যায়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ যে কোনো বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি পুরুষদের ক্ষেত্রে মহিলাদের চেয়ে ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি। সাধারণত ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়, তবে এর ব্যতিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক না।

Tag – End Stage Liver Cancer Symptoms, Liver Cancer Treatment, Liver Cancer Survival Rates Liver Cancer Prognosis, What is the First Sign of Liver cancer, Liver Cancer Stage 4, Types of Liver Cancer

The post লিভার ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ কি কি ? – What Is Liver Cancer In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

হাম রোগেরলক্ষ, চিকিৎসা – Medical Treatment of Measles In Bengali

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে বা আপনাদের পাশে থাকতে। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের কাছেএমন একটা জিনিসের ব্যাপারে আলোচনা করবো সেটা আমি জানি আপনাদের অনেকটাই ভালো লাগবে। আর পারবেন অনেক অজানা তথ্য। বন্ধুরা হাম একটি ভাইরাসজনিত রোগ। পৃথিবীজুড়ে এর প্রকোপ দেখা যায়। সাধারণত আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এর ভাইরাস আশপাশের সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘরে ঢুকলেও সুস্থ যে কেউ হামের জীবাণুতে আক্রান্ত হতে পারে। হামের ভাইরাস মানব দেহে ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকে। অর্থাৎ সুস্থ কারও শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করার পর ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পায়।

এই রোগটি শুধু ছোটদেরই নয় বড়দেরও হতে পারে। হামের কারণে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, কানের সংক্রমণ, অপুষ্টিসহ নানা রকম জটিলতা হতে পারে। এছাড়া অনেক সময় মস্তিষ্কের প্রদাহ হতে পারে। এজন্য হামের ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

সারাবছর পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে নানা রকম জটিলতার কারণে ২ লাখের মৃত্যু ঘটে থাকে। হামের কারণে ৫ বছর কম বয়সী শিশুরাই বেশি মৃত্যুবরণ করে। নবজাতক শিশু এবং বড়রাই হামের জটিলতার বেশি শিকার হয়।

হামের লক্ষণ

হাম হলে প্রচণ্ড জ্বর হয়। জ্বরের সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা, চোখ-নাক দিয়ে পানি ঝরা, কাশি, মাথাব্যথা, কানে ব্যথা ইত্যাদি নানারকম উপসর্গ দেখা দেয়। জ্বর শুরু হওয়ার ৩ থেকে ৫ দিনের মাথায় শরীরে গুঁড়ি গুঁড়ি দানা ওঠে। দেখতে অনেকটা ঘামাচির মত। প্রথমদিকে চুলের রেখা বরাবর ও কানের পেছনে আর ঘাড়ে, তারপর মুখে ও গলায় এবং সেখান থেকে নীচে নামতে নামতে শেষে হাতে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরে তখন প্রচুর চুলকাকায়। হামের লাল দানা ওঠার ৪ দিন আগ থেকে শুরু করে পরবর্তী ৪ দিন পর্যন্ত রোগীর শরীর থেকে হামের জীবাণু অন্যদের মধ্যে ছড়াতে পারে। এসময়ে আলতোভাবে শরীরের কোথাও চামড়া পেঁয়াজের ছিলকার মত খসে যায়।

হামের চিকিৎসা

হামের বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেই। রোগীকে বিশ্রাম নিতে দিতে হবে। পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাবার যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং সকল প্রকার শাক-সবজি খেতে দিতে হবে। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল এবং গায়ে চুলকানির জন্য এন্টিহিস্টামিন দেয়া যেতে পারে।

হামের প্রতিরোধ

ঘরের কোন শিশুর যদি হাম হয়ে থাকে এবং অন্যান্য শিশুদের হামের টিকা দেয়া না থাকে তবে তাদেরকে হামের টিকা দিতে হবে। শিশুর ৯ মাস পূর্ণ হয়ে ১০ মাসে পড়লেই হালের টিকা দিয়ে দিতে হয়।

হাম হলে কি খেতে হবে – হাম হলে কি কি খাওয়া যায়

হাম, চিকেন পক্স—এ জাতীয় রোগে অনেকেই মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন। শিশুদের বুকের দুধও দেওয়া হয় না। যাঁরা লোকমুখে এ ধরনের শোনা উপদেশ মানেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভুল করেন। এতে শরীর দুর্বল হয়ে অপুষ্টি ও রোগের যৌথ আক্রমণে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে, এমনকি মৃত্যুও হয়।

এসব রোগের খাবার-দাবার পরিবর্তনের কোনো দরকার নেই। তখন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার বেশি করে দেওয়া উচিত। কোনো খাবারের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে সেটি এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব রোগে সাধারণ সব খাবারই খাওয়া যায়। তবে অনেক সময় রোগের ব্যাপ্তি খাদ্যনালির অভ্যন্তরেও ছড়িয়ে যায়। এতে শক্ত খাবারে পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। এ জন্য নরম কিংবা তরল খাবার খেতে বলা হয়। এই নরম ও তরল খাবার যেকোনো খাদ্যোপাদান দিয়ে তৈরি হতে পারে।

তবে শুধু লাউ, পেঁপে আর আলু খেয়ে থাকতে হবে—এ ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

হাম রোগের ভাইরাসের নাম

হাম ভাইরাস জনিত একটি রোগ। জার্মান মিজলস নামেও পরিচিত হাম। ঠিক মতো এ রোগের চিকিৎসা না করা হলে রোগী নানা জটিলতায় পড়তে পারে। তবে হাম সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য। শিশুরাই হামে বেশি আক্রান্ত হয় বলে এক বছর থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুদের হামের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ।

নবজাতকের হাম এর লক্ষণ

অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতো প্রথমে জ্বর ও শরীর ম্যাজম্যাজ বা হালকা ব্যথা হয়। প্রথম এক-দুদিন তীব্র জ্বরও হতে পারে। চোখ-মুখ ফুলে উঠতে পারে। চোখ লাল হয়ে যেতে পারে, চোখ দিয়ে জল পড়তে পারে। নাক দিয়ে জল পড়তে পারে এবং হাঁচিও হয়। শরীরে র‍্যাশ বা ছোট ছোট লালচে গুটি বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। দ্রুত তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সময়, বিশেষ করে শিশুরা কিছু খেতে চায় না এবং ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে র‍্যাশ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি ভাইরাল জ্বরেও হতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

The post হাম রোগেরলক্ষ, চিকিৎসা – Medical Treatment of Measles In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা – Hepatitis B Treatment In Bengali

$
0
0
Hepatitis-B-Treatment

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা ও স্বাগতম আমার এই পেজ এ। আশা করবো আমার প্রত্যেক লেখা আপনাদের অনেকটাই উপকার করতে সাহায্য করবে বা আশা করবো ভালো লাগবে আপনাদের। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে বা আপনাদের পাশে থাকতে।

ভাইরাল হেপাটাইটিস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ভাইরাল হেপাটাইটিসের মধ্যে হেপাটাইটিস বি অন্যতম। কারো কারো ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় যা থেকে যকৃতের কার্যক্ষমতা হ্রাস,যকৃতের ক্যান্সার অথবা সিরোসিসও হতে পারে।

হেপাটাইটিস বি কি?

হেপাটাইটিস বি একটি সংক্রামক রোগ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি দেখা দেয় যা যকৃতে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। রক্ত, বীর্য অথবা শরীরের অন্যান্য তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। বড়দের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ ভালো হয়ে গেলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয়।

হেপাটাইটিস বা লিভারের একিউট এবং ক্রনিক সংক্রমণের জন্য দায়ী লিভার ভাইরাসগুলো হচ্ছে হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, হেপাটাইটিস-ডি এবং হেপাটাইটিস-ই।

হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কারণে লিভারে প্রদাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে এই রোগ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

রোগের বিস্তার

অনিরাপদ যৌনতা/অবাধ যৌনতা, একই সিরিঞ্জ, সুঁই বারবার ব্যবহার করা, শরীরে উল্কি আঁকা, স্যালুনে ব্যবহৃত ক্ষুর, রেজর, ব্লেড, কাঁচি হতে হাসপাতালে হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের পরিচর্যার কারণে, ডেন্টিষ্টের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত(অনিরাপদ) যন্ত্রপাতি, সিরিঞ্জ এ মাদক নেয়া, হেপাটাইটিস ‘বি’ বাহকের সিগারেট, লালা, তার সংস্পর্শে থাকা, আক্রান্তের রক্ত নেয়া, নবজাতকের আক্রান্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে মায়ের বুকের বুকের দুধ থেকে,যদি মা হেপাটাইটিস ‘বি’ সংক্রমিত থাকেন।

(বাবা মায়ের যেকোনো একজন আক্রান্ত থাকলে তাদের নবজাতক আক্রান্ত হতে পারে)

মূলত দুইভাবে হেপাটাইটিস-বি মানব শরীরে বিস্তার ঘটে

1.  উলম্ব ভাবে

2. আনুভূমিক ভাবে

রোগ ছড়াতে পারে সামাজিক মেলামেশায়

সামাজিক মেলামেশায় (হ্যান্ড শেক, কোলাকুলি) এই রোগ ছড়ায় না। এমনকি রোগীর ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যেমন- গ্লাস, চামচ, জামা কাপড়ের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায় না।।

শুধুমাত্র যে সমস্ত দ্রব্য রোগীর রক্তের সংস্পর্শে আসে যেমন: ক্ষুর, ব্লেড, রেজার, টুথব্রাশ, সূচ) সেগুলোর  মাধ্যমেই এই রোগ ছড়াতে পারে।

উপসর্গ

আক্রান্ত রোগীর কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

এই রোগের সুপ্তবস্থা (ভাইরাস সংক্রমন থেকে রোগের লক্ষণ পর্যন্ত) প্রায় ৪ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে।

এক্ষেত্রে ফ্লু-এর মত জ্বর, ক্লান্তিবোধ, শরীর টনটন করা, ব্যাথা, বমি ভাব এবং ক্ষুধামন্দা-এই রোগের লক্ষণ।

রোগের প্রতিরোধ করা

যৌন মিলনের সময় প্রটেকশন ( CONDOM ) ব্যবহার করুন। কাচা সালাদ, ফল-মূল বেশি খাবেন। তেল-চর্বি যুক্ত খাবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। লাল মাংস খাবেন না। লবণ বা সোডিয়াম সল্ট একেবারেই খাবেন না। ভিটামিন বি, এন্টি-অক্সিডেন্ট যথা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার বেশি খাবেন। প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটবেন। ব্যায়ামের অভ্যাস করবেন। দিনে একবেলার বেশি ভাত খাবেন না, দুই বেলা রুটি খাবেন। ধূমপান, মদ্যপান নিষিদ্ধ।

অযথা কোন Multivitamin খাবেন না। প্রচুর বিশ্রাম নিন। শৃঙ্খলিত জীবন যাপন করুন।

পাঠকের উদ্দেশ্যে বলি, “আপনি আজ-ই HBsAG পরীক্ষা করে নিন। নিজের এবং পরিবারের সবার। যদি এখনও সংক্রমিত না হয়ে থাকেন তবে অতি দ্রুত হেপাটাইটিস-বি এর প্রতিষেধক টীকা নিন। হেপাটাইটিস ‘বি’ সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ-ই একমাত্র উপায়।

1. ব্যক্তিগত পদক্ষেপ

  • ব্যক্তিগত দ্রব্যাদির সহব্যবহার্য বর্জন করা
  • একবার ব্যবহার্য সিরিঞ্জ ও সূচ ব্যবহার করা
  • নিরাপদ রক্তসঞ্চালন
  • নিরাপদ যৌন চর্চা

2. টিকা গ্রহণের মাধ্যমে

টিকা গ্রহণের মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকা গ্রহণের আগে অবশ্যই হেপাটাইটিস-বি স্ক্রিনিং করে নেওয়া উচিত।

হেপাটাইটিস বি হলে করনীয়

হেপাটাইটিস বি পজেটিভ রোগীদের অহেতুক ঘাবড়ানোর কারণ নেই। তবে জেনে নিতে হবে যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কারণে লিভার কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা অথবা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। এর জন্য HBeAg, AST (SGOT), ALT (SGPT), HBV-DNA, পেটের আলট্রাসাইন্ড (Ultrasound) এবং এন্ডোসকপি (Endoscopy of upper GIT) পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। এই সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল এবং রোগীর শারীরিক উপসর্গ বিবেচনা করে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা আরম্ভ করতে হয়।

হেপাটাইটিস বি এর লক্ষন

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস সংক্রমণের দুই থেকে তিন মাস পর এর লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ দেখা দিতে শুরু করে। হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ হাল্কা থেকে মারাত্মক হতে পারে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের অ্যাকিউট সংক্রমণের লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ

1. খাদ্যে অরুচি।

2. ক্ষুধা মন্দা এবং বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া।

3. মাংসপেশি এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা হয়।

4. পেটে ব্যথা এবং সেই সাথে হালকা জ্বর।

5. প্রশ্রাবের রং হলুদ হয়। চোখ হলুদ হয়ে যায়, একে জন্ডিস বলে।

6. গা চুলকানো।

7. গায়ের চামরার উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায়।

8. অবসাদ বোধ করা।

9. বেশীরভাগ সময়েই মাথা ব্যথা থাকা।

সাধারনত এক তৃতীয়াংশ লোক লক্ষণ ও উপসর্গসমূহের কিছুই বুঝতে পারেন না, এক তৃতীয়াংশ লোকের মাথাব্যথা, গা শিরশির এবং জ্বর হয় এবং এক তৃতীয়াংশ লোকের, ক্ষুধামন্দা, জন্ডিস, জ্বর, ডায়রিয়া ও বমি দেখা দেয়।

The post হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা – Hepatitis B Treatment In Bengali appeared first on Chalo Kolkata.


দেখে নিন থাইরয়েডের রোগীদের যা কখনোই করা উচিত নয়

$
0
0

আমাদের শরীরের একটি গ্রন্থির নাম থাইরয়েড। এটি থাকে আমাদের গলার স্বরযন্ত্রের দুই পাশে। দেখতে প্রজাপতির ডানার মত। আর এর রঙ বাদামী। এই গ্রন্থির কাজ হলো আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমন উৎপাদন করা। যদি কোন কারনে এই গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণে কোন প্রকার বাতিক্রম হয় তখন তাকে থাইরয়েড রোগ বলে।

পুরুষের চেয়ে নারীরাই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন বেশি। থাইরয়েডের সাধারণ সমস্যাগুলো হচ্ছে – হাইপারথাইরয়ডিজম, হাইপোথাইরয়ডিজম, থাইরয়ডিটিস, থাইরয়েড নডিউল ইত্যাদি। বেশীরভাগ থাইরয়েডের সমস্যাই সারা জীবন থাকে। তবে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর সে জন্য কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। চলুন জেনে নেই সে কাজগুলো সম্পর্কে।

 ধূমপান

থাইরয়েডের রোগীদের জন্য ধূমপান করা এবং পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শ ক্ষতিকর। সিগারেটের ধোঁয়ায় সায়ানাইড থাকে যা অ্যান্টিথাইরয়েড এজেন্ট রূপে কাজ করে। এই যৌগটি সরাসরি আয়োডিন গ্রহণ এবং হরমোনের সংশ্লেষণে বাধা দেয়। এছাড়াও ধোঁয়ার অন্যান্য উপাদানও থাইরয়েডের কাজের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্তদের টোব্যাকো থেকে দূরে থাকা উচিত থাইরয়েডের লক্ষণের বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য।

স্ট্রেস

থাইরয়েডের রোগীদের জন্য স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। বস্তুত অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে থাইরয়েডের সমস্যা বৃদ্ধি বা প্রকাশিত হতে পারে। স্ট্রেসে ভুগলে শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয় যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করে।

সকালে কফির সাথে থাইরক্সিন ট্যাবলেট গ্রহণ করা

থাইরক্সিন ট্যাবলেট সকালে খালি পেটে গ্রহণ করলে ভালোভাবে শোষিত হয়। সকালের টিফিন খাবার ৩০-৬০ মিনিট আগে থাইরক্সিন ট্যাবলেট সেবন করুন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘন্টা আগে গ্রহণ করতে পারেন এই ঔষধ। মনে রাখবেন ফাইবারযুক্ত ও দুধের তৈরি খাবারের সাথে, প্রোবায়োটিকের সাথে, ক্যালসিয়াম ফরটিফায়েড ফ্রুট জুস, ক্যালসিয়াম, আয়রন বা অন্য কোন খনিজের সাপ্লিমেন্ট এবং কফির মত পানীয়ের সাথে থাইরেডের ঔষধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। সবচেয়ে ভালো উপায়টি হচ্ছে ১ গ্লাস জলের সাথে এই ঔষধ গ্রহণ করা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।

ঔষধ গ্রহণে অবহেলা এবং নিয়মিত চেকআপ না করা

থাইরয়েডের সমস্যা নিরাময়ের জন্য নিয়মিত ঔষধ সেবন করা জরুরী। ভালো অনুভব করলেও নিজে নিজে ঔষধ গ্রহণ করা বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। নিজে নিজে ভুল মাত্রার ঔষধ গ্রহণ করাও থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH) ব্লাড টেস্ট নামক রক্ত পরীক্ষাটি বছরে ১/২ বার করানো উচিত।

 সয়া খাদ্য

যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজির মত সয়া খাদ্য খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সয়া পণ্যে ফাইটোইস্ট্রোজেন এবং গয়ট্রোজেনিক উপাদান থাকে যা থাইরয়েডের কাজে এবং থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের শোষণে হস্তক্ষেপ করে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা আছে যাদের তাদের সয়া সাপ্লিমেন্ট, জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড সয়া খাদ্য, সয়া চিজ, সয়াবিন তেল, সয়া আইসক্রিম এবং সয়া বার্গার খাওয়া উচিত নয়।

 কাঁচা ক্রুসিফেরি সবজি খাওয়া

অতিরিক্ত কাঁচা ক্রুসিফেরি সবজি খাওয়া থাইরয়েডের রোগীদের জন্য খারাপ, বিশেষ করে যাদের আয়োডিনের ঘাটতি আছে তাদের ক্ষেত্রে। এ ধরণের সবজিগুলোতে গ্লুকোসায়ানোলেডস নামক যৌগ থাকে যা থাইরয়েড হরমোন সংশ্লেষণে হস্তক্ষেপ করে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, পালংশাক, এবং মিষ্টি আলু এ ধরণের কয়েকটি সবজি যা কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী থাইরয়েডের রোগীদের।

 অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট

চর্বিযুক্ত রেড মিট, প্রোসেসড ফুড, দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। মাছ, ফল, সবজি, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া শুরু করুন। ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

দুধ

থাইর‍য়েডের সমস্যা থাকলে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে স্কিমড দুধ খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর এবং সহজে হজম হয়ে যায়। ফুল ফ্যাট দুধের সাথে সাথে দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ, আইসক্রিম, দই ইত্যাদি খাবার খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

চিনিযুক্ত খাবার

হাইপোথাইরয়েডিজম শরীরের মেটাবলিজমকে স্লো করে দিয়ে থাকে। তাই এইসময় দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। এইসময় খাবার গ্রহণে একটু বেশি সচেতন হতে হয়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে চিনিযুক্ত সকল খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিন।

সমৃদ্ধ শস্য

সমৃদ্ধ ময়দা অথবা ময়দা জাতীয় খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। এতে উচ্চ গ্লাইসেমিক উপাদান আছে যা রক্তে হরমোনের স্তর বৃদ্ধি করে থাকে। থাইরয়েড সমস্যায় লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

The post দেখে নিন থাইরয়েডের রোগীদের যা কখনোই করা উচিত নয় appeared first on Chalo Kolkata.

স্বচ্ছ ভারত অভিযান – Swachh Bharat Abhiyan Essay in Bengali

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। ২০১৯ সালে যখন ভারত মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উৎযাপন করবে, তখন স্বচ্ছ ভারতই হবে তাঁর প্রতি আমাদের সেরা শ্রদ্ধার্ঘ্য”। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর নতুন দিল্লির রাজঘাটে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একথা বলেন। এই অভিযান সারা দেশের সর্বত্র জাতীয় আন্দোলন হিসেবে সূচনা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতার এই গণআন্দোলনের নেতৃত্বে দিতে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ভারতের যে স্বপ্ন গান্ধীজী দেখেছিলেন, তা পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং দিল্লির মন্দির মার্গ থানা এলাকায় এই কর্মসূচির সূচনা করেন। আবর্জনা পরিস্কার করতে হাতে ঝাড়ু তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে এক গণআন্দোলনে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন – “নোংরা করবেন না, করতে দেবেন না”। তিনি মন্ত্রের মতো উচ্চারণ করেন – “না গন্দগি করেঙ্গে, না করনে দেঙ্গে’। শ্রী মোদী, ৯ জন নাগরিককে এই পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এঁদের প্রত্যেককে এই আন্দোলনে আরও ৯ জন করে সামিল করানোর জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।

এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের অনুরোধ স্বচ্ছতা অভিযান এক জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত আন্দোলনের মাধ্যমে দেশবাসীর মধ্যে এক ধরনের দায়িত্ববোধের সঞ্চার হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে নাগরিকরা পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করায় ‘পরিচ্ছন্ন ভারত’-এর যে স্বপ্ন মহাত্মা গান্ধী দেখেছিলেন তা সফল হতে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভারতের বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছেন। স্বচ্ছতার এই উদ্যোগকে তিনি বারাণসী পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। পরিচ্ছন্ন ভারত মিশনে তিনি বারাণসীর গঙ্গার অসিঘাটে কোদাল হাতে নেমেছিলেন। বিরাট সংখ্যায় স্থানীয় মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে স্বচ্ছতা অভিযানে সহযোগিতা করেন। পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী, ভারতীয় পরিবারগুলির বাড়িতে শৌচাগারের অভাবজনিত স্বাস্থ্য সমস্যাটিও একই সঙ্গে তুলে ধরেন।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ পরিচ্ছন্নতার গণআন্দোলনে এগিয়ে এসে যুক্ত হয়েছেন। এই মহান উদ্যোগে সরকারি কর্মকর্তা থেকে জওয়ান, বলিউডের অভিনেতা থেকে ক্রীড়াবিদ, শিল্পপতি থেকে ধর্মীয় নেতা সকলেই যুক্ত হয়েছেন। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ দিনের পর দিন বিভিন্ন সরকারি বিভাগ, অসরকারি সংগঠন এবং স্থানীয় গোষ্ঠীগুলি কেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন। সারা দেশ জুড়ে ঘন ঘন পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে প্রচার কর্মসূচিতে নাটক ও সঙ্গীতের মাধ্যমে ব্যাপক ভিত্তিতে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রচার সংগঠিত হচ্ছে।

বলিউডের খ্যাতনামা চিত্রতারকা থেকে শুরু করে টেলিভিশনের অভিনেতারা এগিয়ে এসে এই পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, কৈলাশ খের, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা এবং ‘সব’ টিভির জনপ্রিয় শো ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’র সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কর্মী স্বচ্ছ ভারত অভিযানে হাত লাগিয়েছেন। শচীন তেন্ডুলকর, সানিয়া মির্জা, সাইনা নেহওয়াল এবং মেরীকমের মতো বহু বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অবদান বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মাসিক বেতার ভাষণ ‘মন কী বাত’-এও স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে সফল করতে বারে বারে সারা দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের হার্দা জেলার একদল সরকারি কর্মী পরিচ্ছন্ন ভারতের লক্ষ্যে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে তার প্রশংসা করেছেন। ব্যাঙ্গালোরের নিউ হোরাইজন স্কুলের ৫ জন ছাত্র যেভাবে বর্জ্য পদার্থ কেনা-বেচার জন্য মোবাইল-ভিত্তিক অ্যাপ তৈরি করেছে তারও প্রশংসা করেছেন।

আই সি আই সি আই ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, জামশেদপুরের এক্স এল আর আই এবং আই আই এম – ব্যাঙ্গালোরের গণপরিচ্ছন্নতা উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা প্রসারের কাজ করেছে। শ্রী নরেন্দ্র মোদী সর্ব্দাঈ মুক্তকন্ঠে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই উদ্যোগে মানুষের অংশগ্রহণকে প্রশংসা করেছেন। বারাণসীতে ‘মিশন প্রভুঘাট’ নামে পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালানোর জন্য তেমসুতুলা ইমসং, দায়শিকা শাহ্‌ এবং একদল স্বেচ্ছাসেবীর কাজের প্রশংসা করেছেন।

সারা দেশে নাগরিকরা যেসব পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন, তা তুলে ধরতে, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসেবে #MycleanIndiaনামে একটি পোর্টালও চালু করা হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান জনগণের বিপুল সমর্থনে এক ‘জনআন্দোলন’-এ পরিণত হয়েছে। নাগরিকরাও পরিচ্ছন্ন ভারতের শপথে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিরাট সংখ্যায় এই অভিযানে যুক্ত হয়েছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচির সূচনা হওয়ার পর ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিস্কার, আবর্জনা পরিষ্কার, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি নজর এবং নির্মল পরিবেশ বজায় রাখার কাজ যেন মানুষের সাধারণ রুটিনে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ এই কাজে অংশ নিচ্ছেন এবং ‘পরিচ্ছন্নতাই পবিত্রতা’র বার্তা ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসছেন।

পুর এলাকায়, স্বচ্ছ ভারত অভিযানে ব্যক্তিগত শৌচাগার, গোষ্ঠী শৌচাগার নির্মাণ ও কঠিন বর্জ্য পরিচালন ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে আবার মানুষের ব্যবহারিক আচরণ বদলানোর লক্ষ্যে মুখোমুখী কথাবার্তার মাধ্যমে মানুষকে বোঝানোর কাজ চলছে। এছাড়া, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত প্রকল্প রূপায়ণ ও পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়ে …… রাজ্যগুলিকে স্থানীয় সংস্কৃতি, প্রথা, চাহিদা ও দাবিদাওয়ার কথা মাথায় রেখে নিজস্ব ধরনের পরিষেবা প্রদান ব্যবস্থা তৈরি করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। শৌচাগার নির্মাণের জন্য উৎসাহ প্রদান বাবদ অর্থ সাহায্যের পরিমাণ ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কঠিন ও তরল বর্জ্য পরিচালনের জন্যও অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।

শেষ কথা 

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ঘোষণা করেন এবং ঐ বছর ২রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এই দিন নূতন দিল্লির রাজঘাট সমাধি পরিসরে আয়োজিত একটি জনসভায় তাঁর ভাষণে তিনি দেশের জনগণকে এই প্রকল্পে সামিল হওয়ার জন্য আবেদন করেন। পরে সেই দিনই তিনি মন্দির মার্গ পুলিশ স্টেশনের একটি গাড়ী রাখার স্থান এবং কনট প্লেসের নিকটে বাল্মীকি বস্তি পরিষ্কার করার কাজে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়প্রতি ভারতীয়কে বছরে একশত ঘন্টা এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় করার অনুরোধ জানান।

The post স্বচ্ছ ভারত অভিযান – Swachh Bharat Abhiyan Essay in Bengali appeared first on Chalo Kolkata.

চুল পড়া কমাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমাদের সর্দি কাশি সবার কম বেশি হয়েই থাকে সেটা নিয়াই কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমাদের এই সর্দি কাশি ১২ মাস লেগে থাকলেও শীতকালে এর প্রভাব বেশি। আজ আমরা জানবো যে কিভাবে আমাদের ঘরোয়া বেশ কিছু মজার উপায়ে খুসখুসে কাশির সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। আজ আমরা জন্য যে – খুসখুসে কাশি হবার কারণ, কাশি ভালো না হওয়ার কারণ, , কাশির ট্যাবলেট, শুষ্ক কাশির ঔষধ, শুকনো কাশির ঔষধ, কাশির জন্য এন্টিবায়োটিক, শুকনো কাশির সিরাপের নাম, ইত্যাদি ইত্যাদি। 

চুল পড়া ছেলেমেয়ে উভয়েরই রোজকার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত এই সমস্যাই ভুগছি। চুল পড়া রোধে দামি দামি ওষুধ ও প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কিছুতেও কিছু হয় না। তবে চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কারণ ভেদেই মূলত চুল পড়া সমস্যার সমাধান করাটাই ভালো। তবে পেয়ারা পাতার ব্যবহারে আপনি পেতে পারেন জাদুকরী সমাধান।

চুল পড়ে যাচ্ছে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আরও বেশি চুল পড়ে। এ সমস্যা রোধে নানা প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহারের কথা শোনা যায়। তবে পেয়ারা পাতা ব্যবহারের বিষয়টি খুব একটি প্রচলিত নয়। কিন্তু এটি বেশ কার্যকরী। কয়েক শো বছর ধরে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে চুল ওঠার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা হয়।

পেয়ারা ফলের মতো এর পাতাতেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি ও সি। এই ভিটামিন দুটি কোলাজেনের সক্রিয়তা বাড়ায়। চুল গজানোর জন্য কোলাজেন সক্রিয় হওয়া খুব জরুরি। এছাড়া পেয়ারা পাতায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জীবাণুনাশক রাসায়নিক রয়েছে, যা মাথার স্ক্যাল্প সুস্থ রাখে। এতে থাকে লাইকোপেন, যা সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে।

এক গ্লাস জলে বেশ কয়েকটা পেয়ারা পাতা দিয়ে অন্তত ২০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে তাতে এই জল লাগিয়ে নিন।

চুলের গোড়ায় লাগাতে ভুলবেন না‌। দুই ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা ধুয়ে ফেলুন।

পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে যা মাথার তালু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনকি এটি মাথার খুশকি হওয়া রোধ করে। ভিটামিন সি মাথার তালুতে ফলিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রেখে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

উপকরণ :-

১। এক মুঠো পেয়ারা পাতা

২। ১ লিটার জল

যেভাবে তৈরি করবেন:-

১। একটি পাত্রে জল জ্বাল দিতে দিন। জল ফুটে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

২। ফুটে এলে এতে পেয়ারা পাতা দিয়ে দিন।

৩। পেয়ারা পাতা দিয়ে ২০ মিনিট জ্বাল দিন।

৪। ২০ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন:-

১। প্রথমে চুল ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন; তবে কন্ডিশনার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

২। চুল কিছুটা শুকিয়ে এলে চুল বেণী করে তারপর পেয়ারা পাতার জল ঢালুন।

৩। জলটা মাথার তালুতে কমপক্ষে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন এবং ২ ঘণ্টা রেখে তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতদিন পর পর ব্যবহার করবেন:-

চুল পড়া বন্ধ করবে যদি চুল পড়া সমস্যা অনেক বেশি থাকে তবে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন এটি চুল পড়া বন্ধ করবে । আর যদি চুল শাইনি সিল্কি করে তুলতে চান তবে সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন।

পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম। এ ছাড়া পেয়ারা পাতায় রয়েছে কিছু অসাধারণ স্বাস্থকর গুণ।

1. পেয়ারা পাতার চা বানিয়ে নিয়মিত খেলে এটি রক্তের বাজে কোলেস্ট্রলের মাত্রা অনেক কমিয়ে দেয়। পেয়ারার পাতা রক্তে ভালো কোলেস্টলের মাত্রা ও বাড়ায়।

2. পেয়ারা পাতার চায়ের মধ্যে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি কমাতে কাজ করে থাকে।

3. কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতেও পেয়ারা পাতার চা খুব কার্যকরি।

4. পেয়ারা পাতার চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমাতে কাজ করে এবং পেট ভরা ভরা রাখে। ফলে ওজন কমে যায়।

5. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পেয়ারার চা পান করা ভালো। এটি রক্তে কোলেস্টলের মাত্রা কমাতে কাজ করে।

6. পেয়ারা পাতা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এ পাতা রক্তকে অতিরিক্ত ঘন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং রক্ত চলাচল সচল রাখে।

7. পেয়ারা পাতা জলে ফুটান। এর পর ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে জলে চুলে মাসাজ করুন। এতে চুল পড়া কমবে।

8. পেয়ারা পাতা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করে। এ পাতায় অনেক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক শক্তি আছে। যা অন্ত্রকে ক্ষারীয় করে জীবানু বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। এ পাতা অতিরিক্ত মিউকাস ক্ষরণ রোধ করে। তাই ডাইরিয়া বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করতে এটি খুবই উপকারি।

9. পেয়ারা পাতা ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে। এ পাতায় প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট লাইকোফেন থাকে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। স্তন ক্যান্সার, জরায়ু মুখের ক্যান্সারে এ পাতা খুবই কার্যকর।

10. পেয়ারা পাতা সর্দি-কাশি নিরাময় করে থাকে। এ পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও আয়রন। যা বেশি মিউকাস ক্ষরনে বাধা দিয়ে থাকে। এটি জীবানুর বংশ বৃদ্ধি রোধ করতেও সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাচা পেয়ারা অনেক বেশি উপকারি।

11. পেয়ারা পাতা অ্যালার্জির পাশ্বপ্রতিক্রিয়া রোধক হিসেবে কাজ করে। এ পাতা দেহে হিস্টামিন তৈরি প্রক্রিয়া নিরাময় করে থাকে। পোকা মাকড়ের কামড়ে ফুলে গেলেও পেয়ারা পাতার ব্যবহার খুবই উপকারি।

12. পেয়ারা পাতা ব্রন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এ পাতায় থাকা ভিটামিন সি ব্রন কমাতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। এ পাতার সঠিক ব্যবহার মুখের কালো দাগও দূর করে থাকে।

The post চুল পড়া কমাতে পেয়ারা পাতার ব্যবহার appeared first on Chalo Kolkata.

জেনে নিন গ্রহ দোষ কাটাতে কি ধারণ করবেন

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। মানব জীবনে বাধা কাটাতে জ্যোতিষীরা রত্ন ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু রত্ন ধারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সময়কাল এবং নিয়মাবলী অবলম্বন করা জরুরি। তা না হলে রত্ন ধারণে উপযুক্ত ফল মেলে না। যেমন, কোন রত্ন কোন আঙুলে ধরণ করলে উপযুক্ত ফল মিলবে, এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী বা নির্দেশ রয়েছে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোন রত্ন কোন আঙুলে ধরণ করলে উপযুক্ত ফল মিলবে, এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে।আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…

দুই হাতের আটটি আঙুলেই গ্রহরত্ন ধারণ করা যায়, একমাত্র বৃদ্ধাঙ্গুল বাদে। প্রত্যেকটি আঙুলের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে যোগসূত্র আছে বিভিন্ন নার্ভের দ্বারা। তাই আঙুলে রত্ন ধারণ করলে সবচেয়ে বেশি কাজ দেয়

আমাদের জীবন নানা সমস্যায় ভরা। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। মানব জীবনে বাধা কাটাতে জ্যোতিষীরা রত্ন ধারণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু রত্ন ধারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সময়কাল এবং নিয়মাবলী অবলম্বন করা জরুরি। তা না হলে রত্ন ধারণে উপযুক্ত ফল মেলে না। যেমন, কোন রত্ন কোন আঙুলে ধরণ করলে উপযুক্ত ফল মিলবে, এ বিষয়ে জ্যোতিষশাস্ত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী বা নির্দেশ রয়েছে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

1. রবি

রবির রত্ন অনামিকাতে বা তর্জনীতে ধারণীয়।.

2. চন্দ্র

অনামিকা বা কনিষ্ঠাতে ধারণ করবেন।

3. মঙ্গল

অনামিকা বা তর্জনীতে ধারণ করবেন।

4. বুধ

কনিষ্ঠা বা মধ্যমাতে ধারণ করবেন।

5. বৃহস্পতি

তর্জনী বা অনামিকাতে ধারণ করবেন।

6. শুক্র

কনিষ্ঠ বা মধ্যমাতে ধারণ করবেন।

7. শনি

মধ্যমাতে ধারণ করবেন।

8. নীলা

মধ্যমা আঙ্গুলে ধারণ করবেন।

9. হীরা

কনিষ্ঠা বা অনামিকায় ধারণ করবেন।

10. চুনি

অনামিকা বা তর্জনীতে।

11. পাণ্ণা

কনিষ্ঠা বা অনামিকায় ধারণ করবেন।

12. পোখরাজ

তর্জনী বা অনামিকায়।

13. মুনস্টোন

অনামিকায় ধারণ করবেন।

14. প্রবাল

তর্জনী বা অনামিকায়।

15.` মুক্তা

অনামিকা বা কনিষ্ঠায়।

তর্জনী

তর্জনীর সঙ্গে যোগসূত্র আছে রেসপিরেটরি সিস্টেম ও স্টম্যাকের।

মধ্যমা

মধ্যমার সঙ্গে যোগসূত্র আছে অন্ত্র বা ইনটেস্টাইন, মাইণ্ড বা ব্রেনের।

অনামিকা

অনামিকার সঙ্গে যোগসূত্র আছে হার্ট, কিডনি, স্টম্যাক, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম, ব্লাড সার্কুলেশন, রিপ্রোডাক্টিভ অর্গান (একটি বিশেষ নার্ভ যার নাম ভেনা এমোরিস। এর সঙ্গে অনামিকা আঙুল ও হার্টের যোগসূত্র আছে তাই বিয়েতে এনগেজমেন্ট রিং বা ইটারনিটি রিং এই আঙুলেই পড়ানো হয়, এই নার্ভের পোশাকি নাম ভেইন অফ লাভ)।

কনিষ্ঠা

কনিষ্ঠার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে প্রাইভেট পার্টস, লেগস, এবং শরীরের নিম্নাংশের।

কোন রত্ন কোন আঙুলেঃ-

তর্জনী

তর্জনীতে ধারণ করা উচিত ইয়োলো স্যাফায়ার, টোপাজ, মুনস্টোন, হোয়াইট পার্ল ইত্যাদি।

মধ্যমা

মধ্যমায় ধারণ করা উচিত নীলা, হীরা, গোমেদ ইত্যাদি।

অনামিকা

অনামিকায় ধারণ করা উচিত চুনী, লাল পলা, ক্যাটস আই ইত্যাদি।

কনিষ্ঠা

কনিষ্ঠায় ধারণ করা উচিত ক্যাটস আই, পাণ্ণা, হীরা ইত্যাদি।

শেষ কথা 

আঙুলে রত্ন ধারণ সম্ভব না হলে তা বাহুতে বা গলায় ধারণ করা যায় তবে তার এফেক্ট খুব কম হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আঙুল পরিবর্তন করা যায়। আবারবিশেষ কিছু রত্ন ডান হাতের আঙুলে আবার বিশেষ কিছু রত্ন বাঁ হাতের আঙুলে ধারণ করতে হয়। যেটাই করবেন না কোনো একটু জেনে নিয়ে করলে আয়নার ভালো হবে। নিজে থেকে হুট্ করে পাকামি করে  পাল্টাতে যাবেন না এতে ক্ষতি হতে পারে।

The post জেনে নিন গ্রহ দোষ কাটাতে কি ধারণ করবেন appeared first on Chalo Kolkata.

বাংলা ধাঁধা ও প্রশ্ন ও উত্তর

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ কিছু চমৎকার ধাঁধা ও তার উত্তর আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। এর সাহায্যে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে মজা ও খেলতে পারবেন।

 উড়তে পাখি উনুর ঝুনুর বসতে পাখি ধন্দা আহার করতে যায় পাখি হাত থাকে তার বান্ধা।

উত্তরঃ জাল।

 হাতে আছে, হাতে নাই হাত বাড়ালে পাবি কই।

উত্তরঃ কনুই।

 চাই নাকো তবু খাই বেশি খেলে মারা যাই।

উত্তরঃ পিটুনি।

 দুই অক্ষরের নাম যার প্রসিদ্ধ একটি গাছ নামটি উল্টে দিলে পুঁতি চারাগাছ।

উত্তরঃ বটগাছ।

 সকলের শিরে ধরে নাহি ধরে কেশে হাত নাই, পা নাই বলো ধরে কে সে?

উত্তরঃ মাথাধরা।

 সবকিছুই সে পাড়ি দিয়ে যায় নদীর পাড়ে গেলে অমনি থেমে যায়।

উত্তরঃ রাস্তা।

গায়েতে কন্টকাবৃত সজারু সে নয় মানুষে পেলে গন্ধ তখনি ছেদ হয়।

উত্তরঃ কাঠাল।

 আহার্য নয় তবু খায় সর্বজন, অনিচ্ছাতে বাধ্য হয়, করিতে ভক্ষণ।

উত্তরঃ আছাড়।

 জলে রই স্থলে রই জল বিনা কিছু নয়।

উত্তরঃ বরফ।

 লাল বরণ, ছয় চরণ, পেট কাটলে হাঁটে, মূর্খ লোকে বলবে কিসে পন্ডিতের শির ফাটে।

উত্তরঃ ডাস পিঁপড়া।

 তিন বীর রারো শির বত্রিশ লোচন, ভূমিতে পড়িয়া বীর করে মহারণ।

উত্তরঃ পাশার ঘুঁটি

 ভন্ ভন্ করে তবু ভোমরা নয় গলায় পৈতা তার বামুন তবু যে নয়।

উত্তরঃ।

 কাঁটা ভরা অঙ্গ তার, সুদীর্ঘ আকার প্রাণ আছে, শিরে কেশের সম্ভার জিহবার আগে মধু, বিন্দু বিন্দু ঝরে জুড়ায় রসনাখানি, পান করে তারে।

উত্তরঃ খেঁজুর গাছ।

 একটুখানি ঘরে চুনকাম করে

উত্তরঃ ডিম।

 ভয়ঙ্কর পথিক সে সকলে যে ডরায় খানিক পরে কাঁদিয়া সাগর সে ভাসায়।

উত্তরঃ বৃষ্টি।

 একটুখানি পুষ্পরিনী টলমল করে, একটুখানি কুটা পাড়লে সর্বনাশ করে।

উত্তরঃ চোখ।

 আাঁধার পুকুর, গড়ান মাঠ, বত্রিশ কলাগাছ, একখানি পাট।

উত্তরঃ দাঁত ও জিহবা।

 ছোট ছোট গাছখানি তার কত ফল ধরে একটা যদি খায় তবে আহা-উহু করে।

উত্তরঃ বোম্বাই মরিচ।

 আমারও নাই, তোমারও নাই, আমরা কে তা বোঝ নাই

উত্তরঃ মানুষ।

 হাত পা তার ইটের সমান অতি পুরু ছাল, পেটে দিলে তাকে বাড়ে অনেক মান

উত্তরঃ গম গাছ।

 এই পাড়ে খাগড়া ওই পাড়ে খাগড়া কখনও মিলেমিশে কখনও বা ঝগড়া

উত্তরঃ চোখের পাতা।

The post বাংলা ধাঁধা ও প্রশ্ন ও উত্তর appeared first on Chalo Kolkata.

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ – Covid19, Coronavirus

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা বর্তমানে আমাদের জীবনে করোনা ভাইরাস একটা দৈনন্দিন জীবনের একটা অংশ হয়ে আছে।  আর এই অংশটা কতদিন থাকবে সেটা এই মুহূর্তে কেউ বলতে পারবে না

১লা জুন, ২০২০ থেকে আমাদের শুরু করতে হবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, এ যুদ্ধে জিততে হলে, ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত আমাদের নিজেদের শরিরেই করোনা এন্টিবডি তৈরী করতে হবে। তাই সবাই প্রস্তত হই শারিরীক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবে!

Covid19 পজিটিভ হলে যা জানা জরুরিঃ-

1. ভিটামিন সি (যথাসম্ভব)
2. ভিটামিন ই (ট্যাবলেট পাওয়া যায়)
3. প্রতিদিন সকাল ১১টার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহানো.
4. কমপক্ষে একটি করে ডিম প্রতিদিন।
5. প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম।
6. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান এবং প্রতি বেলায় গরম খাবার খাওয়া.
এই কাজ গুলোই হাসপাতালে করা হয়।

করোনা ভাইরাসের দেহের pH এর মান 5.5 থেকে 8.5 তাই এর চেয়ে বেশি pH level এর খাবার গ্রহনের মাধ্যমে আমরা এর রাসায়নিক গঠন ভেংগে দিতে পারি।

5.5 থেকে 8.5 এর থেকে বেশি pH level এর কিছু খাবার হল :
লেবু – 9.9 pH

পাতিলেবু – 8.2 pH

এভোকাডো – 15.6 pH

রসুন– 13.2 pH *

আম- 8.7pH

ছোট কমলা – 8.5pH

আনারস- 12.7 pH

কমলালেবু – 9.2 pH

তারই সাথে জিংক ট্যাবলেট খেতে পারি। এর বাহিরেও চীন যে ভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করেছে তাও নেওয়া যেতে পারে।

চীনের প্রতিটি বাড়িতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রুগী আছে।কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা এই ভাইরাস এর জন্য কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না।তারা এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।এর পরিবর্তে তারা গরম জলের ভাপ দিয়ে ভাইরাসকে বিনাশ করছেন।এর জন্য তারা মাত্র ৩টি কাজ করছেন।
সেগুলো হলোঃ

1. তারা দিনে চারবার কেটলি থেকে গরম জলের ভাপ নিচ্ছেন।

2. দিনে চারবার গরম জল দিয়ে গারগেল করছেন।

3. আর দিনে চারবার গরম চা পান করছেন। এভাবে টানা চারদিন এই ৩টি কাজ করেই ভাইরাসটিকে দমন করছেন তারা। এভাবেই পঞ্চম দিনে হচ্ছেন করোনা নেগেটিভ।

আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত?

1. গলা চুলকাবে
2. গলা শুকিয়ে আসবে
3. শুকনা কাশি হবে
4. তীব্র জ্বর
5. শ্বাস ছোট হয়ে আসবে
6. গন্ধ ও স্বাদের অনুভুতি চলে যাবে

তাই এই লক্ষনগুলো দেখার সাথে সাথে গরম জল ও লেবুর রস খেতে শুরু করুন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শেয়ার করুন আপনি জানুন, অন্যকে জানতে সহায়তা করুন।

এই মহামারীর মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী সহ নাগরিকদের কাছে সাতটি বিষয়ে সঙ্গ প্রার্থনা করেন—-

প্রথমত : বাড়িতে বয়স্ক মানুষদের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে, এমন ব্যক্তি, যাঁদের পুরনো রোগ আছে, তাঁদের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল হতে হবে। তাঁদের করোনা থেকে অনেক সামলে রাখতে হবে।

দ্বিতীয়ত : লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের ‘লক্ষ্মণ রেখা’ সম্পূর্ণ রূপে পালন করতে হবে, বাড়িতে তৈরি ফেস কভার বা মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

তৃতীয়ত : নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশাবলী পালন করা উচিৎ।

চতুর্থত : করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতে আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ অবশ্যই ডাউনলোড করা দরকার। অন্যদেরও এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে উৎসাহিত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পঞ্চমত : যতটা সম্ভব প্রতিবেশী গরিব পরিবারগুলির দেখাশোনা করতে হবে । তাঁদের খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করা প্রয়োজন ।

ষষ্ঠত : যাঁদের যাঁদের নিজেদের ব্যবসা আছে বা যারা শিল্পোদ্যোগী,তাঁরা, তাঁদের সংস্থার কর্মরত মানুষদের প্রতি সংবেদনশীল হন, কাউকে চাকরি থেকে বের করে দেবেন না। যাতে এই সব মানুষদের জীবিকা সঙ্কট না হয়।

সপ্তমত : দেশের ‘করোনা যোদ্ধা’, আমাদের চিকিৎসক, নার্স, সাফাই কর্মী ও পুলিশ কর্মীদের যথাযোগ্য সম্মান দিতে হবে।

শেষ কথা 

শেষ কথা বলতে কবিড এর কোনো শেষ কথা নেই। ভালো থাকতে হলে আপনাকে শুরু করতে হবে এখুনি। হয়তো আপনি ঠিক আছেন, বা হয়তো আপনি মনে করছেন যে আপনার তেমন কিছু হবে না অর্থাৎ আপনি নিশ্চিত হয়তো যে আপনি করোনা আক্রান্ত হবেন না, কারণ আপনি তেমন কোনোরকম সঙ্গ বা কারোর সাথে মেলা মেশা করেন না বা আপনি একদমই বাইরে যান না তাই আপনার এইরকম ধারণা। কিন্তু আমি আপনাকে বলবো যে পুরোপুরি না হলেও ধারণাটা আপনার ভুল। কোথায় কিভাবে একটা ছোট্ট জিনিস থেকে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন সেটা একমাত্র ভগবান ছাড়া কেউ আমরা বলতে পারবো না। সুতরাং একটাই কথা বলবো যে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুরতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে হবে। মুখে মাস্ক যেটা এখন অত্যন্ত জরুরি সেটা ব্যাবহার করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলতে হবে। বাইরে থেকে আসার পর সেই জামাকাপড় ধুয়ে দিতে হবে। জামা কাপড় সূর্যের তাপ এ সকালে হবে। এইগুলো এখন  আপনাকে মেনে চলতে হবে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য। আপনি এই যুদ্ধে জয়ী হবেন এটাই আমাদের কাম্য। ভালো থাকবেন।

The post করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ – Covid19, Coronavirus appeared first on Chalo Kolkata.

থাইরয়েড সমস্যা সমাধান,কারণ ও করণীয়

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের থাইরয়েডের সমস্যা কারন এবং করণীয় এই ব্যাপারে জানাবো। এর আগেও অনেক লেখা আছে আমাদের ব্লগ এ।

থাইরয়েড আসলে কী

এটি একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। এটি থেকে টি থ্রি এবং টি ফোর নামে দু’টি হরমোন ক্ষরণ হয়। শরীরের মেটাবলিজ়মকে নিয়ন্ত্রণ করা এর কাজ। এই হরমোনের নিঃসরণের হার কম-বেশি হলেই নানা সমস্যা দেখা যায়।

থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলো হল-

1. হাইপোথাইরয়েডিজম বা অপর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ। ভারতীয় পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যার মধ্যে এটা প্রায়শই দেখা দেয়।

2. হাইপারথাইরয়েডিজম বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ।

3. থাইরয়েড ক্যানসার।

4. গয়টার বা গলগন্ড (থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া)।

এগুলোর মধ্যে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণের ভারসাম্যহীনতাজনিত সমস্যা (হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইপোথাইরয়েডিজম) অধিকাংশ সময়ে বিশেষত মহিলাদের মধ্যেই দেখা দেয়।

থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে মানুষ মানসিক দিক থেকে খুব বিষণ্ণ থাকে। এর সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা যেমন- অবসাদ ও উদ্বেগের মিল রয়েছে। তাই যেকোনও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা নির্ধারণের সময়ে প্রথমে থাইরয়েডের সমস্যার বিষয়ে জেনে নেওয়া জরুরি।

 

সমস্যার ধরন

থাইরয়েডের কার্যকারণজনিত সমস্যা দু’রকমের— হাইপোথাইরয়েডিজ়ম ও হাইপারথাইরয়েডিজ়ম। থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার উৎপত্তি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অটোইমিউনজনিত কারণ। আবার এর গঠনগত সমস্যাও হতে পারে, যেখানে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ফুলে যায়, অথচ হরমোনের ক্ষরণ ঠিকঠাক হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, গঠনগত সমস্যার মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রেই থাইরয়েড ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

হাইপোথাইরয়েডিজম

পর্যাপ্ত পরিমাণ হরমোন যদি গ্ল্যান্ড থেকে উৎপন্ন না হয়ে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, তাকে হাইপোথাইরয়েডিজ়ম বলে। হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, মানসিক অবসাদ, ক্লান্তিবোধ, গলার স্বর ভারী হওয়া, ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব বোধ, পা ফোলা, রুক্ষ ত্বক, চুল পড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এর প্রধান লক্ষণ। তবে লক্ষণগুলো থাইরয়েডের জন্যই কি না, সেটা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে সময় লেগে যায়। আবার পরিবারে কারও থাইরয়েডজনিত অসুখ থাকলেও থাইরয়েড হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, গর্ভধারণের সমস্যার পিছনেও হরমোন দায়ী। যে কোনও বয়সের পুরুষ বা মহিলারই হাইপোথাইরয়েডিজ়ম হতে পারে।

সদ্যোজাত শিশুর থাইরয়েড গ্ল্যান্ড তৈরি না হলে আবার কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজ়ম দেখা যায়। ঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না হলে শিশুর বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশ হয় না। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ক্রেটিনিজ়ম বলা হয়। অনেক সময় আবার বাচ্চাদের পরিপূর্ণ শারীরিক বিকাশ না হওয়ার পিছনেও হাইপোথাইরয়েডিজ়ম দায়ী হয়।

হাইপারথাইরয়েডিজম

হাইপারথাইরয়েডিজ়ম হওয়ার কারণটা ঠিক উলটো। থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে অতিরিক্ত হরমোন উৎপন্ন হয়ে শরীরের স্বাভাবিক কাজে বাধা সৃষ্টি করে। বুক ধড়ফড় করা, অল্পে হাঁপিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়া, চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসা, হাত-পা কাঁপা, অতিরিক্ত গরম লাগা, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া এর লক্ষণ।

চিকিৎসা

হাইপো বা হাইপার— দু’ক্ষেত্রেই নিয়মিত ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। হাইপারথাইরয়েডিজ়মের ক্ষেত্রে ওষুধে কাজ না করলে সার্জারি বা রেডিয়ো অ্যাক্টিভ আয়োডিনথেরাপি করা হয়। এর হাত থেকে রক্ষার প্রধান উপায়ই হল লক্ষণ বুঝে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা। সাধারণত হাইপোথাইরয়েডিজ়মে টি থ্রি এবং টি ফোর কম হলে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের (টিএসএইচ) মাত্রা বেড়ে যায়। হাইপারে উলটো হয়। রক্তে টি থ্রি ও টি ফোরের মাত্রা বেড়ে যায় ও হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। হাইপোথাইরয়েডিজ়মে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সকালে খালি পেটে ওষুধ খাওয়া ভাল। ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে চা-কফি বা খাবার চলবে না। রক্ত পরীক্ষা না করিয়ে ওষুধের ডোজ় বদলানো উচিত নয়। প্রাথমিক ভাবে তিন মাস, তার পর ছ’মাস অন্তর রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। তবে হাইপারের সমস্যায় ঘন ঘন রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

থাইরয়েড ক্যানসার

হরমোনের গঠনগত সমস্যায় থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ফুলে যেতে পারে। তবে ফোলা মানেই ক্যানসার— এমন ভাবার কারণ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো গ্ল্যান্ডের ইউএসজি করে দেখা উচিত। প্রয়োজনে ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন সাইটোলজি করেও দেখা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ফুলে ওঠা অংশটির ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, নির্ধারণ করা সম্ভব। অনেকেই ক্যানসার হলে তা আরও ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে পরীক্ষাটি করতে দ্বিধা বোধ করেন। ধারণাটি ভুল। ঠিক সময়ে অসুখ ধরা পড়লে চিকিৎসায় তা সারিয়ে ফেলা সম্ভব।

থাইরয়েডের সমস্যার চিকিৎসা সম্ভব। তাই ভয় না পেয়ে সময় থাকতেই সচেতন হওয়া জরুরি।

সমস্যার মোকাবিলা- নিজের যত্ন নেওয়া

থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এমন এক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন এবং যথাযথ চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবহার। যদিও এই চিকিৎসা মানুষের মানসিক অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করলেও, চিকিৎসার পরেও তার মানসিক বিষণ্ণতা বজায় থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে তার করণীয় হল-

  • নিজের মেজাজ-মর্জির বদল সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে কথাবার্তা বলা
  • এবিষয়ে বিশ্বাসভাজন কারও সঙ্গে কথা বলা
  • শারীরিক কসরত বা যোগব্যায়াম করা
  • নিজের সহযোগী দলে যোগদান করা
  • একজন মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া

The post থাইরয়েড সমস্যা সমাধান,কারণ ও করণীয় appeared first on Chalo Kolkata.


দাঁতের ব্যাথা ও দাঁতের পোকা দূর করার উপায়

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমাদের জীবনে তো অনেক  সমস্যা আছে আর তার মধ্যে একটা অসহ্য করা সমস্যা যেতে এখন বহু মানুষ আছেন কষ্ট পাচ্ছেন বা পান। সত্যি কথা বলতে আমার বাবা (শ্রী বাসুদেব পাল ) এই নিয়ে অনেকটাই কষ্ট পেয়েছেন। রাত বিরেতে ব্যাথা করতো, চিৎকার করতো, মাঝ রাত ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে থাকতেন। সে যে কি কষ্ট চোখে দেখা যায় না।

কথাতেই আছে ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম কেউ বোঝেনা’. একথা কতটা সত্যি সেটা তারাই বোঝেন যারা দাঁত নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন বা পেয়েছেন। প্রতিদিন দাঁতের যত্ন নেওয়া অবশ্যই দরকার। যেমন, সকালে দাঁত ব্রাশ করা আর রাতে শুতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা খুবই দরকারি। কিন্তু অনেকেই এই নিয়ম মেনে চলেন না। তাই কষ্ট পান দাঁতের ব্যাথায়। আমি নিজেও আগে ব্রাশ করতাম না রাতে। ভাবতাম সকালে তো করি রাত এ করে কি আর হবে। না বন্ধুরা রাতেও ব্রাশ করা দরকার। ১ মাস করুন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

দাঁতে ব্যাথা হবার একটি খারাপ সময়ও আছে। সেটি হল রাতে ঘুমনোর সময়।  সারা রাত সেই অসহ্য ব্যাথা সহ্য করা ছাড়া কিছু করার থাকেনা। তারপর যখন শীতকাল আসবে তখন সবরকম ব্যাথার জন্য খুবই সাংঘাতিক। teeth painআর সেটা যদি হয় দাঁতের ব্যাথা তাহলে তো কোন কথাই নেই, মানে আপনি শেষ। না না শেষ মানে মারা যাবেন না। মানে এতটাই ব্যাথা করে যেটা সহ্য করা সম্ভব নয়।

তাহলে কি উপায়ে ঠিক করবেন দাঁতের ব্যাথা ?

উপায় আপনার ঘরেই পাবেন। এমন কিছু জিনিস যা আপনার ঘরেই আছে, তা আপনাকে দাঁতের ব্যাথা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি –

আদা

দাঁতে ব্যাথা থেকে নিমিষে আরাম দেয় আদা। এক টুকরো আদা নিয়ে ব্যাথা যুক্ত দাঁত দিয়ে চিবতে থাকুন। যে দাঁতে ব্যাথা তার ওপরে আর আশে পাশে আদার রস দিন। কিছুক্ষন পর অবশ্যই ব্যাথা থেকে আরাম পাবেন।

বেকিং সোডা

একটু তুলো জলে ভিজিয়ে রেখে তার ওপর খানিকটা বেকিং সোডা নিয়ে ব্যাথা দাঁতের ওপর দিয়ে রাখুন। তারপর এক গ্লাস গরম জলে বেকিং সোডা নিয়ে কুলকুচি করুন, ব্যাথা থেকে অবশ্যই আরাম পাবেন ।

পেঁয়াজ

এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে দাঁতের ফাঁকে দিয়ে রাখুন, নিশ্চয়ই উপকারে আসবে।

লঙ্কা

অবাক হচ্ছেন ? অবাক হওয়ার কিছু নেই। শুকনো লঙ্কা বা কাঁচা লঙ্কা পেস্ট তৈরি করে ব্যাথা দাঁতের উপর দিয়ে রাখুন। লঙ্কায় থাকা ক্যালসিয়াম ব্যাথা কমিয়ে দেবে।

লবঙ্গ

এই জিনিসটি সব বাড়িতেই থাকে। যখন দাঁতে ব্যাথা হবে তখন যে দাঁতটি ব্যাথা তার ওপরে একটি লবঙ্গ উলটো দিক দিয়ে চেপে ধরে থাকুন। অথবা দাঁতে লবঙ্গ তেল ব্যাবহার করতে পারেন। এর ফলে ব্যাথা থেকে সাময়িক মুক্তি পাবেন। তবে সাবধান, দু ফোঁটার বেশি তেল ব্যবহার করবেন না।

লবণ জল

এটি দাঁতে ব্যাথা কমানোর একটি সাধারণ উপায়। লবণ এমন একটি উপাদান যা প্রত্যেক ঘরেই থাকে। দাঁতে ব্যাথা হলে উষ্ণ গরম জলে একটু লবণ মিশিয়ে বারবার কুলকুচি করুন। এতে দাঁতের ব্যাথা কমবে আর মুখে থাকা জীবাণু নাশ হবে। এর সঙ্গে মাড়িতে রক্ত চলাচল হবে ফলে মাড়ির ব্যাথাও কমে আসবে।

রসুন

এক কোয়া রসুন থেঁতো করে বা তাতে একটু লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন, উপকার পাবেন।

দাঁতে পোকা হলে, তার থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার উপায় কী?

পুরোপুরি মুক্তি পেতে গেলে একজন ভাল দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একে তাকে উপায়ের সন্ধান জিজ্ঞেস করতে থাকলে হবে না পুরোপুরি মুক্তি। দাঁতে পোকা বলতে বাস্তবে কিছু নেই। কিন্তু দাঁতে পোকা বলতে মানুষ যা ভাবে তা হলো ব্যাকটেরিয়া। চিনিযুক্ত খাবারের সাথে ব্যাকটেরিয়া রিএকশন করে একধরনের এসিড তৈরী করে যা দাঁতের টিস্যুতে ক্ষয় সৃষ্টি করে যা ডেন্টাল ক্যারিজ নামে পরিচিত।

ডেন্টাল ক্যারিজ থেকে মুক্তির উপায়:-

1. চিনি জাতীয় খাবার কম খাবেন বা পরিহার করবেন।
2. সকালে নাস্তার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করবেন।
3. বছরে একবার ডেন্টাল চেকাপ করাবেন।

 

শেষ কথা 

দাঁত হল আমাদের সব চেয়ে সুখের একটা জিনিস, এই কথা কোনো বলছি তার কারণ যার দাঁত আছে সেই এই কথার মর্ম বুঝবে আর যার নেই সে কিচ্ছুই বুঝবে না, আর বুঝলেও আগের জীবনের সুখের কথ্য তার মনে পড়বে। বাংলায় একটা কথা আছে “দাঁত নাই যার পোড়া কপাল তার”। তাহলে বন্ধুরা যেটা যেটা লেখা আছে ওপরে সেটা ব্যাবহার করতে পারেন, আমি আশা করবো তাতে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে। আর না মিললে কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা ভালো কোনো একটা দাঁতের ডাক্তারে সাথে যোগাযোগ করতেই হবে। কোনো ছোট ব্যাপার হলেও সেটাকে ফেলে রাখবেন না। শেষে ভয়ানক পরিস্থিতির স্মুখীন হতে হবে আমি আগে থেকে বলে দিলাম। ভালো থাকবেন। দাঁতের যত্ন নিন।

The post দাঁতের ব্যাথা ও দাঁতের পোকা দূর করার উপায় appeared first on Chalo Kolkata.

মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে এলো শিবলিঙ্গ, সাথে সাপ

$
0
0

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় –

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ একটা দারুন ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যা শুনে আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন না। আপনি পুরোটা পড়বেন ঘটনাটা জানার জন্য।

শিলাবতী তীরবর্তী নদী তীরে গত কয়েকদিন ধরে সরকারের অনুমতি নিয়েই চলছে খনন কার্য। একদিন আকনা গ্রাম সংলগ্ন শিলাবতী নদীর এক স্থান থেকে জে.সি.বি মেশিন দিয়ে বালি তোলা হচ্ছিল। আর সেদিনই দুপুর নাগাদ সেই স্থান থেকে উঠে আসে একটি ছোট শিবলিঙ্গ। আবার তার পাশাপাশি স্থান থেকেও পাওয়া গেছে আরো দুটি শিবলিঙ্গ।

এই শিবলিঙ্গগুলির প্রতিটির উচ্চতা দুই থেকে আড়াই ফুট। যারা বালি তোলার কাজ করছিলো তারা নিজেদের কাজ থামিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা গ্রামে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সারা গ্রামের লোক এসে ভীড় জমায় সেই স্থানে।

তারপর স্থনীয় কিছু বাসিন্দা বালি খুঁড়তে থাকে। সেখান থেকে বালি তুলতেই তিনটি শিবলিঙ্গ উঠে আসে। শুধু তাই নয় সেখান থেকে উদ্ধার হয় মাটির প্রদীপ, মন্দিরের ব্যবহৃত কারুকার্য করা বাসন কোসন, নানা রকম নকশা করা পাথরের অনেক জিনিস। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত আর ব্লক প্রশাসনকে খবর দিয়ে সেই স্থানটিকে সংরক্ষিত রাখার দাবী জানায়।

সেই এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক বলেন যে “এসব জিনিস দেখে মনে হচ্ছে এখানে কোন বড় মন্দির ছিল। এই স্থানে সরকারি ভাবে পুরাতত্ববিদ দ্বারা খনন কার্য করা উচিত। সেখান থেকে কোন প্রাচীন ইতিহাস উদ্ঘাটিত হতে পারে। যা গবেষকদের কাজে আসবে।”

এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দলে দলে অনেক দূর থেকেও লোক আসছে আসল ব্যাপারটি জানার জন্য। সেখানে কি সত্যিই কোন মন্দির ছিল? প্রায় দু থেকে আড়াই ফুটের উচ্চতার এই শিবলিঙ্গগুলি কিভাবে সেখানে এলো ভেবে পাচ্ছে না এলাকাবাসী। বেশ পুরনো দিনের মানুষেরাও জানেন না এই রহস্যের ব্যাপারে কিছু।

শুধু যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে তা নয়, সেই শিবলিঙ্গের সঙ্গে দেখা মিলেছে কিছু বিষধর সাপের। সাপ গুলির আকার বিশাল। স্থনীয় মানুষ সেই সাপ দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায়। যারা বালি তুলছিল তারা সেই সাপেদের দেখে ভয়ে বালি তোলার মেশিন বন্ধ করে দেয়।

সেখানকার মানুষের দাবী স্বয়ং মহাদেবের নিশ্চয়ই কিছু ইচ্ছা আছে তাই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর তিনিই হয়তো চান সেখানে আবার নতুন করে মন্দির গড়ে উঠুক তাই বালি তোলা বন্ধ করার জন্য সাপেরা এসেছে।

The post মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে এলো শিবলিঙ্গ, সাথে সাপ appeared first on Chalo Kolkata.

আপনি কি নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে করোনা থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন ? তাহলে ভুল করবেন

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন।  বর্তমান সারা ভারতবর্ষ তথা সারা বিশ্বে যা অবসস্থা করোনা নিয়ে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষায় রাখেনা  আপনাদের। আপনারা  সবটাই জানেন নানান সংবাদ মাধ্যম থেকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে একটা কথা খুব পরিমানে অর্থাৎ একটু বেশি সোনা যাচ্ছে সেটা হল করোনা থেকে বাঁচতে অগ্রিম ওষুধ খেয়ে নিচ্ছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আজ তার বিষয় নিয়ে কথা বলবো।

মাত্র ছ’মাসের পুরনো করোনাভাইরাস ঘুম কেড়ে নিয়েছে সারা বিশ্বের। যত দিন যাচ্ছে, মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ ছাড়া বাকি সর্বত্র সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এখনও পর্যন্ত এর কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। কাজেই চিকিৎসা যা হচ্ছে সবই উপসর্গভিত্তিক। জ্বর কমানোর ওষুধ, শ্বাসকষ্ট হলে অক্সিজেন। জটিলতা বেড়ে গেলে হিসেবনিকেশ করে পরীক্ষামূলক ভাবে বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও অন্য ভাইরাসঘটিত রোগের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভির, কখনও অ্যান্টিবায়োটিক।

প্রদাহ মারাত্মক বেড়ে শরীরের প্রত্যঙ্গগুলির উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করলে প্রদাহ কমানোর ওষুধ বা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি প্রয়োজন অনুসারে আরও কিছু সাপোর্ট দিতে হচ্ছে, যেমন, রোগী নিজে থেকে শ্বাস নিতে না পারলে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হচ্ছে। কিডনি খারাপ হলে ডায়ালিসিস করা হচ্ছে ইত্যাদি। আর ক্রমাগত সাপোর্ট পেতে পেতে এক সময় রোগী তাঁর জীবনীশক্তির দৌলতে বেঁচে উঠছেন।

এককথায় বলতে গেলে, করোনাভাইরাসকে অকার্যকর করার কোনও ওষুধ এখনও পর্যন্ত নেই। নেই কোনও টিকা। আজ পর্যন্ত এমন কোনও ওষুধ বেরোয়নি যে টিকার মতো করে কাজ করে সংক্রমণ ঠেকাতে পারে, যাকে বলে কেমো প্রোফাইলেক্সিস। অবশ্য এই প্রথার বিরুদ্ধে বহু প্রমাণ আছে। যে সমস্ত অসুখে এ ভাবে রোগ ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই ফল হয়েছে উল্টো। সেই ওষুধের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে, যাকে বলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স। ফলে রোগের জটিলতা বেড়ে গিয়েছে বহু গুণ।

কোভিড-১৯ – Covid19 নিয়েও সেই একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। এমনিতেই মানুষ অসহায়। রোগ হলে কোথায় যাবেন, কী করবেন, কতটা চিকিৎসা হবে তা নিয়ে আতঙ্কিত। তার উপর যে ভাবে অজানা ওষুধের সাহায্যে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা চলেছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। নতুন ওষুধপত্র নিয়ে অবশ্যই পরীক্ষানিরীক্ষা হবে। তবে তা হবে গবেষণাগারে। মানুষের উপর নয়। যত দিন না বিজ্ঞান নিশ্চিত করে সেই ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তারথা জানাবে তত দিন অপেক্ষা করতে হবে। মূল প্রতিরোধ মাস্ক, সাবান-স্যানিটাইজারে ভরসা করে। প্রমাণ পাওয়ার আগেই ওষুধের প্রয়োগ শুরু করে দিলে সে সব দিলে বিপদ আরও বাড়বে। যেমন:

1. বিজ্ঞানসম্মত ভাবে আপাতত এই সংক্রমণ ঠেকানোর অন্যতম হাতিয়ার হল সামাজিক দূরত্ব। প্রচারেও তাই বলা হচ্ছে। দু’জন মানুষের মধ্যে কম করে ৬ ফুট দূরত্ব থাকা দরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হচ্ছে কি? পেটের দায়ে বাসে-ট্রামে ঝুলতে ঝুলতে যেতে হচ্ছে মানুষকে। ফলে রোগের ভয় তাড়া করে ফিরছে সর্ব ক্ষণ। রোগ ছড়াচ্ছেও।

2. অ্যালোপ্যাথির হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। কিছু হাসপাতালে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মচারীদের খেতে বলা হচ্ছে। খেতে না চাইলে বলা হচ্ছে মুচলেকা লিখে দিতে, যে তাঁর যদি রোগ হয় প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকবে না। যদিও কোনও গবেষণায় এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে সে করোনাভাইরাসকে শরীরে ঢুকতে বাধা দিতে পারে। ভাইরাস মারার ক্ষমতাও তার নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা কবে ভাইরাস শরীরে ঢুকবে কেউ তো জানে না। তা হলে কি অনন্তকাল এই ওষুধ খেয়ে যেতে হবে! তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কী হবে? জটিল কোভিড রোগীর চিকিৎসাতেও যখন এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়, রোগীর অবস্থা ভাল করে পর্যালোচনা করে, রোগীকে বা তাঁর বাড়ির লোককে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়ে, লিখিত অনুমতি নিয়ে তবে কাজে নামা হয়। কারণ এর এমন অনেক ক্ষতিকর দিক আছে যে শরীরের অবস্থা যাচাই না করে দিনের পর দিন খাইয়ে গেলে মানুষ মারা পর্যন্ত যেতে পারেন।

3. এক দিকে স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি সংক্রমণের ভয়ে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের বাইরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে, কিন্তু বাড়ির রোজগেরে মানুষটির মাধ্যমে যাতে ভাইরাস ঘরে ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা কি হয়েছে? যে সমস্ত বয়স্ক মানুষ একা থাকেন, তাঁদের যাতে বাইরে বেরোতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করাও কিন্তু রোগ ঠেকানোর অন্যতম অঙ্গ।

4. অনেক সময় মানুষের ঘরে ঘরে কবিরাজি ও হোমিওপ্যাথির কিছু ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। মানুষ তা খাচ্ছেন সংক্রমণ ঠেকানোর আশায়। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞান পত্রিকায় করোনা ঠেকাতে পারবে বলে কোনও প্যাথিকেই নিশ্চিত ধরে নিয়ে কোনও প্রবন্ধ বেরোয়নি। ভাইরাসের বয়স মোটে ৬ মাস। তার মধ্যে গবেষণা করে ওষুধ বেরিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। তাই মানুষ যদি ওষুধের ভরসায় না থেকে এই মুহূর্তে সুরক্ষাবিধি মেনে চলায় মন দেন, সেটাই এখন শ্রেয়।
5. লকডাউন কাগজে-কলমে ৩০ জুন পর্যন্ত থাকলেও দোকান, বাজার, মল, রেস্তরাঁ, ধর্মস্থান সব খুলে গিয়েছে। ফলে মানুষ ভাবছেন, এ বার বেরিয়ে পরা যায়! বিশেষ করে যাঁরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন। বেশির ভাগ মানুষ রোগটাকে ছোট করে দেখছেন। কেউ কেউ বিদ্রূপ করছেন। ফলে মাস্কটুকুও পরছেন না। এর ফলে যে রোগের প্রকোপ আগামী কিছু দিনে মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাবে তা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।
6. আমরা এখন যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি তাতে সবাই যদি দলে দলে অসুস্থ হতে থাকেন, হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে কি? রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকা যায়। কিন্তু ক’জন মানুষের সে ভাবে থাকার মতো পরিস্থিতি ও সচেতনতা আছে? এই রোগকে যত হেলাফেলা করবেন, সে কিন্তু তত বেশি করে প্রতিশোধ নেবে।
7. পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও অনেক জায়গায় এ রকম ঘটছে। তাঁদের কোয়রান্টিনে রাখা হলেও হাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পাতা ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফল যে কী মারাত্মক হচ্ছে তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। রোগ ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে। এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে তা আরও বাড়বে।

শেষ কথা

আপনি কি নিজে  আপনি ডাক্তার ? না আপনি সব জান্তা ? নাকি আপনার জীবনের কোনো মূল্য নেই ? এইরকম করা ভাবে বললাম বলে কিছু মনে করবেন না। আমার চিন্তা টা শুধু আপনাকে নিয়ে নয়, আপনার মা – বাবা, বা আপনার ছেলে – মেয়ে বা এই রকম অনেক সম্পর্ক আছে যার জন্য এইভাবে বলতে হচ্ছে। একটু দোয়া করে নিজের কথা ভাবুন। সাথে নিজের পরিবারের কথাটাও ভাবতে হবে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

The post আপনি কি নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে করোনা থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবছেন ? তাহলে ভুল করবেন appeared first on Chalo Kolkata.

Incomplete Love –অসম্পূর্ণ প্রেমের কথা

$
0
0
নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে এক অসম্পূর্ণ প্রেমের কথা আষাঢ়ে করবো যা কিনা সত্য ঘটনা, কিন্তু কিছু প্রয়োজনে মাই স্থান কাল পাত্র পাল্টেছি। কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগলো
প্রিয় শুভ্র, আজ চিঠি না লিখে পারলাম না, তোমার বাড়ির ঠিকানা টা দিয়েছিলে এক সময়। গত তিন তারিখ আমি মা হয়েছি। না সেই সুখবর দিতে তোমায় চিঠি লিখতে বসিনি। তোমায় ধন্যবাদ জানাতে আর তোমায় একটা অনুরোধ করতে। এই কয়েক বছরে একদিনও যায়নি যে তোমার কথা মনে পড়েনি। আমাদের হয়তো এই পরিণতি টাই ছিলো। আমি আপাদমস্তক গৃহিণী হয়ে উঠেছি এই ক বছরে। আর আমি চাই তুমিও এবার জীবনে এগিয়ে যাও। অফিসের অনিল দা এর থেকে শুনলাম তুমি এখনও একা। তাই এই চিঠি লেখা।
জানো, অফিসের পিকনিকে যেদিন প্রথম তোমার কবিতা শুনেছিলাম , সাথে সাথেই প্রেমে পড়েছিলাম। পরে একই গ্রুপ এ কাজ করতে করতে একটা চুম্বকীয় টান তোমার প্রতি অনুভব করতে থাকি। তোমার ওই অনুভূতি ভরা চোখ, ঠোঁটের কোণে কোন মাধুর্যে ভরা হাসি, আমাকে নিজেকে আটকাতে দেইনি। হয়তো আমার নীরব দৃষ্টি তোমার অগোচর হয়নি, তুমিও ধীরে ধীরে কাছে এসে ছিলে।
তুমি মুসলিম তার উপর বাংলাদেশ থেকে কয়েক মাসের জন্য এদেশে। অন্যদিকে আমার পদবী বন্ধপাধ্যায়। গোরা ব্রাহ্মণ বাড়ির মেয়ে। কিন্তু কোনো দিনই জাত, ধর্ম ভালোবাসা কে আটকাতে পারেনা, পারেনি ও। দুজনেই কবে একে অপরের দিকে এগিয়ে গেছিলাম বুঝতে পারেনি। তুমি সাবধান করেছিলে। বলেছিলে ভবিষ্যত টা সুখের হবেনা। আমি বরাবরই জেদী, মানতে চাইনি সেই সব কথা।
এক বন্ধু কে তোমার কথা বলায় সে বলেছিল মুসলিম দের ধর্মে লেখা আছে হিন্দু মেয়ে কে বিয়ে করলে নাকি স্বর্গ বাস হয়। এদিকে তত দিনে কাবুলিওয়ালার বাঙালী বউ পরে ফেলেছি, সুস্মিতা ব্যানার্জী এর প্রাণ ও চলে গেছে সেই কাবুলেই। কিন্তু শত বাধা, বা চিন্তাও তোমার প্রতি ভালোবাসা কমাতে পারেনি।
জানো তোমায় পরীক্ষা করব বলেই বলেছিলাম বিয়ের পর ধর্ম পাল্টে নেবো, উত্তরে তুমি বাধা দিয়েছিলে বলেছিলে যদি আমি এভাবেই তোমার সাথে পাশে বাসে দুর্গা কে পুজো দিতে পারি তবেই বিয়ে করবে। মনের কোণে যেটুকু দ্বিধা ছিলো সেদিন তাও দূরে চলে গেলো। তোমার সাথে কাটানো সময়, তোমার কবিতা, তোমার বড়ো মাগ এ চা খাওয়া, ঢাকাইয়া বাংলায় তোমার মায়ের সাথে কথা বলা, তোমার তর্ক, তোমার যুক্তি, তোমার ইফতার, তোমার ঈদ , সব টাকে ভালোবেসে ছিলাম।
আমি বরাবরই অল্পেতে রেগে যাই, রাগ করলে মিষ্টি হেসে তোমার রাগ ভাঙ্গানো, একটা বড়ো ভারে দুজনের চায়ের চুমুক সবটা আজও আপন করে রেখেছি।
অফিসে আমাদের কথা চাউর হতে সময় নেয়নি। বাড়িতে ও খবর পৌঁছলো ঝড়ের গতিতে। ছেলে দেখা শুরু হলো। কাজেও পড়লো ইতি।
মনে আছে কি ভয়ানক সাহস দেখিয়ে তুমি আমার বাড়ি এসেছিলে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। বাবা কিভাবে তোমায় প্রত্যাক্ষান করেছিল।
এক বন্ধুর সাহায্যে তোমার সাথে আবার দেখা করি। নিজের সবটা দিতে চেয়ে ছিলাম। তোমার জবাব ছিলো, “তোমার শরীর টা তো পাবো, তোমায় পাবো কি?”
বলে ছিলাম চল পালিয়ে যাই, আমি তো তোমার সাথে থাকতে চাই, আমার মনে আছে আজও শান্ত ভাবে বলেছিলে ‘বাড়ি যাও। বিয়ে করলে তোমার বাবার আশির্বাদ নিয়ে হবে নাহলে নয়। পালিয়ে গেলে আজ সবাই বলবে মুসলিম ছেলে টা হিন্দু মেয়ে টা কে নিয়ে পালিয়েছে। পেছনের ভালোবাসা টা দেখবে না।”
কি দীপ্ত ছিল সেদিন তোমার গলার স্বর ।
তোমার ঠোঁটের শেষ স্বাদ টাও আজও লেগে আছে অন্তরে।
কিন্তু আমরা হয়তো সময়ের থেকে বেশ কিছু আগে ছিলাম সেদিন, সমাজ হয়তো তখনও পরিণত হয়নি । তাই আমাদের ভালোবাসা টাও পরিণতি পেলনা।
তারপর বিয়ে ঠিক হল, তুমি হয়তো বিয়ের দিনের অপেক্ষায় ছিলে, তারপর সেই ভয়ানক রাত টা এলো, বর আনতে গিয়ে বাবার অ্যাকসিডেন্ট হলো, হিতাহিত হারিয়ে তোমায় ফোন করলাম, তুমি নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে হসপিটালে ছুটে এলে। বাবার রক্ত এর প্রয়োজন ছিলো, সেটাও তুমি দিলে, কি নিয়তি তাইনা! একদিন যে মানুষটা বেজাত বলে তোমায় তাড়িয়ে দিয়েছিল বাড়ি থেকে, তার প্রাণ টাও তুমি বাঁচিয়ে গেলে।
আমি তো জানতাম ও না। পরের দিন সকালে যখন সব জানলাম, শুনলাম তুমি সকালের প্লেনে দেশে ফিরে গেছ। একটা চিঠি রেখে গেছিলে, বলেছিলে যেন কোনো যোগাযোগ না করি। করিও নি কোনোদিন।
কিন্তু আজ করতে বাধ্য হলাম।
জানো শুভ্র, যখন তোমার মুখে শুনতাম “কলকাতার মাইয়া গুলো কিউট এর ডিব্বা” কি রাগ ই না হতো, ভাবতাম তোমার চোখ নাজানি কতো মেয়ে কে দেখে বেড়ায়, আজ মন থেকে চাই, নিজে দেখে ভালো করে কাউকে বিয়ে করো , সুখী হও।
লিখেছিলে আমার বিয়ের উপহার টা পাওনা রইলো, কোনোদিন দেখা হলে দেবে।
আজ সেটা চাইছি, তুমি জীবনে এগিয়ে গেলে সেটাই হবে আমার সব চেয়ে বড় উপহার।
উপহার টা আমার চাই কিন্তু।
উপহারের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার বর তোমার কথা জানে। বিয়ে তে ডেকো, স্বামী কে সাথে নিয়ে আসবো কথা দিলাম।
নিমন্ত্রণের অপেক্ষায় রইলাম।
ইতি
মালবিকা

The post Incomplete Love – অসম্পূর্ণ প্রেমের কথা appeared first on Chalo Kolkata.

সাহসী হতে না পেরে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান বলিউডের আর এক স্বপ্নসুন্দরী

$
0
0

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে এক অসম্পূর্ণ প্রেমের কথা আষাঢ়ে করবো যা কিনা সত্য ঘটনা, কিন্তু কিছু প্রয়োজনে মাই স্থান কাল পাত্র পাল্টেছি। কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগলো

মাধুরীর পর তাঁর রূপেই মুগ্ধ হয়েছিলেন মকবুল ফিদা হুসেন। এঁকেছিলেন অনেক ছবি। হুসেনের মতো গুণমুগ্ধ ছিলেন আরও অনেকে। কিন্তু তার পরেও বলিউডে তাঁর স্থায়িত্ব ছিল অল্পসময়ের। হঠাৎ এসে এক ঝলক তাজা বাতাস ছড়িয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান অমৃতা রাও।

১৯৮১ সালের ৭ জুন অমৃতার জন্ম মুম্বইয়ের এক রক্ষণশীল পরিবারে। স্বাধীনতা সংগ্রামী অমৃত রাওয়ের নামে তাঁর নামকরণ করেন তাঁর ঠাকুরদা। অমৃতার বাবা একটি বিজ্ঞাপনের এজেন্সি চালান। তাঁর যমজ বোন প্রীতিকাও অভিনেত্রী।

রক্ষণশীলতার বেড়াজাল পেরিয়ে কলেজজীবনেই শুরু মডেলিং। নবাগতা হিসেবে অমৃতা নজর কাড়েন আলিশা চিনয়ের ‘ও প্যায়ার মেরা’ মিউজিক অ্যালবামে। ২০০২ সালে প্রথম অভিনয় ছবিতে। ‘অব কে বরস’ ছবিতে তিনি ছিলেন ‘অঞ্জলি থাপা-র’ চরিত্রে।সে ছবিতে তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন চলচ্চিত্র সমালোচকরা। অভিনয় প্রতিভার পাশাপাশি প্রশংসিত হয় তাঁর নৃত্যদক্ষতা এবং নিষ্পাপ সৌন্দর্য।

সে ছবিতে তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন চলচ্চিত্র সমালোচকরা। অভিনয় প্রতিভার পাশাপাশি প্রশংসিত হয় তাঁর নৃত্যদক্ষতা এবং নিষ্পাপ সৌন্দর্য।পরের বছর, ২০০৩ সালে তিনি অভিনয় করেন শাহিদ কপূরের বিপরীতে ‘ইশক ভিশক’-এ। বক্স অফিসে সুপারহিট হয় সেই রোমান্টিক ড্রামা। এর পর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে অ্যাডাল্ট কমেডি ‘মস্তি’-ও দাগ কেটে যায় দর্শকদের মনে।

পাশাপাশি তারকাখচিত ছবি ‘ম্যায়ঁ হু না’ এবং ‘দিওয়ার’-এও অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের পাশে সাবলীল অভিনয়ের ছাপ রেখে যান অমৃতা।

২০০৬ সালে মুক্তি পায় শাহিদ কপূর-অমৃতা রাওয়ের সুপারহিট ছবি ‘বিবাহ’। এই ছবির সুবাদে অমৃতা চলে আসেন জনপ্রিয়তার প্রথম সারিতে। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সফলতম ছবি।

ঠিক এখান থেকে তাঁর কেরিয়ার উঠতে পারত রকেট গতিতে। কিন্তু তার বদলে কেরিয়ারগ্রাফ নেমে যায় খাদের দিকে। ২০০৮ সালে নবাগত নিখিল দ্বিবেদীর বিপরীতে তাঁর ছবি ‘মাই নেম ইজ অ্যান্টনি গঞ্জালভেস’ ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।

খাদের মুখে চলে গিয়েও অমৃতা ফিরে এসেছিলেন শ্যাম বেনেগালের ‘ওয়েলকাম টু সজ্জনপুর’ ছবির হাত ধরে। সমালোচকদের দরবারে ছবিটি উচ্চ প্রশংসিত হয়। শ্রেয়স তলপাড়ের বিপরীতে অমৃতার অভিনয় ছিল ছবির অন্যতম মূল সম্পদ।

কিন্তু সাফল্যের রেশ ধরে রাখতে পারেননি অমৃতা। তাঁর ‘ভিকট্রি’ ছবিটি সাফল্য পায়নি। ‘হে বেবি’, ‘লাইফ পার্টনার’-এর মতো ছবিতে অতিথি ভূমিকায় অভিনয় করেও কেরিয়ারের ভাঙা পালে নতুন বাতাস লাগেনি।

প্রায় তিন বছরের বিরতি নিয়ে অমৃতা আবার ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরে আসেন ২০১৩ সালে। দ্বিতীয় ইনিংসে বেছে বেছে ছবিতে সই করেন তিনি। এই পর্বে তাঁর সাফল্য অনেক বেশি।

‘জলি এল এল বি’, ‘সিং সাব দ্য গ্রেট’, ‘সত্যাগ্রহ’-র মতো ছবি অমৃতার কেরিয়ারে নতুন পালক যোগ করে। কিন্তু অমৃতা নিজের কেরিয়ার লম্বা করতে চাননি। সাত বছরের প্রেমপর্বের পরে ২০১৬ সালে তিনি বিয়ে করেন রেডিয়ো জকি আনমোলকে।

বিয়ের পরে কাজ করা অনেক কমিয়ে দিয়েছেন অমৃতা। তবে স‌ংক্ষিপ্ত কেরিয়ার নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন রকমের ভূমিকায় অভিনয় করতে চেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু কোনওদিন পর্দায় তথাকথিত ‘সাহসী’ হতে চাননি।

সে কারণে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘ হয়নি বলে মনে করেন অভিনেত্রী। কিন্তু কোনও কারণেই নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করতে চাননি তিনি। শুটিঙের আগে চরিত্র সম্বন্ধে না জেনে রাজি হননি কোনও ছবির জন্যেই। চরিত্র নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন শ্যাম বেনেগালের মতো পরিচালককেও।

রাজি হননি শ্যাম বেনেগালের ‘ওয়েলডান আব্বা’ ছবিতে অভিনয় করতে। অসম্মত হন ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’-তে সলমন খানের বোনের ভূমিকায় অভিনয় করতে। রণবীর কপূরকে পর্দায় চুমু খেতে হবে বলে ছেড়ে দেন যশরাজ ফিল্মসের ছবিও। ফিরিয়ে দেন হলিউডের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগও।

The post সাহসী হতে না পেরে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান বলিউডের আর এক স্বপ্নসুন্দরী appeared first on Chalo Kolkata.

Viewing all 302 articles
Browse latest View live


Latest Images

<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>